গল্প অবহেলা😭😭 অবহেলা –পর্ব ০৬ & সমাপ্ত (Golpo) Bangali Lyrics Golpo

 


#গল্প অবহেলা😭😭
অবহেলা –পর্ব ০৬ & সমাপ্ত
এভাবে দেখতে দেখতে আকাশও বৃষ্টির প্রতি আরও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সেই ভাবতে থাকে বৃষ্টি তার জন্য এত কিছু করেছে সে কখনো ভুলতে পারবে না।
কিছুক্ষণ পর আকাশ নিজেকে নিজে বলতে লাগলো,, এসব কিছু কেন ভাবতেছে সে বৃষ্টিকে নিয়ে,, তার মানে সেকি বৃষ্টিকে ভালোবেসে ফেলেছে।না না এসব সে কি ভাবছে সে তো নীলাকে ভালবাসত তাহলে সে কিভাবে বৃষ্টিকে ভালবাসবে।
আবার পরক্ষণেই সে বৃষ্টির প্রতি আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। তার কাছে বৃষ্টির সবকিছু ভালো লাগতে থাকে। তারপর নিজে নিজেকে বলে উঠে একটা মানুষ দুটো মানুষকে ভালবাসতে পারে না। তারপর হঠাৎ করে ম্যাম তার রুমে আসে এবং জিজ্ঞাসা করে,,, কেমন আছো আকাশ।
আকাশ কোনো উত্তর দেয় না তার মনে সে বৃষ্টিকে নিয়ে ভাবতেছে তারপর ম্যাম আবার জিজ্ঞাসা করলো কি ভাবতেছ আকাশ? পরক্ষণেই আকাশ বাস্তবে ফিরে আসে এবং বলে কিছু না. তারপর ম্যাম আবার জিজ্ঞাসা করে,,কেমন আছো আকাশ?
উত্তরে আকাশ বলে,, ভালো আপনি কেমন আছেন?
ম্যাম: ভালো।আকাশ তোমাকে একটা কথা বলার ছিল কিন্তু কিভাবে বলব তা মাথায় আসছে না।
আকাশঃসমস্যা নাই বলে ফেলুন।
ম্যামঃআসলে কথাটা হচ্ছে তোমাকে…..
আকাশঃআমাকে কি ম্যাম?
ম্যামঃদেখো আমি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে ভালোবাসি না।
আকাশঃতো আপনাকে ঘুরিয়ে পেছিয়ে কথা বলতে কে বলেছে?আপনি যা বলার তা সরাসরি বলে ফেলুন।
ম্যামঃআচ্ছা বলছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আমি তো ম্যামের কথা শুনে অবাক,,, ম্যাম এগুলো কি বলছে??
আকাশঃএটা কোনো ভাবে সম্ভব না।
ম্যামঃকেনো সম্ভব না।আমি তোমাকে ভালোবাসি,, প্লিজ আকাশ তুমি এটা ফিরিয়ে দিয়ো না।আমি তোমাকে বিয়ে করব।
আকাশঃম্যাম এটা আপনার আবেগ,,,কয়েকদিন পরে এমনিতেই সব ঠিক হয়ে যাবে।আর আমি তো বিবাহিত।তো আপনি কেনোই বা আমাকে বিয়ে করবেন,,,আর বিয়ে করলে লোকে কি বলবে আর আমিই বা আপনাকে খাওয়াব কি???
ম্যামঃকেনো নীলা তো তোমার কাছে ডির্ভোস চেয়েছে আর সে তো রাজীও আছে ডির্ভোস দিতে। তাহলে সমস্যা কোথায়???
আকাশঃম্যাম আপনি আমার সমস্যার কথা কখনো বুঝবেন না।নীলা যদি ডির্ভোস না দেয় তাহলে কি হবে?
ম্যামঃদেখো আমি এতকিছু বুঝি না আমি তোমাকে বিয়ে করব এটাই শেষ কথা।
এমন সময় রিয়া কোথা থেকো যেন আসল আর বলল,,,কিসের বিয়ে,,, কার বিয়ে আকাশ সাহেব???
