#ছদ্দবেশি_মন্ত্রীর_ছেলে
#পর্ব_১
ভার্সিটির গেট দিয়ে প্রবেশ করছিলাম,তখন বাকীরা আমার।দিকে যেভাবে তাকাচ্ছে দেখে মনে হচ্ছে তারা কোনো এলিয়েন দেখছে।।আসলে তা না তারা আমার পোশাক দেখে এভাবে তাকিয়ে আছে।।আমার পড়নে একটা টি-শার্ট, আর প্যান্ট,আর একজোড়া চটি যেগুলোর দাম খুবই কম ছিলো।।গেট দিয়ে প্রবেশ করার পর কিছু ছেলে আমাকে তাদের কাছে ডাক দিলো।।দেখে বুঝে গেলাম যে তারা আমার সিনিয়র।।আমি তাদের কাছে এগিয়ে গেলাম।।তাদের মাঝখান থেকে একজন বড়ভাই আমাকে জিজ্ঞাসা করল,,
বড়ভাই- এই ছেলে তোর নাম কি??
আমি- জ্বী,, ভাই আমার নাম ওমর ফারুক ফাহিম।।
বড়ভাই- দেখে ত মনে হচ্ছে ভার্সিটিতে নতুন,,আর তুই কি কোনো রাস্তার পাশে থেকে উঠে এসেছিস নাকি??
আমি- জ্বী ভাই আমি আজকেই প্রথম এলাম।।আর বাকীটা যা মনে করেন।।
বড়ভাই-তা শুন আমরা তো তোর সিনিয়র,, তাই তোর তো উচিত আমাদের কথা মেনে চলার।।
আমি- জ্বী ভাই,,তা ঠিক আপনাদের কথা তো মানতেই হবে।।
বড়ভাই- তাহলে এক কাজ কর ওই যে লাল চুড়িদার পড়া মেয়েটাকে দেখছিস না তাকে গিয়ে এই ফুল আর এই চিঠিটা দিবি বুঝতে পেরেছিস??
আমি- জ্বী ভাইয়া বুঝতে পেরেছি।।
তারপর আমি তাদের কাছ থেকে গোলাপ আর চিঠিটা নিয়ে গিয়ে মেয়েটার সামনে গিয়ে বললাম।।
আমি- এই যে শুনছেন কি??
মেয়েটা- জ্বী আমাকে বলছেন কি??
আমি- হ্যা আপনাকেই বলছি।।এই জিনিসগুলো আপনাকে ওই যে ওইখানের বড় ভাই দিতে বলেছে।।
মেয়েটা- আপনি কি আমাকে চিনেন,,আর আপনি কি নতুন নাকি??
আমি- হ্যা আমি নতুন,,আর আপনাকে চিনব কি করে।। ওনি এইগুলা আমার হাতে দিয়ে আপনাকে দেখিয়ে বলল যে আপনাকে দিতে।।
মেয়েটা- আচ্ছা চলুন আমার সাথে।।বলে মেয়েটি আমাকে হাত ধরে আবার সেই ছেলেগুলার সামনে নিয়ে গেলো।।গিয়ে সেই বড়ভাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,
মেয়েটা- দেখেন আপন ভাই আপনি এতটা কাপুরুষ কেন??
আপনভাই- দেখো ইতি আমি আসলেই তোমাকে ভালবা* বলার আগেই মেয়েটা আপন ভাইয়ের গালে ঠাস করে বসিয়ে দিলো একখান চড়।।সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা তাকিয়ে সেই দৃশ্য দেখছে।।
আসুন মেয়েটার পরিচয় জেনে নেই।।ওর নামতো জানলেনই যে ও হচ্ছে 'ইতি',,ওর পুরো নাম হচ্ছে নুসরাত জাহান ইতি।।ধনী বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে।।তাই আদরটা একটু বেশিই।।একবার মুখ ফুটে যা বলবে তা তাকে দিতেই হবে।।না হলে রহ্মে নেই।।
তারপর আমি ইতির কাছ থেকে ক্লাসে চলে গেলাম।।এতে ইতি অনেকটা অবাক হয়।।কারণ- ইতি হচ্ছে কলেজের ক্রাশ।। আর আমি তার সাথে কথা না বলে চলে এলাম।।আসলে এখন অর্ধেক বছর চলতেছে।।আর আমি মাঝখান থেকে এসে ভর্তি হয়েছি।।আগামী মাসে আমাদের ২য় সেমিস্টার।।কিছুহ্মণ পর স্যার ক্লাসে আসলেন।। এসে আমাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন,,
স্যার- এই শেষ বেঞ্চের ছেলে,,তুমি দাড়াও??
