গল্পঃ বেস্টফ্রেন্ড যখন বউ পর্বঃ ০৯ বা শেষ পর্ব (Happy Ending) (৮ম পর্বের পর থেকে)

 


গল্পঃ বেস্টফ্রেন্ড যখন বউ
পর্বঃ ০৯ বা শেষ পর্ব (Happy Ending)
(৮ম পর্বের পর থেকে)
বাবার সাথে অনেকক্ষণ কথা বলে রুমে গেলাম, দেখি তন্নি সোফায় বসে আছে, আমি যাওয়ার সাথে সাথে বলে…
তন্নিঃ একটা কথা বলতাম!
আমিঃ তো বল! অনুমতির কি আছে?
তন্নিঃ আজকে খাটে ঘুমা। আমার কোনো সমস্যা হবে না।
আমিঃ কেন চড় খাওয়ার জন্য নাকি?
তন্নিঃ দেখ এগুলোর জন্য সরি, তুই খাটে ঘুমা আমার সমস্যা হবে না।
আমিঃ দরকার নেই, তুই ঘুমা।
একথা বলে আমি সোফায় ঘুমিয়ে পড়লাম, তন্নি মন খারাপ করে বিছানায় ঘুমিয়ে পড়লো।
পরের দিন তন্নির ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো, উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলাম। রুমে যাওয়ার পর আয়মান কল দিলো…
আয়মানঃ হ্যালো দোস্ত কই তোরা? তাড়াতাড়ি আয়, আমরা সবাই ওয়েট করতেছি।
আমিঃ দোস্ত আমি না আসলে হয় না? তন্নিকে পাঠিয়ে দিবো।
আয়মানঃ ওকে তুই আমার বিয়েতেও আসিস না।
আমিঃ আচ্ছা রাগ করিস না, আসছি।
এরপর তন্নিকে বললাম রেড়ি হতে, দুজনে রেড়ি হয়ে মার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। একটু পর মার্কেটে চলে আসলাম…
সানিঃ কিরে হারামী এতো দেরি কেন?
আমিঃ আরে বলিস না, তন্নি আটা ময়দা মাখতে দেরি করে ফেলেছে (রাগানোর জন্য বললাম)
তন্নি রেগে লালা হয়ে বলে…
তন্নিঃ কিহ! আমি আটা ময়দা মাখি, এই হারামী তুইও তো ঘুম থেকে উঠতে দেরি করছিস এখন আমার দোষ দিতেছিস তাই না।
ফারিয়াঃ এই তোদের ঝগড়া বন্ধ কর, দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আমিঃ ওকে চল, কেনাকাটা শুরু করি।
শুরুতে একটা স্বর্ণের দোকানে গেলাম, তন্নি আর ফারিয়া দুজনে আয়মানের বৌ এর জন্য গয়না পছন্দ করতেছে, অনেক ঘাটাঘাটির পর অনেক গুলো, স্বর্ণের জিনিষ নিলো।
তন্নি একটা নেকলেস নিয়ে বার বার নিজের গলায় জড়িয়ে দেখতে লাগলো, আমি খেয়াল করে দেখেছি। মনেহয় ওর পছন্দ হয়েছে। কিন্তু কিছু বলছে না।
আমার দিকে বার বার তাকাচ্ছে, আমি দেখেও না দেখার ভান করে সানির সাথে কথা বলতেছি।
একটু পর শাড়ির দোকানে গেলাম, সবার জন্য শাড়ি কিনলো। আয়মানে মা বোন, খালা আরো অনেকের জন্যও কেনা হলো।
তন্নি একটা নীল শাড়ী নিজের গায়ে জড়িয়ে আমাকে বললো…
তন্নিঃ এই জুয়েল!
আমিঃ হুম বল।
তন্নিঃ শাড়ীটা খুব সুন্দর তাই না? আমাকে ভালো মানিয়েছে।
আমিঃ তো এখন কি করবো।
তন্নিঃ না এমনি বললাম (মন খারাপ করে)
বাহ ফকিন্নি সব কিছুই ঠিক করে নিয়েছে, দাম দেওয়ার জন্যই আমাকে এ কথা গুলো বলেছে। আর তন্নিকে শাড়ীটায় আসলেই অনেক সুন্দর মানিয়েছে।
আমি দোকানদারকে বললাম শাড়ীটা আলাদা একটা পেকেট করে দিতে। তন্নির মুখে এক রাজ্যের হাসি দেখলাম। কিছু না বলে তাড়াতাড়ি ব্যাগটা নিয়ে বসে আছে।
আরো অনেক কিছু কেনাকাটা করার পর, সবাই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম, আমরা সানি আর আয়মানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে একটা রিক্সা নিলাম, একটু পথ যাওয়ার পর রিক্সাওয়ালাকে বললাম…
আমিঃ মামা একটু দাড়ান।
তন্নিঃ এই তোর আবার কি হলো?
