গল্প অবহেলা😭😭 অবহেলা – Part-5 (Golpo) Bangali Lyrics Golpo

 



#গল্প অবহেলা😭😭
অবহেলা – Part-5
ডাক্তার বৃষ্টিকে আকাশের কাছে নিয়ে গেল,,,নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে. বৃষ্টি দৌড়ে গিয়ে আকাশের কাছে গেল তারপর বৃষ্টি বলে উঠল,,,
বৃষ্টিঃআকাশ কি হয়েছে তোমার,,তোমার এ অবস্হা কিভাবে হলো।এ কথা বলে বৃষ্টি কাদতে লাগল।
বৃষ্টির এসব ঘটনা দেখে নিলা আর চুপ করে থাকতে পারল না,,,সে বলে উঠল
নীলাঃএ মেয়ে তুমি আকাশকে ধরে এসব কি করছ।তুমি আকাশের কে যে আকাশকে ধরে এসব কিছু করছো?
বৃষ্টিঃআমি আকাশের যেই হই না কেন আপনি বলার কে,,,আর আপনি আকাশের কি হন?
নীলাঃআমি ওর স্ত্রী হই।আর ও আমার স্বামী।
বৃষ্টিঃ খবরদার আপনি আর কিছু বলবেন না,,,আপনি কোন মুখে বলছেন যে আপনি ওর স্ত্রী,,আমার তো আপনাকে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে।
কারন যে স্বামী তার স্ত্রীর পড়ালেখার জন্য নিজের কিডনী দান করে তার পড়াশোনার খরচ দেয় আর একজন ভালো ডাক্তার বানায়,,,সে কিনা আপনি তার উপর এমনটা করতে পারলেন।
আমার তো এখন মন চাচ্ছে আপনাকে কিছু একটা করে ফেলি।আপনি প্লিজ এখান থেকে সরে যান,, আপনার চিকিৎসা লাগবে না।আমি আকাশকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাব তবুও আপনি এখান থেকে চলে যান। আপনাকে দেখে আকাশ এমনিতেই মরে যাবে।
এতোক্ষণ ধরে ডাক্তার এসব নিজের চোখে দেখছিল,,আর তার মেজাজটা আরও বেড়ে গেল নিলার উপর,,,তারপর ডাক্তার নীলাকে একটা থাপ্পড় মেরে বলতে শুরু করল,,
ডাক্তারঃনীলা তুমিই সেই মেয়ে,,,আমার ভাবতেই অবাক লাগছে।আজ থেকে তুমি আর এখানে চেম্বার করতে পারবে না।তোমাকে আমি আমার সামনে দেখতে চাই না।তোমাকে আমি টান্সফারের ব্যবস্হা করছি।তোমার মতো এমন মেয়েকে আমি আমার চোখের সামনে দেখতে চাই না।তুমি প্লিজ এখান থেকে চলে যাও।
তারপর নীলা কাদতে কাদতে চলে গেল।আর রুমের বাইরে গিয়ে কাদতে লাগল।তারপর ডাক্তার বলল,,,আকাশের জন্য এখন চারবেগ রক্ত দরকার।আকাশের যা ক্ষত হয়েছে তাতে মনে হয়,,সে আর বেশিদিন বাচবে না।
বৃষ্টিঃআকাশের রক্তের গ্রপ কি?
