সবাই আমাকে ঘিরে ধরলো আমার মনের মানুষের নাম কি, তা জানতে। হঠাৎ তানহা উঠে দাঁড়ালো.....
বেশ রাগী লুক নিয়েই তানহা আফসার ভাই কে বলল--
-- মিস্টার আফসার, কারো ব্যক্তিগত পারসোনাল বিষয়ে জোর করে জানতে চাওয়াটা কিন্তু আমি ঠিক ভাল নজরে দেখছি না....
-- ম্যাম প্লিজ, এই মুহূর্তে আমি এই টিমের পরিচালক। যেহেতু আপনি নিজেই এই গুরু দায়িত্ব আমাকে অর্পণ করেছেন।
অফকোর্স আপনি আমাদের অফিসের বস। কিন্তু সেটা অফিসে যেহেতু আমি পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছি সেহেতু আপনি এখন আমার আন্ডারে চলে গেছেন। তাই আমি যা বলব এখানে তাই হবে, অন্য কেউ বললে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।
-- ম্যাম প্লিজ, এই মুহূর্তে আমি এই টিমের পরিচালক। যেহেতু আপনি নিজেই এই গুরু দায়িত্ব আমাকে অর্পণ করেছেন।
অফকোর্স আপনি আমাদের অফিসের বস। কিন্তু সেটা অফিসে যেহেতু আমি পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছি সেহেতু আপনি এখন আমার আন্ডারে চলে গেছেন। তাই আমি যা বলব এখানে তাই হবে, অন্য কেউ বললে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।
তানহা বেশ লজ্জাই পেল। আফসার ভাইয়ের কথাটা শুনে তাই আর কথা না বাড়িয়ে বসে পড়ল।
আফসার ভাই এর কলিজা আছে বলতে হবে। অফিসের বসের মুখের উপর এত বড় কথা বলে দিতেও সাহসের প্রয়োজন। তবে এত বড় সাহস আমার ক্ষেত্রে প্রয়োগ না করলেও পারত।
আফসার ভাই এর কলিজা আছে বলতে হবে। অফিসের বসের মুখের উপর এত বড় কথা বলে দিতেও সাহসের প্রয়োজন। তবে এত বড় সাহস আমার ক্ষেত্রে প্রয়োগ না করলেও পারত।
এখন এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে তানহা যে আমায় বাঁচাবে তারও কোন উপায় নেই। কারণ তানহার ক্ষমতা কতটুকু তা তো একটু আগেই দেখে নিলাম। আফসার ভাইয়ের ট্যালেন্ট আছে বলতে হবে।
কার পেট থেকে কিভাবে কথা বের করতে হয় সেই কৌশলটা খুব ভালোই রপ্ত করেছে সে।
কার পেট থেকে কিভাবে কথা বের করতে হয় সেই কৌশলটা খুব ভালোই রপ্ত করেছে সে।
যাইহোক এখন সবাই আমাকে ঘিরে ধরেছে। এখন মিথ্যা কথা বলে পার পাওয়ার কোনো উপায়ও নেই। হঠাৎ আফসার ভাই বলল ---
--সবাই প্লিজ একটু শান্ত হন। (আগুনে ঘি ঢেলে আবার শান্ত হতে বলছে)
মেহমেদ ভাই অবশ্যই আমাদেরকে সেই মেয়েটির সম্পর্কে বলবে।
তবে তবে তবে, যেহেতু আমার মাধ্যমে এই জলসা টা একটি সাহিত্যের মঞ্চে পরিণত হয়েছে।
সেহেতু মেহমেদ ভাই কিভাবে সে মেয়েটির বর্ণনা দেবে আমাদের কাছে সেটা তার উপর ছেড়ে দিলাম।
এখন তিনি আমাদেরকে সেই মেয়েটির সম্পর্কে সাহিত্য আকারে তার পরিচয় দেবেন।
মেহমেদ ভাই প্লীজ স্টার্ট, শুরু করে দিন।।
মেহমেদ ভাই অবশ্যই আমাদেরকে সেই মেয়েটির সম্পর্কে বলবে।
তবে তবে তবে, যেহেতু আমার মাধ্যমে এই জলসা টা একটি সাহিত্যের মঞ্চে পরিণত হয়েছে।
সেহেতু মেহমেদ ভাই কিভাবে সে মেয়েটির বর্ণনা দেবে আমাদের কাছে সেটা তার উপর ছেড়ে দিলাম।
এখন তিনি আমাদেরকে সেই মেয়েটির সম্পর্কে সাহিত্য আকারে তার পরিচয় দেবেন।
মেহমেদ ভাই প্লীজ স্টার্ট, শুরু করে দিন।।
মনে মনে ভাবছি তানহা ভুল মানুষকে পরিচালকের দায়িত্ব দেয়নি দেখছি। জলসা কিভাবে জমাতে হয় সে তো কেউ আফসার ভাইয়ের কাছ থেকে শিখবে। যাই হোক আফসার ভাই আমাকে একটা সুযোগ দিল আরকি, আমার মনের মানুষের নামটি না প্রকাশ করার জন্য।
তার বিনিময় সাহিত্যের আকারে আমার প্রিয় মানুষটির সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে হবে সবার কাছে। যাইহোক পূর্বে সাহিত্যচর্চার অভিজ্ঞতা যেহেতু আছে, তাই এই সুযোগ, সবাইকে আমার সাহিত্যপ্রতিভাটা দেখানোর...
--কি হলো মেহমেদ ভাই? কি এত ভাবছেন? শুরু করুন.( আফসার ভাই)
"""সৌন্দর্য তার সৌন্দর্যের কাছে হার মানবে.. তার দিকে একটিবার তাকালে চোখ ফেরানো দায়..
এমনই সেই রূপসী-মায়াবিনি.. তার রূপের মায়ায় না যেন কত জনকে ঘায়েল করেছে এই পর্যন্ত, তা এখন ইতিহাস..
প্রেমে পড়াটা বাধ্যতামূলক, যদি একটিবার তাঁর পবিত্র চেহারা দেখে কেউ..
তার চোখ গুলো যেন হরিণীর চোখের মত.. তাই বারবার আমি প্রেমে পড়েছি ওই চোখের মায়ায়..
