আমার জীবনের সব অনুভুতি, পছন্দ অপছন্দ, সব গোপনীয় কথা ওই ডায়রিতে লিপিবদ্ধ করা আছে।
এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠলো..
দড়জা খুলেই দেখি ঐশী....
আমি ছয় পাঁচ না ভেবে হুট করে ঐশী কে প্রশ্ন করলাম--
দড়জা খুলেই দেখি ঐশী....
আমি ছয় পাঁচ না ভেবে হুট করে ঐশী কে প্রশ্ন করলাম--
-- আপনি কি আমার ডায়েরি নিয়েছেন..?
ঐশী আমার কথায় তো পুরো হতবাক, ঐশী খুব রাগী কন্ঠে আমাকে উত্তর দিল--
-- কিহ..?
কি সব যাতা বলছেন আপনি..? আপনার কি মনে হয়, কারো ব্যক্তিগত ডায়েরি নিয়ে আমি কি করব..? আর আপনার এত বড় সাহস কি করে হয় এই বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করার.? আমি কি এতটাই চিপ, যে কারো ব্যক্তিগত জিনিসে না বলে হাত দেবো..?
--না আসলে কালকে তো আমি দরজা খুলে ঘুমিয়েছিলাম তাই ভেবেছিলাম....
-- কি কি ভেবেছিলেন আপনি..?(চোখ রাঙিয়ে)
-- না আসলে আপনি ছাড়া তো আমার ঘরে আর কেউ আসে না তাইইই.....
-- দেখুন আপনি কিন্তু এবার আপনার লিমিট ক্রস করছেন..
--আইম সরি, আমি দুঃখিত।
-- ঠিক আছে, আর বাই দ্যা ওয়ে, আপনি কালকে দরজা খুলে ঘুমিয়ে ছিলেন কেন..?
-- এমনি মনে ছিল না(মাথা নিচু করে)
কি সব যাতা বলছেন আপনি..? আপনার কি মনে হয়, কারো ব্যক্তিগত ডায়েরি নিয়ে আমি কি করব..? আর আপনার এত বড় সাহস কি করে হয় এই বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করার.? আমি কি এতটাই চিপ, যে কারো ব্যক্তিগত জিনিসে না বলে হাত দেবো..?
--না আসলে কালকে তো আমি দরজা খুলে ঘুমিয়েছিলাম তাই ভেবেছিলাম....
-- কি কি ভেবেছিলেন আপনি..?(চোখ রাঙিয়ে)
-- না আসলে আপনি ছাড়া তো আমার ঘরে আর কেউ আসে না তাইইই.....
-- দেখুন আপনি কিন্তু এবার আপনার লিমিট ক্রস করছেন..
--আইম সরি, আমি দুঃখিত।
-- ঠিক আছে, আর বাই দ্যা ওয়ে, আপনি কালকে দরজা খুলে ঘুমিয়ে ছিলেন কেন..?
-- এমনি মনে ছিল না(মাথা নিচু করে)
কালকে তানহা আর নানু কে এগিয়ে দিয়ে আসার পর সেই যে শুয়ে ছিলাম দরজা আটকাতে আর মনেই ছিল না, এই ফাঁকে হয়তো কেউ আমার ডাইরিটা নিয়ে গেছে।
-- এই নিন (আমার হাতে একটা কার্ড ধরিয়ে দিয়ে)
--কি এটা..?
-- আমার জন্মদিনের ইনভিটেশন কার্ড।
-- আজকে আপনারও জন্মদিন??
--মানে, আজকে আর কয়টা জন্মদিনের দাওয়াত আছে আপনার..?
--না নেই.
-- তাহলে..?
-- এমনি জিজ্ঞেস করেছিলাম..?( মাথা নিচু করে)
--হুম, আর হ্যাঁ সকালে নাস্তা করেছেন.? আপনর তো আবার সকালে নাস্তা করার অভ্যাস নেই। সেদিন এসেছিলাম নাস্তা নিয়ে আপনি সেই যে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলেন পরে নাস্তা খাওয়াই হলো না..