ডাক্তারঃআকাশের রক্তের গ্রপ O(+ve)।আমাদের এইখানে এখন ব্লাড ব্যাংকে রক্ত নাই আর ওর রক্তের গ্রপ এর সাথে এখানে কারও রক্তের গ্রপ এর মিল নাই।
বৃষ্টিঃ ডাক্তার সহেব আমি রক্তের ব্যবস্হা করতেছি।আপনি কোনো চিন্তা করবেন না।
তারপর বৃষ্টি মাথায় আসলো যে ম্যামকে কিছুদিন আগে আকাশ রক্ত দিছে আর ম্যাম এবং ম্যাম এর মা এইখানেই আছে।ম্যাম এখন সুস্থ আছে। ম্যামকে রক্তের জন্য বললে হয়ত রক্ত ২ বেগ হলেও পাওয়া যেতে পারে।
তারপর বৃষ্টি ম্যাম এর কেবিন খুজতে লাগল এবং পেয়েও গেল,,,তারপর সে যখন কেবিনে ঢুকতে লাগল তখন সে আকাশের নামে কিছু বাজে কথা শুনছিল,,এগুলো যেমন
ম্যামঃআম্মু আমাদের অফিসে আকাশ নামে একটা ছেলে চাকরি করতনা,,,সে তার রেজিগনেশন লেটার নিয়ে চাকরি থেকে চলে গেছে।
ম্যামের মাঃকেন আকাশ সাহেব তো ভালো একটা মানুষ।আর সে তো আমাদের অফিসের প্রত্যকটা কাজের প্রতি খুব মনোযোগী ছিল।সে কি কারনে এমনটা করল?
ম্যামঃআরে দুর আম্মু তুমি যে কিসব কথা বল না,,,আকাশকে আকাশ সাহেব বলছো কেন?আর সে এমন কি কাজ করত যার জন্য তুমি তার এমন প্রশংসা করছো।আর তাকে আমার কাছে একটা পেন হিসেবে সারাদিন মনে হতো।আর কোনো একটা কাজ করলে এতে কিছু পরিমান এুটি মাঝে মাঝে দেখা যেত। তার জন্য আমি তাকে মাঝে মাঝে এগুলোর জন্য একটু বকাঝকা করতাম।তাই সে চাকরি ছেড়ে চলে গেছে।
ম্যামের মাঃতবুও আকাশ সাহেব খুব ভালো মানুষ। আর মানুষের কাজের ফাকে কিছু না কিছু ভুল হতে পারে। আর মানুষের সকল ভুল ধরতে নেই।ভুলটা সামান্য হলে তা কোনো সমস্যা হয় না।বড় হলে তা অন্য ব্যাপার।তুই আকাশ সাহেবের সাথে আমার মনে হয় অনেকটা অন্যায় করে ফেলেছিস।তার কাছ থেকে তুই ক্ষমা চেয়ে নিবি।
ম্যামঃমা তুমি আকাশকে সাহেব বলছো কেন?আর আমিই বা আকাশের কাছে ক্ষমা চাইব কেন,ক্ষমা তো ও চাইবে।ওর মতো একটা কুলাঙ্গার এর জন্য আমার অফিসের কাজটা ঘুচিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হতো।
ম্যামের মা ম্যামের এসব কথা শুনে চুপ হয়ে গেল,,,তখন বৃষ্টি তাদের মাঝে এসে ম্যামকে বলল,,,
বৃষ্টিঃআচ্ছা ম্যাম আপনি একটু আগে এসব কি যেন বলছিলেন,,, এগুলো সবগুলো আমি শুনতে পারিনি,, তবে আমার মনে হয় আমি অর্ধেক হলেও শুনেছি।
ম্যামঃওওও তুমি ওলরেডি সব শুনে ফেলেছো।
আসলে আমি কি বলব আর তোমাদের সম্পর্কে,,, তোমাদের মতো ছোটলোকের এই স্বভাব।অন্যের কথা শুনে নেওয়া। এ ছাড়া আর কি ই বা হতে পারে বল?
বৃষ্টিঃম্যাম আমরা ছোটলোক হতে পারি তবে আপনার মতো একটা অকৃতজ্ঞ নই।
ম্যামঃমানে কি বলতে চাও তুমি?
বৃষ্টিঃ কি বলব তোকে?