সেই চোখের নিচে কাজলের একটু স্পর্শ যেন বাড়িয়েছে তার সৌন্দর্য হাজার গুণে..
সেই চোখের নিচে কাজলের একটু স্পর্শ যেন বাড়িয়েছে তার সৌন্দর্য হাজার গুণে..
তাইতো কাজল মাখা ওই দীঘল চোখের প্রেমে পড়েছি বারবার.. আমার এতটাই পছন্দের সেই চোখগুলো..
তার হাতের স্পর্শ যেদিন পেয়েছি, সেদিন অনুভব করেছি তার কোমলতা.. তাইতো বারবার তার প্রেমে পড়েছি আমি..
তার হাসি মাখা ওই চন্দ্র মুখটা না ভোলার মত.. হারিয়ে ফেলি দুঃখ হারিয়ে ফেলি কষ্ট,যন্ত্রণা.. যখন তার চন্দ্র মাখা ওই হাসি মুখটা দেখি..
এমনই সৌন্দর্যের অধিকারিনী সে..
এমনই সৌন্দর্যের অধিকারিনী সে..
-- বাহ বাহ বাহ, অসাধারণ সেই সৌন্দর্য আর অসাধারণ আপনি যে তার প্রেম আপনি পেয়েছেন। সেই সৌন্দর্যের অধিকারীনি সেই সৌন্দর্যের রানী কে উদ্দেশ্য করে কিছু বলুন..( আফসার ভাই)
"""ভালোবাসি তোমায় অনেক.. বড্ড বেশিই...
আল্লাহ সাক্ষী এ হৃদয়ে ভালোবাসার জন্য যতটুকু জায়গা খালি আছে..
তার সবটা জুড়ে শুধুমাত্র তোমারই অস্তিত্ব..
আল্লাহ সাক্ষী এ হৃদয়ে ভালোবাসার জন্য যতটুকু জায়গা খালি আছে..
তার সবটা জুড়ে শুধুমাত্র তোমারই অস্তিত্ব..
শুধুমাত্র তোমারই নাম লেখা এই হৃদয়ে.. এই প্রেমের সাহিত্যের উৎপত্তি তোমারই জন্য হয়েছে তা কি জানো তুমি......
হে প্রিয়তমা....
মনের সাহিত্যের প্রতিটি পাতায় তোমারি নাম লেখা হয়েছে...
প্রেমের গল্প লিখেছি এই হৃদয়ে.. তোমাকে একদিন দিবো বলেই এই গল্পের সূচনা...
তোমাকে ভালবেসেছি বলে আজ সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার তীব্র বাসনা জেগেছে এই মনে..
হে প্রিয়তমা....
মনের সাহিত্যের প্রতিটি পাতায় তোমারি নাম লেখা হয়েছে...
প্রেমের গল্প লিখেছি এই হৃদয়ে.. তোমাকে একদিন দিবো বলেই এই গল্পের সূচনা...
তোমাকে ভালবেসেছি বলে আজ সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার তীব্র বাসনা জেগেছে এই মনে..
তোমাকে পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করব বলে..জানি আমি যোগ্য নই তোমার ভালোবাসা পাওয়ার..
তাই সপ্নীল আকাশে রঙ উড়িয়েছি তোমার নামে.. যদি একটু সুদৃষ্টি পাই তোমার..? ধন্য হবে এ জীবন..
তাই সপ্নীল আকাশে রঙ উড়িয়েছি তোমার নামে.. যদি একটু সুদৃষ্টি পাই তোমার..? ধন্য হবে এ জীবন..
তোমার নামে হৃদয়ের বইয়ে প্রতিটি পাতায় প্রেমের কাব্য লেখা.. তোমার নামে জীবনের প্রতিটি স্তরে ভালোবাসা রাখা.. তোমারই জন্য হে প্রিয়তমা..
শুধু তোমারই জন্য..
যেদিন তোমায় প্রথম দেখেছি, কসম আল্লাহর- প্রেমে পড়েছি সে দিনই তোমার পবিত্র চেহারার..
যেদিন তোমায় প্রথম দেখেছি, কসম আল্লাহর- প্রেমে পড়েছি সে দিনই তোমার পবিত্র চেহারার..
নিজেকে বিলীন করে দিয়েছি তোমার মাঝে.. প্রতিটা ক্ষন প্রতিটা মুহূর্ত ভেবেছি তোমায় নিয়ে..
প্রতিটা সময় কাটিয়েছি তোমার ভাবনায়... ঘুম হয়নি রাতে... তোমার কথা ভেবে ভেবে হেসেছি বালিশের কোনে মাথা দিয়ে..
প্রতিটা সময় কাটিয়েছি তোমার ভাবনায়... ঘুম হয়নি রাতে... তোমার কথা ভেবে ভেবে হেসেছি বালিশের কোনে মাথা দিয়ে..
কাটিয়েছি নির্ঘুম রাত..
এই হৃদয় কে প্রশ্ন করেছো কখনো..? কতটা ভালোবাসো আমায়..?
আমি প্রশ্ন করেছিলাম.. হৃদয় আমায় বলেছে--
এই ভালোবাসার কোন তল খুঁজে পাবে না তুমি.. খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টাও করো না কখনো.. এতটাই গভীর তোমার ভালোবাসা.... যে খুঁজতে যাবে তোমার ভালোবাসার গভীরতা-- সে হারিয়ে যাবে তোমার ভালবাসার সমুদ্রে...
এই ভালোবাসার কোন তল খুঁজে পাবে না তুমি.. খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টাও করো না কখনো.. এতটাই গভীর তোমার ভালোবাসা.... যে খুঁজতে যাবে তোমার ভালোবাসার গভীরতা-- সে হারিয়ে যাবে তোমার ভালবাসার সমুদ্রে...
তাই ভুলে যেওনা হে প্রিয়তমা..
ভালোবাসি তোমায় অনেক...
ভালোবাসি তোমায় অনেক...
কষ্ট দিও না হে প্রিয়তমা.. তোমাকে পাবো বলে কম কষ্ট সহ্য করেনি এ হৃদয়...
শুধু ভালোবাসাই চাই..