--আসলে সকালে খুধা লাগে না আমার।
--আজব তো? সকালে আবার কার খুধা না লাগে? নাকি সকালে রোজা রাখেন আপনি?
--( আমি মাথা নিচু করে চুপ করে আছি)
--আচ্ছা রাতে খেয়ে ছিলেন..?
-- হুম..
-- কি খেয়েছেন রাতে..?
-- পায়েস.
--পায়েস..?পায়েস কোথায় পেলেন..? নাকি আপনি বানিয়েছেন..?
-- না না, একজন রিলেটিভ দিয়ে গেছে।
--আমার জানামতে তো আপনার এখানে কোন রিলেটিভ নেই। আচ্ছা যাইহোক, সন্ধ্যায় সময় মতো চলে আসবেন কিন্তু।
--( আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলাম)
--কি এটা..?
-- আমার জন্মদিনের ইনভিটেশন কার্ড।
-- আজকে আপনারও জন্মদিন??
--মানে, আজকে আর কয়টা জন্মদিনের দাওয়াত আছে আপনার..?
--না নেই.
-- তাহলে..?
-- এমনি জিজ্ঞেস করেছিলাম..?( মাথা নিচু করে)
--হুম, আর হ্যাঁ সকালে নাস্তা করেছেন.? আপনর তো আবার সকালে নাস্তা করার অভ্যাস নেই। সেদিন এসেছিলাম নাস্তা নিয়ে আপনি সেই যে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলেন পরে নাস্তা খাওয়াই হলো না..
--আসলে সকালে খুধা লাগে না আমার।
--আজব তো? সকালে আবার কার খুধা না লাগে? নাকি সকালে রোজা রাখেন আপনি?
--( আমি মাথা নিচু করে চুপ করে আছি)
--আচ্ছা রাতে খেয়ে ছিলেন..?
-- হুম..
-- কি খেয়েছেন রাতে..?
-- পায়েস.
--পায়েস..?পায়েস কোথায় পেলেন..? নাকি আপনি বানিয়েছেন..?
-- না না, একজন রিলেটিভ দিয়ে গেছে।
--আমার জানামতে তো আপনার এখানে কোন রিলেটিভ নেই। আচ্ছা যাইহোক, সন্ধ্যায় সময় মতো চলে আসবেন কিন্তু।
--( আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলাম)
আমি দরজাটা লাগিয়ে বিছানায় বসতেই আবার কলিংবেল বেজে উঠলো, দরজা খুলে দেখি আবার ঐশী...
-- কিছু বলবেন??
-- এই নিন..
-- কি এটা..?
-- আপনি কি এই বয়সে চোখে কম দেখেন নাকি, দেখতে পাচ্ছেন না এটা সকালের নাস্তা? এটা খেয়ে যেখানে যাওয়ার যাবেন ধরুন। (আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেল)
-- এই নিন..
-- কি এটা..?
-- আপনি কি এই বয়সে চোখে কম দেখেন নাকি, দেখতে পাচ্ছেন না এটা সকালের নাস্তা? এটা খেয়ে যেখানে যাওয়ার যাবেন ধরুন। (আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেল)
নাস্তা টেবিলের উপর রেখে আবার ডাইরিটা খুজতে লাগলাম। পুরো ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম, কোথাও ডাইরিটা পেলাম না। তাহলে কি ডাইরিটা তানহা নিয়েছে??
ও ছাড়া আর কে নিতে পারে.?
কাল রাতে যে ভাবে মুচকি মুচকি হাসছিল আমার তো মনে হয় ওই আমার ডায়রিটা নিয়েছে।
কিন্তু কাউকে না বলে কারো ব্যক্তিগত জিনিসে হাত দেয়ার মেয়ে তো তানহা না,,
তাহলে কি ঐশি..?
কিন্তু ঐশী তো ঐরকম স্বভাবের নয়। যথেষ্ট নম্র-ভদ্র স্বভাবের মেয়ে ও। একটু রাগী অবশ্য। বাবার একমাত্র মেয়ে বলে কথা।
3 মাস আগে ওদের বাড়িতে ভাড়ায় এসেছিলাম। দুমাস দেখাদেখিতেই চলে গেল। অনেক বার সামনাসামনি হয়েছিলাম। কিন্তু কথা বলিনি। দুমাস পর ঐশী জোরপূর্বক ই আমার সাথে কথা বললো।
আমার নাকি খুব অহংকার, মেয়েদের সাথে কথা বলি না ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু..