আকাশ কিছু বলল না।
তখন ম্যাম বলল,, তার আর আকাশের বিয়ে।
এটা শুনে রিয়ার মাথা গরম হয়ে গেল সে বলল
কিসের বিয়ে আকাশকে আমি ভালোবাসি আর আকাশের সাথে আমার বিয়ে হবে আর আকাশ তোমাকে একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আমি তোমাকে ভালবাসি। তোমাকে ছাড়া আমি বাচবো না।
আকাশ রিয়ার কথা শুনে আরও বেশি হতভম্ব হয়ে গেল। সে কি বলবে কিছু বুঝতে পারছেনা। আর রিয়াই বা কেন তাকে ভালোবাসে এটা সে বুঝতে পারছেন না।
রিয়া আর ম্যাম ঝগড়া লাগার মত অবস্থা হয়ে গেছে। তারা শুধু তর্ক করতেছে। এই বলতেছে আকাশের বউ হবে আর ও বলতেছে ও আকাশের বউ হবে। এখন আকাশ কথা গুলো শুনে তার মাথাটা এমনিতে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সে কি বলবে বুঝতে পারছে না।
আর এদিকে রিয়ার ম্যামের ঝগড়াটা আরো বেশি হয়ে গেল তখন হঠাৎ করে নীলা আসলো এবং বলল এই তোমরা কি নিয়ে ঝগড়া করতেছো দুজনে। আর কে ই বা কার বউ হবে।
ম্যামঃসেটা জেনে তুমি কি করবে।আর আমার তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।
নীলা: তো সেটা ভূমিকা না করে সোজাসুজিভাবে বলে ফেল।
ম্যামঃকথাটা হচ্ছে তুমি আকাশকে কখন ডির্ভোস দিবে???
নীলা:সেটা জেনে তুমি কি করবে।আর আকাশ আমার স্বামী। আর আমি তাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছি।সুতরাং আমরা ডির্ভোস কেন দিব দুজন দুজনকে!!!!
ম্যাম: তুমি ডির্ভোস দাও আর না দাও আমি আকাশকে বিয়ে করব।আর আকাশ আমার সাথেই থাকবে।
রিয়া: এ…এ….এ…হ…..বললেই হলো আকাশ আমার সাথে থাকবে আর আমিই আকাশকে বিয়ে করব।
এমন সময় বৃষ্টি এসে হাজির হলো। আর তার হাতে একটা টিফিন বক্স। এটা আজকের কথা না বৃষ্টি প্রতিদিনই আমার জন্য নিজে তৈরি করে খাবার নিয়ে আসে।
বৃষ্টি এসেই বলল,,,এই তোমরা তিনজন মিলে এটা কি শুরু করছো।
নীলা:এই তুৃমি আবার আমাদের এটার মধ্যে আসছো কেন???
বৃষ্টিঃএই আসছি মানে কি???আসছি মানে কি!!!
তোমরা তিনজন মিলে একটা রোগীর সামনে এরকম লাগামহীন ভাবে ঝগড়া করছো। আবার বলছো আমি কেন আসছি!!!আচ্ছা তোমাদের কমনসেন্স বলতে কিছু নাই।
তারপর রিয়া,, ম্যাম,,,নীলা তিনজনই থেমে গেল।
আর বৃষ্টি আকাশকে চামচ দিয়ে হা করিয়ে খাওয়াতে লাগল।আর এটা দেখে রিয়া,, ম্যাম নীলার জলতে লাগল।হঠাৎ নীলা বলে উঠল,,,
নীলাঃএই তুমি আকাশকে এমন করে খাওয়াচ্ছো কেন??আমার স্বামীকে ভালো কিছু করিয়ে তার মন জয় করতে চাও।শুনো আমি যতদিন আছি আমি আমার স্বামীকে কারও হতে দিব না।
বৃষ্টিঃ দেখো নীলা তুমি আমাকে ভুল বুঝছো। আমি এমন কিছু করছি না। আমি আমার বন্ধুকে এভাবে খাওয়াতে পারব না,, তুমি এটা কি বলছো??