শুধু ভালোবাসাই চাই..
তবে শুধু ভালোবাসা নয়.. অভিমানটাও দিও -সাথে একটু মিষ্টি রাগ....
আমাদের প্রেমের পূর্ণতা পাবে তোমার ঐ ছোট্ট ছোট্ট অভিমান ভরা আচরণ গুলো..
ছোট্ট একটি ঘর বানিয়ে এ হৃদয়ে রেখেছি তোমাকে.. খুব সুরক্ষিত জায়গায়...
সেখানে শুধুই আমার আনাগোনা আর কাউকে প্রবেশ করতে দেব না....
সেখানে আমার এই হৃদয়ের ওপর শুধু তোমারই আধিপত্য..
আমাদের প্রেমের পূর্ণতা পাবে তোমার ঐ ছোট্ট ছোট্ট অভিমান ভরা আচরণ গুলো..
ছোট্ট একটি ঘর বানিয়ে এ হৃদয়ে রেখেছি তোমাকে.. খুব সুরক্ষিত জায়গায়...
সেখানে শুধুই আমার আনাগোনা আর কাউকে প্রবেশ করতে দেব না....
সেখানে আমার এই হৃদয়ের ওপর শুধু তোমারই আধিপত্য..
তাই রাখবো না সেই হৃদয়, যেখানে তোমার চিহ্নমাত্র নেই - বিসর্জন দেবো সেই হৃদয়কে... ভালোবাসার সমুদ্রে ভাসিয়ে দেবো তাকে হে প্রিয়তমা..
বাঁচবো না তোমায় ছাড়া.. তুমিতো প্রাণভোমরা হয়ে এই হৃদয়ে আছো.. তাই চলে যেওনা এই হৃদয় ছেড়ে..
কথা দিচ্ছি এতটাই ভালোবাসবো যা ভাবতে পারবে না.. কেউ আমার মত তোমায় বাসতেও পারবে না..
হে অপরিচিতা, আজ তুমি আপনের চেয়েও আপন,,,তুমি মিশে রয়েছো জীবনের প্রতিটি অনুভূতির মাঝে, আমার আবেগ তোমাকে ঘিরে,,
ভালোবাসার দেয়াল তৈরি করেছি তোমার আর আমার মাঝে,,সেই দেয়ালে তোমারি নাম লেখা।
তোমাকে ঘিরে আমার আকা স্বপ্নগুলি মলিন করে দিওনা তুমি,
হে প্রিয়সী,,,,,
এই হৃদয় কে আঘাত করার আগে এই হৃদয়ে রাখা তোমার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসার দিকে একটু নজর দিও.. আমার বিশ্বাস তুমি আমারি হবে তখন...
এই হৃদয় কে আঘাত করার আগে এই হৃদয়ে রাখা তোমার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসার দিকে একটু নজর দিও.. আমার বিশ্বাস তুমি আমারি হবে তখন...
বড্ড বেশিই ভালোবাসি তোমায়.......
শেষ হতেই সবাই হাততালি দিয়ে আমার সাহিত্যের প্রশংসা করল,,
তবে আফসার ভাই শুধু হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
তবে আফসার ভাই শুধু হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
--আরে মিস্টার আফসার,, আপনি হা করে কী দেখছেন। কিছু বলুন, এত সুন্দর সাহিত্য করলেন মিস্টার মেহমেদ! কিছু তো একটা বলুন? (মিস শায়লা)
-- আরে মিস শায়লা, মিস্টার মেহমেদ এর কাছে তো আমি এখন প্রাইমারির ছাত্র হয়ে গেলাম। এত সুন্দর সাহিত্য...? সত্যিই আপনি মহান, আপনি মহান, জাস্ট- জাস্ট অ্যামেজিং, বিউটিফুল যা ভাষায় প্রকাশ করা একদমই, মানে কি যে বলব...
--আরে থামুন থামুন, বুঝতে পেরেছি আপনি সত্যি মুগ্ধ হয়েছেন উনার সাহিত্যে।( মিস শায়লা)
--মুগ্ধ মানে.? ডিসিশন তো ফাইনাল, আজ থেকে প্রতিদিন উনার কাছে সাহিত্যের ক্লাস নেব। যদি আমার ভাগ্যে সেরকম কেউ জুটে মিস্টার মেহমেদ এর শেখানো সাহিত্য শুনে।
-- আরে মিস শায়লা, মিস্টার মেহমেদ এর কাছে তো আমি এখন প্রাইমারির ছাত্র হয়ে গেলাম। এত সুন্দর সাহিত্য...? সত্যিই আপনি মহান, আপনি মহান, জাস্ট- জাস্ট অ্যামেজিং, বিউটিফুল যা ভাষায় প্রকাশ করা একদমই, মানে কি যে বলব...
--আরে থামুন থামুন, বুঝতে পেরেছি আপনি সত্যি মুগ্ধ হয়েছেন উনার সাহিত্যে।( মিস শায়লা)
--মুগ্ধ মানে.? ডিসিশন তো ফাইনাল, আজ থেকে প্রতিদিন উনার কাছে সাহিত্যের ক্লাস নেব। যদি আমার ভাগ্যে সেরকম কেউ জুটে মিস্টার মেহমেদ এর শেখানো সাহিত্য শুনে।
আফসার ভাইয়ের কথা শুনে সবাই হেসে দিল।
-- সাইলেন্স সাইলেন্স, লেডিস এন্ড জেন্টলম্যান -এখন আমাদের রেস্পেক্টাবল ম্যাম বলবেন যে মিস্টার মেহমেদ এর এত সুন্দর প্রেম ভরা- মধু ভরা সাহিত্য কেমন লেগেছে. ম্যাম প্লিজ বলুন----(আফসার ভাই)
তানহা আমার দিকে তাকিয়ে এক কথায় বলে দিলো--
-- যার মনে এত ভালোবাসা থাকে তার প্রিয়জনের জন্য, সে অবশ্যই একদিন তার প্রিয় মানুষটিকে পাবে আমার বিশ্বাস।। (একটু মুচকি হেসে)
-- ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ, আমারও বিশ্বাস, মিস্টার মেহমেদ যদি আমাকে তার প্রেমে ভরা সাহিত্য শিখিয়ে দেন, তাহলে আমিও একদিন আমার মনের মানুষ পাবো। কি মিস শায়লা ভুল বললাম??( হেঁয়ালি করে)
-- যার মনে এত ভালোবাসা থাকে তার প্রিয়জনের জন্য, সে অবশ্যই একদিন তার প্রিয় মানুষটিকে পাবে আমার বিশ্বাস।। (একটু মুচকি হেসে)
-- ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ, আমারও বিশ্বাস, মিস্টার মেহমেদ যদি আমাকে তার প্রেমে ভরা সাহিত্য শিখিয়ে দেন, তাহলে আমিও একদিন আমার মনের মানুষ পাবো। কি মিস শায়লা ভুল বললাম??( হেঁয়ালি করে)
মিস শায়লা তো লজ্জায় লাল হয়ে গেছে একদম..
