#গল্প অবহেলা 😭😭 #পর্ব ০৪ Amar Golpo



 #গল্প অবহেলা

😭😭
#পর্ব ০৪
ম্যাডামঃফাইল দেখা শেষে আমার কাছে এসে আপনি ফাইল টা এমন হাল করেছেন কেনো,
আমিঃম্যাডাম ঠিক মতোই তো করছি,,
ম্যাডামঃদেখুন তো কি করেছেন ফাইল টা,,আবার বলেন কই কি করছি,,
আমিঃ-_———–
ম্যাডামঃফাইল টা ছুরে মারলো আমার দিকে
১ ঘন্টার মধ্যে ফাইল টা কমপ্লিট দেখতে চাই,,
আমিঃওকে ম্যাডাম,
কাগজ গুলো কুড়িয়ে কাজ করতে লাগলাম,,
বৃষ্টিঃ কি ভুল করেছেন আপনি দেখি,
আমিঃসামান্য ভুল এটা ভুল ধরে না কিন্তু ম্যাডাম ভুল ধরলো,
বৃষ্টিঃআরে বুঝেন না কেনো ম্যাডাম খুব কড়া কোথাও ভুল হলে সে তো শেষ,
আমিঃহুম।,,এটা বলে আবার ফাইল টা কাজ করতে লাগি,,
১ ঘন্টা পর ফাইল টা জমা দেই এইবার কোন ভুল নাই,,
বৃষ্টিঃআপনি এমন উদাসিন হয়ে থাকেন কেনো,,
আমিঃকই নাতো,
বৃষ্টিঃকোনো প্রবলেম,
আমিঃআরে না,
বৃষ্টিঃআচ্ছা আপনার চেহারার এমন হাল হচ্ছে কেনো দিন দিন,
আমিঃকি রকম,,
বৃষ্টিঃমুখ টা একবারে শুকনা আর সবাই দিন দিন চেহারা উজ্জল হয়, কিন্তু আপনার তো উল্টা,
আমিঃতেমন কিছু না,,
ম্যাডামঃকি হচ্ছে এখানে,,
বৃষ্টিঃকিছুনা ম্যাম
ম্যাডামঃদেখতেই তো পাচ্ছি কি হচ্ছে কাজের দিকে নাই আলাপে আছে,,
বৃষ্টিঃসরি ম্যাম,
ম্যাডামঃShut Up, কাজ করেন কথাটা বলে চলে গেলো,,
আমিঃসরি, বৃষ্টি আমার জন্য আপনার বকা খেতে হলো,
বৃষ্টিঃআরে না,, ম্যাডাম এমনই। কাজ করেন আবার দেখলে সমস্যা হবে,
তারপর আমি বাসায় গেলাম।বাসায় গিয়ে আমি আমার জন্য ভাত রান্না করতে বসালাম।তারপর আমি ফ্রেস হতে গেলাম।
তারপর ফ্রেস হয়ে আমি বাইরে বের হয়ে দেখি রিয়া সকল পাতিল আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলেছে এবং পাতিলের মধ্যে থাকা সব তরকারি ভাত এগুলা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে তারপর আমি এগুলোকে পরিষ্কার করে অফিসের দিকে রওনা দিলাম এবং আমি গিয়ে ম্যাডাম এর রুমের উদ্দেশ্যে গেলাম তার সাথে কথা বলার জন্য।
আমিঃম্যাম আসব।
ম্যাডামঃ হ্যাঁ,,আসুন।
আমিঃ ম্যাম আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিল।
ম্যাডামঃ হ্যাঁ বল কি কথা?
আমিঃ ম্যাম আমার টাকাটা যদি দিতেন তাহলে খুব উপকার হতো।
ম্যাডামঃ আপনার সব টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে আপনাদের অফিসে দেরি করে আসার কারণে,, এখন আপনার কোন টাকা নেই। আর এখন আপনার আগামী মাসের টাকাটা থেকেও কেটে নেওয়া হচ্ছে।
আমিঃ ম্যাম দেখুন আমার এই অপরাধের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন আমার টাকাটা খুব দরকার।টাকাটা আমাকে দিলে খুব ভালো হতো।
ম্যাডামঃ বলছি তো,, আপনার এ মাসের টাকা অফিসে দেরির কারণে কেটে নেওয়া হয়েছে।আর আপনি এখন আসতে পারেন
তারপর আমি আমার ডেক্সে এসে বসে থাকলাম তারপর বৃষ্টি আসে।
বৃষ্টি আমাকে জিজ্ঞেস করলোঃ
কি হয়েছে আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন,,, কোন সমস্যা?
