পিচ্চি_বউ (part 12+13) Golpo Bangali Lyrics Golpo,

 


#পিচ্চি_বউ
(part 12+13)
.
ছেলেটা বলল,,
-- আপনি এখন মালয়েশিয়ায়,
দিয়া বলল,
-- মানে? আমি মালয়েশিয়া কিভাবে
আসলাম? আমি তো একটা গাড়ির সাথে....
দিয়াকে আটকিয়ে ছেলেটা বলল,,
-- হ্যা, সেদিন আপনি আমার গাড়ির
সাথেই ধাক্কা খেয়েছিলেন, ধাক্কাটা
অনেক জোরেই লেগেছিল, আপনার অনেক
ব্লিডিং হচ্ছিল,,
আমি আপনাকে সেখানকার একটা
হস্পিটালে নিয়ে যাই, অনেক্ষণ আপনার
চিকিৎসা চলার পর, ডাক্তার বেরিয়ে এসে
বলে,
72ঘন্টার ভিতরে আপনার জ্ঞান না
ফিরলে আপনাকে আর বাচানো সম্ভব
হবে না,,
অতঃপর উন্নত চিকিৎসার জন্য সেদিনই
আপনাকে আমি মালয়েশিয়া নিয়ে আসি ৷
আর আজ ঠিক 71ঘন্টা পর আপনার
জ্ঞান ফিরল ৷
-- আপনি আমাকে কেন বাচালেন? আমি
মরে গেলেই তো ভাল হত ৷
-- আমার সামনে একজন মানুষ মারা যাবে,
সেটা আমি চেয়ে চেয়ে দেখব,?
তাও আবার আমার গাড়ির সাথে
এক্সিডেন্ট হয়েছে ৷
আচ্ছা আপনি সেদিন মাঝ রাস্তা দিয়ে
হাটছিলেন কেন?
আর মরে গেলে ভাল হত এটা কেন বলছেন?
দিয়া নিয়ানের সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনাই
ছেলেটাকে বলল,,
সব বলার পর ছেলেটার দিকে তাকাতেই
দেখল,
ছেলেটার চোখে পানি,
ছেলেটা বলল,,
-- একটা মেয়ে একটা ছেলেকে এতটা
ভালবাসতে পারে?
দিয়া কিছু বলল না শুধু চোখ দিয়ে পানি
ঝরছে ৷
ছেলেটা আবার বলল,
-- অই বজ্জাত ছেলেটা কি করে পারল,
আপনার মত একটা মিষ্টি মেয়েকে কষ্ট
দিতে ৷
-- পিল্জ ওকে কিছু বলবেন না ও অনেক
ভাল ছেলে ৷
-- আপনাকে এত কষ্ট দেওয়ার পরও
আপনি বলছেন ছেলেটা ভাল?
-- আমি যে ওকে আমার জীবনের চাইতেও
বেশি ভালবাসি, তাই ও যতই খারপ হোক,
আর আমাকে যতই কষ্ট দেয় না কেন,
আমার কাছে ও ভালই থাকবে ৷
-- সত্যিই আপনার তুলনা হয় না, যেই
ছেলেটা আপনাকে এত অবহেলা,কষ্ট দিল,
আর আপনি তাকেই ভাল বলছেন ৷
আচ্ছা আপনার নামটাই জানা হল না??
-- আমি দিয়া ৷
-- আর আমি আরিয়ান চৌধরী ৷
.
আর আমি হলাম এই চৌধরী সাহেবেআর আমি হলাম এই চৌধরী সাহেবের মা ৷
দিয়া দেখতে পেল কথাটা বলতে বলতে
একজন মহিলা কেবিনে ডুকছেন ৷
আরিয়ান মহিলাটাকে দেখিয়ে বলল,,
-- দিয়া উনি আমার আম্মু ৷
দিয়া মুখ দিয়ে সালাম দিল ৷
তারপর বলল,
-- উনি এখানে?
