#ছোট_ভাইয়ের_মেডাম_যখন_বউ
#পর্ব-২
তারপর বিছানা ছেড়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামলাম।।তখন মা এসে নাস্তা করতে দিলো।তখন সিউর হলাম যে এখন সন্ধ্যা
তারপর নাস্তা করে বের হলাম,,অনেকবছর পর সেই চিরচেনা শহরে বের হলাম।।এখানের অনেককিছুই পরিবর্তন হয়েছে।।
আমার ছোটবেলার অনেকবন্ধুরা এখনও এখানেই থাকে।।কিন্তু শহরের অনেক পরিবর্তন হওয়ায় তাদের ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছি না।। তাই আর আজকে কারও সাথে দেখা করতে যাব না।।
কিছুহ্মণ ঘুড়াঘুড়ি করে বাসায় চলে এলাম।।ভাবতেছি আবার যাওয়ার আগে পর্যন্ত বাবার ব্যবসা দেখাশুনা করব।।
তাই রাতে খাবার টেবিলে বাবাকে বললাম-
আমি- বাবা ভাবতেছি আমিও কাল থেকে অফিস যাব।।যতদিন দেশে আছি।।
বাবা- আজকে তো মাত্র দেশে আসলি আর কাল থেকেই অফিস জয়েন করার কথা বলতেছিস।।
আমি- তো কি হয়েছে এমনিতেও বাসায় একা একা ভালো লাগে না।।
মা-ভালো না লাগলে বিয়ে করে ফেল।।পড়ালেখা শেষ করে ফেললি,,আর ভালো একটা চাকরিও পেয়েছিস।।
আমি- মা আমি আসতে না আসতেই তুমি আবার বিয়ের জন্য উঠে পড়েছো।।এমন করলে কিন্তু আমি আগামী সপ্তাহেই চলে যাব।।
বাবা- আরে থাক না,, কিছুদিন যাক তারপর না হয় এইবিষয়ে আলোচনা করা যাবে।।তা ফাহিম সেখানে কি তোর কোনো পছন্দের কেউ আছে নাকি।।যদি থাকে তাহলে আমাদের ঝামেলাটা কমে যাবে।।
আমি- দূর আমি থাকবই না এখানে আগামী সপ্তাহেই চলে যাব।।
মটু- আসলেই কি তুই চলে যাবি??আচ্ছা ভাইয়া তুমি বিদেশ থেকে কি কি এনেছো সেগুলো তো দেখালে না,, আর আমাকে দিলেও না।।
আমি- যা ভুলে গেছিলাম,,খাওয়া শেষ করে দিচ্ছি।।
এভাবেই কথা বলতে বলতে খাবার খেয়ে নিলাম।।
তারপর সবাইকে বললাম আমার রুমে আসতে।।সবাই আসার পর সবাইকে তাদের জন্য আনা উপহার বুঝিয়ে দিলাম।।মটু তো খুশিতে লাফাতে শুরু করে দিলো।।
তারপর ঘুমের জগতে হারিয়ে গেলাম।। সকালে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে রেডি হয়ে নিলাম।।তারপর অফিসের জন্য বের হব এমন সময় মটু এসে বলল যে যাওয়ার সময় তাকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে যেতে আর বাবা নাকি আজকে আগেই চলে গেছে।।
কি আর করার আকিবকে নিয়েই চললাম।।।তারপর আকিবকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে চললাম।।গাড়ী চলছে তার আপন গতিতে।।হঠাৎ একটা মেয়ে গাড়ীর সামনে চলে এলো।।আসলে মেয়েটারও দোষ ছিলো না আমিই একটু বেখেয়ালি হয়ে পড়েছিলাম তাই এমন হলো।।ভাগ্য ভালো তাও এক্সিডেন্ট হয় নি।।আমি তার আগেই ব্রেক মেরে দিয়েছি।।গাড়ীটা একেবারে মেয়েটার কাছে গিয়ে থামল।।
মেয়েটা ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেছে মনে হয়।।তাই আমি তাড়াতাড়ি গাড়ী থেকে নেমে মেয়েটার সামনে গেলাম।।গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,,,,
আমি-Are you fine???
মেয়েটা চুপ করে আছে,,,, তাই আবার জিজ্ঞাসা করলাম,,
আমি- আপনি কি ঠিক আছেন?? কোথাও লাগে নি তো আপনার??(হালকা ধাক্কা দিয়ে)
তখন মেয়েটা চোখ খুলে তাকালো,,তখনও কিছু বলল না,, তাই আবার জিজ্ঞাসা করলাম।।
আমি- আপনি কি ঠিক আছেন,,নাকী কোথাও লেগেছে আপনার?? ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে নাকী??