আমিঃ ম্যাম আমার বেতনটা দেয় নাই তারপরে আমি আসার সময় ডিসিশন নিয়েছি ম্যামকে রেজিগনেশন পেপার দিয়ে আসব। আর চাকরি করব না।
বৃষ্টিঃচাকরি না করলে কিভাবে চলবেন??
আমিঃ আমার আর এখানে থেকে লাভ কি বলুন?
তারপর আমি ম্যাডামের রুমে গেলাম
আমিঃআমি কি ভিতরে আসব ম্যাম।
ম্যাডামঃ হ্যা আসুন।আবার কি বলবেন,,তাড়াতাড়ি বলেন।
আমিঃজি ম্যাম।আমি আর চাকরি করব না।এই নেন আমার রেজিগনেশন পেপার।
ম্যাডামঃ কেন আপনি চাকরি করবেন না কেন?কোনো সমস্যা নাকি?
আমিঃনা ম্যাম কোনো সমস্যা নাই।আর থাকলেই বা কি।আমি তো চাকরি ছেড়ে দিয়েছি।
ম্যাডামঃ কেন,,আমাকে বলুন?
আমিঃ আপনার কাছে আমি আর কোনো জবাব দিতে পারব না।আমার চাকরি করার ইচ্ছা নাই আমার আমি আপনার এটা থেকে বিরতি চাচ্ছি।
এ কথা বলে আমি ম্যাম এর রুম থেকে বেরিয়ে এসে সোজা বাড়িতে যাওয়ার জন্য তৈরি হলাম।এসময়
বৃষ্টি এসে বলল,, চলেন আপনার সাথে যাব।
তারপর বৃষ্টিকে সঙ্গে নিয়ে চলতে লাগলাম
যাওয়ার সময় একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম।বৃ্ষ্টি আমাকে জোর করলো আমার সমস্যা গুলো বলার জন্য।
তারপর আমি আর অন্য কিছু না ভেবে বৃষ্টিকে সম্পূর্ণ ঘটনা বললাম।
বৃষ্টি আমার এসব কাহিনী শুনে কাদতে লাগল।আমি ও বলতে বলতে কখন যে কেদে ফেললাম,,টেরই পেলাম না।
তারপর বৃষ্টি আমাকে বলল যে,,তোমার ক্ষতস্থানটা একটু দেখি।তারপর আমি দেখাতে চাইনি,, বৃষ্টি জোর করল,, তাই আমি আর না দেখিয়ে পারলাম না।
তারপর বৃষ্টি আমাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য অনেক জোর করল।কিন্তুু আমি তাকে বললাম,,
“”দেখ বৃষ্টি এটা কোনোভাবেই সম্ভব না।,,,আর ডাক্তার বলেছে এটার জায়গায় নতুন কিডনী বসালেও কোনো লাভ হবে না।””
বৃষ্টিঃকেন হবে না।তুমি আমাকে বল।তোমাকে ডাক্তার দেখালে এটা ঠিক হয়ে যাবে।
আমিঃনা,, বৃষ্টি।তুমি যা ভাবছ। এটা ঠিক তা না। এটা অন্য রকম।ডাক্তারও তখন বলেছিল,, এটা তখনই ভালো হবে যদি ক্ষতস্থানের মধ্যে কোনো প্রকার দাগ না পড়ে।কিন্তু তুমি তো দেখছ এটা আরও অনেক খারাপ অবস্হা হয়ে গেছে।
বৃষ্টির কথা গুলো শুনে কাঁদতে লাগলো।আমি জানি বৃষ্টি আমাকে খুব ভালোবাসে কিন্তু কি করব আমার কষ্টে ভরা জীবনে কাউকে জড়িয়ে লাভ কি।সে আরও বেশি কষ্ট পাবে।তার চেয়ে ভালো সবাই এমনিতে ভালো থাকুক।
তারপর বৃষ্টির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম। পথেরমধ্যে দেখলাম একটা কার সামনের দিকে আসতেছে বেপরোয়াভাবে। তারপর আমি নিশ্চিত হলাম যে আমার মৃত্যু এখানে হবে।কিন্তু না হঠাৎ দেখলাম কারটা একটা দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেলো।
