#Secret_Agent_OF_NSI
#পর্ব_৩
চাচা- ফাহিম তোর সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।।তুই একটু আমার রুমে আয়।।
আমি- চাচা এখানেই বসে বলো না।।সমস্যা নাই তো আমরা আমরাই তো।।
চাচা- আচ্ছা তাহলে শোন আমাদের যেই ফ্যামিলি বিজনেসটা আছে সেটাতে তোর বাবা ৭০%পার্টনারশিপ ছিলো আর আমার ৩০% পার্টনারশিপ।। তোর বাবা তোর আপুর বিয়ের পরে আমাকে ডেকে নিয়ে বলেছিল যে, এই ৭০% থেকে তোকে ৫০% দিতে আর তোর বোনকে ২০% দিতে।। কিন্তু আমি তোদের বিজনেস সম্পর্কে এই কথাগুলা এতদিন বলি নি আজকে বললাম।।
আমি- তা হটাৎ আজকে বলতেছো কেন?? কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি??
চাচা- সমস্যা আছে বলেই তো বলছি।।এতদিন বলি নি তোর সুরক্ষার জন্য।।কারণ- তোর বাবা মায়ের মৃত্যু এক্সিডেন্টে হলেও সেটা ছিল একটা প্ল্যানিত এক্সিডেন্ট।। আর তুই এখন যতেষ্ট পরিমাণে বড় হয়েছিস।।নিজের ভালোমন্দ নিজেই বুঝিস।।তাই ভাবছিলাম কম্পানিটা এখন তোদের হাতে তুলে দিব।।আর আমি ম্যানেজারের পদে নিয়োগ হব।।
আমি- আচ্ছা চাচা তুমি এটা ভাবলে কি করে যে তুমি থাকতে আমি এই কম্পানি সামলাব।।আর তাহলে আমার বাবা- মাকে কে হত্যা করেছে।।আর তার শাস্তি হয় নি কোনো??
চাচা- আসলে তোর বাবা অনেক ভালো বিজনেস বুঝতো।।তাই আমাদের কম্পানি ছিলো বিশ্বের মধ্য ৩য় কম্পানি যা একটা ছোট দেশের হয়েও আন্তর্জাতিক বাজারে নিজের নাম তুলে দিতে পেরেছে।।তাই অনেক বড় বড় বিজনেসম্যান অনেক প্রপোজাল নিয়ে এসেছিলো আমাদের পার্টনার হওয়ার জন্য কিন্তু তোর বাবা রাজী হয় নি।।তাই তোর বাবাকে খুন হতে হয় ডুবাইয়ের ডন আবু-ওসমানের হাতে।।সে তোর বাবাকে মারার জন্য কিছু লোক ভাড়া করে এদেশের।। তোর বাবার এক্সিডেন্টের ১ বছর পর আমি এইসব জানতে পারি।।পুলিশও কিছু করতে পারে নি।।কারণ- আজ পর্যন্ত আবু-ওসমান পুলিশের নাগালে পড়ে নি।।তার অবৈধ ব্যবসা সারা পৃথিবী জুড়ে।।আর তুইও তখন ছোট ছিলি তাই কিছুই বলতে পারি নি।।
আমি- চাচা তুমি আর এইসব নিয়ে চিন্তা করো।। তার শাস্তি সে নিশ্চয় পাবে।।আর তাকে কোনো কারাগারে পাঠানো হবে সরাসরি ওপারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।।
চাচা- তুই কি বলতে চাইছিস??দেখ বাবা এমনিতেই তোর বাবা-মাকে হারিয়েছি।।তুইও যদি চলে।যাস তাহলে কিভাবে হবে??দেখ আমরা যেমন জীবন-যাপন করছি তেমনই করব।।তবুও তুই এইসব ভাবিস না।।
আমি- চাচা সময় হলেই দেখতে পাবে।।আর আমাকে কিছু কাজের জন্য চট্টগ্রাম যেতে হবে।। রাতে রওনা দিব।।
চাচা- আচ্ছা ঠিক আছে যাস।।শুন আরেকটা কথা অনেক তো তোর বয়স হলো আর এখন চাকরিও পেয়ে গেছিস,এবার বিয়েটা করে ফেল।।
আমি- এই বিষয়ে আপু আর তোমরা যা ভালো বুঝো করো।।
চাচা- আচ্ছা তাহলে আগামী সপ্তাহেই তোদের বিয়ে।।আমরা সব আয়োজন করে ফেলব সমস্যা নাই।।
আমি- আচ্ছা যা ভালো মনে করো তাই করিও।। কিন্তু পাত্রীটা কে??