তখন মেয়েটা বলল- না আমি ঠিক আছি।।(কাপা কাপা কণ্ঠে)
বলে মেয়েটা চলে যেতে লাগল,,আমি পিছন থেকে অনেক ডাকলাম কিন্তু কোনো রেস্পন্স করল না।।
তাই আমিও আবার গাড়ীতে উঠে অফিসের উদ্দেশ্যে চললাম।।কিছুহ্মণ পর অফিসে চলে গেলাম।।
সেখানে গিয়ে দেখি খুব সুন্দর করে অফিস সাজানো।।আর সবাই ফুলের তোড়া নিয়ে গেটে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।।আমি গাড়ি থেকে নামা মাত্রই সবাই একে একে এসে আমাকে ফুলের তোড়া দেওয়া শুরু করল সাথে স্বাগতম+অভিনন্দন জানাচ্ছে।।
এইসব শেষে বাবা এসে বললেন- কি হলো তোর এতো দেড়ি হলো কেন???
আমি- আসলে বাবা রাস্তায় একটা সমস্যা হয়েছিলো তাই আসতে একটু দেড়ি হয়েছে।।
বাবা- অহহ,,আচ্ছা ঠিক আছে আয় সবার সাথে পরিচিত হয়ে নে।।পরে চল আমরা আমার কেবিনে যাই।।তারপর একে একে সবার সাথে পরিচিতি হয়ে বাবার সাথে তার কেবিনে গেলাম।।তারপর বাবা আমাকে কাজ বুঝাচ্ছেন।।তারপর পিয়ন এসে কফি দিয়ে গেল।।আমি আর বাবা কফি খাচ্ছি আর কাজের বিষয় দেখছি।।
তখনই বাবা বলল- শুন আমি কালকে একটা কাজে মালয়েশিয়া যাব ৩ দিনের জন্য।। আর এই ৩দিন তোকেই অফিস সামলাতে হবে।।
আমি- আচ্ছা তা না হয় হবে।।কিন্তু কি কাজে যাবে তা তো বলো।।আর এই তিন দিন কোনো মিটিং কি আছে নাকি??
বাবা- অফিসের কাজে যাব।।আর কালকে ৩ টা মিটিং আছে,, আর বাকীসব তোকে ম্যানেজার সাহেব বুঝিয়ে দিবে।।আর মিটিং এ ওনি তোর সাথে থাকবেন তোর যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে ওনাকে বলবি।।ওনি তোকে সবরকম সাহায্য করবেন।।
এইভাবে বাবা ছেলে কাজের ব্যাপারে কথা বলতে বলতে লাঞ্চের টাইম হয়ে গেলো।।তাই ক্যান্টিনে গিয়ে লাঞ্চ করে নিলাম।।আমাদের ক্যান্টিনে দেখে সবাই অবাক হয়ে গেলো।।
আসলে বাবা বলেছিলো রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে লাঞ্চ করতে কিন্তু আমিই বললাম ক্যান্টিনে যেতে।।আমার সাধারণ মানুষের মতো চলাফেরা করতেই ভালো লাগে।।
তাই সবাইকে বললাম- কি হলো আপনারা লাঞ্চ করা বন্ধ করে দিলেন কেন??সবাই যার যার মতো লাঞ্চ করে কাজে যান।।
একজন - আসলে স্যার আপনি আমাদের সাথে ক্যান্টিনে বসে খাবেন তাই একটু অবাক হলাম।।
আমি- অবাক হওয়ার কিছুই নেই।।আমিও আপনাদের মতোই একজন মানুষ,,তাই সবাই নিজেদের মতো লাঞ্চ করে নিজেদের কাজে ফিরে যান।।
তারপর বাবা আর আমি লাঞ্চ করে কেবিনে চলে গেলাম।।
তারপর আবার কাজ করা শুরু করলাম।।কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেলো তা বুঝতেই পারলাম না।।
হঠাৎ ফোনটা চিল্লানি শুরু করে দিলো।।তাই ফোন উঠাইলাম।। উঠাইয়া দেখি মা কল দিয়েছে।।তাই কল রিসিভ করলাম,, পরে মা বলল-
মা-কিরে বাসায় কি আজকে আর আসবি না??
মার কথা শুনে আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম।।তাকিয়ে দেখি ৬টা বেজে গেছে।।আমি মাকে আসছি বলে কল কেটে দিলাম।।
অফিস থেকে বের হয়ে গাড়ীতে উঠে গাড়ী স্টার্ট করলাম।।তখনই আবার ফোন চিল্লানি দেওয়া শুরু করল।।
যা বাবা এখন আবার কল দিলো কিল্লাই (মনে মনে)
কল রিসিভ করার পর বাবা বলল,,,,,,,
পরবর্তী পর্ব পেতে হলে লাইক,কমেন্ট + শেয়ার করতে হবে।।
সবাই নিয়মিত নামাজ আদায় করবেন + আমার জন্যও দোয়া করবেন যেন আমিও নিয়মিত নামাজ আদায় করতে পারি।।
Tag: Bengali Golpo, Funny Bengali Golpo, Abhela, Golpo, golpo icon.png, golpo holeo shotti, golpo kotha, bangla golpo, bangla romantic golpo, bangla funny golpo, golpo book bangla, bangla mojar golpo book, bangla romantic golpo book, bangla hasir golpo book, golpo boi bangla,
0 Comments