#পিচ্চি_বউ
(part 10+11)
.
-- কিসের ঔষধ এটা?
-- এটা পিল,,৷
.
'পিল' শব্দটা শুনে পিচ্চিটা আমার থেকে
কয়েক পা পিছিয়ে গেল,,
মুখটা মলিন করে আমার দিকে হা করে
তাকিয়ে রইল,,
আমি বললাম,
-- সরি,, পিল্জ আমাকে মাফ করে দিয়,
রাতে যে কি হয়েছিল আমার? সত্যি বলছি
তখন আমার কোনো হুস জ্ঞান ছিল না ৷
পিচ্চিটা কোনো কথা বলছে না, শুধু
চোখ দিয়ে অনগল পানি ঝরে যাচ্ছে ৷
আমি বললাম,,
-- পিল্জ তুমি কেদ না, তুমি কাদলে আমি
নিজেকে কোনোদিন কমা করতে নিজেকে কোনোদিন কমা করতে পারব না
৷
পিল্জ পিলটা খেয়ে নিয়,,
বলেই আমি রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম,
.
দিয়ার কথায় আসি,
.
দিয়া সেখানেই স্তব্দ হয়ে কিছুক্ষন
দাড়িয়ে রইল,
তারপর দৌরে বাথরুমে ডুকে গেল,,
বাথরুমে ডুকেই শাওয়ার ছেড়ে শাওয়ারের
নিচে বসে হাউমাউ করে চিৎকার করে
কান্না করতে লাগল,,
এখন দিয়া যত জোরেই কান্না করুক না
কেন, সেই কান্নার আওয়াজ বাইরে কেন, সেই কান্নার আওয়াজ বাইরে যাবে
না,
তাই ইচ্ছা মত চিৎকার করে কান্না করতে
লাগল,
দিয়া ভেবেছিল কাল রাতের ঘটনার পর
নিয়ান তাকে আর দূরে সরিে রাখতে
পারবে না,
এখন নিয়ান তাকে মেনে নিবে,
কিন্তু একটু আগে যখন নিয়ান তার হাতে
পিলটা ধরিয়ে দিল, তখন মাথায় যেন
আকাশ ভেঙে পড়ল ৷
এইটুকু একটা পিলকে দিয়ার কাছে মনে
হয়েছিল যেন এটা পৃথিবীর সবছেয়ে ভারী
একটা জিনিস, সেই ভারী জিনিসটা নিয়ান
দিয়ার হাতে ধরিয়ে দিল ৷
.
আমি রুম থেকে বের হয়ে এসে ড্রইং রুমের
সফাতে বসলাম,,
মনে মনে ভাবতে লাগলাম,,
আমি কি মেয়েটার সাথে একটু বেশিই
অপরাধ করে ফেলছি?
আমি যদি মেয়েটাকে স্ত্রী হিসেবে নাই
মানতে পারি, তাহলে কেন আমি মেয়েটার
সতিত্ত নষ্ট করলাম?
নিজেকে নিজের কাছে অনেক অপরাধ
বোধ হচ্ছে,
মনে হচ্ছে যেন আমি এই পৃথিবীর সবছেয়ে
বড় অপরাধী ৷
মেয়েটার জন্য অনেক মায়া হচ্ছে ৷
.
.
পিচ্চিটার আর আমার ডিভোর্স পেপার
আসতে আর মাত্র 4দিন বাকি ৷
পিচ্চিটা এখন আমার সাথে আগের মত কথা
বলে না,,
আগের মত পাগলামী করে না ৷
কিছু জিজ্ঞেস করলে শুধু সেটার উত্তর
দেয়,,
উত্তর দেওয়ার ধরন এমন,,
হুম,হ্যা,না,ঠিক আছে,
এর বেশি পিচ্চিটা আমার সাথে একটা কথাও
বলে না,,
এখন কলেজে আমাকে ছাড়াই একা একাই
চলে যায়,
আমি বলেছিলাম আমার সাথে যেতে,
কিন্তু পিচ্চিটা বলে সে নাকি একা যেতে
পারবে ৷
আমি পিচ্চিটা সেই পাগলামী গুলা অনেক
মিস করি ৷
পিচ্চিটার কিছু হলে একটুতেই কেদে ফেলা,
আমাকে বার বার আব্বুর ভয় দেখানো,
এইগুলা অনেক মিস করি,,
.