(অবহেলা Golpo)




ম্যামঃএই তুমি আমার অফিসে চাকরি করে
আমাকে তুই করে বলছো তোমার সাহস তো কম না।
বৃষ্টিঃ সাহসের কি দেখছিস তুই?তোর মতো মেয়েকে আমাদের ম্যাম এর মেয়ে বলে মানতে আমার কষ্ট হচ্ছে।
ম্যামঃএই তুমি কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করছো।তুমি জান না তুমি কার অফিসে কাজ
কর,,আমি ইচ্ছা করলে তোমাকে চাকরি থেকে বের করে দিতে পারি।
বৃষ্টিঃতুই আমাকে চাকরির ভয় দেখাচ্ছিস,,, আরে তোর মতো মেয়ের অফিসে আমি চাকরি করব না। আজকে বিকালে আমি রেজিগনেশন পেপার দিয়ে আসব।আমার তোর মতো অকৃতজ্ঞ ব্যক্তির চাকরির দরকার নেই।যে কিনা একটা ভালো মানুষকে এমন কিসব কথা বলতে পারে,,আমার ভাবতে খুব ঘৃণা হচ্ছে।
ম্যামঃমানে কি বলতে চাও তুমি?
বৃষ্টিঃআরে তোকে আর কি বলব,,তুই অফিসে জয়েন করার পর থেকে আকাশ সাহেবের মতো একটা ভালো মানুষের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করছোস।আবার তার সকল কাজের সামান্যতম ভুলের জন্য তুই এসব কাজ তাকে দিয়ে অনেকবার করাইছোত।যেসব ভুলের জন্য তেমন কোনো সমস্যা হয় না, তুই সেসব ভুলের জন্য দিনের পর দিন আকাশ সাহেবের প্রতি অনেক খারাপ ব্যবহার করছোত,,,
তারপর আবার মাস শেষে তুই আকাশ সাহেবকে তার বেতনের একটা টাকাও দেস নাই।আকাশ সাহেব কতটা কষ্ট করে নিজের জীবনটা চালাইছে জানস তুই এগুলোর কিছু। জানবি কি করে তুই তো টাকার মায়ায় অন্ধ হয়ে গেছোত।
তারপর আবার পরের মাসের টাকার জন্য আকাশ সাহেব তার অপারেশন করাতে পারে নাই।তুই ওই মাসের টাকাও আকাশ সাহেবকে দেস নাই।তারপর আকাশ সাহেব অনেক রাগে,, দুঃখে চাকরি ছেড়ে দিছে।
তারপর ওই দিন যে তুই গাড়ি এক্সিডেন্ট করছিলি,,, সেদিন আকাশ সাহেব না থাকলে হয়তো তোর মতো মেয়ের লাশ হয়তো কবরে থাকত,, বুঝছোস।আকাশ সাহেব তোকে ওইদিন গাড়ি করে নামিয়ে কোনো গাড়ি না পেয়ে নিজের কোলে করে তোকে হাসপাতালে নিয়ে আসছে।
তারপর তোর শরীর থেকে অনেক রক্ত গেছে। যার কারনে তোর রক্তের ৩বেগ দরকার হয়। কিন্তু তখন হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে রক্ত ছিল না।তারপর আকাশ সাহেব তোকে ৩ বেগ রক্ত দিয়ে বাচাইছে।
আর তুই কিনা তার সম্পর্কে এসব বাজে কথা বলস।জানিস লোকটা তার জীবনের শুরু থেকে এখন পযন্ত সারাজীবনটা মানুষের ভালোর জন্য করছে।কিন্তু যেসব মানুষগুলোর জন্য করছে,,তারা তাকে বিন্দুমাএ দাম দিল না।এবং কি তার বউ ও তাকে দাম দিলনা।
অথচ তার বউ এর জন্য সে কতকিছুই না করছে।তাকে ডাক্তার বানানোর জন্য তিনি তার একটা কিডনী দান করে তার বউয়ের পড়াশোনার খরচ দিতেন।আজ সেই বউ ডাক্তার হয়ে তাকে ছোটলোক বলে অপমান করে। তাকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলে।
তারপর তাকে তার চোখের সামনে সে না দেখার জন্য তাকে সে অনেক খারাপ ভাষায় কথা বলে।
শুধু এই না তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।তারপর তিনি বাসা ভাড়া করে থাকতেন।