-- আমরা এখানে, এই মালয়েশিয়ায় ই থাকি
আরিয়ানের আম্মু বললেন,,
-- এখন কেমন লাগছে মা?
-- জ্বি ভাল আন্টি?
-- আমাকে আন্টি না, মা বলে ডেক ৷
জান কালকে যখন তোমাকে আমি প্রথম
দেখি তখনই আমার মায়ের কথা মনে পড়ে
যায়, তোমাকে দেখতে হুবুহু আমার মায়ের
মত ৷
কথাগুলা বলে শেষ করেই চোখের পানি
মুছলেন ৷
দিয়া বুঝতে পারল ওরা দুজনই অনেক ভাল
মনের মানুষ,
তারপর বলল,
-- আচ্ছা ঠিক আছে ডাকব ৷
-- আচ্ছা মা তুমি এখন একটু রেস্ট নাও,,
আমরা বাইরে যাই ৷
বলেই ওরা চলে গেলেন,,
.
আরিয়ান চৌধরীর পরিচয়টা একটু ভাল
করে দিয়ে দেই ৷
আরিয়ান চৌধরী অনেক বড় একজন
বিজনেস ম্যান,
বিজনেসটা ওর বাবারই, কিন্তু দুই বছর
আগে ওর বাবা মারা যাওয়াতে পোর
বিজনেসটা ওকেই সামলাতে হচ্ছে,
বাংলাদেশ আর মালয়েশিয়া মিলে তিনটা
কম্পানি আছে ওদের ৷
তাই আরিয়ান চৌধরী মালয়েতাই আরিয়ান চৌধরী মালয়েশিয়াই
পরিবার নিয়ে থাকে ৷
পরিবার বলতে ওর মা আর ছোট্ট একটা
বোনকে নিয়ে তার পরিবার ৷
.
7দিন পর আজ দিয়াকে হস্পিটাল থেকে
বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে,
কিন্তু দিয়া ভাবতে লাগল তার তো
কোনো বাড়ি নাই, সে এখন কোথায়
যাবে,
এসব ভাবছিল তখনই আরিয়ান চৌধরী ও
তার মা ডুকল,
আরিয়ান বলল,
-- চলেন, আজ আপনাকে হস্পিটাল থেকে
ছেড়ে দিয়েছে ৷
-- কিন্তু আমি কোথায় যাব?
আরিয়ান অবাক হয়ে বলল,,
-- কোথায় যাবে মানে? আমাদের বাড়িতে
যাবে ৷
-- কিন্তু আমি আপনাদের বাড়িতে কোন
পরিচয়ে যাব ৷ আমার তেআ কোনো
পরিচয় নাই ৷
আরিয়ার আম্মু বললেন,
-- আমাদের বাড়িতে যেতে তোমার
কোনো পরিচয় লাগবে না মা ৷
আরিয়ান বলল,,
-- আম্মুওও..উনি যখন পরিচয় চাইছেন
তাহলে উনাকে একটা পরিচয় দিলে সম্যসা
কোথায়?
-- কি পরিচয় দিবি তুই ওকে?
-- আমার বউয়ের পরিচয় ৷
দিয়া অবাক হয়ে বলল..
-- মানে?
-- আরে আরে, আপনি এত ভয় পাবেন না,
আমি আপনাকে সত্যিকারের বউ হতে
বলছি না ৷
শুধু আপনার পরিচয়টা হবে আপনি আমার
বউ ৷
-- কিন্তু....
-- আর কোনো কিন্তু না, এবার বাড়িতে
চলুন ৷
.
.
এদিকে আমি হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এসে
পাগলের মত হয়ে গেলাম,,
প্রত্যেক দিন দিয়াকে খুজতে বের হই,
কিন্তু কোথাও খুজে পাই না ৷
সারা বাংলাদেশের অলিগলি সব খুজলাম
কিন্তু কোথাও খুজে পেলাম না ৷
এভাবে প্রত্যেক দিন মেয়েটাকে পাগলের
মত খুজে বেরাই ৷
.
