অতৃপ্ত অশরীর ছায়া ___পর্বঃ ৪__

অতৃপ্ত অশরীর ছায়া ___পর্বঃ ৪__
Next পর্ব সকাল ১০ টায় পাবেন
রাস্তার মাঝে অনেক ভিড় দেখতে পেয়ে নিচে নেমে সেখানে গেলাম সেখানে গিয়ে একদমি কেনো সেখানে একটা মেয়ে লাশ পড়ে রয়েছে।



লোকজন এরা বলাবলি করতেছে ওই মেয়েটার শরীরের সমস্ত রক্ত চুষে খেয়ে ফেলছে। কিন্তু সেটা করছে কেউ জানে না।


মেয়েটির ঘাড়ে কামড়ানোর দাগ গুলো ভালোভাবেই বুঝা যাচ্ছে।



তাসফিয়াঃ এটা আবার দিশার কাজ না তো কেনো সে সকাল বেলা আমার হাতে ঠিক একি ভাবে কামড় বসিয়ে ছিলো।



সাঈদঃ এটা কী করে হতে পারে ওকে তো রুমে বন্ধ করে রেখে এসেছি।



তখনি আরেকজন লোক চিৎকার করে বলতে লাগলো এই দিকে আরেকটা মেয়ের লাশ পড়ে রয়েছে।


মানুষ জন তারাতাড়ি সেখানে ছুটে গেলো সেখানে পুলিশ ও চলে এসেছে।


এই মেয়েটাকে ঠিক আগের মেয়েটার মতো মারা হয়েছে মানে শরীরের সমস্ত রক্ত চুষে খেয়ে ফেলছে।



তাসফিয়াঃ আমার কিন্তু এবার খুব ভয় লাগছে।
।।


সাঈদঃ আমি আছি তো ভয় পাচ্ছো কেনো

তাসফিয়াঃ তারাতাড়ি বাড়ি চলো বাইরে থাকা ঠিক হবে না।


সাঈদঃ হুম ঠিক বলেছো চলো বাড়ি গিয়ে দেখা যাক। ।

তার পর সেখান থেকে প্রায় ১০ মিনিট পর বাসায় চলে আসলাম।
কিন্তু বাসায় আমারা যেভাবে দরজাটা লাগিয়ে ছিলাম ঠিক সে রকমি আছে।


দরজার তালাটা খুলে ভিতর ডুকলাম।


তাসফিয়াঃ উপরে চলো না গিয়ে দেখি দিশা ওর রুমে আছে কী না।


সাঈদঃ হুম
তার পর আস্তে আস্তে করে গিয়ে দিশার ঘরের দরজাটা খুলতেই দেখলাম দিশা তার রুমে ঘুমিয়ে আছে।


তাহলে এটা দিশার কাজ না।


কে করছে এমন নাকি সেই অশরীরী ছায়া গুলো নতুন শরীরে প্রবেশ করে এসব করছে।


তাসফিয়াঃ হুম তাই হতে পারে। কেনো না অতৃপ্ত আত্মা ছাড়া রক্ত কেউ চুষে খায় না।



সাঈদঃ আল্লাই জানে কী হতে চলেছে। একমাত্র তিনিই ভালো জানেন।


তাসফিয়াঃ হুম নিচে চলো।
। ।

সাঈদঃ হুম
তার পর নিচে এসে টিভিটা অন করতেই দেখলাম টিভিতে খবর হচ্ছে।



এই শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু ভয়ানক রক্তে খেকো প্রাণী যারা মানুষের শরীরের সমস্ত রক্ত চুষে খেয়ে ফেলছে।
তাই রাতে বেলা কেউ একলা বাসা থেকে বেড় হবেন না। নতুন খবর পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।


জানি না এই জীবনে বেচে থাকতে আরো কী কী দেখতে হবে।


যতই সময় যাচ্ছে রাত ততই গভীর হচ্ছে।


চোখে হাল্কা ঘুমের আলিশ এসেছিলো তখনি দিশার চিৎকার শুনতে পেলাম।


বাবা মা তোমার কই আর আমাকে এভাবে রুমের মধ্যে আটকে রেখেছো কেনো আমার ভয় করছে তো তোমার তারাতাড়ি এসো না।


সাঈদঃ নিজের মেয়ের এমন অবস্থা দেখে না যেয়ে পারলাম না তারাতাড়ি উপড়ে এসে দরজাটা খুলতেই যা দেখলাম তা দেখে আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না।


চলবে
Next পর্ব কাল সকাল ১০ টায় পাবেন

Post a Comment

0 Comments