আমি- জ্বী স্যার বলুন।।
স্যার- তুমি কি নতুন নাকি??
আমি- জ্বী স্যার,, গতকালই ভর্তি হয়েছি।।
স্যার- তুমি জানো যে পড়া কতটুকু পর্যন্ত পড়িয়ে ফেলেছি।।
আমি- না স্যার।।
স্যার- ঠিক আছে,, আশাকরি এখন থেকে যা পড়াব তা ভালোভাবে পড়বে।।এখন বসতে পারো।
আমি- জ্বী স্যার,,বলে বসে পড়লাম।।তখনই একটা ছেলে এসে জিজ্ঞাসা করল,,,
ছেলেটা- আরে ফাহিম তুই এই কলেজে কবে ভর্তি হলি।।
আমি- আরে সিয়াম,, তুই এখানে,, আর আমি গতকাল ভর্তি হয়েছি।।
সিয়াম- আরে আমি তো এখনেই পড়ি,,যাক ভালো হয়েছে যে তুইও এখানে এসে পড়েছিস।। এখন দুইজন একসাথেই পড়তে পারব।।তা তুই এইসব কি পড়েছিস।।আর তোর স্ট্যাটাস এর সাথে কি এইসব পোশাক যায় নাকি।। তুই হলি ম***
ছদ্দবেশি_মন্ত্রীর_ছেলে Golpo
সিয়ামকে আর বলতে না দিয়ে আমি বললাম,,
দেখ তুই তো জানিস যে আমি কিরকম থাকতে পছন্দ করি।।আর তুই ছাড়া কেউ যেনো না জানে যে আমার আসল পরিচয় কি??
সিয়াম- আচ্ছা ঠিক আছে।।
তারপর ক্লাস করে সিয়াম আর আমি একসাথে বের হলাম।।গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখি আপন ভাই আর বন্ধুদের নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।।আমাদের বেরতে দেখে এগিয়ে আমাদের সামনে এলো এসে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগল,,,
আপন - তুই নতুন এসেছিস তাই হয়তো আমার সম্পর্কে জানিস না।।আজকে তোর জন্য ইতি আমাকে সকলের সামনে থাপ্পড় দিয়েছে গালে।।এটা তোলা থাকল একদিন সুদে আসলে ফেরত দিব।।
সিয়াম- আপন ভাই আপনিও ও কে চিনেন না তাই এটা বলতে পারলেন যদি ওর সম্পর্কে শুনেন তাহলে ও কে দেখলেই সালাম করবেন।।
আপন- দেখ বেশি পটর পটর করবি না,,তাহলে এমন অবস্থা করব যা তুই কল্পনাও করতে পারবি না।।আর তুই তো জানিসই আমি কি রকম।।তোকে উপরে পাঠিয়ে দিতেও আমার হাত কাঁপবে না।।
যা ফট এখান থেকে।।তোর এই হ্মেতমার্কা বন্ধুকেও তোর সাথে নিয়ে যা।।
তারপর সিয়াম আপনভাইকে আরও কিছু বলতে নিচ্ছিল তাই আমি তাকে সেখান থেকে নিয়ে বের হতে যাব তখনই গালে ঠাসসসসসস করে চড় পড়ল।।তাকিয়ে দেখি সামনে ইতি দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু বুঝলাম না গালে চড় কি জন্য পড়েছে।।
তখন সিয়াম ইতিকে জিজ্ঞাসা করল,,
সিয়াম- ওই ইতি তুই ও কে থাপ্পড় দিলি কেন??
ইতি- আমি তোকে তো আর দেই নি তাহলে তোর এতো গায়ে লাগছে কেন??