আজ বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষন আড্ডা
দেওয়ার পর চলে
আসলাম পিচ্চিটার কলেজের সামনে ৷
কিছুক্ষন পর পিচ্চিটা বেরিয়ে আসলাম,,
আমি পিচ্চিটাকে বললাম,,
-- বাইকে উঠ ৷
পিচ্চিটা কিছু না বলে আমাকে পাশ কাটিয়ে
একটা রিক্সাতে উঠে গেল,,
আমি পিচ্চিটার কান্ড দেখে বোকা বনে
গেলাম,,
যে মেয়েটা আমার বাইকের পেছনে উঠতে
সব সময় পাগল হয়ে থাকত,
সেই মেয়েই আজ আমার সামনে দিয়ে একটা
রিক্সাতে উঠল,,
আমার কেন জানি বুকের ভেতরটায় অনেক
কষ্ট ফিল হচ্ছে ৷
আমার এরকম কষ্ট হচ্ছে কেন?
তাহলে কি আমি মেয়েটাকে ভালবেসে
ফেলেছি???
সত্যিই কি আমি মেয়েটাকে ভালবেসে
ফেলেছি???
নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলাম,
.
সেখানে আর দাড়িয়ে না থেকে বাড়িতে চলে
আসলাম,,
রুমে ডুকে দেখলাম মেয়েটা গোসল করে
বাথরুম থেকে বের হচ্ছে আর টাওয়াল দিয়ে
চুল মুছছে,,
আজ কেন জানি আমার কাছে মেয়েটাকে
অন্য রকম লাগছে,,
বারবার পিচ্চিটার দিকে চোখ যাচ্ছে,,
পিচ্চিটার মুখটা আজ এত ফেকাসে লাগছে
কেন??
অনেক্ষন ধরে দেখছি পিচ্চিটা মনমরা হয়ে
কি যেন একটা ভাবছে ৷
পিচ্চিটা আয়নার সামনে দাড়িয়ে ছিল,
আমি বললাম,,
-- তোমার কি কিছু হয়েছে?
মেয়েটা আমার কথায় পিছনে ঘুরে আমার
দিকে কিছুক্ষণ
প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল,,
তারপর মুখটা মলিন করে শুধু একটা শব্দ
বলল,,
-- না,,,,!
মেয়েটা রুম থেকে বেরিয়ে গেল,,
আমি বুঝলাম না মেয়েটা আমার দিকে
এরকম ভাবে তাকাল কেন?
মেয়েটা কি চোখের ভাষা দিয়ে আমাকে
কিছু বুঝাতে চাইছিল?
.
.
রাত 10:30মিনিট,
আমি আগে খাবার শেষ করে রুমে এসে
মেয়েটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম,
মেয়েটা এতক্ষণ ধরে আসছে না কেন?
আমি রুম থেকে বের হয়ে মেয়েটাকে ডাকতে
লাগলাম,,
-- দিয়াআআ...এই দিয়াআআআ?
মেয়েটা বলল,,
-- আসছি,,
দৌরাতে দৌরাতে মেয়েটা রুমে আসল,,
আমার সামনে এসে দাড়াল,,
হাপাতে হাপাতে বলল,
-- কিছু বলবে?
-- এতক্ষণ ধরে রুমে আসছিলে না, তার
জন্যই ডাকলাম ৷
মুখটা মলিন করে বলল,
-- আর কিছু বলবে না?
আমি জানি মেয়েটা আমার মুখ থেকে কি
শুনতে চাইছে,,
আমি মেয়েটার আমার জন্য এরকম
অস্তিরতা দেখে মনে মনে হাসতে
লাগলাম,,
তারপর মুখে একটা হাসি এনে বললাম,
-- নাহ,, আর কি বলব?
মেয়েটা হতাশ হয়ে বলল,,
-- অহ...!
মেয়েটা কিছুক্ষণ নিরব থেকে আবার
বলল,,
-- আমি কাল সকালে চলে যাচ্ছি ৷
আমি অবাক হয়ে বললাম,,
-- চলে যাচ্ছ মানে কোথায় চলে যাচ্ছ?
-- আমাদের ডিভোর্স পেপার চলে
এসেছে ?