--তা মিস শায়লা আপনি বলুন, কেমন হয়েছে...
--প্রশংসা করে মিষ্টার মেহমেদকে ছোট করব না,,,যত প্রশংসই করি না কেন, ততই কম হবে। শুধু এটুকুই বলবো, হৃদয়ে যদি পবিত্র প্রেম না থাকে, তাহলে এরকম সাহিত্য বলা দুষ্কর...ভাগ্যবান সেই মেয়ে যে মিষ্টার মেহমেদের নজর কাড়তে পেরেছে....
--প্রশংসা করে মিষ্টার মেহমেদকে ছোট করব না,,,যত প্রশংসই করি না কেন, ততই কম হবে। শুধু এটুকুই বলবো, হৃদয়ে যদি পবিত্র প্রেম না থাকে, তাহলে এরকম সাহিত্য বলা দুষ্কর...ভাগ্যবান সেই মেয়ে যে মিষ্টার মেহমেদের নজর কাড়তে পেরেছে....
একে একে সবাই আমার সাহিত্যের ভালো প্রশংসা করল, কমপ্লিমমেন্ট দিল।
প্রশংসাবাক্যে আমিতো প্রায় পঞ্চমুখ.....
প্রশংসাবাক্যে আমিতো প্রায় পঞ্চমুখ.....
এরই মাঝে ইয়াকুব স্যার আমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে এসেছে। সবার হাতে হাতে নাস্তা দেওয়া হয়েছে। নাস্তা খেয়ে আমরা আবার হাঁটতে শুরু করলাম।
এবার আর সবাই এক সঙ্গে নয়। বিচ্ছিন্নভাবে সবাই আলাদা আলাদা ভাবে হাঁটছে পাহাড়ের অলি গলিতে।
আমার কাছে মনে হচ্ছে এই মুহূর্তটা আমার জন্য খুবই রোমান্টিক, অনুকূলে। তানহাকে আমার মনের কথা বলার সঠিক সময়। তানহা দূরে একা দাঁড়িয়ে আছে।মনে সাহস করে আমি ওর কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম...
--এত সুন্দর সাহিত্য..? আগে জানতাম না তো..
--আপনি কি এখন জানলেন নাকি..?
-- না আগেও জানতাম। তবে এত বছর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন,, বন্ধু-বান্ধব থেকে আলাদা,, কোন চর্চা ছাড়াই এত সুন্দর সাহিত্য..?
আমি সত্যিই অবাক..( একটু হেসে)
-- এতে অবাক হওয়ার কি আছে..?
আফসার ভাই যেভাবে আমায় ফাঁদে ফেলেছে, কিছু না কিছু তো একটা করতেই হতো..তাই না..?
-- আচ্ছা তোর সেই ভালবাসার মানুষটার নাম তো আমি আজও জানলাম না...
যাকে উদ্দেশ্য করে এত সুন্দর সাহিত্য রচনা করলি,, তার নামটা তো আমার কাছে অজানাই থেকে গেল..?
-- কিছু নাম হৃদয়ে থাকে.. তা প্রকাশ করতে নেই. মনেই রাখতে হয়..
আর থাকতে হয় এমন একটি মানুষের অপেক্ষায়, যে ভালোবাসার দৃষ্টি দিয়ে ওই নামটি পড়তে পারবে..
--সত্যিই সেই মেয়েটি ভাগ্যবান, যাকে তোর মত একটি ছেলে ভালোবেসেছে..
-- সেই মেয়েটি ভাগ্যবান কি না, আমি জানিনা- তবে আমি খুব লাকি..
--কেন.?
-- কারন পৃথিবীতে এত মেয়ে থাকতে আমার মনটা শুধু তার প্রতি টানে..
এবং এই অদ্ভুত একটি বন্ধন আমাকে প্রশান্তি দেয়।
-- সেই মেয়েটি যদি একদিন এসে তোকে বলে, যে সে তোর জীবনে ফিরতে চায়। তোকে ভালোবাসে।
কি করবি সেদিন..?
-- ঠিক একই প্রশ্ন আমি আপনাকে করেছিলাম..
.. তানিম এর ব্যাপারে। আপনার উত্তরটা কি ছিল মনে আছে..?
বলেছিলেন,, সেই পরিস্থিতিতে আপনি কি বলবেন তা আপনি জানেন না। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই, জানিনা।।।
--আপনি কি এখন জানলেন নাকি..?
-- না আগেও জানতাম। তবে এত বছর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন,, বন্ধু-বান্ধব থেকে আলাদা,, কোন চর্চা ছাড়াই এত সুন্দর সাহিত্য..?
আমি সত্যিই অবাক..( একটু হেসে)
-- এতে অবাক হওয়ার কি আছে..?
আফসার ভাই যেভাবে আমায় ফাঁদে ফেলেছে, কিছু না কিছু তো একটা করতেই হতো..তাই না..?
-- আচ্ছা তোর সেই ভালবাসার মানুষটার নাম তো আমি আজও জানলাম না...
যাকে উদ্দেশ্য করে এত সুন্দর সাহিত্য রচনা করলি,, তার নামটা তো আমার কাছে অজানাই থেকে গেল..?
-- কিছু নাম হৃদয়ে থাকে.. তা প্রকাশ করতে নেই. মনেই রাখতে হয়..