আমিঃ তুই বসে থাক আমি একটু আসছি।
একথা বলে আমি আবার মার্কেটে গেলাম, গিয়ে তন্নির পছন্দ করা নেকলেস টা কিনে নিলাম, দাম বেশি হওয়ায় ক্যাশ টাকা দিতে পারিনি, ওর বিকাশ নাম্বার নিয়ে একটা কলিগকে বলে টাকা পাঠিয়ে দিলাম।
একটু পর রিক্সায় আসলাম….
তন্নিঃ কিরে কোথায় গিয়েছিলি?
আমিঃ সেটা তোর না জানলেও চলবে, এই মামা চলেন।
বাসার সামনে এসে আমি তন্নিকে উপরে পাঠিয়ে দিলাম, রিক্সা ভাড়া দিয়ে আমিও উপরে আসলাম।। দেখলাম তন্নি রুমে নেই, মনে হয় ওয়াশ রুমে গেছে। আমি নেকলেস টা ওর ড্রয়ারে রেখে দিয়েছি।
তন্নি ওয়াশরুম থেকে বের হলো, খুব হাসি খুশি লাগছে। তারপর নিচে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করে আগের দিনের মতো সোফায় শুয়ে পড়লাম। তন্নি কিছু বলতে গিয়েও বলেনি।
পরের দিন আয়মানের বিয়ে, সকাল থেকে শুধু কল দিচ্ছে, আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি তন্নি মায়ের সাথে রান্না ঘরে কাজ করছে, কিছু না বলে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। একটু পর নাস্তা করে রেডি হয়ে তন্নিকে বললাম তাড়াতাড়ি রেড়ি হতে আমরা বিয়েতে যাবো, আর অনেক কাজ আছে। তন্নি হ্যা সূচক ইশারা দিয়ে রেড়ি হতে চলে গেলো, আমি বাইরে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
একটু পর তন্নি রেড়ি হয়ে আসলো, আমি তো দেখে আবার ক্রাশ খাইলাম, কালকের সেই শাড়ীটা পড়েছে আবার গলায় নেকলেস টাও পড়েছে, পায়ে হাই হিল, হালকা লিপস্টিক, উপ মাথা নষ্ট করে দিচ্ছে। আমি হা করে তাকিয়ে আছি, একটু পর বুঝলাম কেউ একজন আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে।
তন্নিঃ কিরে ওমন হা করে কি দেখছিস? মনেহয় আগে কোনো দিন আমাকে দেখিস নি?
আমিঃ দেখেছি, তবে আজকে একটু অন্য রকম লাগছে।
তন্নি লজ্জায় লাল হয়ে যায়, দেখতে আরো বেশি কিউট লাগছে, তারপর একটা রিক্সা নিয়ে রওনা দিলাম, তন্নি আমার বাম হাতটা চেপে রেখেছে, একটু পর বললো…
তন্নিঃ ধন্যবাদ!
আমিঃ হঠাৎ ধন্যবাদ! (অবাক হয়ে)
তন্নিঃ এই যে আমার পছন্দের নেকলেস টা নিলি তাই।
আমিঃ এখানে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নাই।
তন্নিঃ তুই কি কালকে দোকানে আমাকে খেয়াল করেছিস?
আমিঃ হুম একটু একটু।
কথা বলতে বলতে আমরা আবার মার্কেটে যাই, বিয়ের জন্য একটা গিফট নিলাম। এরপর আয়মানদের বাসায় চলে গেলাম।
সারা দিন খাওয়াদাওয়া আর মেহমান নিয়ে বিজি ছিলাম সবাই। সন্ধ্যার পর আয়মান এসে আমাকে বললো…
আয়মানঃ দোস্ত, একটা কাজ করতে হবে।
আমিঃ কি কাজ?
আয়মানঃ দোস্ত তুই আর তন্নি আমার বাসরঘরটা সাজিয়ে দে।
আমিঃ কিন্তু…..






আয়মানঃ কোনো কিন্তু নয় প্লিজ দোস্ত না করিস না। সানিকে বাবার সাথে বাজারে পাঠাইছি, আর ফারিয়া মিলির (আয়মানের স্ত্রী এর নাম) সাথে আছে।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
আয়মানঃ হুম, ওখানে ফুল আর সব জিনিষ আছে। বাবা থাকলে বাবাই তোকে বলতো। আমার তো একটু লজ্জা লাগছে তাই কাওকে বলতেছি না।
আমিঃ হইছে আর লজ্জা পেতে হবে না। যা আমি দেখতেছি।
এরপর তন্নিকে খুঁজতে লাগলাম দেখলাম নতুন বউয়ের সাথে সেলফি তুলছে, সারা দিনে কয়েক হাজার সেলফি তুলেছে তাও মন ভরেনি। আমি ইশারা দিয়ে ডেকে নিলাম। তারপর এসে বলে….
