অতৃপ্ত অশরীরী ছায়া
পর্বঃ [>9 <]
|
টিভি অন করতেই যা দেখলাম তা দেখে তো পুরোই অবাক কেনো না টিভিতে খবর দেখাচ্ছে এই শহরের এসিপি কামরুল কে আজ মাঝ রাস্তায় খুন করা হয়েছে।
।
।
এবং খুব ভয়ানক ভাবে হত্যা করেছে যা দেখলে শরীরের লোম গুলো দাঁড়িয়ে যাবে না।
।
।
কেনো না এসিপি কামরুল এর শরীরের সমস্ত রক্ত চুষে খেয়ে ফেলা হয়েছে। শরীরের
মধ্যে বিন্দু মাএ রক্ত এর চিহ্ন নেই।
।
।
কে করেছে এই খুন তা এখনো আজানাই রয়ে গেছে।
।
।
আদও কী সে খুনি ধরা পড়বে নাকি সবার চোখে ফাকি দিয়ে আবারো নতুন কোনো মানুষের শরীরের রক্ত চুষে খেয়ে ফেলবে।
।
।
আমি আপনাদের সাথে ছিলাম ঈশিতা নিউ ডেক্স মাধবপুর।
।
।
।
তাসফিয়াঃ দেখলে তো কিছু খন হলো কী না হলো এরি মধ্যে আরেকটা খুন করে ফেললো।
।
।
সাঈদঃ হুম সেটাই তো নীলাসার মৃত্যুর সাথে এসিপি কামরুল এর কী সম্পর্ক।
।
।
।
তাসফিয়াঃ আমিও সেটা বুঝতে পারছি না।
।
।
নিশ্চয়ই কোনো তো সম্পর্ক আছে না হলে কেনো মারবে তাকে।
।
।
সাঈদঃ হুম আমি একটু কাজ গুলো করে নি তুমি তায় আলাদা কিছু দেখো।
।
।
তাসফিয়াঃ হুম।
।
।
সাঈদঃ সারা দিন এ মোটামুটি কাজ গুলো শেষ করলাম ।
।
।
অনেক কাজ পড়ে ছিলো যে গুলো শেষ করতে প্রায় রাত নয়টা বেজে গেলো।
।
।
তাসফিয়াঃ কাজ শেষ হয়েছে তোমার।
।
।
সাঈদঃ হুম।
।
তাসফিয়াঃ আমার কিন্তু খুব ঘুম পেয়েছে চলো বাসায় যাই।
।
।
সাঈদঃ হুম তবে একটু রাতের খবর টা দেখে নি কেমন।
।
।
তাসফিয়াঃ অল্প কিন্তু।
।
।
সাঈদঃ হুম।
।
তার পর টিভি অন করতেই আবারো অবাক হলাম।
।
।
এই মুহুর্তে খবর পেলাম এই শহরে ডুকে পড়েছে কিছু রক্ত চুষা ভ্যামপেয়ার।
।
।
আর এসিপি কামরুল এর পোস্ট মেডাম রিপোর্টে ডাক্তার বলেছেন এসিপি কামরুল এর মৃত্যু ভ্যামপেয়ার এর কারণ হয়েছে।
।
।
( অনেকে হয়তো জানেন না ভ্যামপেয়ার অর্থ ভ্যামপেয়ার অর্থ রক্ত চুষা বাদুর যাকে ইংরেজিতে ভ্যামপেয়ার বলে)
।
।
।
তাসফিয়াঃ টিভিতে এসব কি দেখাচ্ছে গো তাহলে এই খুন টা দিশা করে নি।
।
।
সাঈদঃ না আচ্ছা তোমার কী মনে আছে কাল রাতে কেউ আমাদের পিছু পিছু আসছিলো।
।
।
তাসফিয়াঃ হুম কিন্তু সেটা তো দিশা ছিলো তাই না।
।
।