আর থাকতে হয় এমন একটি মানুষের অপেক্ষায়, যে ভালোবাসার দৃষ্টি দিয়ে ওই নামটি পড়তে পারবে..
--সত্যিই সেই মেয়েটি ভাগ্যবান, যাকে তোর মত একটি ছেলে ভালোবেসেছে..
-- সেই মেয়েটি ভাগ্যবান কি না, আমি জানিনা- তবে আমি খুব লাকি..
--কেন.?
-- কারন পৃথিবীতে এত মেয়ে থাকতে আমার মনটা শুধু তার প্রতি টানে..
এবং এই অদ্ভুত একটি বন্ধন আমাকে প্রশান্তি দেয়।
-- সেই মেয়েটি যদি একদিন এসে তোকে বলে, যে সে তোর জীবনে ফিরতে চায়। তোকে ভালোবাসে।
কি করবি সেদিন..?
-- ঠিক একই প্রশ্ন আমি আপনাকে করেছিলাম..
.. তানিম এর ব্যাপারে। আপনার উত্তরটা কি ছিল মনে আছে..?
বলেছিলেন,, সেই পরিস্থিতিতে আপনি কি বলবেন তা আপনি জানেন না। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই, জানিনা।।।
দুজনই নীরব হয়ে গেছি। এসেছিলাম আমার মনের কথা বলতে, কিন্তু তানহার রহস্যময় প্রশ্ন গুলো আমায় থামিয়ে দিল।
হঠাৎ তানহার ফোন বেজে উঠলো, ফোন রিসিভ করে কিছুক্ষণ কথা বলল -তারপর কেটে দিল..
--কে ফোন করেছিল?
-- বাবা. (মুখটা গোমরা করে)
-- কিছু হয়েছে..?
-- বাবা আমার জন্য ছেলে দেখেছে...
-- বাবা. (মুখটা গোমরা করে)
-- কিছু হয়েছে..?
-- বাবা আমার জন্য ছেলে দেখেছে...
ওর মুখে কথাটা শুনে বুকের ভেতরটা যেন কেমন করে উঠলো। বুঝতে পারছিলাম না কি করবো, কি বলবো। আমার জীবনে যাই ঘটছে সবই যেন অপ্রত্যাশিতভাবে।
আমি কি আবার তানহাকে হারাতে চলেছি..? এতটা কাছে পেয়েও আমি কি ওকে আবার হারিয়ে ফেলবো..? এসব ভাবতে ভাবতেই মনের ভেতরটা কালো মেঘে ছেয়ে গেল......
--কিরে চুপ করে আছিস কেন..? (তানহা)
--ছেলেকে আপনার পছন্দ হয়েছে..?
--এখনো দেখিনি- ছেলে নাকি আমেরিকা থাকে..
খুব ভালো অবস্থানে আছে। ও আমাকে নাকি বিয়ের পর ওদেশে নিয়ে যাবে,,, এখানে থাকতে দেবেনা।।
--ছেলেকে আপনার পছন্দ হয়েছে..?
--এখনো দেখিনি- ছেলে নাকি আমেরিকা থাকে..
খুব ভালো অবস্থানে আছে। ও আমাকে নাকি বিয়ের পর ওদেশে নিয়ে যাবে,,, এখানে থাকতে দেবেনা।।
এবার আমার মনের কষ্টটা যেন চোখ দিয়ে প্রকাশ করতে চাইছে। যেন চোখ গুলো আমার ভিজে যাচ্ছে। কিন্তু নিজেকে কন্ট্রোল করে ওকে একটি প্রশ্ন করলাম-----
-- আপনি কি বিয়েটা করবেন? (মাথা নিচু করে)
---তুই এভাবে কেন বলছিস মেহমেদ..?
--না আসলে এমনিই..
--জানিনা- তবে আগে ভেবে দেখব..
---তুই এভাবে কেন বলছিস মেহমেদ..?
--না আসলে এমনিই..
--জানিনা- তবে আগে ভেবে দেখব..
কথাটা বলেই তানহা হাঁটতে শুরু করল।
বিয়ের ব্যাপারে ও একেবারেই অসম্মতি প্রকাশ করেনি.. আবার সম্মতিও প্রকাশ করেনি..
বিয়ের ব্যাপারে ও একেবারেই অসম্মতি প্রকাশ করেনি.. আবার সম্মতিও প্রকাশ করেনি..
সবকিছুই ঘোলাটে। আচ্ছা ও কি আমার মনের কথা বুঝতে পারে..? ও কি অনুভব করতে পারে আমার ভালোবাসা..?
ওকে হারিয়ে ফেলেছি ভেবে এতটা বছর দূরে ছিলাম অভিমানের কারণে। কিন্তু আবার যখন ওকে ফিরে পেলাম। পেয়েও কি আবার আমাকে হারানোর যন্ত্রণা পেতে হবে...?
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। কষ্টগুলো যেন ভেতরে আটকে থাকে। খাচার পাখির মতো......
হঠাৎ তানহা আমায় ওর কাছে ডাক দিল। ওর কাছে গিয়ে বললাম----
হঠাৎ তানহা আমায় ওর কাছে ডাক দিল। ওর কাছে গিয়ে বললাম----
-- কি হলো ডাকছেন কেন..?
--ডাকছেন কেন মানে কি..?
ওখানে দাঁড়িয়ে কি এত ভাবছিস শুনি..? চল আমার সাথে।
--কোথায়..?
--আয় না.. এত প্রশ্ন করিস কেন.?
--কিন্তু আফসার ভাই সহ বাকিরা যে এখানে..?
-- থাকুক ওরা এইখানে-- তুই আমার সাথে চল..
--আরে কোথায় যাব- সেটা তো বলবেন..?
এবার খুব রেগে আমার দিকে তাকালো--
-- তুই আমার সাথে যাবি..?
--ডাকছেন কেন মানে কি..?
ওখানে দাঁড়িয়ে কি এত ভাবছিস শুনি..? চল আমার সাথে।
--কোথায়..?
--আয় না.. এত প্রশ্ন করিস কেন.?
--কিন্তু আফসার ভাই সহ বাকিরা যে এখানে..?
-- থাকুক ওরা এইখানে-- তুই আমার সাথে চল..