সকালে একটা লোক এসে পেপারটা দিয়ে
গেছিল ৷মেয়েটা আলমারি থেকে ডিভার্স
পেপার
বের করে আমার সামনে আনল,,
তারপর পেপারটা আমাকে দেখিয়ে বলল,,
এই পেপারটায় সাইন করার আগে আমাকে
একবার বউ বলে ডাকবে?
শুধু একবার,
একটা বার আমাকে বউ বলে ডাক পিল্জ,,
(কান্না করতে করতে)
আমি কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে,
গেলাম,
ঘড়ের বাইরে এসে বাইকটা নিয়ে বেরিয়ে
পরলাম,,
বাইক চালাচ্ছি আর মনে মনে ভাবছি,,
তোমাকে শুধু একবার না, সারাজীবন
বউ বলে ডাকব আমার #পিচ্চি_বউ ৷
বাইকের স্পীড বারিয়ে দিলাম,,
একটা ফুলের দোকানের সামনে এসে বাইক
থামালাম,,
তারপর অনেকগুলা গোলাপ ফুল কিনে,
একটা শাড়ির দোখানে এসে লাল একটা
শাড়ি কিনলাম,,
আজ পিচ্চিটাকে নিয়ে সব আবার নতুন
করে শুরু করব,
শাড়ি আর গোলাপ নিয়ে একরকম দৌরেই
ঘড়ে ডুকলাম,,
তাড়াহুড় করে শিরি দিয়ে উপরে উঠতে যাব
তখনই শিরিতে একটা হুছট খেলাম,,
হুছট খেয়ে আমার পায়ের একটা নওখ উল্টে
রক্ত বের হচ্ছে,,
সেদিকে আমার খেয়াল নাই,
রুমে ডুকে বললাম,
-- দিয়াআআ আমি চলে এসেছি ৷
কিন্তু দিয়াকে রুমে দেখতে পারছি না কেন?
মনেহয় বাথরুমে আছে,
বাথরুমের দরজা ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে
গেল,,
নাহ,, বাথরুমেও নেই,
বেলকুনিতে দেখতে যাব তখনই চোখ পরল
বিছানাতে !
দেখলাম ডিভোর্স পেপার রাখা দেখলাম ডিভোর্স পেপার রাখা আছে,
তার উপর একটা ছোট্ট কাগজ,,
আমি ডিভোর্স পেপার হাতে নিয়ে
দেখলাম !
ডিভোর্স পেপারে দিয়ার সাইন,
আমার বুকের ভিতর ধুক করে উঠল???
(part 11)
.
ডিভোর্স পেপারে দিয়ার সাইন,
আমার বুকের ভিতর ধুক করে উঠল,
.
কাগজটার ভাজ খুলে পড়তে লাগলাম...
.
প্রিয়
নিয়ান আহমেদ.
আজ থেকে তুমি মুক্ত, আজ থেকে
তোমাকে আর কোনো পিচ্চির জ্বালা
সহ্য করতে হবে না, চলে যাচ্ছি সব ছেড়ে,
কোথায় যাচ্ছি আমি নিজেও জানি না ৷
তুমি হয়তো ভাবছিলে যে আমি আমাদের
বাড়িতেই যাব, না আমি যে অই বাড়িতে
যেতে পারবনা ৷ কি মুখ নিয়ে যাব অই
বাড়িতে? আব্বুকে গিয়ে আমি কি বলব?
তোমাকে বলেছিলাম যে সকালে যাব,
কিন্তু একটু আগে তোমাকে যখন বললাম,
আমাকে একবার বউ বলে ডাকতে,
তুমি আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে বাইরে চলে
গেলে,
তখনই বুঝে গেলাম আমাকে তোমাতখনই বুঝে গেলাম আমাকে তোমার আর
সহ্য হচ্ছে না,
তাই সকাল পর্যন্ত থেকে তোমার
অসহ্যের কারণ হতে চাই না ৷ চলে গেলাম ৷
তোমার মুখে সেই পিচ্চি সয়তান্নি ডাকটা
অনেক মিস করব ৷
ভাল থেক...
আর সুন্দর একটা বড় মেয়েকে বিয়ে কর,
তোমার তো আবার পিচ্চি মেয়েদের সহ্য
হয় না ৷
ইতি,
তোমার #পিচ্চি_বউ ৷
চিঠিটা পড়ার পর আমার চোখ জাপসা হয়ে
আসছিল,
সারা পৃথিবীটা যেন আমার চোখের সামনে
ঘুরছিল,
সাথে সাথে সেখানেই বসে পড়লাম,,
জোরে একটা চিৎকার দিলাম,
দিয়াআআআআ,,
তুমি এএটা কি করলে দিয়াআআ..