আর ওইখানে এক মেয়ে তার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করতে থাকে।তার অপারেশন করার জায়গায় সে অনেক খারাপ ভাবে আঘাত করে যার কারনে সেখানে এখন এমনভাবে জখম হয়ে গেছে যে সে আর বেশিদিন এ দুনিয়ার মাঝে নাই।
জানেন সে কোথায় আছে????সে আজ এই হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।হয়তো আপনাদের মতো সার্থপর মানুষগুলোর ভালো থাকার জন্য তিনি আজকে দুনিয়ার থেকে বিদায় নিচ্ছেন।তার জন্য এখন ৪ বেগ রক্তের দরকার।কিন্তু এখন পযন্ত খোজ করে পাওয়া গেল না।
আর O+(ve) রক্ত এখন এই হাসপাতালে নেই।আর এখন পযন্ত বড় বড় কোনো হাসপাতালে খোজ করে পাওয়া গেল না।
তারপর……ম্যাম দেখি একটা মোবাইল নিয়ে তার কয়েকটা ফ্রেন্ডকে কল করল,, তাদের মধ্যে ৩ জনের রক্ত O+(ve). তারপর তাদেরকে ঠিকানা দিল এবং বলল,,,দ্রুত হাসপাতালে আসতে। তারপর তারা দ্রুত হাসপাতালে আসল।
হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার তাদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখলেন এবং দেখার পর ডাক্তার বললেন যে,,, রক্ত নেওয়া যাবে।তবে একটা প্রশ্ন এদের মধ্যে কি কেউ আগে রক্ত দিয়েছে কিনা?
তারপর দুজন বলল তারা দিছে। একজন বলল দেয় নি।
তারপর ডাক্তার তাদের জিজ্ঞাসা করলেন তোমরা কে কখন রক্ত দিছো এবং কয় মাস আগে দিছো।তারপর তাদের মধ্যে একজন বলল সে দুমাস আগে দিছে। আরেকজন বলল সে পাচমাস আগেও রক্ত দিয়েছে। তারপর ডাক্তার তাদের মধ্যে 2 জনকে রক্ত দেওয়ার জন্য নিলেন এবং তাদের কাছ থেকে 4 ব্যাগ রক্ত নিলেন।
তারপর তা আকাশের শরীরে দিলেন এবং অপেক্ষা করতে থাকলেন তার কখন জ্ঞান আসবে।এরপর ডাক্তার কিছুক্ষণের জন্য অন্য রোগীদেরকে দেখতে গেলেন এবং কোন সমস্যা হলে তাকে জানাতে বললেন তারপর ডাক্তার সেখান থেকে চলে গেলেন।
এদিকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর আকাশের জ্ঞান আসলো। জ্ঞান আসার পরও সে চোখ খুলে দেখল পাশে বৃষ্টি,, রিয়া এবং নীলা দাঁড়িয়ে আছে।তখন
রিয়া আকাশকে বলল যে,,, আকাশ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি বুঝতে পারিনি,,, আমি তোমার সাথে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি প্লিজ আকাশ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
তারপর বৃষ্টি বলল,,, কে তুমি আর আকাশের কাছে ক্ষমা চাইতেছে কেন???তারপরে রিয়া বলল,, তার নাম রিয়া। তারপর বৃষ্টি বলল ও তুমি সেই রিয়া যার কারণে আজকে আকাশের আজ এই অবস্থা। আজকে আকাশ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিল সেই তোমার মতো অহংকারী এ মেয়েটার জন্য। সে এখন মোটামুটি সুস্থ আছে।
তারপরে রিয়া বলল,, প্লিজ আকাশ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি যদি জানতাম এগুলা,,, তাহলে আমি কি তোমার সাথে এমন টা করতাম,,, তুমি বলো??? প্লিজ আকাশ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও না হলে আমি নিজেকে কোনোদিনই ক্ষমা করতে পারবোনা।