তারপর দেখলাম কার থেকে একজন মানুষ বাইরে বের হয়ে পড়ে আছে।আর তার মাথা ও অন্যান্য জায়গা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে
তারপর আমি তার কাছে গিয়ে দেখলাম,,একি এতো আমার অফিসের ম্যাম ।ম্যামকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলাম।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তারা বলল যে,, রোগীর শরীর অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে তার এখন অনেক রক্ত লাগবে তারপর আমি তাকে রক্ত দিলাম।
তারপর হঠাৎ দেখলাম আমার আগের ম্যাডাম আসছে,,,আমি তাকে দেখে একটা জায়গায় সরে গেলাম,,যেন তিনি আমাকে দেখতে না পান।
তারপর আমি বাসার দিকে রওনা দিলাম।
যাএাপথে বৃষ্টির সাথে দেখা হলো।সে আমাকে দেখে বলল,,
বৃষ্টিঃআরে তুমি এখানে কি করছো।আর তোমার শার্ট এ রক্ত কেন?তোমার কি হয়েছে?আর তুমি কোথায় যাচ্ছ?





আমিঃ না তেমন কিছু হয়নি।আমি ঠিক আছি।
বৃষ্টিঃ কি তেমন কিছু হয়নি,,, আমার তো মনে হচ্ছে অনেক কিছু হয়েছে।
আমিঃ না আমার কিছু হয়নি।আমি ভালো আছি।
বৃষ্টিঃতাহলে তোমার শরীরে রক্ত কেন,,,আর এ রক্তই বা আসলো কোথা থেকে।আমাকে বল,,,না হয় আমি আত্নহত্যা করব।
আমিঃ আরে এসব কি বল তুমি,,,আমার এ শরীরে সামান্য রক্তের চাপ দেখে তুমি এমন কথা বলছো।এসব কথা শুনতে আমার ভালো লাগে না।
বৃ্ষ্টিঃতাহলে বল,,, তোমার শরীরে রক্ত আসলো কোথা থেকে,,,আর না হলে….
আমিঃথাক আর বলার দরকার নাই,,,আমি বলছি,,,
তারপর সব ঘটনা খুলে বললাম,,,দেখি বৃষ্টি কাঁদছে
আমিঃএই তুমি কাঁদছ কেন?দেখ আমার কান্নাকাটি একদমই পছন্দ না।সুতরাং তুমি এখন আর কান্নাকাটি করবে না।
বৃষ্টিঃআচ্ছা তুমি এসব উপকার করে তোমার কি লাভ হয় আমাকে বল তো,,,তুমি তোমার জীবনকে কষ্ট দিয়ে কেন তুমি ওদের জন্য এসব করছো।এসব কিছু ওরা তুচ্ছতাচ্ছিল্যের সাথে এমনিতেই ফেলে দেবে।
তারপর বৃষ্টির সাথে আরও কিছুক্ষণ কথা বলার পর আমি আমার বাসার দিকে রওনা দিলাম।
বাসায় আসি,,
আমার রুমে যাওয়ার জন্য ছাদে উঠে,
যখনি রুমের তালা খুলে আমি ছাদে প্রবেশ করলাম,তখনি কেউ কোন কিছু দিয়ে আমাকে আঘাত করে,,আমি তাকিয়ে দেখি রিয়া,
আমিঃমারছেন কেনো,
রিয়াঃতোকে আজকে আমি
এটা দিয়ে বলে বারি মারতে থাকে,
তুই আমাকে চিঠি দেস,,দেখ তোর কি করি,,
এটা বলে বারি দিলো,
বারিটা গিয়ে লাগলো,
প্যাটে,
বারি খেয়ে আমি কিছুক্ষন এর জন্য, বসে পড়লাম,
রিয়া ওর মতো করে বারি মেরে চলে যাওয়ার সময় দেখল,,, কয়েকটা ছেলে ছাদের নিচে দাড়িয়ে হাসছে।আর ওদের মধ্যে একটা বলছে,,,দেখ দোস্ত ছেলেটা না আমাদের এসব কিছুর জন্য প্রতিদিন মেয়েটার হাতে মার খায়। কিন্তু কিছু বলে না।আহারে বেচারার অবস্তা দেখে আমার কি করতে ইচ্ছে করছে জানিস,,,
তখন তার বন্ধুরা সবাই একসঙ্গে বলে উঠল,,, না বললে জানব কি করে?
