#Secret_Agent_OF_NSI
#পর্ব_১
লামিয়া- এই যে লাট সাহেব অনেক তো বেলা হলো আর কত পড়ে পড়ে ঘুমাবেন।।এবার ঘুম থেকে উঠেন।।১১টায় যে একটা চাকরির ইন্টারভিউ আছে ভুলে গেলেন নাকি।।আর কত পড়ে পড়ে আমার বাবা পরিশ্রম এর টাকায় কেন অন্ন ধ্বংস করবেন।।ওই উঠবি নাকি পানি ঢেলে দিব।।
আমি- আপু আপনি সবসময় আমার সাথে এমন করেন কেনো।।
লামিয়া- ওই আমি আবার কেমন করলাম।।তোর সাথে ঠিকই ত বললাম কোনো কাজকর্ম নেই সারাদিন শুধু বাজে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া আর আমার বাবার অন্ন ধ্বংস করা।।
আমি- চাকরির জন্য ত কত ইন্টারভিউ দিয়েছি না হলে কি করব আপনিই বলেন।।
লামিয়া - হবে কি করে চাকরি করতেও ত যোগ্যতা লাগে লেখাপড়া জানতে হয়।।তোর তো একটাও নেই।।না আছে যোগ্যতা না উচ্চ লেভেলের পড়েছিস।।
আমি- যেদিন চাকরি পাবো।। সেদিন আর এখানে থাকব না।।আর মাত্র কয়েকটা দিন এখানে আছি।।
লামিয়া - আচ্ছা সেটা যেনো খুব তাড়াতাড়ি হয়।।তাহলে তোর মতো ছোটলোকের হাত থেকে রহ্মা পাব।।
আমি আর কিছু বললাম না।।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ১০টা বেজে যাবে।।তাই তাড়াতাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।তারপর রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম।।নিচে যাওয়ার পর,,
চাচি- কিরে এত তাড়াহুড়ো করে কোথায় যাচ্ছিস।। আর খাবার খাবি না নাকি??
আমি- চাচি একটা ইন্টারভিউ আছে আর খেয়ে গেলে লেট হয়ে যাবে।।আর আমি বাইরে থেকে খেয়ে নিব এখন আসি।।
চাচি- এই দাড়া টাকা নিয়ে যাবি না নাকি??টাকা নিয়ে যা।।
আমি- না চাচি টাকা আছে আপু যা দিয়েছিল এই মাসের খরচ সেখান থেকে যা আছে তা দিয়েই হবে।।আর এমনিতেও তোমরা আমার জন্য অনেক করেছো।।আশ্রয় দিয়েছো,তিনবেলা খেতে দিচ্ছো আবার টাকা নিব কিভাবে??,
চাচি- খুব বড় হয়ে গেছিস তাই না।।আমি বলছি টাকা নিয়ে যাবি মানে ব্যস টাকা নিয়েই যাবি।।
আমি- চাচি আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।। পরে ইন্টারভিউ মিস হয়ে গেলে সমস্যা।।আমি গেলাম আল্লাহ হাফেজ।।
চাচি- আরে টাকাটা তো নিয়ে যাবি।।
যা ছেলেটা চলে গেলো নিশ্চয়ই লামিয়া আজকে আবার ও কে কিছু নিয়ে কথা শুনিয়েছে।।মেয়েটাও যে কেন বুঝতে চায় না।।সারাক্ষণ শুধু ওর সাথে লেগে থাকে।।ছেলেটা খেয়েও গেলো না।।
এদিকে বাসা থেকে বের হয়ে দাড়িয়ে আছি ৫ মিনিটের মতো দাঁড়িয়ে আছি কোনো সিএনজি বা কোনো গাড়িই পাচ্ছি না।।হঠাৎ একটা সিএনজি দেখতে পেলাম তারপর সেটাতে উঠে ইন্টারভিউ এর জন্য রওনা দিলাম।।যেতে যেতে আপনাদের পরিচয়টা দিয়ে নিই।।যদিও অনেকে আমাকে চিনেন।।
আমি ওমর ফারুক ফাহিম ওরফে ফাহিম শেখ।।আপাতত পড়ালেখা নাই তাই বিন্দাস লাইফ।।পরিবারের সদস্য বলতে আমি, বাবা আর মা।। বাকীটা আর জানতে হবে না।।আর এতহ্মণ কথপোকথন পড়ে বুঝেই গেছেন যে একজন আমার চাচি আর লামিয়া আমার চাচাতো বোন।।বয়সে আমার ছোট কিন্তু সে আমাকে সহ্য করতে পারে না।।তাই তাকে আপনি করে বলতে বলে।।
প্রায় ২০ মিনিট পরে অফিসে পৌছালাম।।গিয়ে দেখি ইন্টারভিউ শুরু হয়ে গেছে আর মাত্র ৫ জন বাকি আছে।।আল্লাহই জানে আমার নাম কি ডেকে ফেলেছে নাকি।।
তারপর আরও দুইজনের ইন্টারভিউ নিলো।।তৃতীয় নাম্বারে আমার নাম ডাকা হলো।।যাক ভালই হলো আমার নাম শেষে ডাকা হলো।।(মনে মনে)
তারপর আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম।। আর আমার সামনে থাকা ব্যক্তিকে দেখে আমি খুবই অবাক আর সেও আমাকে দেখে অবাক।।
তারপর সামনে থাকা লোকটি আমাকে জিজ্ঞাসা করল,,
রেহান- কিরে ফাহিম তুই এইখানে।।তাও আবার আমার এই ছোট্ট অফিসে।।কি মনে করে এখানে এলি।।
আমি- আসলে বন্ধু আমার একটা চাকরির দরকার খুব তাই এখানে ইন্টারভিউ দিতে এসেছি।।
তারপর রেহান তারপর কলিগদের বাইরে পাঠিয়ে দিলো আর বাকী যারা ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলো তাদের চলে যেতে বলল।।
তারপর রেহান বলল,,
রেহান- তা তোর আবার চাকরির দরকার কেনো রে??
