অতৃপ্ত অশরীরী ছায়া
পর্বঃ 10
••••••••••
ঠিক তখনি যা হলো তা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।
।
।
দিশা যখন তাসফিয়ার কাছে যাচ্ছিলো তখন একদল ভ্যাম্পেয়ার সেখানে চলে আসে কিন্তু এই ভ্যাম্পেয়ার গুলো দেখে খুব ভয়নাক লাগছিলো কেনো না ওদের চোখ গুলো লাল রঙের বর্ণ ধারণ করেছে।
।
।।
।
কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে সেই ভ্যাম্পেয়ার গুলো আমাদের দেখতে পেয়েও কেনো আক্রমণ করছে না চুপচাপ কেনো বসে রয়েছে।
।
।
।
দিশাঃ মা বাবা তোমারা ভিতরে যাও। না হলে ওরা তোমাদের উপর আক্রমণ করতে পারে।
।।
।
তাসফিয়াঃ হুম ভিতরে চলো।
।
।
সাঈদঃ হুম ভিতরে যেতে যেতে যা দেখলাম তা দেখে আরো অবাক হলাম কেনো না দিশা ওই ভ্যাম্পেয়ার গুলো সাথে উড়ে গেলো।
।
এটা কী করে সম্ভব।
।
।
মানুষ কীভাবে উড়তে পারে।
।
।
।
আমার মাথায় তো কিছুই আসছে না।
।
।
প্রথমতো দিশা বললো ওর সাথে কেউ শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করছে।
।
তার পর ওই ঘড়ি।
।
কিন্তু ওই অতৃপ্ত আত্মাটা তো কোনো মেয়ের তাহলে একটা মেয়ে কী করে আরেকটা মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারে।
।
।
।
তা থেকেও বড় আশ্চর্যের কথা দিশা উড়ছেই বা কী করে আর কী সম্পর্ক ওই রক্ত চুষা বাদুড়ের সাথে।
।
আমি যতই ভাবছি ততই রহস্য আরো গভীর হয়ে যাচ্ছে।
।
।
তাসফিয়াঃ কী হলো আবার তোমার এভাবে থেকে গেলে যে..?
।
।
সাঈদঃ কিছু না।
।
।
।
তাসফিয়াঃ কিছু না বললেই হলো তুমি সবসময় কিছু তো একটা ভাবো যেটা তোমাকে দেখলেই বুঝা যায়।
।
।
সাঈদঃ হুম কিন্তু সেটা তেমন কিছু না।
।
।
তাসফিয়াঃ বললেই হলো আমার থেকে তোমাকে হয়তো ভালো মতো আর কেউ চিনে না। তুমিও না।
।
।
সাঈদঃ হতে পারে।
।
।
তাসফিয়াঃ হতে পারে না এটাই সত্যি এখন ভিতরে আসো তো।
।
।
সাঈদঃ হুম চলো।
।
।
ভিতরে গিয়ে।
।
তাসফিয়াঃ আচ্ছা একটা কথা বলবো।
।
।
।
সাঈদঃ হুম একটা কেনো হাজরটা বলো।
।
।
তাসফিয়াঃ আমার না........ .........
।
।
।
সাঈদঃ কী আমার না...?