যে মেয়েটাকে আমি সহ্যই করতে পারতাম
না,
আজ সেই মেয়ের জন্যই প্রত্যেক রাত
কান্না করে বালিশ ভিজাই..
এভাবেই দিয়ার অপেক্ষায় কেটে গেল
অনেক নির্ঘুম রাত,,
.
কেটে গেল পাচঁ পাচঁটা বছর,,
.
এরমধ্যে দিয়ার কথা প্রায় সবাই ভূলেই
গেছে,,
সবাই বলছে দিয়া নাকি আর ফিরে আসবে
না,
ও নাকি মারা গেছে !!
চাচা চাচিও অনেক কষ্ট করে হলেও সেটা
মেনে নিয়েছেন ৷
কিন্তু আমি এখনও দিয়ার পথছেয়ে বসে
আছি,
আমি জানি দিয়া আমার বিশ্বাস দিয়া
একদিন না দিন ফিরে
আসবেই,,
এরমধ্যে আব্বু আম্মু অনেক বার বলেছেন
যে বিয়ে করে নতুন করে জীবন শুরু করতে ৷
কিন্তু আমি ওদের বার বার বলে দিচ্ছি যে
দিয়ার অপেক্ষায় সারা জীবন পার করে
দিতে পারব,
.
আজ আব্বু হঠাৎ রুমে এসে বললেন,,
-- তুই কি এভাবেই জীবনটা শেষ করে দিবি
তর কি মনে হয় মেয়েটা এখনও বেছে আছে?
আর বেছে থাকলেও কি তর জন্য বসে
আছে নাকি?
বেছে থাকলেও হয়তো কারু সাথে বিয়ে হয়ে
সংসার করছে ৷
-- আব্বুওওও...পিল্জ !
-- তকে আমি দুইটা অপশন দিচ্ছি,
বিয়ে কর নয়তো চাকরি বাকরি কিছু একটা
করে জীবনটা নতুন করে শুরু কর,,
কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললাম,,
-- ওকে আব্বু আমি চাকরি করব !
আব্বু একটা সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে চলে
গেলেন ৷
.
পরেরদিন আমি একটা চাকরির ইন্টারভিউ
দিতে যাই..
ইন্টারভিউ দেওয়ার পর, আমাকে
কিছুক্ষণের জন্য Waiting এ রাখে !
আমাকে কিছুক্ষণ পর আবার আমাকে কিছুক্ষণ পর আবার ডাকে,,
আমাকে বলে,,
-- congratulations আপনার চাকরি হয়ে
গেছে ৷ কিন্তু সেটা মালয়েশিয়ায় ৷ আপনার
সব রেজাল্ট ভাল দেখে আমরা আমাদেরই
আরেকটা কম্পানিতে টান্সপার করে দেই ৷
মালয়েশিয়ার কথা শুনে কেন জানি আমি
হ্যা বলে দেই !
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে
মালয়েশিয়ায় কিছু একটা আছে !!!!





পিচ্চি_বউ (part 13)
.
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে
মালয়েশিয়ায় কিছু একটা আছে !!!!
.
বাড়িতে এসে আব্বুকে বলতেই আব্বু
অনেক খুশি হলেন,
রাতের খাবার খেয়ে রুমে এসে ঘুমানোর
চেষ্টা করছি,
কিন্তু ঘুম আসছে না, বার বার দিয়ার সেই
নিষ্পাপ হাসি চোখে ভেসে উঠছে !
জানি শেষ রাত বা মধ্যে রাত ছাড়া আমার
ঘুম আসবে না ৷
গত পাচঁ বছর ধরে এরকমটাই হয়ে আসছে ৷
হঠাৎ মোবাইলের আওয়াজে ভাবনার জগৎ
থেকে বেরিয়ে আসলাম,
মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি সেই অচনা
নাম্বার থেকে আবার ফোন এসেছে !