তারপর বৃষ্টি বলল,,, বাহ ক্ষমা করে দাও এ কথাটা বলা অনেক সহজ কিন্তু আপনি যে ক্ষমার অযোগ্য কাজটা করেছেন আপনি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য কিনা নিজে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেন আপনার মতন মেয়ের জন্য একটা নিরীহ ছেলে প্রাণ চলে যাচ্ছে এটি কিভাবে মেনে নেওয়া যায় তারপর আপনি আবার তার কাছে এসে ক্ষমা চাচ্ছেন।
আপনাদের কাছে ক্ষমা জিনিসটা হল একটা ব্যবহার্য বস্তুর মত যেখানে আপনারা একটা জিনিস ব্যবহার করলেন তারপর এগুলো অনেক দিন পর ছুড়ে ফেলে দিলেন তারপর আবার উঠিয়ে এগুলোকে কয়দিনের জন্য আপনারা ব্যবহার করলেন আপনার মত লোকেরা এগুলো খুব ভালো করে পারে।
তারপর রিয়া,,,ম্যাম এবং নিলা আকাশের পা ধরে মাফ চাইতে লাগলো আমাকে বলল ক্ষমা করে দিতে আর বৃষ্টি এগুলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগল।তারপর আকাশ তাদেরকে ক্ষমা করে দিল।
তারপর ডাক্তার আসল এবং বলল,,,আকাশ সাহেব আপনার জন্য একটা সুসংবাদ আছে,,সেটা হলো আপনার জন্য দুটা কিডনী পাওয়া গেছে,,, যেগুলো আপনার দেহে প্রতিস্হাপন করলে আপনি আবার ঠিক সাধারন মানুষের মতো চলতে পারবেন।
তারপর বৃষ্টি বলল,,ডাক্তার সাহেব আপনি অপারেশনের ব্যবস্হা করেন।যা টাকা সব খরচ আমি দিব।আপনি প্লিজ জলদি আকাশের অপারেশনের ব্যবস্হা করেন।
তারপর আকাশের অপারেশন হলো এবং ডাক্তাররা সাকসেস হলো তার মাঝে এগুলো সঠিকভাবে প্রতিস্হাপন করে।এভাবে আকাশ সুস্থ হতে হতে প্রায় একমাস এর অধিক সময় লেগে গেল।
এর মধ্যে ম্যাম,, বৃষ্টি,, রিয়া আকাশকে খুব ভালোবাসত লাগলো। আর এদের মধ্যে বৃষ্টি আকাশকে অনেক কেয়ার করত আর সেই হাসপাতাল প্রতিদিন থাকতো আর আকাশের যেকোনো প্রয়োজনে সে নিজে সবকিছু করত।
আর আকাশও হাসপাতালে বেডে শুয়ে ভাবতে থাকে,,, যে নীলার জন্য আমি এত কিছু করলাম আর যার জন্য আমি আমার জীবনের সমস্ত কিছু দিয়ে দিতাম কিন্তু সে নীলা আমাকে এতটুকু বুঝলো না। আর সে আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল এবং আমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে দুরে ঠেলে দিল।
আর বৃষ্টি তার বন্ধুত্বের জন্য এতকিছু করল,,,আমি তার জন্য কিছুই করতে পারলাম না।বৃষ্টি তার ভালোর জন্য অনেক কিছু করল কিন্তু বিনিময় সে একটুকু ভালোবাসা পেতে চায়,,,আর আকাশ এটাও ভালো করে যানে যে,, বৃষ্টি তার ভালোবাসি কথাটা আকাশকে বলে না যদি তাদের মাঝে বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায় সেটার জন্য।
তারপর……
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন




Tag: Bengali Golpo, Funny Bengali Golpo, Abhela, Golpo, golpo icon.png, golpo holeo shotti, golpo kotha, bangla golpo, bangla romantic golpo, bangla funny golpo, golpo book bangla, bangla mojar golpo book, bangla romantic golpo book, bangla hasir golpo book, golpo boi bangla, অবহেলা, 

Post a Comment

0 Comments