আমি তোমাকে কোথাও যেতে দিব না,
বলেই দৌরে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম,,
বাইক স্টার্ট দিয়ে কোন দিকে যাব কিছুই
বুঝতে পারছি না ৷
অতঃপর কোনো দিশা না পেয়ে অতঃপর কোনো দিশা না পেয়ে সামনের
দিকেই যেতে লাগলাম,,
.
দিয়ার কথায় আসি,
.
রাস্তা দিয়ে আনমনে হাটছে দিয়া,
চোখ দিয়ে অঝর বৃষ্টি পড়ছে ৷
বাতাসে চুলগুলা উড়ছে,
কোথায় যাচ্ছে সে নিজেও জানে না,
শুধু এটা জানে যে নিয়ানের জীবন থেকে
অনেক দূরে চলে যাবে,
নিয়ানকে সে নিজের জীবনের চাইতেও
বেশি ভালবাসে,
সেই ছোটবেলা থেকে নিয়ান তার মনে
জায়গা নিয়ে আছে,
আজ সেই মনের মানুষটাকে ছেড়েই অনেক
দূরে চলে যাচ্ছে সে,
দিয়া মনে মনে ভাবছে সে কি দূরে চলে
গেলে নিয়ানকে ভূলে থাকতে পারবে?
আবার নিজেকে নিজেই উত্তর দিচ্ছে,
নিজেকে ভূলতে পারে কিন্তু নিয়াকে
কোনো দিনও ভূলে থাকতে পারবে না ৷
এসব ভাবতে ভাবতে কোন সময় যে
মাঝরাস্তায় চলে এসেছে নিজেও জানে না
৷৷
পেছন থেকে হঠাৎ একটা কার এসে দিয়াকে
অনেক জোরে ধাক্কা দিল,
দিয়া চিটকে অনেক দূরে গিয়ে পড়ল,
আস্থে আস্থে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে
দিয়ার,
চোখে বন্ধ করার আগে চোখে জাপসা
দেখতে পেল একটা লোক তাকে
পাজকোলা করে কোলে তুলছে ৷
.
.
হন্ন হয়ে দিয়াকে এদিক সেদিক খুজে
বেরাচ্ছি, কিন্তু কোথাও খুজে পাচ্ছি না,
কোথায় গেল মেয়েটা?
তাহলে কি মেয়েটাকে আর খুজে পাব না?
'আর খুজে পাবনা' সেই কথা মনে পড়তেই
বাইক থামিয়ে, বাইক থেকে নেমে সেখানেই
রাস্তার পাশে বসে পড়লাম,
তাহলে আমি কি আমার পিচ্চিটাকে হারিয়ে
ফেলেছি?
না এটা হতে পারে না ৷
বলেই জোরে একটা চিৎকার দিলাম,
দিয়াআআআ...
চিৎকার করে কান্না করতে লাগলাম,
আর জোরে জোরে বলতে লাগলাম,
-- দিয়াআআ তুমি কোথায়া? পিল্জ
আআমাকে ছেড়ে কোথাও যেও না
দিয়াআআ,
দিয়াআআ আমি তোমাকে অনেক
ভালবাসি দিয়াআআ,
এই পিচ্চি সয়তান্নিইইই তুই শুনতে
পারছিসসস? আমি তকে অঅঅনেক
ভালবাসি ৷
হাউমাউ করে কান্না করতে লাগলাম,
এইইই দিয়াআআ তুমি আমার থেকে একবার
বউ ডাক শুনতে ছেয়েছিলে না?
এইযে আমি তোমাকে বউ ডাকছি,
বউউউ এই বউউউউ তুমি কোথায়য়য়,
বউউ তুমি শুনতে পারছ?
আমি তোমাকে বউ ডাকছি,,৷
ইয়া আল্লাহ তুমি আমার পিচ্চি বউকে
আমার কাছে এনে দাওওও...
আমি যে ওকে ছাড়া বাচব নাআআ
আল্লাহ..
সব দূষ আমার..