নীলা: তোমাদের মত মেয়েদের আমার চেনা আছে তোমরা ভালো কিছু করে অন্যের স্বামীকে বিয়ে করার জন্য বাধ্য করো। তারপরে সে আর না বলে থাকতে পারেনা। এসব খারাপ মতলব আছে তোমার,, তাই না।আমি থাকতে আমি কখনো তা হতে দিব না।
বৃষ্টি: প্লিজ তুমি আমাকে ভুল বুঝো না।আমি তোমার স্বামীর ভাগ নিতে আসিনি।প্লিজ এমন কথা বলো না। এসব বললে আমার ভালো লাগবে না।
নীলাঃ এখন তো এসব বলবেই। তোমাদের মতো মেয়েদের আমার চেনা আছে।
নীলার এ কথা শুনে আমার মেজাজটা চরম আকারে খারাপ হয়ে গেছিলো।
আমিঃ নীলা প্লিজ এসব কথা বন্ধ করো আমার কিন্তু এসব কথা শুনতে একদমই ভালো লাগছে না।আর বৃষ্টিকে নিয়ে কোনো বাজে কথা বলবে না।

গল্প অবহেলা Golpo





নীলা: কই আমি তো কোনো বাজে কথা বলিনি। আমি তো একদম সত্যিই কথাটা বলেছি।আর তুমিই বা বৃষ্টিকে এতো সার্পোট করছো কেন???তোমার আবার একে ভালো লাগেনি তো আবার!!!
আমিঃনীলা প্লিজ এসব বলো না। আমার মেজাজটা এখন কিন্তু ভালো না।
নীলাঃমেজাজ ভালোই বা হবে কিভাবে??? এই মেয়ে তো তোমাকে যাদু করেছে। এখন তুমি তো একে ছাড়া থাকতেই পারবেনা। আর এই তুমি আমার স্বামীকে এমন কি যাদু করেছো যে তোমার প্রেমে এরকম হাবুডুবু খাচ্ছে।
এবার আমার মেজাজটা প্রচন্ড আকারে খারাপ হলো আমি বিছানা থেকে উঠে নিলাকে কষে একটা থাপ্পড় মারলাম।
আর বললাম,,, কি বলছো তুমি এগুলো। মুখে যা আসছে তাই বলে যাচ্ছ। একবারও মেয়েটা কথা চিন্তা করতেছো না। মেয়েটা দেখো কিভাবে কান্না করতেছে।
নিলা আমি তোমাকে অনেক ভালো মনে করতাম। মনে করতাম তুমি অনেক শিক্ষিত হয়েছে কিন্তু আমার তো এখন মনে হচ্ছে তুমি শিক্ষা অর্জন করেছো শুধু তোমার জন্য।মানুষের জন্য না।ছি নিলা ছি আমার ধারনাটা ভুল।আমি ভুল ভেবেছিলাম।
এইযে নীলা তুমি যে আজকে বৃষ্টিকে এইসব বাজে কথা বলছো কিন্তু তুমি বৃষ্টি সম্বন্ধে কি জানো??? না জেনে একটা মেয়েকে তুমি অনেক বাজে কথা বলে ফেলেছো।তুমি জানো না তুমি কত বড় একটা ভুল করে ফেলেছো।
এইযে বৃষ্টিকে দেখতেছো,,, আমি জানি এ সেই বৃষ্টি,, যে আমাকে অনেক ভালবাসে কিন্তু সে আমাকে কথা বলতেছে না কেন জানো???জেনে আর কি করবে তুমি তো ওকে অনেক বাজে কথা বলেছো।
সে শুধু আমাকে ভালোবাসো শব্দটি কেন বলেনি জানো!!! সে তার বন্ধুত্ব তাকে রক্ষা করার জন্য আমাকে তার ভালোবাসার কথাটি বলেনি। আর আর না বলার আরেকটা কারণ হল সে তোমার এই আমাকে নিয়ে যে সংসারটা, তার কথা চিন্তা করে বলেনি।
এই যে নীলা তুমি বৃষ্টিকে দেখছো,,,সে না থাকলে আজকে তোমরা আমাকে এই অবস্থায় দেখতে পেতে না।আজকে হয়তো আমার লাশটা কবরে থাকতো সেখানে পচে আমার সেই শরীরের অঙ্গগুলো আজ মাটিতে মিশে থাকতো।
এসময় বৃষ্টি বলে উঠল,,,, প্লিজ আকাশ,, তুমি এগুলা কেন বলছো,,, এগুলো বলার কোন মানে আছে।প্লিজ এমন কথা বলো না যেটা শুনলে সবার কষ্ট হবে।
না বৃষ্টি তুমি থাম আজকে আমাকে বলতে দাও,,,
তারপর আমি আবার বলতে লাগলাম,,, আজকে বৃষ্টির জন্য তোমরা আমাকে দেখতে পাচ্ছ। বৃষ্টি কে তোমরা অনেক বাজে কথা বলেছো,,, বৃষ্টি কি করেছে জানো???