গত পাচঁ বছর ধরে অনেকগুলা অচেনা
নাম্বার থেকে আমার মোবাইলে ফোন
আসে,
ফোন রিসিভ করলে কেউ ওপাস কিছু বলে
না,
শুধু আমি একটা ছোট্ট বাচ্চার হাউমাউ
শুনতে পাই ৷
অনেকবার বিরক্ত হয়ে অনেকগুলা নাম্বার
বল্ক মেরেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয় না
একটা বল্ক মারলে অন্য আরেকটা নাম্বার
দিয়ে ফোন দেয়,
দিয়া যদি আমাকে কোনো দিন দিয়া যদি আমাকে কোনো দিন ফোন
দেয়? এই আসাতে সিমটাও পাল্টাতে পারি
না ৷
প্রথম প্রথম বিরক্ত লাগলেও এখন কেন
যানি আমার অই পিচ্চিটার অস্পষ্ট ভাষা
শুনতে ভাল লাগে ৷
তাই এখন প্রত্যেকটা দিন ফোনটা
রিসিভও করি ৷
.
আজও ফোন রিসিভ করে হ্যালো..বলার
সাথেই সাথেই সেই পরিচিত আওয়াজ
শুনতে পাই,,
ওপাস থেকে আব্বু আম্মু বলে অস্পষ্ট
ভাষায় কি যেন
একটা বলছে, কিছু বুঝতে পারি না, শুধু এই
আব্বু আম্মু ডাকটাই বুঝতে পারি ৷
.
.
আজকে আমি মালয়েশিয়ায় যাচ্ছি,,
বাড়িতে সবার থেকে বিদায় নিয়ে,
ইয়ারপোর্টে চলে আসলাম,,
ইয়ারপোর্টে এসে অইদিন যেই লোকটা
আমার ইন্টারভিউ নিয়েছিল, সেই
লোকের সাথেই আরো অনেকগুলা
লোকজন দেখতে পারলাম,,
পরে জানতে পারলাম ওরাও আমার মতই
মালয়েশিয়াতে চাকরি করতে সিলেক্ট
হয়েছে ৷
ওদের মধ্যে একজনের সাথে আমার অনেক
ভাব জমে গেল,,
ওর নাম জিসান,,
বিমানে আমার পাশের সিটেই বসেছিল,,
ওর সাথে মিশে বুঝতে পারলাম ছেলেটা
একটু বেশিই চনচল টাইপের,
অনেক বেশি কথা বলে ৷
.
ফ্লাইট ল্যান্ড করল মালয়েশিয়ায়..
আমি মালয়েশিয়ার মাটিতে পা রাখতেই
আমার বুকটা কেপে উঠল,,
বুঝতে পারলাম না কেন হল এমনটা ৷
মালয়েশিয়া নামটা শুনার পর থেকেই
আমার কেমন যেন অদ্ভুত একটা ফিলিংস
কাজ করছিল,,
.
আমরা যেই কম্পানিতে কাজ করতে আসছি
সেই কম্পানিরই কয়েকজন লোক এসে
আমাদের একটা হোটেলে নিয়ে গেল,,
আজকে রেস্ট নিয়ে কালকে থেকে অফিস !
আমি হোটেলে এসে আমার রুমে ডুকলাম,,
ফ্রেশ হয়ে বসে আছি,
বসে বসে বোর হচ্ছি,
তাই ভাবলাম শহরটা একটু ঘুরে দেখি ৷
রুম থেকে বের হতেই জিসানের সামনে
পরলাম,
জিসান আমাকে দেখে হেসে বলল,,
-- কি ভাই কোথায় বের হচ্ছেন?
-- আসলে রুমে বসে বসে বোর হচ্ছিলাম,
তাই একটু গুড়তে যাচ্ছি ৷
-- আমিও সেইম ভাই, চলেন আমিও যাব
আপনার সাথে ৷
-- তাহলে তো ভালই হল, আমাকেও একা
একা ঘুড়তে হবে না,
চলেন...
