#গল্প অবহেলা 😭 পার্টঃ ০৩ Amar Golpo

 


#গল্প অবহেলা 😭
পার্টঃ ০৩
তারমানে মেয়েটা কোন কিছু দিয়ে আঘাত করছে যার কারনে মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে,,
হাত দিয়ে মাথা টা চেপে ধরলাম,,
ধরে বাসার নিচে আসলাম,
দেখি রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে,তাই রুমাল টা বাহির করে রক্ত মুছে ফেলে দিলাম,
আর অফিসে যেতে লাগলাম,
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি আর মাত্র কয়েক মিনিট সময় আছে,যে কয়েক মিনিট সময় আছে তার মধ্যে অফিসে যাওযা সম্ভব না,
২০ মিনিট লেট হলো,
গিয়ে আমার জায়গায় বসা মাত্র,
পিয়নঃআপনাকে নতুন ম্যাডাম ডাকছে,
আমিঃওকে,,এটা বলে ম্যাডাম এর কাছে যাই,,
আমিঃআসতে পারি ম্যাডাম,
ম্যাডামঃহুম আসুন,,।
আমিঃম্যাম সরি, লেট হওয়ার কারনে,
ম্যাডামঃ shut up,আজকেই অফিসে আসলাম,, আর আজকেই আপনার লেট হলো। কিসের জন্য লেট হলো বলুন??
আমিঃনা মানে ম্যাম,
ম্যাডামঃআজ থেকে অফিসে কেউ দেরি করে আসলে তার বেতন থেকে টাকা কেটে রাখা হবে,
এর পর থেকে যদি আপনি দেরি করেন তাহলে আপনার বেতন থেকে টাকা কেটে রাখা হবে,,
আমিঃআর হবে না ম্যাম,
ম্যাডামঃএই নিন ফাইল এগুলো গিয়ে করেন,,
আমিঃজি ম্যাম।
ম্যাম এর কাছ থেকে নিয়ে আমার কেবিন এ এসে পড়ি।
আমিঃহুম,
বৃষ্টিঃম্যাম কি জন্য ডাকল?
আমিঃনা এমনিতেই আমাকে এই ফাইলটা দেওয়ার জন্য ডেকেছে।
বৃষ্টিঃথাক বলা লাগবেনা, বুজেছি,
আমিঃওকে তাহলে আমি কাজটা শেষ করি পরে কথা হবে।
বৃষ্টিঃহুম।আপনার কাজ শেষ হলে আপনি কিন্তু আমার সাথে খেতে যেতে হবে,,
আমিঃআচ্ছা না গেলে হয় না।
বৃষ্টি:না আপনাকে যেতেই হবে।না হলে আমি ও যাব না।
আমিঃ আপনি আমার কলিগ আপনার সাথে যাওয়া যায়।
বৃষ্টিঃনা আমি এতো কিছু শুনতে চাই না।আপনাকে আমার সাথে যেতেই হবে।
আমিঃআচ্ছা ঠিক আছে,,
বৃষ্টিঃএই আপনাকে না বললাম আমি আপনার ছোট।আমাকে নাম ধরে ডাকবেন।
আমিঃআচ্ছা ঠিক আছে,,
বৃষ্টিঃম্যাডাম আসতাছে কাজ করেন,না হলে বকা খেতে হবে,
আমিঃআচ্ছা, এটা বলে কাজ করতে লাগলাম,
ম্যাডামঃএটা আড্ডা খানা না যে এখানে বসে বসে আড্ডা দিবেন,
বৃষ্টিঃম্যাডাম একটু হেল্প করছিলাম,,মিঃ আকাশকে.