ও ছাড়া আর কে নিতে পারে.?
কাল রাতে যে ভাবে মুচকি মুচকি হাসছিল আমার তো মনে হয় ওই আমার ডায়রিটা নিয়েছে।
কিন্তু কাউকে না বলে কারো ব্যক্তিগত জিনিসে হাত দেয়ার মেয়ে তো তানহা না,,
তাহলে কি ঐশি..?
কিন্তু ঐশী তো ঐরকম স্বভাবের নয়। যথেষ্ট নম্র-ভদ্র স্বভাবের মেয়ে ও। একটু রাগী অবশ্য। বাবার একমাত্র মেয়ে বলে কথা।
3 মাস আগে ওদের বাড়িতে ভাড়ায় এসেছিলাম। দুমাস দেখাদেখিতেই চলে গেল। অনেক বার সামনাসামনি হয়েছিলাম। কিন্তু কথা বলিনি। দুমাস পর ঐশী জোরপূর্বক ই আমার সাথে কথা বললো।
আমার নাকি খুব অহংকার, মেয়েদের সাথে কথা বলি না ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু..
কিন্তু আমার ডায়েরী টা কি নিতে পারে..কে আসতে পারে আমার ঘরে..? রাতে কেন যে দরজা খুলে ঘুমিয়ে ছিলাম..
যাইহোক অফিসের লেট হয়ে যাচ্ছে বাড়ি থেকে বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে সোজা অফিসে চলে গেলাম। অফিস গিয়ে আমার সাথে নিয়োগ হওয়া সবার সাথে পরিচিত হলাম। তার মধ্যে একজন হলেন আফসার ভাই। খুবই বন্ধু সুলভ মানুষ। খুব সহজে আমার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। পিয়ন কেবিন দেখিয়ে দিল, আমি আমার কেবিনে বসে প্রথম দিনের কাজ শুরু করে দিলাম। তবে লক্ষ্য করলাম পুরনো কর্মচারীরা বসকে নিয়ে মানে তানহা কি নিয়ে কি যেন বলছিল।
ওদিকে আমি কান না দিয়ে নিজের কাজ করতে লাগলাম।
ওদিকে আমি কান না দিয়ে নিজের কাজ করতে লাগলাম।
হঠাৎ পিয়ন এসে বলল তানহা আমাকে ডাকছে, আমি উঠে গিয়ে তানহার রুমে গেলাম।দেখেই পুরা ক্রাশ খেলাম।
আজ আবার অন্যরকম সাজে দেখছি, মেয়েটা যে কত সুন্দর সাহিত্যে বর্ণনা করা ও দায়, ওরর সৌন্দর্যের কোনো তুলনাই হয় না। এতোটাই সৌন্দর্য ওর মধ্যে---
আজ আবার অন্যরকম সাজে দেখছি, মেয়েটা যে কত সুন্দর সাহিত্যে বর্ণনা করা ও দায়, ওরর সৌন্দর্যের কোনো তুলনাই হয় না। এতোটাই সৌন্দর্য ওর মধ্যে---
কালো শাড়ি, কানে ছোট্ট দুটো ঝুমকো, কপালে একটি কালো টিপ, নাকে ছোট্ট একটি নাকের নোত..চোখের নিচের কাজল টা যেন ওর সৌন্দর্য কে 10 গুন বাড়িয়ে দিয়েছে।ঠিক যেভাবে ওকে কল্পনা করেছিলাম ঠিক সেভাবেই সেজেছে আজ।
হুট করে আমার মুগ্ধতায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে তানহা চুটকি বাজিয়ে বলল--
-- এই যে মিস্টার কি দেখছেন এভাবে.?
মাথানিচু করে বললাম
-- কিছু না..
-- বসেন,
--থ্যাংকস
-- সকালে খেয়েছেন কিছু..??