--আরে কোথায় যাব- সেটা তো বলবেন..?
এবার খুব রেগে আমার দিকে তাকালো--
-- তুই আমার সাথে যাবি..?
আমি ওর রাগ দেখে আর কথা বাড়ালাম না। সোজা ওর প্রাইভেট কারে উঠে পরলাম। তানহা ও গাড়িতে উঠে বিড়বিড় করে আমায় বলছে -----
-- সব সময় বেশি কথা বলিস -একটু কম কথা বলতে পারিস না..? এত প্রশ্ন কেন তোর মনে..? সব সময় এতো প্রশ্ন করিস কেন শুনি..?
-- কি করবো বলেন? আমার দেখাশোনা করার মতো তো কেউ নাই?
আমার যদি কিছু হয়ে যায় তখন....
--মানে? আমি তোর দেখাশোনা করি না..?
-- করেন তো..কিন্তু ওই যে সেদিন বাসে বললেন না- আপনি সব সময় থাকবেন না. চলে যাবেন.
নিজের খেয়াল নিজে রাখতে...
( মাথা নিচু করে একটু মুচকি হেসে)
-- এসব কথা বলে আমাকে কষ্ট দিতে তোর খুব ভালো লাগে তাই না...? আনন্দ পাস এসবে..?
-- কি করবো বলেন? আমার দেখাশোনা করার মতো তো কেউ নাই?
আমার যদি কিছু হয়ে যায় তখন....
--মানে? আমি তোর দেখাশোনা করি না..?
-- করেন তো..কিন্তু ওই যে সেদিন বাসে বললেন না- আপনি সব সময় থাকবেন না. চলে যাবেন.
নিজের খেয়াল নিজে রাখতে...
( মাথা নিচু করে একটু মুচকি হেসে)
-- এসব কথা বলে আমাকে কষ্ট দিতে তোর খুব ভালো লাগে তাই না...? আনন্দ পাস এসবে..?
কথাটা শুনে ওর দিকে তাকাতেই দেখি ওর চোখ গুলো ভিজে গেছে। ফোটা ফোটা পানি পড়ছে চোখ বেয়ে। কাঁদছে.....
-- আপনি কাঁদছেন.?( আমি অবাক হয়ে)
--কেন?
তুই তো এটাই চাস, যে আমি কাঁদি. তাই না???
--কেন?
তুই তো এটাই চাস, যে আমি কাঁদি. তাই না???
কথাটা বলেই বাইরের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিল। ওর এই অভিমান ভরা আচরণ গুলি আমাকে বারবার ঘায়েল করেছে। বাধ্য করেছো প্রেমে পড়তে। তাই তো মেয়েটাকে এত ভালবাসি। এতটাই ভাল লাগে আমার।
আমি খুব সাহস করে আমার হাতটা বাড়িয়ে দিলাম ওর গালে। মুখটা আমার দিকে ফিরিয়ে আনলাম। হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে চোখের পানি গুলো মুছে দিলাম।
-- প্লিজ কাঁদবেন না. আমার খুব খারাপ লাগে আপনাকে কাঁদতে দেখলে...?
--আমি কাঁদলে তোর কি? আমি কষ্ট পেলেই বা তোর কি????
-- প্লিজ এসব বলবেন না.
আমার খুব খারাপ লাগে। খুব কষ্ট হয় আপনাকে কাঁদতে দেখলে।।।
-- কেন? তোর কষ্ট পাওয়ার কি আছে?
(কাঁদো কাঁদো গলায়)
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম..
--সেটাই যদি বুঝতেন, তাহলে আর চোখের পানি গুলো অন্য ভাবে মুছে দিতাম।।
-- মানে? কিছু বুঝলাম না.
--বাদ দিন. কোথায় যাচ্ছি আমরা??
--এই তো এসে পড়েছি.
--আমি কাঁদলে তোর কি? আমি কষ্ট পেলেই বা তোর কি????
-- প্লিজ এসব বলবেন না.
আমার খুব খারাপ লাগে। খুব কষ্ট হয় আপনাকে কাঁদতে দেখলে।।।
-- কেন? তোর কষ্ট পাওয়ার কি আছে?
(কাঁদো কাঁদো গলায়)
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম..
--সেটাই যদি বুঝতেন, তাহলে আর চোখের পানি গুলো অন্য ভাবে মুছে দিতাম।।
-- মানে? কিছু বুঝলাম না.
--বাদ দিন. কোথায় যাচ্ছি আমরা??
--এই তো এসে পড়েছি.
হঠাত গাড়ীটা থামলো। গাড়ি থেকে তানহা নেমে বললো ---
--এবার আয়...
গাড়ি থেকে নেমে দেখি, খুব সুন্দর একটি জায়গায় নিয়ে এসেছে।। পাহাড়ের গা বেয়ে ঝর্ণা পড়ছে। ঝর্ণার শব্দ যেন চারিদিকে আলাদা একটা পরিবেশ তৈরি করছে। সত্যি খুব মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।
প্রাণটা জুড়িয়ে গেল এখানে এসে।
--- সুন্দর জায়গা না..? (তানহা)
--হ্যাঁ খুব সুন্দর..
-- আচ্ছা মেহমেদ, ঝর্ণায় কোনদিন গোসল করেছিস..?
-- নাহ, কোন দিন হয়ে ওঠেনি। করন??
-- তাহলে চল আজকে ঝর্ণায় গোসল করি দুজনে..
-- মানে.. (খুব অবাক হয়ে)
--একি, তোর চোখ গুলো এতো বড় বড় হয়ে গেছে কেন কথা শুনে...?
--আপনি কি এখানে গোসল করতে চাইছেন...?
--হ্যাঁ, সেটাই তো বললাম।
-- মানে, আপনি এই পাবলিক প্লেসে, খোলা পরিবেশে গোসল করবেন..??
--আশ্চর্য, তাতে কি হয়েছে?? দেখছিস না -কত মানুষ এখানে গোসল করছে??
--সেটাই তো প্রবলেম. এখানে কত মানুষ দেখেছেন..? আর আপনি গোসল করবেন.
ওরা আপনার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে........
না না না ....