আমি- দোস্ত তুই ত জানিস যে বিজনেস চাচা দেখা শুনা করে।। আর তিনি যতদিন না আমাকে নিজ থেকে বিজনেসটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন ততদিন আমি ওনার
কাছে বিজনেস আমার হাতে তুলে দিতে বলব না।।কারণ- ৫ বছর ধরে তিনিই ত আমাদের এই বিজনেস সামলাচ্ছেন।।আর তিনি না যতদিন নিজ থেকে বলছেন ততদিন আমি ওনার কাছে কিছু চাইব না।।এখন ইন্টারভিউ নিবি কি না বল।।আর শুন আমাকে মাঝে মাঝে কিছুদিন ছুটিও নিতে হতে পারে+ বিদেশও যেতে হতে পারে।।এটা শুনার পর কেউ চাকরি দিতে চায় না।।এখন বল তুই চাকরি দিবি নাকি অন্যজায়গায় ইন্টারভিউ দিব।।
রেহান - দূর শালা কি যে বলিস না এতে কোনো সমস্যা নাই ।।আর চাকরি নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না।।কারণ- তুই আমাদের কম্পানিতে চাকরি করবি,এর থেকে বড় কথা আর কি হতে পারে।।আর এমনিতেও এই পোস্টে দুইজনই লাগত।।তোকে নিব আর ক্যান্ডিডেটদের মধ্য থেকে একজনকে নিব।
এইভাবে আড্ডা দিতে দিতে দুপুর হয়ে গেলো তখন রেহান বলল যে তার সাথে লাঞ্চ করে যেতে।। অনেকবার না করাও পরেও ছাড়ল না।।লাঞ্চ করেই ফিরতে হয়েছে।।বের হওয়ার আগে আমাকে মাসের অর্ধেক বেতন অগ্রীম দিয়ে দিলো।।বাসায় ফেরার পথে মিষ্টি নিয়ে নিলাম বাসার জন্য।।দীর্ঘ ৫ বছর ঘুরাঘুরি করার পর আজকে চাকরি পেলাম।।
বাসায় এসে মিষ্টির প্যাকেট চাচির হাতে তুলে দিলাম।।তারপর চাচিকে বললাম যে আমি চাকরি পেয়ে গেছি।।তারপর গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।পরে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।।খেয়ে দিলাম একঘুম।।বিকেলে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম।।তারপর চাচিকে বলে বলে আপুর বাসার উদ্দেশ্যে বের হলাম।।তারপর ভাগ্নি আর নেহার জন্য কাপড় কিনলাম আর আপুর বাসার জন্য মিষ্টি কিনলাম।।তারপর আপুর বাসার উদ্দেশ্যে বের হলাম।।যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।।বাসায় গিয়ে সব জিনিস আপুর হাতে তুলে দিলাম।। সবকিছু দেখে আপু বলল,,
আপু- কিরে এই শাড়ীটা কি ওনার জন্য এনেছিস নাকি??
আমি- আসলে আপু,,,,,,
আপু- থাক আর বলতে হবে না।।আজকে তুই আসবি বলে মহারাণী নিজের হাতে সব রান্না করেছে।।এমনিতে তো তিনি রান্নাঘরের দিকে পা-ই দেন না।।আর তুই সেই কবে যে এখানে এসেছিলি।।এখন তো আর আসিসই না।।
আমি- আসলে আপু আমি তো কোনো রোজগার করতাম না।।আর আমার হাত খরচের টাকাও ত তুইই দিতি।।তুই হাত খরচের টাকা দিতি তবুও এখানে আসলে কেমন খারাপ দেখাতো না।।
আপু- তুই এইসব ভেবে এখানে আসিস নি।।আর শুন আমি তোকে কোনো হাত খরচ দেই না।।যা টাকা দেওয়ার সেটা তোর দুলাভাই তোকে দেয়।।আমার বলতেও হয় না।।
আমি- তবুও যা দিতি তা দিয়ে আমি মাস চালিয়ে নিতাম।।বাবা-মা মারা যাবার পর থেকে তো দুলাভাই আমার পড়ালেখার সব খরচ বহন করতো।।আর পড়ালেখা করেও ৫ বছর ঘুরাঘুরি করেও কোনো চাকরি পাই নি।।এটাতো লজ্জার বিষয় তাই না।।দুলাভাই না হয় কিছু বলবে না কিন্তু বাকিরা তো হাসি ঠাট্টার ছলে বলে ফেলতেই পারে তাই না।।
আপু- আচ্ছা ভাই বুঝছি।।তুই অনেককিছু চিন্তা করেই এখানে আসিস নি।।কিন্তু সারাবছর যে ঘুরাঘুরি করতি বিভিন্ন জায়গায় তার টাকা কোথায় পেতি।।
আমি- সেটা সিক্রেট,, এখন বলা যাবে না সময় হলে ঠিকই জানতে পারবি।।তা মহারাণী কোথায় আছে এখন??