ম্যাডামঃএর পর আর যাতে না দেখি,
এটা বলে চলে গেলো,
আমিঃআচ্ছা বৃষ্টি,, ম্যাডাম এমন কেনো, শুধু বকা ঝকা করে,
বৃষ্টিঃতুমি ভুল করেও দেরি করে আসবানা অফিসে, তাহলে তোমার বেতন থেকে একদিন দেরি করলে ২ হাজার টাকা কেটে নিবে,
আমিঃআচ্ছা,,ঠিক আছে,
কাজ করতে থাকলাম,
লাঞ্চ টাইম এর সময়, সবাই খাবারের জন্য যাচ্ছে,
বৃষ্টিঃচলেন লাঞ্চ করে আসি,
আমিঃনা আমার একটা প্রবলেম আছে আপনি যান,আমি এইতো যাব।
বৃষ্টিঃওকে,,এটা বলে বৃষ্টি আবার আগের জায়গায় বসে পড়ল,,
তারপর বৃষ্টির এসব কান্ড দেখে আর বসে থাকতে পারলাম না। দুজনে গিয়ে লাঞ্চ করে আসলাম।তারপর আমি আমার কেবিনে গিয়ে
আমি মাথা টা নিচু করে রইলাম,
নীলাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে,
এই ৩ টা বছরে খুব ভালবেসে ফেলেছিলাম,
আজ নীলা প্রতিষ্ঠিত,
৩ টা বছর কতো টা কষ্ট করেছি নীলার জন্য, আর সেই নীলা আজ বড়ো হয়ে, আমাকে ছুড়ে ফেলে দিলো,
কপাল টাই খারাপ আমার,
ম্যাডামঃআপনি লাঞ্চ করেছেন?
আমিঃজি ম্যাডাম,
ম্যাডামঃতাহলে সাথে এই ২ টা ফাইল কাজ করে, আমার কাছে নিয়ে যাবেন,
আমিঃম্যাডামের দিকে একবার তাকিয়ে, ফাইল টা হাতে নিলাম,,
নিয়ে কাজ গুলো করতে লাগলাম,,
অফিস ছুটির সময়,
বৃষ্টিঃমি. আকাশ বাসায় যাবেন না,,
আমিঃহুম জাবো তো,
বৃষ্টিঃতাহলে বসে আছেন কেনো ওঠেন,,
আমিঃএই ফাইল টা বাকি আছে কিছু কাজ,,
বৃষ্টিঃকালকে করবেন, আর কি,,চলেন এখন বাসায় যাওয়া যাক।
আমিঃনা সাথে নিয়ে যাই, বাসায় গিয়ে কাজ
করবো,,
বৃষ্টিঃওকে তাও করতে পারেন
আমিঃচলুন তাহলে এখন,,
বৃষ্টিঃচলুন তাহলে যাওয়া যাক,
আমিঃহুম,
বৃষ্টিঃকালকে দেখা হবে কেমন, আজকে যাই,,
আমিঃওকে,,
এটা বলে আমি একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসি,,
গেইট দিয়ে ভালো মতো করে ডুকলাম যাতে, আবার বাড়ি ওয়ালার মেয়ের সাথে দাক্কা না লাগে,
গেইট পারি হয়ে দেখি কেউ নাই,,ধিরে ধিরে সিড়ি বেয়ে, আমার রুমের কাছে যেতে লাগলাম,
ছাদে ওঠে দেখি,, মেয়েটা ছাদের এক কোনায় বসে আছে,,আমি মেয়েটার দিকে না তাকিয়ে, তালা টা খুলে, রুমের ভিতরে গেলাম,,
গিয়ে ফ্রেশ হয়ে, হালকা কিছু খেয়ে নিলাম,
খেয়ে বিছানায় বসে রয়েছি,
তখন কেউ দরজা ধাক্কানোর আওয়াজ পাই,,
দরজা খুলে দেখি বাড়িওয়ালা আংকেল।
আমিঃ আরে আংকেল আপনি,,
আংকেলঃকি করতাছো,,
আমিঃকিছুনা এই একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম,,
আংকেলঃ রিয়া যে ভুল গুলো করে, তার জন্য কিছু মনে করো না,
আমিঃরিয়া কে আংকেল,