আমি যখন হতাশায় ভুগতে ছিলাম যখন নীলা তুমি আমাকে কষ্ট দিয়ে চলে গেছে আমি তখন এসব হতাশায় সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ খুজে নিয়েছিলাম। তখন বৃষ্টি এসে আমার কাছে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলো। সে আমার সাথে সুন্দরভাবে খুব সুন্দর ভাষায় কথা বলতে লাগল এবং আমাকে সবসময় সবার সহায় হতে সাহায্য করল এবং সে আমার সবসময় পাশাপাশি থাকতে লাগল এবং আমার সব কথা জানতে লাগলো।
সে আমাকে অনেকবার ডাক্তার দেখাতে চেয়েছিল কিন্তু আমি তা চাইনি। আমি চাইতাম না যে কারো দয়ায় আমার চিকিৎসা হোক।কারন আমি যে মানুষটার জন্য এত কিছু করলাম সে মানুষটা আমার মূল্য দিল না। সেখানে আমি কেন অন্যের কাছে দয়ার জন্য মাথা নত করতে যাব!!!
বৃষ্টি আমার জীবনের সকল ঘটনা জানতো কিন্তু কখনো আমাকে দুঃখ দেয় নি সে বরং আমাকে দুঃখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে।
তুমি হয়তো জানো না যে,,, বৃষ্টির মা বাবা ভাই বোন সবাই আমাকে বৃষ্টির জামাই হিসেবে পেতে চায় কিন্তু বৃষ্টি কখনো তা চায়নি কারণ সে চায় নিজে তার বন্ধুত্বটা যেন নষ্ট না হোক।।
এখানে তোমরা সবাই আছো,,,, ম্যাম আর রিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলছি,,,এই যে আপনারা আমাকে আজকে ভালোবাসি কথাটা বলছেন আরও বলেছেন,, আপনারা দুজন আমাকে বিয়ে করবেন।আপনারা দুজন আজকে কেমন করে একথা বলতে পারলেন।আমার মাথায় কাজ করে না।
আপনাদের দুজনের কাছে এখন একটাই চাওয়া,,, সেটা হলো তোমাকে চাই।কিন্তু এটা কখনো সম্ভব না।
ম্যাম আর রিয়া তখন একসাথে বলে উঠল,,,,কেন সম্ভব না।আমাদের দুজনের মাঝে এমন কি নেই যা ওদের দুজনের মধ্যে নাই।
তখন আমি বললাম,,,প্রকৃত ভালোবাসা।
ম্যাম আর রিয়া তখন বলে উঠল,,,মানে???আকাশ তুমি এসব কি বলছো আমরা তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
তখন আমি বললাম,,,দেখেন আপনাদের দুজনের এই ভালোবাসাটা বেশিদিন নয়। আপনাদের কাছে এখন এটা আবেগ কিন্তু এটা বেশিদিন থাকবে না। কারন আবেগের ভালবাসা বেশিদিন টিকে না। আর আপনাদের আমার উপরে যে ভালোবাসা সেটা আবেগ ছাড়া কিছুই না ।
আপনারা হয়তো জানেন,,, আপনারা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন আর সে কারনে আমার উপর আপনাদের ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। আর এখন আপনারা আমাকে ভালবাসতে চান আমাকে বিয়ে করতে চান কিন্তু বিয়ে করে যখন আপনার দাম্পত্য জীবনে আসবে তখন সে ভালোবাসা বেশিদিন থাকবে না। কারণ এটা কিছুদিন পর এটা এমনিতেই চলে যাবে।