বলেই পাশের ল্যাম পোস্টে নিজের মাথা
বারি দিতে লাগলাম,,
বারি দিতে দিতে একসময় আমার মাথা দিয়ে
রক্ত ঝরতে লাগল,,
তবুও আমি থামছি না, মাথায়া বারি দিয়েই
চলছি,
হঠাৎ আমার চোখে অন্ধকার হয়ে আসল,
আমার মাথা ঘুড়তে লাগল,
তারপর আমি মাটিতে লুটিয়ে পরলাম,
এরপরে কি হয়েছিল আমার আর কিছু মনে
নাই,,
.
.
-- দিয়াআআআ...বলে চিৎকার দিয়ে
উঠলাম ৷
একি আমি কোথায়?
সারা রুমে চোখ বুলাতেই বুঝতে পারি এটা
একটা হস্পিটাল..
মাথায় ব্যাথা অনুভব করলাম,,
মাথায় হাত দিয়ে দেখি ব্যান্ডেজ,
.
আমার চিৎকার শুনে আম্মু দৌরে কেবিনে
ডুকলেন,,
আম্মু আমার পাশে এসে বসে বললেন..
আম্মু-- এখন কেমন লাগছে নিয়ান?
আমি আম্মুর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে
কান্না করতে করতে বললাম,,
-- আম্মু দিয়াআআ...
-- চুপ কর.. তকে আর কিছু বলতে হবে না,
আমি চিঠিটা পড়েছি আর তদের ডিভোর্স
পেপারটাও দেখেছি,
তুই মেয়েটার সাথে এমন কেন করলি
নিয়ান?
বলেই আম্মু কান্না করতে করতে কেবিন
থেকে বেরিয়ে গেলেন ৷৷
আমি অসুস্থ না হলে হয়তো আম্মু
আমার গালে কষে একটা চর মারতেন,
আমার অসুস্থার জন্য সেটা করলেন না ৷
.
আমার দিয়ার কথা মনে পড়তেই,,
আমার বুকটা কেপে উঠল,,
হাতের স্যালাইন খুলে,
হাসপাতেলর সিট থেকে নামলাম,,
দাড়াতেই পারছিনা অনেক কষ্ট হচ্ছে তুবুও
উঠে দাড়ালাম,,
যতই কষ্ট হোক আমাকে যে যেতে হবে,
আমার পিচ্চিটাকে যে খুজে বের করতেই
হবে ৷
কেবিন থেকে বেরিয়ে পরলাম,,
মাথাটা জিমজিম করছে,,
আমাকে দেখেই আম্মু চিৎকার দিয়ে
উঠলেন,,
-- নিয়ানননন...তুই এই অবস্থাতে
কোথায় যাচ্ছিস?
বলেই পেছেন থেকে আম্মু আমার হাত
চেপে ধরলেন,,
-- আম্মু আমাকে ছাড়, আমাকে যেতে হবে
৷ দিয়াকে খুজে বের করতে হবে ৷
-- নিয়ান বাবা এরকম পাগলামী করিস না ৷
তর শরিরটা যে ভাল না,
তাছাড়া দিয়াকে খুজতে তর আব্বু আর চাচা
গেছেন !
-- না আম্মু আমাকেও যেতে হবে ৷
বলেই এক জটকায় আম্মুর থেকে আমার
হাত ছাড়িয়ে দৌরে যেতে লাগলাম,,
কিছুটা যেতেই মাথাটা ঘুড়তে লাগল,
আর যেতে পারলাম না সেখানেই মাথা ঘুড়ে
পড়ে গেলাম ৷
.
.
এদিকে আজ তিন দিন পর দিয়ার জ্ঞান
ফিরল !
দিয়া চোখ খুলতেই নিজেকে একটা
হস্পিটালে আবিস্কার করে ৷
পাশে লক্ষ করে দেখে নিয়ানের
বয়সি একটা ছেলে বসে আছে ৷
দিয়া বলল,,
-- আমি কোথায়? আর এখানে কিভাবে
আসলাম?
দিয়াকে উঠতে দেখে ছেলেটা বলল?
-- আপনার এখন কেমন লাগছে?
-- ভাল ! কিন্তু আমি এখানে কেন?
আর এটা কোন জায়গা ৷
ছেলেটা বলল,,
-- আপনি এখন মালয়েশিয়ায়?????
#চলবে
0 Comments