আংকেলঃআমার মেয়ে রিয়া ওর ব্যবহারে কিছু মনে করো না,,ওর অনেক রাগ,
আমিঃকি যে বলেন না, আংকেল আমি কি মনে করবো,,
আংকেলঃওকে থাকো তাহলে আমি যাই,
আমিঃওকে,





আমি তখন ফাইল টা হাতে নিয়ে, কাজ করতে লাগলাম,
শেষ করেই শুয়ে পড়লাম,
সকালে ঘুম থেকে ওঠে,
রান্না করতে লাগলাম,
একা থাকতে থাকতে রান্না করাটা শিখে ফেলেছি,,
চুলায় তরকারি রেখে ওয়াশ রুমে যাই,,
গিয়ে ফ্রেশ হইতে থাকি,
ওয়াশ রুম থেকে কোন কিছুর একটা শব্দ পাই,,
তারাতারি, তখন ওয়াশ রুম থেকে বাহির হই,,
বাহির হয়ে দেখি নীলা তরকারির পাতিল, জোরে আছাড় মেরেছে যার কারনে মেঝে তে সব পড়ে গেছে,আর পাতিল টা চ্যাপটা হয়ে গেছে
আমিঃএটা কি করলেন,
রিয়াঃতুই রান্না শেষ না করে, ওয়াশ রুমে কেনো গেছিলি,,
আমিঃতাই বলে এমন অবস্থা করবেন,,
রিয়াঃদাড়া এটা
বলে ভাতের পাতিল টা দরে জোরে আছাড় মারলো,
আমিঃকি করলেন আবার এটা,,
রিয়াঃবেশি তর্ক করবিনা আমার সাথে,
আর রান্না শেষ না করে যে গেছিলা,,তরকারি পোড়ার কারনে পোড়া পোড়া গন্ধ, ছড়িয়ে পড়েছিলো,আর সেই কারনে আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়েছে তাই এমন করছি,,এর পর থেকে যেনো এমন, কিছু না ঘটে, তাহলে তোর অবস্থা এমন করবো,,
আমিঃমাথায় হাত দিয়ে রইলাম,
রিয়া চলে গেলো,,
তারাতারি মেজো পরিষ্কার করতে লাগলাম,
অফিসে দেরি হলে,, ম্যাডাম আবার কি না কি করে,,
মেজো পরিষ্কার করে,,
না খেয়েই অফিসের উদ্দেশ্যে বাহির হলাম,
পেটে ব্যাথ্যা হচ্ছে,,খুব,,
আজকেও লেট হলো, অফিসে যেতে,,
ম্যাডাম কতোগুলা জারি মারলো,,
আর ২ হাজার টাকা কেটে রাখলো,,
বেতন থেকে,
আমি গিয়ে আমার জায়গায় বসলাম,
বৃষ্টিঃকিসের জন্য দেরি হলো,,
আমিঃনা তেমন কিছু না,, আমারর কপাল টা ভালো, তাই এমন হয়,
বৃষ্টিঃকেনো কেনো,
আমিঃএমনি,
এটা বলে মন মরা হয়ে কাজ করতে লাগলাম,
আমিঃম্যাডাম এমন কেন,,আমি কিছুই বুঝি না।
বৃষ্টিঃহুম, আমি যখন এই অফিসে ম্যাম কে দেখছি,তখন থেকে দেখতেছি ম্যাম এর ভিতরে অহংকার অনেক বেশি।আর ম্যাম খুব রাগী টাইপের,,
আমিঃওহহহহ,আচ্ছা বৃষ্টি,এই যে আজকে টাকা টা কেটে নিলো আমার থেকে,,এটা কি আর দিবে না,
বৃষ্টিঃকাজ ঠিক মতো করলে দিয়ে দেয়,,আর এই অফিসে কেউ লেট করে আসে না,, তুমিই শুধু আসো,,
আমিঃওহহহহ,,
বৃষ্টিঃকাল থেকে ঠিক টাইম এ আসবে,,
আমিঃহুম,,
ছুটির সময়,,
ম্যাডামঃ মি. আকাশ কাল থেকে যদি আপনার আসতে লেট হয়, তাহলে, মনে রাখবেন আপনার অনেক সমস্যার সম্যূখীন হতে হবে,
আমিঃজি ম্যাডাম,,
বাসায় এসে পড়ি,,