আপনার এখানে গোসল করার প্রয়োজন নেই।
--কি সব যাতা বলছিস.? দেখছিস না এখানে কত মেয়েরা গোসল করছে.? সবাই কি তাকিয়ে আছে নাকি ওদের দিকে..?
---আশ্চর্য তো...
সব মেয়ে আর আপনি কি এক হলেন নাকি..?
-- মেহমেদ. তুই ঠিক আগের মতই সেকেলে রয়ে গেলি.. একটুও চেঞ্জ হলি না..
নিজের চিন্তা ভাবনাটা কে একটু পরিবর্তন কর।বুঝলি......?
-- দেখুন আমার চিন্তা ভাবনা যেমন. তেমনি থাক. পরিবর্তন করার কোন প্রয়োজন নেই..
আপনি শুধু এখানে গোসল করবেন না ব্যাস...
-- ধ্যাত, এত সুন্দর জায়গায় এসে গোসল না করলে খুব মিস করবো...
-- আরে হোটেলে কি গোসল করার জায়গার অভাব আছে নাকি? যে আপনি এখানে গোসল করবেন..?
-- মেহমেদ, তোর না বুদ্ধিসুদ্ধি লোপ পেয়েছে।
হোটেলে গোসল করা আর এখানে গোসল করার মজা কি এক হবে..?
-- দেখুন এত কিছু বুঝিনা. এখানে আপনার গোসল করার প্রয়োজন নেই..
--বেশি কথা বলবি না তো।
আমি এখানে গোসল করব ব্যাস।।
--হ্যাঁ খুব সুন্দর..
-- আচ্ছা মেহমেদ, ঝর্ণায় কোনদিন গোসল করেছিস..?
-- নাহ, কোন দিন হয়ে ওঠেনি। করন??
-- তাহলে চল আজকে ঝর্ণায় গোসল করি দুজনে..
-- মানে.. (খুব অবাক হয়ে)
--একি, তোর চোখ গুলো এতো বড় বড় হয়ে গেছে কেন কথা শুনে...?
--আপনি কি এখানে গোসল করতে চাইছেন...?
--হ্যাঁ, সেটাই তো বললাম।
-- মানে, আপনি এই পাবলিক প্লেসে, খোলা পরিবেশে গোসল করবেন..??
--আশ্চর্য, তাতে কি হয়েছে?? দেখছিস না -কত মানুষ এখানে গোসল করছে??
--সেটাই তো প্রবলেম. এখানে কত মানুষ দেখেছেন..? আর আপনি গোসল করবেন.
ওরা আপনার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে........
না না না ....
আপনার এখানে গোসল করার প্রয়োজন নেই।
--কি সব যাতা বলছিস.? দেখছিস না এখানে কত মেয়েরা গোসল করছে.? সবাই কি তাকিয়ে আছে নাকি ওদের দিকে..?
---আশ্চর্য তো...
সব মেয়ে আর আপনি কি এক হলেন নাকি..?
-- মেহমেদ. তুই ঠিক আগের মতই সেকেলে রয়ে গেলি.. একটুও চেঞ্জ হলি না..
নিজের চিন্তা ভাবনাটা কে একটু পরিবর্তন কর।বুঝলি......?
-- দেখুন আমার চিন্তা ভাবনা যেমন. তেমনি থাক. পরিবর্তন করার কোন প্রয়োজন নেই..
আপনি শুধু এখানে গোসল করবেন না ব্যাস...
-- ধ্যাত, এত সুন্দর জায়গায় এসে গোসল না করলে খুব মিস করবো...
-- আরে হোটেলে কি গোসল করার জায়গার অভাব আছে নাকি? যে আপনি এখানে গোসল করবেন..?
-- মেহমেদ, তোর না বুদ্ধিসুদ্ধি লোপ পেয়েছে।
হোটেলে গোসল করা আর এখানে গোসল করার মজা কি এক হবে..?
-- দেখুন এত কিছু বুঝিনা. এখানে আপনার গোসল করার প্রয়োজন নেই..
--বেশি কথা বলবি না তো।
আমি এখানে গোসল করব ব্যাস।।
কথাটা বলেই ও পা বাড়ালো ঝর্ণার থেকে। আর ঠিক তখনই আমি ওর হাতটা ধরে নিজের খুব কাছে নিয়ে এলাম।
খুব বিরক্তিকর কন্ঠে বলতে লাগলাম----
-- আপনাকে একটি কথা বুঝিয়ে বললে আপনি বোঝেন না কেন হাহ...?
আপনাকে বলেছিনা এইখানে গোসল করার কোন প্রয়োজন নেই..?
আপনি এখানে গোসল করবেন আর কত ছেলেরা আপনাকে এই ভেজা অবস্থায় দেখবে...আপনি জানেন??
একবার বলেছি যখন এখানে গোসল করার কোন প্রয়োজন নেই তো প্রয়োজন নেই ব্যাস।
এই নিয়ে আর কোনো আর্গুমেন্ট হবেনা।
এত জেদ কেন আপনার..?
একটি কথা ভালোভাবে ঢুকিয়ে নিন মাথার ভেতর। যতদিন আপনি এখানে আছেন। আপনার সিকিউরিটির দায়িত্ব আমার। সো, এখানে গোসল করবেন না তো করবেন না....
আর কোন কথা নয়... বুঝছেন........?
আপনাকে বলেছিনা এইখানে গোসল করার কোন প্রয়োজন নেই..?
আপনি এখানে গোসল করবেন আর কত ছেলেরা আপনাকে এই ভেজা অবস্থায় দেখবে...আপনি জানেন??
একবার বলেছি যখন এখানে গোসল করার কোন প্রয়োজন নেই তো প্রয়োজন নেই ব্যাস।
এই নিয়ে আর কোনো আর্গুমেন্ট হবেনা।
এত জেদ কেন আপনার..?
একটি কথা ভালোভাবে ঢুকিয়ে নিন মাথার ভেতর। যতদিন আপনি এখানে আছেন। আপনার সিকিউরিটির দায়িত্ব আমার। সো, এখানে গোসল করবেন না তো করবেন না....
আর কোন কথা নয়... বুঝছেন........?