সিয়াম- তুই হয়তো জানিস না যে ফাহিম আমার ছোটবেলার বন্ধু,,ভুলেও যেনো আর এই কাজ করতে আসিস না।।
ইতি- এটার তোর বন্ধুর প্রাপ্য ছিলো।।এটা দেওয়ার কারণ হলো দ্বিতীয়বার যদি কোনো সিনিয়র ভাই বলে যে ওই মেয়েকে গিয়ে এই লেটারটা দিয়ে আসো,, আর বলার সাথে সাথেই যেনো সেটা নিয়ে আর কারও কাছে যেনো না যায়।।
আর শুন তোকে যেনো কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে বা চলতে না দেখি যদি দেখি তাহলে তোর অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে (আমাকে বলল) বলে চলে গেলো।।
তারপর বাসায় চলে এলাম।।বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।। ফ্রেশ করে লাঞ্চ করে নিলাম।।তারপর দিলাম এক ঘুম।।সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে হালকা নাস্তা করে নিলাম।।নাস্তা শেষ করে বাইরে বের হলাম আড্ডা দেওয়ার লহ্ম্যে।।তাই আর দেড়ি না করে আড্ডাখানায় চলে গেলাম।।সেখানে যাওয়ার পর সেখানে সবাই একসাথে বলে উঠল,,
সবাই- কিরে মামা,, আজকে নাকি কোন মেয়ের হাতের মধু খেয়েছো??
আমি- তোদের এই খবর কে দিলো রে??
সবাই- কেন সিয়াম ছাড়া আর কে হবে??আর তুই যে আমাদের ভার্সিটিতে ভর্তি হবি আমাদের জানাস নি কেন??আর তুই এই ভার্সিটিতে কেনই বা এলি??
আমি- দূর আর বলিস না,,আগেরটা কোনো ভার্সিটি ছিলো নাকি।।কোনো পড়াশুনা নেই শুধু রাজনীতি ছাড়া,, তাই সেখান থেকে এখানে চলে এসেছি ভার্সিটির প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলে।।আর তোরা আজকে জাস নি কেন???
সবাই- আর বলিস না মামা রোজ রোজ এই ভার্সিটির স্যারদের লেকচার শুনতে ভালো লাগে না রে।।
শালাও যাও একটাকে পছন্দ করি তাকে বলতেও পারতেছি না।।( আবির বলল)
সবাই- আসলেই বন্ধু আমরা আমাদের মনে কথা তাদের বলতে পারছি না।।
আমি- আচ্ছা টেনশন নাই আজকে বাসায় গিয়ে সারা রাত প্রেকটিস কর পরে কালকে বিষয়টা দেখছি।।
তাদের সাথে আরও কিছু টুকটাক কথা বলতে লাগলাম।।তখনই মোবাইলটা চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিলো।।ফোন বের করে দেখি মা কল দিয়েছে।।রিসিভ করার পর বলল রাত অনেক হয়েছে তাই তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে।।
তারপর বন্ধুদের থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।। এসে দেখে বাবা বসে আছে খাবার টেবিলে সাথে মাও বসে আছে।।তাই আমিও তাড়াতাড়ি গিয়ে ফ্রেস হয়ে এসে খাবার খাওয়া শুরু করলাম তাদের সাথে বসে।।খাবার খাওয়ার সময় বাবার সাথে কিছু কথা বললাম।।পরে খাবার শেষ করে রুমে চলে গেলাম।।রুমে গিয়ে কিছুহ্মণ পড়লাম পড়া শেষ ঘুমিয়ে গেলাম।।সকালে মা এসে ডেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিয়ে গেলো।।
তারপর বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।।ফ্রেশ হয়ে এসে নিচে চলে গেলাম নাস্তা করতে।। নাস্তা শেষ করে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।।আসলে সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করা যে কতটা আনন্দের তা সব ধনীব্যক্তিরা বুঝে না।।তাই তো তারা গরীবদের এতো অবহেলা করে।।কিছুহ্মণ পর ভার্সিটি চলে এলাম।।এসে দেখি সিয়াম আর বাকীরা বড় গাছের নিচে বসে আছে।।আমিও গিয়ে তাদের আড্ডা দিতে চলে গেলাম।।কিছুহ্মণ পর দেখলাম,,,,,,
Tag: Bengali Golpo, Funny Bengali Golpo, Abhela, Golpo, golpo icon.png, golpo holeo shotti, golpo kotha, bangla golpo, bangla romantic golpo, bangla funny golpo, golpo book bangla, bangla mojar golpo book, bangla romantic golpo book, bangla hasir golpo book, golpo boi bangla, ছদ্দবেশি_মন্ত্রীর_ছেলে
0 Comments