হোটেলের বাইরে বের হয়ে জিসানকে
বললাম,
-- কোথায় যাওয়া যায় বলেন তো?
আমি তো একানকার জায়গা তেমন চিনি
না ৷
জিসান বলল,,
-- আমি চিনি ভাই ! চলেন ভাই আমরা
একানকার সবছেয়ে বড় শপিংমলে যাই ৷
অনেক সুন্দর একটা শপিংমল,
আমার একটা জিনিস কিনতে হবে !
জিনিসটাও কিনলাম আর ঘুড়াঘুড়িও
করলাম ৷
-- আচ্ছি চুলুন !!
.
একটা টেক্সি নিয়ে শপিংমলের সামনে এসে
নামলাম ৷
সত্যিই শপিংমলটা অনেক বড় এবং
সুন্দর,,
শপিংমলের ভিতরে ডুকতেই আমার শরিরে
একটা কঠিন ঠান্ডা বাতাস লাগল,,
আর আমার বুকের ভিতর ধুক ধুক করতে
লাগল,
আমি সেখানটায় দাড়িয়ে হার্টবিটের
ধুকধুকানি ফিল করতে লাগলাম,,
আমার এরকম হচ্ছে কেন?
জিসান বলল,
-- কি ভাই এখানে দাড়িয়ে আছেন কেন?
আর কি ভাবছেন?
-- আমি এই শপিংমলে ডুকার সাথে সাথেই,
আমার শরিরে কি রকম জানি ঠান্ডা
বাতাস লাগল,
-- হা হা হা,, আরে ভাই এটা এসির বাতাস ৷
-- নাহ,, এটা এসির বাতাস হতে পারে না ৷
এসির বাতাস এত মোলায়েম আর কঠিন
না !
আর এই বাতাসটা একেবারে আমার বুকের
ভিতর লেগেছে !
-- আরে ভাই কি সব আবুল তাবুল বলছেন !
আমি জোরে একটা নিঃশ্বাস ফেলে
বললাম,,
-- নাহ,,কিছুনা, চলেন ৷
তারপর জিসানকে নিয়ে লিপ্টে করে
শপিংমলটার
তিন তলাতে উঠলাম,
জিসান ঘুড়ে ঘুড়ে টি শার্ট দেখছে,
হয়তো টি শার্ট কিনার জন্যই আসছে,
আমি আর ওকে জিজ্ঞেস করলাম না,
জিসান একটা টি শার্ট হাতে নিয়ে চেইন্জ
রুমে গেল,,
আমার একটা শার্ট অনেক ভাল লাগছে,
সেই শার্টটাই নেড়েছেড়ে দেখছিলাম,,
হঠাৎ আমার চোখ আটকে গেল একটা
মেয়ের উপর,
মেয়েটা আমার ঠিক উল্টো দিকে মুখ করে
লিপ্টের সামনে দাড়িয়ে আছে,
মেয়েটাকে আমার এত চেনা চেনা লাগছে
কেন??
আমি মেয়েটার মুখ দেখতে না
পারলেও,আমার কেন জানি মনে হচ্ছে
মেয়েটা আমার অনেক দিনের চেনা কেউ,
আমার হার্টবিট অনেক স্পিডে দৌরাচ্ছে,
দৌরে আমি মেয়েটার কাছে যেতে
লাগলাম,,
আমি দৌরে মেয়েটার কাছে যাওয়ার
আগেই মেয়েটা লিপ্টে উঠে গেল,,
আমি নিপ্টের সামনে এসে দেখলাম লিপ্ট
লেগে গেছে,,
সেখানে দাড়িয়েই হাপাতে লাগলাম,,
হঠাৎ চোখ পড়ল পাশের শিরির উপর,,
আমি দৌরে শিরি দিয়ে নামতে লাগলাম,,
নিচ তলায় আসতেই দেখলাম মেয়েটা
শপিংমল থেকে বের হয়ে যাচ্ছে,,
আমিও দৌরে শপিংমল থেকে বের হতেই
দেখলাম মেয়েটা একটা গাডিতে উঠে গেছে,
গাড়িতে কালো গ্লাস থাকাতে তখনও
আমি মেয়েটাকে দেখতে পাই নাই !