হাপিয়ে গেছি একদম। এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে দিলাম ওকে। আর কথাগুলো বলে যেন আমি বোকা বনে গেলাম। এভাবে কোনদিন ওর সাথে কথা বলিনি।
তানহা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আমার কথাগুলো শুনছিল। ওর চোখেমুখে অবাক করা ছাপ। আমি যে ওর প্রতি এতটা কেয়ারফুল হব ও বোধহয় আমার কাছ থেকে এটা একসেপ্ট করেনি।
ওর মুখের কোনে ছোট্ট একটি হাসি মেখে আমাকে প্রশ্ন করল------
-- মেহমেদ, তুই ঠিক আছিস?? কি হয়েছে তোর??
ওর কথা শুনে আমার যেন চৈতন্য ফিরে এলো। আমি হুট করে ওর হাতটা ছেড়ে দিলাম।
--কিরে. কি হলো বল? এতটা রেগে গেলি কেন?
--না আসলে ম্যাম. আইম স্যরি, মানে.. (আমতা আমতা করছি)
--আচ্ছা ঠিক আছে. আমি এখানে গোসল করব না। ওকে...
-- আমি মুখে মুচকি হাসি নিয়ে মাথা নাড়লাম...
তানহাও মুচকি মুচকি হাসছে।
--না আসলে ম্যাম. আইম স্যরি, মানে.. (আমতা আমতা করছি)
--আচ্ছা ঠিক আছে. আমি এখানে গোসল করব না। ওকে...
-- আমি মুখে মুচকি হাসি নিয়ে মাথা নাড়লাম...
তানহাও মুচকি মুচকি হাসছে।
--নে এবার চল. হাটি --
--জ্বী চলুন..
--কি ব্যাপার. এত রেগে গেলি কেন?( হাঁটতে হাঁটতে)
- না আসলে মাথা ঠিক ছিল না তখন.
--তা এখানে আমার প্রটেকশন এর দায়িত্ব তোর,
তাই না?? (মুচকি হেসে)
আমি তো লজ্জায় ওর দিকে তাকাতেই পারছিনা। ওদিক ফিরে শুধুই হাসছি।
তানহা বোধহয় আমার ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে, তাই আর বেশি কথা বাড়ায়নি।
--জ্বী চলুন..
--কি ব্যাপার. এত রেগে গেলি কেন?( হাঁটতে হাঁটতে)
- না আসলে মাথা ঠিক ছিল না তখন.
--তা এখানে আমার প্রটেকশন এর দায়িত্ব তোর,
তাই না?? (মুচকি হেসে)
আমি তো লজ্জায় ওর দিকে তাকাতেই পারছিনা। ওদিক ফিরে শুধুই হাসছি।
তানহা বোধহয় আমার ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে, তাই আর বেশি কথা বাড়ায়নি।
হঠাৎ তানহার ফোন বেজে উঠলো। ফোন রিসিভ করে কিছুক্ষণ কথা বলে কেটে দিলো। জিজ্ঞেস করতেই বললো আর্জেন্ট মিটিং পড়েছে, তাই এখনই হোটেল যেতে হবে।
-- মিটিং. কিন্তু আমরা তো এখানে ট্যুর-এ এসেছি। এখানে আবার কিসের মিটিং?
--আসলে খাগড়াছড়িতে আমাদের যে অফিস টা আছে, ওখানে কিছু এমপ্লয়ি নিয়োগ করতে হবে।
কিন্তু ওদের কে যে সিলেক্ট করবে, সে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই ঢাকা থেকে ফোন করে আমাকে যেতে বলেছে।
--ও তাহলে দেরি কেন, জলদি চলুন। নিশ্চয়ই ওরা অপেক্ষা করছে।
-- হ্যাঁ চল...
--আসলে খাগড়াছড়িতে আমাদের যে অফিস টা আছে, ওখানে কিছু এমপ্লয়ি নিয়োগ করতে হবে।
কিন্তু ওদের কে যে সিলেক্ট করবে, সে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই ঢাকা থেকে ফোন করে আমাকে যেতে বলেছে।
--ও তাহলে দেরি কেন, জলদি চলুন। নিশ্চয়ই ওরা অপেক্ষা করছে।
-- হ্যাঁ চল...
আমরা দুজনেই বেশি ঘোরাঘুরি না করে জলদি গাড়িতে উঠে সোজা হোটেলে চলে গেলাম।
আলাদা একটি রুমে ইন্টারভিউ হবে। সেখানে ইয়াকুব স্যার আর তানহা থাকবে। কিন্তু তানহা আমাকেও সাথে যেতে বলল।
কি আর করার। ওর কথা মতো ওর সাথে গিয়ে বসলাম। 17 জন ইন্টারভিউ দিতে এসেছে। তাদের মধ্য থেকে 10 জনকে সিলেক্ট করা হবে।
একে একে সবাই ইন্টারভিউ দিচ্ছে। ইয়াকুব স্যার, তানহা তাদেরকে কিছু প্রশ্ন করছে। কেউ দিতে পারছে, কেউ পারছেনা।
একে একে 13 জন ইন্টারভিউ দিল। তানহা নিচে তাকিয়ে তাদের নাম্বার দিচ্ছে।
হঠাৎ 14 নাম্বারে ইন্টারভিউ দিতে আসা একটি ছেলে রুমে ঢুকেই তানহা কে দেখে তানহার নাম ধরে বলল--
-- তানহা তুমি এখানে..?
তানহা কথা শুনে মুখ তুলে তাকাতেই ওর মুখটা একদম কালো হয়ে গেল। ইন্টারভিউ দিতে আসা একটি ছেলে অফিসের বসকে কিভাবে নাম ধরে ডাকে..??বিষয়টা আমার কাছে একদম ঘোলাটে লাগছিল।
তানহা কথা শুনে মুখ তুলে তাকাতেই ওর মুখটা একদম কালো হয়ে গেল। ইন্টারভিউ দিতে আসা একটি ছেলে অফিসের বসকে কিভাবে নাম ধরে ডাকে..??বিষয়টা আমার কাছে একদম ঘোলাটে লাগছিল।
হঠাৎ তানহা রাগী কন্ঠে বলে উঠল -----
চলবে...
0 Comments