তখন ছেলেটা বলল,,,আমার ওকে চুম্মা খেতে ইচ্ছে করছে।
তারপর আমি সেখান থেকে চলে আসলাম,,,দেখি রিয়া আমার পিছন পিছন আসছে,, আর আমার দিকে তাকিয়ে আছে। রিয়া এসে তাড়াতাড়ি করে আমার রুমে ঢুকে পড়ল,,,
আমিঃএকি আপনি আমার রুমে আসছেন কেন? আপনার এসব কাজের প্রমান হিসেবে তো আপনি দেখলেন ওদের এসব কান্ড কারখানা।আর এখন হয়তো আপনি আমাকে সরি বলবেন,,তারপর বলবেন আমি অনেক ভুল করেছি আপনি আমাকে ক্ষমা করে দেন।
রিয়াঃএমন ভাবে বলবেন না,,, আমাকে ক্ষমা করে দেন,, আমি আপনার প্রতি অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছি।আমার এ অন্যায়ের ক্ষমা হয় না।
তারপর হঠাৎ আমি মাথাঘুরে নিচে পড়ে গেলাম।আর আমার কাটা জায়গা থেকে রক্ত বের হতে থাকল।রিয়া এসব দেখে তো অবাক,,সে একি করল,,, যার কারনে আকাশের এমন অবস্তা।আকাশ কি কখনও তাকে ক্ষমা করবে।
তারপর রিয়া আকাশকে খুব দ্রুত একটা হাসপাতালে নিয়ে গেলো।আর তাকে নেওয়ার সাথে সাথে তার পরিচিত সেই ডাক্তার তাকে দেখে তাড়াতাড়ি ইমারজেন্সি বিভাগে ঢুকালো। নীলা নতুন রোগীকে সেখানে দেখতে গিয়ে তো অবাক।
তারপর ডাক্তার যা বলল,,,তা শোনার জন্য হয়ত নীলা আর রিয়া ওদের কেউই প্রস্তুত ছিল না।
আরে এই তো সেই রোগী,,,এই রোগীটার জন্য আমার অনেক দুঃখ লাগছে।
নীলাঃকেন?(একটু অবাক হয়ে)
ডাক্তারঃআর বল না,,,আমার তার বউকে থাপ্পড় মারতে মারতে মেরে ফেলতে মন চাইছে।
নীলাঃকেন,,স্যার।সে আবার কি করল?
ডাক্তারঃযে লোকটা তার বউয়ের পড়ালেখার জন্য নিজের সব কিছু ত্যাগ করতে পারে,,, আর তার বউকে ডাক্তার বানানোর জন্য সে তার একটা কিডনী দান করে। আর তার বিনিময়ে তার বউ আজ ডাক্তার কিন্তু আমি তাকে অনেকবার ফোন করে বলছি আপনার শরীরে একটা কিডনী প্রতিস্হাপন করা প্রয়োজন আর সেটা না করলে আপনার নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
নীলাঃতারপর,,,কি হলো?