তন্নিঃ হুম বল কেন ডেকেছিস?
আমিঃ আরে বাসরঘর সাজাতে হবে, এখানে নাকি কেউ পারেনা।
তন্নিঃ আরে কি বলিস, এখনো সাজায় নি।
আমিঃ সাজালে কি তোকে ডাকতাম!
তন্নিঃ আচ্ছা ঠিক আছে চল।
এরপর তন্নি আর আমি বাসরঘর সাজাতে লাগলাম। সাজানো প্রায় শেষ এ সময় তন্নি বলে….
তন্নিঃ জানিস বাসর ঘর নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিলো।
আমিঃ তাই নাকি?
তন্নিঃ হুম, জানিস আমি কি কি কল্পনা করেছি বাসর রাত নিয়ে?
আমিঃ কি কি!
তন্নিঃ আমার জামাই আসবে, আমি লজ্জায় ঘোমটা দিয়ে রাখবো। সে ঘোমটা সরাবে, তারপর তার পা ছুঁয়ে সালাম করবো। তারপর সে আমাকে গান শুনাবে আমি তাকে শুনাবো, কিছুক্ষণ নাঁচবো, তারপর দুজনে সাঁদে গিয়ে চাঁদ দেখবো। সে আমাকে দোলনায় দুলাবে, হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হবে।
আমিঃ তুই পাগল নাকি! চাঁদ উঠলে আবার বৃষ্টি হয় নাকি?
তন্নিঃ তুই চুপ থাক। তারপর আমরা দুজনে অনেক সময় হাত ধরে ভিজবো। তারপর আবার রুমে চলে আসবো। আমি তার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়বো।
আমি তন্নির কথা গুলো শুনে একটু অভিমানের ভাঙ্গিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আয়মানের বাসর ঘরে গোলাপফুল ছিটাচ্ছি। আমার এমন মুখ দেখে তন্নি বলে…
তন্নিঃ কিরে তোর আবার কি হলো?
আমিঃ কই কিছু না।
তন্নিঃ মুখটা এমন প্যাঁচার মতো করে রাখছিস কেন?
আমিঃ সবার কপালে কি আর বাসর রাত থাকে। অভাগাদের কপালে তো কিছুই থাকে না। (অভিমানের শুরে)
তন্নিঃ হইছে আর ঢং করতে হবে না। এই নে এটা ধর। ( একটা ব্যাগ)
আমিঃ কি এটাতে?
তন্নিঃ সেরোয়ানী। আমরা এখন বাসায় যাবো, আমরাও বাসরঘর করবো?
আমিঃ কিহ! (অবাক হয়ে)
তন্নিঃ হুম, আমি একটা লাল বেনারসি শাড়ি পড়বো। তুই ৩০ মিনিট পর রুমে যাবি।
আমিঃ ৩০ মিনিট কি করবি?
তন্নিঃ এতো কথা তোর জানতে হবে না। যেটা বলছি সেটা।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে কিন্তু এতো কিছু তুই কখন করলি?
তন্নিঃ সারপ্রাইজ কি তুই একাই দিতে পারিস, আমি পারি না। আমি আর ফারিয়া মিলে করে এসেছি। এখন যা একটা গাড়ি ঠিক কর বাসায় যাবো।
আমিঃ ওকে।
একটা CNG নিয়ে আমি আর তন্নি তাড়াতাড়ি বাসায় গেলাম, আমি সেরোয়ানি পড়ে রেড়ি হয়ে আছি। কখন ৩০ মিনিট হবে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আছি। অবশেষে ৩০ মিনিট হলো, আমি বাসর ঘরে যাচ্ছি।
কেমন যেন লজ্জা লাগছে। সব সময় থাকি তবুও আজকে কেমন যেন লাগছে। ধুর এতো সরম দিয়ে লাভ নেই। আগে ভিতরে যাই।
আস্তে করে দরজাটা খুলে ভিতরে গেলাম তন্নি বড় একটা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে, আমি গিয়ে ঘোমটা উঠালাম, তন্নি খাট থেকে নেমে আমার পা ছঁয়ে সালাম করলো আমি বললাম….