আপু- শুন এমন কিছু করিস না যাতে করে তোর বদনাম হয়।।আর নেহা সাদিকাদের রুমে আছে।।তুই আগে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।।পরে তাদের সাথে দেখা করবি নি।।আর তোর দুলাভাইকেও কল করে তাড়াতাড়ি চলে।আসতে বলতেছি।।
আমি আচ্ছা বলে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।।ফ্রেশ হয়ে সাদিকাদের রুমে চলে গেলাম (সাদিকা হচ্ছে আমার ভাগ্নি)গিয়ে দেখি তারা ফুপি,ভাতিজিরা মিলে গল্প করতেছে।।
আমি ভিতরে যাওয়ার সবাই চুপ হয়ে গেলো।।সাদিকা এসে বলল- মামা কেমন আছো??এতদিনে আমাদের কথা মনে পড়েছে??
আমি- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি মামনি।।আমি না হয় আসি নি কিন্তু তোমরাও ত যাও নাই।।
সাদিকা- তা মামা আজকে থাকবে না এখানে??
আমি- না মামনি কালকে আমার অফিস আছে।।আর।প্রথমদিনই যদি না যাই তাহলে কি চাকরি থাকবে নাকি।।
সাদিকা- তাহলে আবার কবে আসবে??আর আমার জন্য কি এনেছো??
আমি- দেখি মামনি কবে আসা যায়,,আর তোমাদের দুই বোনের জন্য আমি অনেক অনেক চকলেট এনেছি।।গিয়ে আম্মুর কাছ থেকে নিয়ে নাও।।
সাদিকা- আচ্ছা মামা তাহলে আমরা গিয়ে চকলেট খাই তুমিও আসো।।
আমি- আচ্ছা যাও।।
তারপর সাদিকা আর সাওদা চলে গেলো।।আমি আর নেহা সামনা সামনি বসে আছি দুজনেই চুপ।।হঠাৎ নিরবতা ভেঙে আমি বললাম,,
আমি- কি মেডাম এইভাবেই কি চুপ করে থাকবেন নাকি??তাহলে চুপ করেই থাকেন আমি গেলাম।।
নেহা- এই শুনুন না,, বলছিলাম কি?? এখনও কি আমাকে একটু সময় দেওয়া যায় না নাকি??
আমি- কিসের সময় চাও তুমি বলো।।
নেহা- ছুটির দিনে বিকেলে আপনার সাথে একটু আলাদাভাবে সময় কাটাব।।দুজনে কোনো নিরিবিলি জায়গায় বসে কথা বলব।।
আমি- আসলে নেহা আমি চাই তোমাকে সময় দিতে কিন্তু আমি একজন,,,, (বলেও বলতে পারলাম না)
আর আমি আগে বেকার ছিলাম, তোমার ভাই যা হাতখরচ দিত তা দিয়ে কোনোভাবে চলে যেতো।।কিন্তু এখন চাকরি পেয়েছি মাসে বেতনও পাবো।।কিন্তু সবছুটির দিনে ফ্রী থাকব নাকি সেটা বলতে পারব না।।অবশ্যই আমি সবসময় চেষ্টা করব তোমাকে সময় দিতে।।
নেহা- আচ্ছা সমস্যা নাই।।আমি তো এমনিতেই বলেছিলানম।।তা আজকে এখানে থেকে গেলেই ত পারেন।।
আমি- তা হয় না নতুন চাকরি পেয়েছি।। যদিও বন্ধুর অফিসে,,তাও ত আমাকে সবার মতো করে চলতে হবে।।ইনশাআল্লাহ একদিন এসে থেকে যাব।।
আমরা কথা বলতেছি তখনই আপুর ডাক এলো খাবার টেবিলে যাওয়ার জন্য।।তারপর নিচে গিয়ে খাবার খেয়ে নিলাম।।খাওয়া শেষ করে দুলাভাই এর সাথে বসে কিছুহ্মণ কথা বললাম।।পরে সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।।তারপর বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।।
এদিকে,,,,,
Tag: Bengali Golpo, Funny Bengali Golpo, Abhela, Golpo, golpo icon.png, golpo holeo shotti, golpo kotha, bangla golpo, bangla romantic golpo, bangla funny golpo, golpo book bangla, bangla mojar golpo book, bangla romantic golpo book, bangla hasir golpo book, golpo boi bangla,Secret_Agent_OF_NSI
0 Comments