গাড়িটা অনেক স্পিডে চলে গেল,,
আমি সেখানেই দাড়িয়ে রইলাম,,
পিছন থেকে জিসান ডাকতে ডাকতে আসল,
-- নিয়ান ভাই এই নিয়ান ভাই !
আমার পাশে এসেই হাপাতে লাগল,,
আবার বলল,,
-- কি ভাই শপিংমল থেকে এভাবে দৌরে
বের হচ্ছিলেন কেন?
পিছন থেকে আমি এত ডাকলাম আপনি
শুনলেনই না ৷
-- পরে বলব,,এখন হোটেলে চলুন ৷
-- সত্যি আপনি অনেক অদ্ভুত ভাই !
-- হুম,,চলুন !
.
পরেরদিন সকালে রেডি হয়ে অফিস যাওয়ার
জন্য হোটেলের বাইরে আসলাম,,
পিছন থেকে জিসান এসে বলল,,
-- কি ভাই আমাকে ফেলেই চলে যাচ্ছেন ৷
-- আমি ভাবলাম আপনি হয়তো নিচে
আছেন, তাই আমি নিচে আসলাম ৷
.
অফিসের বাস এসে আমাদের নিয়ে গেল ৷
অফিসে আসলাম,,
অফিসে ডুকা মাত্রই সেইদিন শপিংমঅফিসে ডুকা মাত্রই সেইদিন শপিংমলের
মত একটা ঠান্ডা বাতাস লাগল,,
আমি অফিসের ভিতর ডুকেই কেন জানি
অস্তির অস্তির লাগছে ৷
একজন এসে বলল,,
-- সবাই এক এক করে মেডামের সাথে মিট
করে আসুন !!
একজন একজন করে একটা রুমে যাচ্ছে আর
4-5 মিনিট পরপর বেরিয়ে আসছে,,
এইভাবে এক এক করে সবাই গেল,,
আমি এখনও বসে আছি,
জিসান এসে বলল,,
-- ভাই জান জান ভিতরে জান,,আর গিয়ে
পরি দেখে আসুন ৷
-- কি বলছেন কি? পরি কোত্তেকে আসল
-- আরে ভাই এই পরি সেই পরি না,
এটা মানুষ পরি ৷
-- মানে?
-- মানে আমাদের বসটা দেখতে একেবারে
পরির মত ৷
-- আমাদের কি মেয়ে বস নাকি?
-- হুম ভাই তাড়াতাড়ি জান ৷
আমি উঠে আমাদের বস মানে মেয়েটার
দরজার পাশে এসে বললাম,,
-- মে আই কামিং মেডাম?
-- এস কামিং ৷
মেয়েটার কন্ঠ শুনে আমি চমকে উঠলাম,,
চোখ তুলে তাকতেই আমি স্তব্দ হয়ে
দাড়িয়ে রইলাম,,
এ আমি কি দেখছি?
আমি নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে
পারছি না,,
তখন আমার মুখ দিয়ে শুধু একটা শব্দ
বেরিয়ে আসল,,
-- দিয়াআআআ !!!!!!!!
#চলবে




Tag: Bengali Golpo, Funny Bengali Golpo, Abhela, Golpo, golpo icon.png, golpo holeo shotti, golpo kotha, bangla golpo, bangla romantic golpo, bangla funny golpo, golpo book bangla, bangla mojar golpo book, bangla romantic golpo book, bangla hasir golpo book, golpo boi bangla, পিচ্চি_বউ 

Post a Comment

0 Comments