খুব নীলার কথাটা মনে পড়ছে,,
জানিনা এখন নীলা কেমন আছে,
কোন কারনে যে নীলা আমার সাথে এমন করলো,, কিসের জন্য,,
নীলা আজ খুব ভালো আছে,হয়তো আমাকে তার আর কোন প্রয়োজন নাই,,
আমার যতটুকো প্রয়োজন ছিলো নীলার কাছে সেই টুকু আদায় করে নিয়ে, আমাকে আজ একা করে দিয়েছে,,
নীলা তুমি যেখানেই থাকো ভালো থাকো, আমি চাই তুমি ভালো থাকো,
কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে,,
কোথাও একটু ও শান্তি মতো বসতে পারি না,
অফিসে ম্যাডাম।,,বাসায়, রিয়া,,
কোথাই যাই,আমি,,,
কয়েক দিন পর
আজ অফিস টা বন্ধ
বিকালে ছাদের এক কোনায় বসে রয়েছি,,
মাথায় একটা ডিল এসে লাগলো,
তাকিয়ে দেখি যে রিয়া,
আমিঃকিছু বলবেন,,
রিয়াঃআপনি ছাদের কোন জায়গায় বসবেন না ওকে,,
আমিঃনা মানে, রুমের ভিতর ভালো লাগে না তাই,এখানে একটু বসছি,এখানে বসলে একটু ভালো লাগলো,,প্লিজ কিছু মনে নিয়েন না,,
রিয়াঃযাবি এখান থেকে,,ধাক্কা দিয়ে,
ধাক্কার কারনে আমার এক হাত একটা ফুল গাছের সাথে লাগলো গাছ টা নষ্ট হয়ে গেলো,
রিয়াঃতুই আমার ফুলের চারাটা নষ্ট করলি কেনো,,
আমিঃআমি তো ইচ্ছা করে করি নি,
রিয়াঃদুম করে একটা আমার পেটে ঘুশি মারলো,,গুশি টা গিয়ে আমার ক্ষত স্থানে লাগলো,,
কয়েক মিনিট এর জন্য নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গিছিলো আমার,
রিয়াঃগুশি মেরে চলে গেলো,
আমিঃধিরে ধিরে আমার রুমে আসলাম এসে ক্ষত স্থানে দেখি রক্ত পড়তাছে,
ডাক্তার বলছিলো এখানে যাতে কোন আঘাত না লাগে, আজ কতো বড় একটা আঘাত পেলাম এখানে,ব্যাথা শুরু হলো ,খুব ব্যাথ্যা থামছেই না ব্যাথ্যা টা,, কি করি,,
রাত ৮ টা সময়, বিছানায় সুয়ে রয়েছি, ব্যাথায় চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,,কান্না করতে পারছি না,।
ফোন টা দেখি বেজে চলেছে,,
হাতে নিয়ে দেখি আননোন নাম্বার,
আমিঃহ্যালো,
আপনি কি আকাশ,
আমিঃহ্যা আপনি কে,,
আমি ডাক্তার, ————–আপনি তো ১ টা কিডনি বিক্র করেছেন তাই না
আমিঃহ্যা,,
ডাক্তারঃআপনি আমাদের এই খানে আইসেন,, আপনার সাথে কথা আছে,
আমিঃওকে,,
তারপরের দিন,,
অফিসে গেলাম ঠিক টাইম এ
ম্যাডামঃআপনাকে যে কয়টা কাজ দিয়াছি করছেন কি,
আমিঃজি ম্যাডাম
ম্যাডামঃদিন তাহলে,
আমি ফাইল গুলো ম্যাডাম।এর কাছে দিলাম,
ম্যাডাম ফাইল গুলো দেখে আমার দিকে অগ্নিময় দৃষ্টিতে তাকালো,
ম্যাডামঃফাইল দেখা শেষে,
আমার কাছে এসে আমার,,,, ———-;;;-;
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন





Post a Comment

0 Comments