--হ্যা
--কি খেয়েছেন শুনি??
-- খেয়েছি কিছু একটা
-- হুম, বুঝতে পেরেছি।
মাথানিচু করে বললাম
-- কিছু না..
-- বসেন,
--থ্যাংকস
-- সকালে খেয়েছেন কিছু..??
--হ্যা
--কি খেয়েছেন শুনি??
-- খেয়েছি কিছু একটা
-- হুম, বুঝতে পেরেছি।
তানহা পিয়ন কে ডেকে দু কাপ কফি আনালো এবং পিয়ন কে বলে দিল কেউ যেন কে রুমে ঢুকতে না পারে।
হুট করে আমার ডাইরির কথাটা মনে পরতেই তানহা কে বললাম--
-- ম্যাম আমার একটা কথা বলার ছিল..
-- হ্যাঁ বল
-- আপনি কি কাল আমার ডাইরিটা নিয়েছিলেন.?
-- হ্যাঁ বল
-- আপনি কি কাল আমার ডাইরিটা নিয়েছিলেন.?
কথাটা বলতেই তানহার হাসিমুখটা আমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেল, চোখ দুটো বড় বড় করে আমায় বলল --
--কিহ, কি বলতে চাস তুই.তোর এত বড় সাহস তুই আমাকে প্রশ্ন করিস. তোর কি মনে হয় তোর ব্যক্তিগত জিনিসে আমি হাত দিয়েছি..? আমি কি ওই ধরনের মেয়ে নাকি।
( আমি মাথা নিচু করে বসে আছি..আর তানহার রাগী চেহারাটা দেখছি। রাগলে যেন ওকে আরো সুন্দর লাগে। সে এক অসাধারণ সৌন্দর্য,,
( আমি মাথা নিচু করে বসে আছি..আর তানহার রাগী চেহারাটা দেখছি। রাগলে যেন ওকে আরো সুন্দর লাগে। সে এক অসাধারণ সৌন্দর্য,,
এবার একটু নমনীয় হয়ে বলল--
--তা কি হয়েছে তোর ডাইরির,,ডায়াবেটিস (একটু হেসে)
-- আসলে সকাল থেকে না ডায়রিটা খুঁজে পাচ্ছিনা
--ও সো স্যাড. গোপনীয় কিছু ছিল নাকি ডাইরিতে?
--না আসলে
-- থাক থাক আর বলতে হবে না. দেখ খুঁজে পাস কিনা..? তবে আমি তোর ডাইরি-বাইড়িতে হাত দেই নি, ওকে..?
--জ্বি
-আচ্ছা এবার বল তুই হুট করে ঘর থেকে চলে গিয়েছিলি কেন, নিরুদ্দেশ হওয়ার কারণটা কি জানতে পারি,..?
--কি করতাম ওখানে থেকে..?
--কি করতাম মানে..?
-- আম্মু চলে যাওয়ার পর বড্ড একা লাগছিলো নিজেকে। খুব একা, আব্বুও কাছে ছিল না। এতটা কষ্ট আমি জীবনে কখনো পাইনি, সব সময় আম্মুর ছায়া তলে ছিলাম তো তাই, আম্মুকে হারিয়ে প্রথম নিজেকে বড় অসহায় লাগছিল।
--তাই বলে ঘর ছেড়ে চলে যাবি..? তোর নিজের ঘর ছেড়ে.?
-- কি করতাম ওখানে থেকে..?
--আমাদের কাছে থাকতি. একসাথে. আমরা একসাথে থাকতাম..
--ভেবেছিলাম, কিন্তু মন সায় দেয়নি। আম্মুকে হারিয়ে একা থাকার তীব্র বাসনা জেগে উঠেছিল মনে। তাই চলে এসেছি।
-- তা কোথায় ছিলে এই 4 বছর..
--ঢাকায় চলে এসেছিলাম, এখানেই ছিলাম চার বছর একটি ছোটখাটো কম্পানিতে চাকরি করেছিলাম। আম্মুর স্মৃতি নিয়ে এভাবেই চলছিল আমার দিন গুলো। তারপরে হঠাৎ একদিন আপনাক সাথে দেখা।
--হুম, প্রেম করিস কারো সাথে..?( মাথা নিচু করে)
-- নাহ, হয়ে উঠেনি কখনো..কষ্ট গুলিই ভুলতে পারিনি আবার প্রেম..