আমিঃ বেঁচে থাকো মা, স্বামী সংসার নিয়ে অনেক সুখী হও মা।
হায় হায় এটা কি বললাম, মা কেন বললাম। তন্নি একটা গুতা দিয়ে বলে…
তন্নিঃ এই কুত্তা আমি তোর মা! হুম
আমিঃ এই না না, ভুল হয়ে গেছে। আর বলবো না, এই নে কান ধরলাম।
তন্নিঃ ওকে এখন একটা গান শুনা।
আমিঃ এই আমি তো গান পারি না।
তন্নিঃ কি বললি? (রাগ দেখিয়ে)
আমিঃ আচ্ছা শুনাচ্ছি।
তন্নিঃ হুম ওকে।
আমিঃ বন্ধু তুই লোকাল বাস, বন্ধু তুই লোকাল বাস।
তন্নিঃ এই হারামী এটা কি গান।
আমিঃ আরে মমতাজ খালামনির গান।
তন্নিঃ রাখ তোর মমতাজ খালা, ভালো গান গা, নয়লে ধাক্কা দিয়ে বাহির করে দিবো।
এরপর আমি “”! শীতলও বাতাসে দেখেছি তোমায়””‘ এই গানটা শুনালাম। তন্নিও একটা রবীন্দ্র সংগীত শুনালো। মেয়েটার গলা বেশ ভালো। এরপর বললো…
তন্নিঃ আয় একটু নাচি।
আমিঃ ধুর আমি নাঁচ পারি না।
তন্নিঃ হালকা নাচ। যেমন তেরিমেরি গানটাতে হালকা নাচি আয়।
আমিঃ আমিতো সানি লিয়ন আর উরবাসির গান ছাড়া নাচতে পারি না।
তন্নিঃ মাইর খাবি কিন্তু।
এরপর উরাধুরা কিছুক্ষণ নাচ দিলাম। আমি তো হাসতে হাসতে শেষ। তন্নি বললো…
তন্নিঃ চল সাঁদে যাবো।
আমিঃ ঠিক আছে চল।
তন্নিঃ এভাবে না আমাকে কোলে নিয়ে চল।
কি আর করা ও কে কোলে নিয়ে সাঁদে গেলাম, একটু পর বললাম।
আমিঃ এই তুই কি খাস, ওরে আল্লাহ এতো ওজন তুই। আর একটু হলে তো মারাই যেতাম।
তন্নি কিছু না বলে আমার একটা হাত ধরে হাটতে লাগলো, আমারও অসম্ভব ভালো লাগা শুরু হলো। এরপর আমিই তন্নিকে কোলে নিয়ে পুরো সাঁদ ঘুরলাম। একটু পর শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি, তন্নির ইচ্ছাটা উপরওয়ালা পূরণ করে দিলো।
দুজনে অনেক সময় দিয়ে ভিজলাম, হঠাৎ একটা বাজ পড়ার সাথে সাথে তন্নি আমাকে জড়িয়ে ধরলো। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর দুজনে নিচে চলে আসলাম।
তন্নি ভেজা কাপড় চেঞ্জ করে আসলো, আমিও আসলাম। একটু পর বললাম….
আমিঃ এই শোন আমরা ফ্রেন্ড ছিলাম ঠিক আছে, কিন্তু এখন তো স্বামী স্ত্রী হয়ে গেছি। এখন আর তুই করে বলবো না, তুমি করে বলবো…
তন্নিঃ ধুর না, আমি তুই করেই বলবো।
আমিঃ কিন্তু কেন?
তন্নিঃ আচ্ছা ঠিক আছে সবার সামনে তুমি বলবো আর এমনিতে তুই করে বলবো।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
তন্নিঃ এই শোন আমার না অনেক ইচ্ছা আমার টুইন বেবি হবে।
আমিঃ তাই নাকি? তাহলে তো আমাকে ডাবল কষ্ট করতে হবে।
তন্নিঃ কেন?
আমিঃ একটা ছেলের জন্য যে কষ্ট করতে হবে, দুজনের জন্য তো ডাবল কষ্ট করতে হবে তাই না।
তন্নিঃ এই তোর মতলব কিন্তু আমি বুঝে গেছি।
আমিঃ তাই নাকি! তাহলে তো ভালো…
তন্নিঃ এই খবরদার কাছে আসবি না।
আমিঃ আসলে কি হবে শুনি?
আমি আস্তে আস্তে আগাতে লাগলাম আর তন্নি পিছাতে লাগলো। পিছাতে পিছাতে একসময় খাটের উপর গিয়ে পড়ে যায়।
তন্নি লজ্জায় লাল হয়ে যায়, একটা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলে। আমি কাপড় টা সরিয়ে ওর মিষ্টি মাখা ঠোটে আস্তে করে আমার ঠোট বসাই দিলাম। তারপর দুজনে হারিয়ে গেলাম অজানা এক রাজ্যে।
থামেন, অনেক কিছু দেখে ফেলেছেন, এবার আমাদের একটু একা থাকতে দেন। 😂😂😂
******** সমাপ্ত ********
বিঃ দ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।




Post a Comment

0 Comments