সাঈদঃ না সেটা দিশা নয় বরং ভ্যামপেয়ার গুলো ছিলো কেনো না মানুষ কখনো উড়তে পারে না।
।
।
তাসফিয়াঃ সত্যি তো আচ্ছা তারা কেনো এসেছে এখানে তারা কী চায় নাকি তাঁরাও প্রতিশোধ নিতে এসেছে।
।
।
সাঈদঃ আমি কিভাবে বলবো বলো চলো বেশি রাত করেবাইরে থাকা ঠিক হবে না।
।
।
তাসফিয়াঃ হুম।
।
।
সাঈদঃ আজ সকালে অফিস থেকে নতুন একটা হোটেল আমাদের জন্য একটা রুম বুক করেছে কিছু দিন এর জন্য।
।
।
এখন আমারা সেখানেই যাবো।
।
।
সাঈদঃ ড্রাইভার গাড়ি বেড় করো।
।
।
ড্রাইভারঃ স্যার গাড়ি বেড় করাই আছে আপনারা আসেন।
।
।
সাঈদঃ হুম ।
।
তার পর গাড়িতে উঠে বসলাম।
।
।
গাড়িটা কিছু দুর যেতেই।
।
।
ড্রাইভারঃ স্যার সামনে কিছু আছে আপনি দেখতে পাচ্ছেন।
।
।
সাঈদঃ হুম আরে এ গুলো তো ভ্যামপেয়ার এখান থেকে তারাতাড়ি চলো।
।
।
।
ড্রাইভারঃ স্যার চিন্তা কিছুই নেই আমরা যতখন গাড়িতে আছি ততক্ষণ ওরা কিছুই করতে পারবে না। কেনো না ওরা হয়তো জানে না এই গাড়িতে ডুকা এতই সহজ না।
।
।
।
তাসফিয়াঃ আচ্ছা ঔ ভ্যামপেয়ার গুলো এখানে কী করছে।
।
।
সাঈদঃ হয়তো নতুন কেনো শিকার খুঁজে পেয়েছে।
।
।
কথা বলতে বলতে হোটেলে চলে আসলাম।
।
।
ভিতরে ডুকতেই দেখলাম পুরো হোটেল নিস্তব্ধ।
।
।
কোনো মানুষের নড়াচড়া শব্দ টুকুও নেই।
।
।
তাসফিয়াঃ আমরা এটা কোথায় আসলাম চারদিকে তো অন্ধকার।
।
।
সাঈদঃ তাই তো।
।
।
তখনি।
।
সবাই একসাথে বলে উঠলো
Happy Marrage day...
...
.
.
Happy marrage day mom dad .
.
.
তখনি চারপাশে আলো জ্বলে উঠলো।
।
।
সাঈদঃ দিশা তুমি এখানে ।
।
দিশাঃ হুম বাবা তোমারা তো ভুলেই গিয়েছিলা আজ তোমাদের মেরেজ ইউনিভার্সিটি।
।
।
।
তাসফিয়াঃ হুম সত্যি তো আজ আমাদের বিয়ের ১৫ বছর পুর্ন হলো।
।
।
।
সাঈদঃ আমি তো পুরো সারপ্রাইজড হয়ে গেলাম।
।
।
তাসফিয়াঃ আমিও।
।
।
দিশাঃ বাবা মা আজকের দিনটা তোমাদের জন্য খুব আনন্দের কিন্তু আমি এই দিনে তোমাদের সাথে থাকতে পারবো না।
।
।
সাঈদঃ কে বললো পারবে না তুই তো আমাদেরি মেয়ে কোথায় যাবিতুই।
।
।
দিশাঃ আজ যে আমবর্সা।
।
।
আজ অাত্মারা নতুন শক্তি পায় আজ আমিও পাবো কিন্তু সেটা ভয়ানক শক্তি।
।
।
।
।
চলবে।
।
0 Comments