-- কেন, এ চার বছরে কোন মেয়েকে পছন্দ হয়নি.?
--তেমন কেউ চোখে পড়ে নি আজও..
--গল্প লিখিস এখনো..?
-- নাহ ছেড়ে দিয়েছি..
--কেন..?
-- ভালো লাগে না এসব আর..
-- একটা সময় খুব সাহিত্য চর্চা করতে কলেজ লাইফে মনে আছে..?
--হুম
-- যে কোন মেয়ে তোর সাহিত্যে মুগ্ধ হয়ে যেত, শুধু ভালোবাসার সাহিত্য চর্চার জন্যই ডজনখানেক মেয়ের প্রেমের অফার পেয়েছিলি, তাই না..?
--হুম, কিন্তু এগুলো এখন অতীত
--আসলে তোর প্রেমের সাহিত্যে যে কোন মেয়ে মুগ্ধ হতে বাধ্য..
--( মনে মনে বলছি শুধু তোমাকে মুগ্ধ করতে পারলাম না তানহা)
-- আসলে সকাল থেকে না ডায়রিটা খুঁজে পাচ্ছিনা
--ও সো স্যাড. গোপনীয় কিছু ছিল নাকি ডাইরিতে?
--না আসলে
-- থাক থাক আর বলতে হবে না. দেখ খুঁজে পাস কিনা..? তবে আমি তোর ডাইরি-বাইড়িতে হাত দেই নি, ওকে..?
--জ্বি
-আচ্ছা এবার বল তুই হুট করে ঘর থেকে চলে গিয়েছিলি কেন, নিরুদ্দেশ হওয়ার কারণটা কি জানতে পারি,..?
--কি করতাম ওখানে থেকে..?
--কি করতাম মানে..?
-- আম্মু চলে যাওয়ার পর বড্ড একা লাগছিলো নিজেকে। খুব একা, আব্বুও কাছে ছিল না। এতটা কষ্ট আমি জীবনে কখনো পাইনি, সব সময় আম্মুর ছায়া তলে ছিলাম তো তাই, আম্মুকে হারিয়ে প্রথম নিজেকে বড় অসহায় লাগছিল।
--তাই বলে ঘর ছেড়ে চলে যাবি..? তোর নিজের ঘর ছেড়ে.?
-- কি করতাম ওখানে থেকে..?
--আমাদের কাছে থাকতি. একসাথে. আমরা একসাথে থাকতাম..
--ভেবেছিলাম, কিন্তু মন সায় দেয়নি। আম্মুকে হারিয়ে একা থাকার তীব্র বাসনা জেগে উঠেছিল মনে। তাই চলে এসেছি।
-- তা কোথায় ছিলে এই 4 বছর..
--ঢাকায় চলে এসেছিলাম, এখানেই ছিলাম চার বছর একটি ছোটখাটো কম্পানিতে চাকরি করেছিলাম। আম্মুর স্মৃতি নিয়ে এভাবেই চলছিল আমার দিন গুলো। তারপরে হঠাৎ একদিন আপনাক সাথে দেখা।
--হুম, প্রেম করিস কারো সাথে..?( মাথা নিচু করে)
-- নাহ, হয়ে উঠেনি কখনো..কষ্ট গুলিই ভুলতে পারিনি আবার প্রেম..
-- কেন, এ চার বছরে কোন মেয়েকে পছন্দ হয়নি.?
--তেমন কেউ চোখে পড়ে নি আজও..
--গল্প লিখিস এখনো..?
-- নাহ ছেড়ে দিয়েছি..
--কেন..?
-- ভালো লাগে না এসব আর..
-- একটা সময় খুব সাহিত্য চর্চা করতে কলেজ লাইফে মনে আছে..?
--হুম
-- যে কোন মেয়ে তোর সাহিত্যে মুগ্ধ হয়ে যেত, শুধু ভালোবাসার সাহিত্য চর্চার জন্যই ডজনখানেক মেয়ের প্রেমের অফার পেয়েছিলি, তাই না..?