চাচা- সেটা না হয় তোর আপুই ঠিক করবে।।
আমি আচ্ছা বলে সেখান থেকে চলে এলাম।।রুমে গিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম।।তারপর টিকেট বুকিং করলাম।।রাতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।। যেতে যেতে সকাল হয়ে গেলো।। বাস থেকে নেমে হোটেলে চেক ইন করলাম।।তারপর ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করলাম।।
নাস্তা শেষ করে কাজে চলে গেলাম,, মানে যেই কাজটা করার জন্য এসেছিলাম সেই কাজটা শেষ করার জন্য।।
একটা নির্জন জায়গায় গেলাম।। সেখানে গিয়ে একটা লোককে দেখতে পেলাম।।
তার কাছে গিয়ে কুশল বিনিময় করে নিলাম।।তারপর কাজের কথা বলে আবার হোটেলে ফিরে এলাম।।তারপর রেস্ট নিলাম কিছুহ্মণ।। বিকেলে উঠে একটু ঘুরতে বের হলাম।।
ঘুরাঘুরি শেষ করে সন্ধ্যা হলো হোটেলে ফিরতে।। তারপর হোটেলে বিল মিটিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।।
সকালে বাসায় পৌঁছে গেলাম।।রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিলাম।।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে কিছুহ্মণ রেস্ট নিয়ে একটু ঘুরতে বের হলাম।।আজকে ফ্রী আছি তাই নেহাকে সাথে নিয়ে যাব ঘুরতে যেই ভাবা সেই কাজ।।
তাই আপুর বাসায় চলে গেলাম নেহাকে পিক আপ করতে।।কিন্তু সেখানে গিয়ে নেহাকে পাই নি নেহা নাকি তার এক বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গেছে কিছুহ্মণ আগে।।তাই একা একাই চলে গেলাম রমনা পার্কে।।সুন্দর মনোরম পরিবেশে হাটতে।।
পার্কে গিয়ে বাইক পার্ক করে ১০টাকার বাদাম কিনে নিলাম হাটতে হাটতে খাওয়ার জন্য।।বাদাম খেতে খেতে হাটতে লাগলাম।।
কিছুদূর যাওয়ার পরে চোখ আটকে গেলো একজোড়া কাপলকে দেখে।। তাদের কাছে গিয়ে আরও বেশি অবাক হয়ে গেলাম।।কারণ- কাপলটি ছিলো নেহা সাথে আরেকটা ছেলে।। বাহ ভালো আপনি না বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গেছেন তাহলে এই আপনার সেই বান্ধবী ভালো চালিয়ে যান।।বলে সেখান থেকে চলে আসতে লাগলাম।।এই যে শুনুন,
আমি কিছু শুনতে চাই না।।আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে এলাম।।বাসায় এসে নিজের রুমে চলে গেলাম।।আর সেইসব পুরনো দিনের কথাগুলো মনে পড়ছে।।আমার আর নেহার প্রথম দেখা তারপর তার সাথে করা দুষ্টুমির কথা।।
ফ্ল্যাসব্যাক,,,
আপুর বিয়ে হচ্ছে তাই আমরা সবাই অনেক হৈচৈ করছি।।অনেক আনন্দ করছি সবাই মিলে কিন্তু আবার কষ্টও হচ্ছে যে আপু চলে যাচ্ছে।।তারপর আপুর বিয়েটা হয়ে গেলো।।
আপুর সাথে আমি তার বাসায় যাই।।বিয়ের আগেই আপুর থেকে জানতে পারি যে আপুর নাকি একটা ননদ আছে আমার বয়সী।।সে পড়ালেখায় আমার থেকেও অনেক ভালো।।সে নাকি এখন বিদেশে পড়াশোনা করে।।কিন্তু তখন নেহার সাথে আমার দেখা হয় নি।।আপুর বিয়ের ২ বছর পর বাবা-মা একটা এক্সিডেন্ট এ মারা যায়।।তখন আমি ইন্টার ২য় বর্ষে পড়ি।।(বর্তমানে ১ম ও ২য় বর্ষের চিপায় আছি)তাই আমার পড়ালেখার সুবাদে আমাকে আমেরিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেখান থেকে পড়ালেখা শেষ করে দেশে আসার পর NSI তে চাকরি পাই।।
কিন্তু আমার শর্ত ছিল আমি সবার থেকে আলাদাভাবে কাজ করব আর আমার পরিচয় কখনো কারও সামনে যেনো না আসে।।
তারপরই একদিন ভাগ্যক্রমে নেহার সাথে আমার দেখা হয়ে যায়।।তারপর তার সাথে তুমুল ঝগড়া হয়।।কিন্তু তখনও আমি জানতাম না যে ওই আপুর ননদ,,,
একদিন আমি আপুর বাসায় যাই আমার হাত খরচের কিছু টাকা আনার জন্য।।সেখানে গিয়ে আমি অবাক হয়ে যাই।।কারণ ,,,
Tag: Bengali Golpo, Funny Bengali Golpo, Abhela, Golpo, golpo icon.png, golpo holeo shotti, golpo kotha, bangla golpo, bangla romantic golpo, bangla funny golpo, golpo book bangla, bangla mojar golpo book, bangla romantic golpo book, bangla hasir golpo book, golpo boi bangla, Secret_Agent_OF_NSI
0 Comments