তখন সে আবেগী ভালোবাসা থাকবে না তখন আমার কি হবে জানেন তখন আমি সেটা নিয়ে আফসোস করতে থাকব আর আমি তো আপনাকে একদিনের জন্য বিয়ে করিনি আমি তো সারাদিন সারা জীবনের জন্য একসাথে থাকার জন্য বিয়ে করেছি। তখন আর সারা জীবন এভাবে কাঁদতে কাঁদতে জীবনটা পার করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো কিছু থাকবে না।
হয়তো আমি এসব কিছুই সহ্য না করতে পেরে আবার আত্মহত্যার পথ বেছে নেব কিন্তু তখন বৃষ্টির মতো কেউ আমার দিকে এগিয়ে আসবে না। হয়তো বৃষ্টি তখন অন্য কারো বউ হিসেবে থাকবে কিন্তু তখন তার পরিবার থেকে বের হয়ে আমার জন্য নিজের জীবনটা উৎসর্গ করতে পারবে না।
এটার কারণ কি জানেন??? এটার কারণ হলো একটাই,,, সেটা হলো তখন তার সাহায্য করা হাতটা বন্ধ থাকবে তার পরিবারের মধ্যে। যেটা সে তার বিয়ের আগে আমার জন্য উৎসর্গ করেছিল সেটা এখন তার পরিবারের জন্য উৎসর্গ করছে।
তখন আমার মতই মানুষটার মৃত্যু ছাড়া আর কিছু থাকবে না।আরো দেখতে পারবেনা আমার এই লাশটা এই দুনিয়ার মাঝে। আর আমার জানাজাও হবে না।
দেখো তোমরা হয়তো জানো আমার ছোটবেলার মা বাবা মারা গেছে ছোটবেলা আমি অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছি আজকে পর্যন্ত এসেছি আমার জীবনটা আমি নিজে নিজে একা একা গড়েছি। কিন্তু কেউ আমার জন্য সাহায্য সহযোগিতা করতে আসেনি।
আর আমার এ জীবনটা যার জন্য দিয়েছিলাম সে তো আমাকে বুঝলো না তার বদলে নতুন কেউ আসলো সেখানে সে নিজের বন্ধুত্ব টা রক্ষা করার জন্য নিজের মুখে ভালোবাসা কেউ বলতে পারল না আর সেই মেয়েটাকে আজকে নতুন মিথ্যা অপমান বোধ করল সবার সামনে,,, যেটা তার মতো মেয়ের জন্য কখনই কাম্য নয়।
ম্যাম আর রিয়া আপনারা দুজন হয়ত বুঝতে পেরেছেন আমার কথাগুলো।আর নীলা তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।সেটা হলো,,, তোমার মতো মেয়ের সাথে আমার সংসার করাটা সম্ভব না।তুমি আমার কাছে ডির্ভোস চাইছিলে না।যাও কয়েকদিনের মধ্যে তুমি তোমার ডির্ভোস পেপার পেয়ে যাবে।
নীলা আমার মুখে এসব কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গেল,,, আর বলল,,,প্লিজ তুমি এমন কথা বলো না,,, আমি সত্যিই মারা যাবো।প্লিজ আকাশ আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না।
এসব বলে এখন আর কোনো লাভ নেই।আমি বৃষ্টিকে বিয়ে করব। আর আমাদের সংসারটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিব।তুমি বৃষ্টি সম্পর্কে যখন এরকম বাজে কথা বলেছো তখন তোমার এরকম শাস্তি হওয়া উচিত।