,
।
।
তাসফিয়াঃ মানে হলো আজ ঢিভিতে আমি একটা নেকলেস দেখেছিলাম আর ওইটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে আমাকে ওইটা কিনে দিবা।
।
।
।
সাঈদঃ ও এই বেপার। আচ্ছা ঠিক আছে কিনে দিবো।
।
।
তাসফিয়াঃ সত্যি উম্মাহহহহহ
।
।
।
।
সাঈদঃ ।
।
।
°°°°°< ~ >°°°°°°°
।
।
।
দিশাঃ তোরা কেনো গিয়েছিলিস আমার বাবা মার সামনে।
।
।
বাদুর গুলোঃ আসলে আমরা বুঝতে পারি নি।
।
।
দিশাঃ কোনো পবিত্র শরীর পাই নি বলে তোদের বাদুর এর শরীরে আশ্রয় দিয়েছি।
।
।
কিন্তু কেউ যাতে জানতে না পারে তোরা অতৃপ্ত আত্মা।
।
।
।
দিশাঃ তোদের রাজা রিয়াদ কই।
।
।
বাদুর গুলোঃ রিয়াদ এখনি আসবে।
।
।
কিছুখন পর
।
।
রিয়াদঃ নীলাসা আমি অনেক চেষ্টা করার পরেও দিশার শরীরে সাথে শারীরিক সম্পর্ক সম্পুর্ন করতে ব্যর্থ হয়েছি।
।
কিন্তু তুই কী করে এই শরীরের প্রবেশ করলি।
।
।
।
নীলাসাঃ কেনো না আমি ছলনাময়ী আত্মা যো কোনো শরীরে খুব সহজে প্রবেশ করতে পারি।
।
।
আর আমার কাজ শেষ হয়ে গেলে তুই এই শরীরটাকে নিজের বশে করতো সক্ষম হবি।
।
।
রিয়াদঃ কীভাবে।
।
।
নীলাসাঃ কেনো না ততদিনে এই শরীর আর পবিত্র থাকবে না হয়ে যাবে অপবিএ।
।
।
রিয়াদঃ হুম তবে সাবধানে থাকতে হবে সামনে পুর্ণিমার রাত।
।
।
এই রাতে আমারা আরো শক্তি শালী হয়ে উঠবো
।
।
নীলাসাঃ হুম ততদিনে আমি আবারো কোনো নতুন গল্প বানিয়ে ফেলবো কোনো কিছুতেই এই শরীর ছাড়া যাবে না।
।
।
।
রিয়াদঃ হুম এখন আসি।
।
।
নীলাসাঃ হুম।
।
।
আসুন আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই রিয়াদ আর নীলাসার সাথে রিয়াদ আর নীলাসা দুজন দুজনকে খুব ভালো বাসতো কিন্তু হঠাৎ করে তারা একদিন বাস এক্সিডেন্ট এ মারা যায় তার পর থেকে তাদের আত্মা গুলো যেদিক সেদিক ঘুরতে লাগলো।
।
।
রিয়াদ তো দিশার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারে নি তাই তার শরীর বশ করতে পারে নি কিন্তু বাকিদের ও তো শরীর লাগতো তাই তারা বাঁদুরে শরীরকে বশ করেছে।
।
।
।
।
।
।
°°°°<~>°°°°°°
।
।
পরের দিন
।
।
তাসফিয়াঃ এই ঘুম থেকে উঠো বলছি।
।
।
সাঈদঃ কী হয়েছে এত সকাল সকাল ডাকছো কেনো।
।
।
তাসফিয়াঃ বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।
।
।
সাঈদঃ তুমি কী পাগল হয়ে গেলে নাকি এখন তো শীতকাল চলে এসেছে বৃষ্টি কীভাবে হচ্ছে।
।।
।
।
তাসফিয়াঃ আমি পাগল হয় নি সত্যি সত্যি বৃষ্টি হচ্ছে।
।
।
সাঈদঃ কোনো মতো ঘুম থেকে উঠে দেখলাম সত্যি তো খুব জোরে জোরে বৃষ্টি হচ্ছে।
।
।
বাইরে হালকা হালকা তুষার ও পড়ছে ঠান্ডাটা মনে হয় খুবে বেড়ে যাবে তাই না।
।
।
।
তাসফিয়াঃ হুম তাতে আমাদের কী আমাদের রুমে তো এসি ও রুম হিটার দুটাই আছে।
।
।
।
সাঈদঃ তুমি তো সব সময় নিজেরি চিন্তা করো কখনো ভেবে দেখেছো কী যাদের আমাদের মতো টাকা নেই ফুট পাতে থাকে থাকে তাদের কী অবস্থা হবে তারাও তো আমাদের মতো মানুষ ওদেরও তো জীব আছে।
।
।
।
ওদেরও তো কষ্ট হয়।
।
।
হে আল্লাহ তুমি তাদের কষ্ট কমিয়ে দাও তারা যে খুব অসহায়।
।
।
।
তাসফিয়াঃ তোমাকে এই জন্য আমার খুব ভালো লাগে তুমি সবসময় গরিব দুখি মানুষের কথা চিন্তা করো।
।
।
সাঈদঃ সেটা হয়তো জানি না তবে মানুষ হয়ে মানুষের কষ্টা হয়তো বুঝতে পারি।
।
।
ঠিক তখনি।
।
।
।
চলবে
0 Comments