ডাক্তারঃকিন্তু লোকটা আমার কথা শুনলো না,,,সে বলল আমার বউ আগে একজন বড় ডাক্তার হোক,, তারপর ও আমাকে চিকিৎসা করে ঠিক করে দিবে।কিন্তু লোকটার বউ ডাক্তার হওয়ার পর সে ও তার পরিবার তাকে ছেড়ে চলে গেল।
আমি মাঝে মাঝে তাকে কিডনীর প্রতিস্হাপন এর কথা বললে সে বলত,,,আমার জীবনটা যার জন্য দিয়ে দিতাম ডাক্তার সাহেব,,, সে কিনা আমাকে এতটুকু বুঝলো না।সে যদি আমাকে তার জন্য জীবনটা দিয়ে দিতে বলত ডাক্তার সাহেব,,,তাহলে আমি হাসতে হাসতে আমার জীবনটা তার জন্য দিয়ে দিতাম।কিন্তু সে আমাকে রেখে এখন একা থাকে,,,আমি তার কাছে গেলে সে আমাকে তাড়িয়ে দেয়।
জানেন ডাক্তার সাহেব,, সে এখন একজন বড় ডাক্তার হয়েছে বলে সে আমাকে ছোটলোক বলে গালি দেয়। আর তখন আমার অনেক খারাপ লাগে। জানেন ডাক্তার সাহেব,, আমার না এ জীবনটা রেখে দিতে মন চাচ্ছে না।আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আমি মরে গেলে আরও ভালো হতো।
ডাক্তার সাহেব আপনি আমার বাকি যে কিডনীটা আছে সেটাও আপনি কাউকে দিয়ে দেন। আমার এ জীবনটা রাখতে আর ভালো লাগছে না। আপনি প্লিজ আমাকে মুক্ত করে দেন।
#ডাক্তার_সাহেবঃ একটা মানুষ কতটা কষ্ট পেলে এমন কথা বলতে পারে। জানেন আমার তখন মনে হয়েছিল আমার জীবনটা দিয়ে দিই এরকম একটা মানুষের জন্য।যে কিনা আরেকটা মানুষের ভালোর জন্য এতকিছু করছে।
শুধু তাই না,,,কয়েকদিন আগে এসেও সে একটা মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসছে। তারপর আবার তাকে রক্ত দিয়ে বাচিয়ে তুলে।
আর আমি তাকে কিডনী প্রতিস্হাপনের কথা বলে যখন ওর পেটটা দেখতে লাগলাম,,, তখন দেখলাম তার পেটের মধ্যে মারাত্মকভাবে একটা জখম হয়েছে।আর আমার মনে হলো কেউ কোনো শক্ত কিছু দিয়ে ওইখানে আঘাত করেছে। যার ফলে তার অপারেশন করে কিডনী প্রতিস্হাপন করলেও সে কয়েক মাস পরে মারা যাবে।
আর এখন তো তার এমন অবস্হা হয়েছে যে তার শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে রক্ত বেরিয়ে গেছে।এখন তার রক্তের খুব প্রয়োজন।কিন্তু তার রক্তের সাথে মিল এমন রক্ত এখন আমাদের কাছে নাই।
ডাক্তারের মুখে এসব কথা শুনে রিয়া আর নীলা দুজনে খুব কাদছে।নীলা মনে মনে নিজেকে অনেক দোষী করছে কারন তার জন্য আজ আকাশের এমন অবস্হা।অন্যদিকে রিয়াও তার কাজের জন্য নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে না।কারন আকাশের এ অবস্হার জন্য সে ও কম দায়ী নয়।
তারপর হঠাৎ বৃষ্টি ছুটে এলো কোথা থেকে,,,সে এসে বলতে লাগল,,, ডাক্তার সাহেব আকাশের কি হয়েছে আমাকে বলুন ডাক্তার সাহেব।
ডাক্তারঃআচ্ছা আপনি ওর কে হন?
বৃষ্টিঃ জি আমি ওর সাথে একই অফিসে চাকরি করতাম। আমি ওর কলিগ।আর আমরা দুজন ভালো বন্ধুও বটে।
ডাক্তারঃওওও ভালো।আসুন আমার সাথে…
এ কথা বলে ডাক্তার বৃষ্টিকে আকাশের কাছে নিয়ে গেল,,,নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে…….
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন




Post a Comment

0 Comments