এসব তুমি কি বলছো আকাশ।দেখো নীলা তোমার ১ম বউ।তুমি তাকে ডির্ভোস দিয়ে তার জীবনটা এভাবে শেষ করে দিতে পার না।
দেখেছো নীলা তোমার জন্য সে এতকিছু ভাবে,,অথচ তুৃমি শুধু নিজের স্বার্থের জন্য বৃষ্টিকে এত সব বাজে কথা বলছো।আমার একটা কথা,,, সেটা হলো তুমি বৃষ্টির পা ধরে মাফ চাইবে।
তখন বৃষ্টি বলে উঠল,,, এটা হয় না আকাশ।
আর পাশ থেকে নীলা বলে উঠল,, আমি রাজি। তারপর যখন নীলা বৃষ্টির পা ছুয়ে মাফ চাইতে গেল,,তখন বৃষ্টি তাকে বলল,,একি করছো বোন,,, আমি তোমাকে মাফ করে দিয়েছি।তারপর নীলাকে বৃষ্টি তার নিজের বুকে জরিয়ে নিলো।আর দুজন মিলে কাদতে লাগল।
তখন নীলা কাদতে কাদতে বৃষ্টিকে বলতে লাগল,,আমি তোমাকে ভুল বুঝে অনেক কিছু করে ফেলেছি।প্লিজ তুমি আমার এসব কিছুর জন্য তোামর মনে কোনো কষ্ট নিও না।
তারপর আমি বলতে লাগলাম,,,ওকে ভালো।যা হবার তা হয়ে গেছে।এখন বৃষ্টি আর নীলা আমরা তিনজন আবার পারিবারিকভাবে বিয়ে করব।কারন আমি চাইনা যে বৃষ্টি আমাকে না পেয়ে কষ্ট পাক।তাই আমি চাই তোমাদের দুজনকেই আমি বিয়ে করব।
আর ম্যাম আর রিয়া,, তোমাদের দুজনের আমাদের বিয়েতে দাওয়াত রইল।আর আমাদের বিয়েতে সকল কিছু তোমরা এরেন্জ করবা।
তারপর আমাদের বিয়েটা সম্পন্ন হয়ে গেলো। তারপর আমি বাসর ঘরে ঢুকে দেখি দুজনে কি একটা কথা নিয়ে হাসাহাসি করতেছে।আর আমার দিকে তাকিয়ে তাদের হাসিটা আরও জোরে বাড়িয়ে দিল।
আমি কিছু না ভেবে তাদের দিকে যেতে লাগলাম,,,আর বললাম,,, এই তোমরা দুজন হাসতেছো কেন। তারপর ওরা দুজন ওদের কাপড়টা বদলে আসল।আর আমাকে বলল,,আজকে আমরা দুজন তোমার বারোটা বাজিয়ে ছাড়বো।
আমিঃও তাই নাকি???আমি কি বসে থাকব নাকি।আমিও দেখবো আজকে কে কত পারে।
তারপর তারা দুজন বলল,,,ওওও আচ্ছা তাহলে তো ভালো।দেখব আজকে ঠেলা সামলাও কিভাবে।এ কথা বলে ওরা দুজন আমার দিকে ঝাপিয়ে পড়ল। আমাকে একা পেয়ে ওরা দুজন আমার…..
ওই আপনারা এখন পযন্ত কি দেখেন,, বাকিটা ইতিহাস।
(সমাপ্ত)
সবার কাছে বিনীত অনুরোধ আমার লিখায় যদি কোন ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,, আর গল্পটা কেমন হলো ছোট্ট করে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন,,আজকের মত বিদায়🖐🖐🖐🖐




Tag: Bengali Golpo, Funny Bengali Golpo, Abhela, Golpo, golpo icon.png, golpo holeo shotti, golpo kotha, bangla golpo, bangla romantic golpo, bangla funny golpo, golpo book bangla, bangla mojar golpo book, bangla romantic golpo book, bangla hasir golpo book, golpo boi bangla, অবহেলা 

Post a Comment

0 Comments