--হুম, কিন্তু এগুলো এখন অতীত
--আসলে তোর প্রেমের সাহিত্যে যে কোন মেয়ে মুগ্ধ হতে বাধ্য..
--( মনে মনে বলছি শুধু তোমাকে মুগ্ধ করতে পারলাম না তানহা)
তানহা এবার চেয়ার থেকে উঠে ড্রয়িং রুমের সোফাতে গিয়ে বসলো, আমাকেও হাত ধরে নিয়ে আসলো। দুজনে একই সোফাতে বসলাম। আমাদের মাঝে চার আংগুলের ফারাক,
তানহা হঠাৎ আমায় বলল--
-- চোখ দুটো বন্ধ করতো..
--মানে, কিছু বুঝলাম না..?
--তোর এত কিছু বোঝার দরকার নেই, তোকে যা বলছি তাই কর..?
--আসলে.....
-- এবার কিন্তু আমি রেগে যাচ্ছি..
--মানে, কিছু বুঝলাম না..?
--তোর এত কিছু বোঝার দরকার নেই, তোকে যা বলছি তাই কর..?
--আসলে.....
-- এবার কিন্তু আমি রেগে যাচ্ছি..
ওর রেগে যাওয়ার কথা শুনে তাড়াতাড়ি চোখ বন্ধ করে ফেললাম। কারন আমি জানি ও রাগলে ঘূর্ণিঝড় ছড়িয়ে পড়বে..
এক মিনিট পর তানহা বলল..
এক মিনিট পর তানহা বলল..
-- এবার চোখটা খুলতে পারিস..
চোখ খুলতেই আমি তো একেবারেই সারপ্রাইসড--
একটা বিউটিফুল চকলেট কেক, তার ওপর সুন্দর আমার নাম লেখা। আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম আজ আমার জন্মদিন।
আমি তানহার দিকে তাকাতেই তানহা মুচকি মুচকি হাসছে--
-- হ্যাপি বার্থডে টু ইউ এগেইন( তানহা)
ওর এই ভালবাসাময় কান্ড দেখে নিজের অজান্তেই চোখে পানি চলে আসলো।
-- কিরে তোর চোখে পানি কেন..?
--না আসলে আম্মু চলে যাওয়ার পরে চার বছরে এত সুন্দর করে কেউ আমার জন্মদিন মনে রাখিনি।
--হুম, রাখবে কিভাবে..?
মনে রাখার মত মানুষের কাছ থেকে তো দূরে ছিলি।
-- তাও ঠিক.
-- এবার বেশি কথা না বলে কেক টা কেটে ফেল(আমার হাতে একটা ছুরি দিয়ে)
--না আসলে আম্মু চলে যাওয়ার পরে চার বছরে এত সুন্দর করে কেউ আমার জন্মদিন মনে রাখিনি।
--হুম, রাখবে কিভাবে..?
মনে রাখার মত মানুষের কাছ থেকে তো দূরে ছিলি।
-- তাও ঠিক.
-- এবার বেশি কথা না বলে কেক টা কেটে ফেল(আমার হাতে একটা ছুরি দিয়ে)
কেকটা কেটে তানহার মুখে একটু তুলে দিলাম, তানহাও আমাকে একটু খাইয়ে দিল।
-- একটা কথা বলার ছিল..?
-- হ্যাঁ বল.
--আমার যে চকলেট ফ্লেভার পছন্দ আপনি কি করে জানলেন..?
-- সিক্রেট, বলা যাবে না (মুচকি হেসে)
দেখি তোর হাতটা দে তো..?
--কেন??
-- এত প্রশ্ন করিস কেন তুই..?
-- হ্যাঁ বল.
--আমার যে চকলেট ফ্লেভার পছন্দ আপনি কি করে জানলেন..?
-- সিক্রেট, বলা যাবে না (মুচকি হেসে)
দেখি তোর হাতটা দে তো..?
--কেন??
-- এত প্রশ্ন করিস কেন তুই..?
আমার হাতটা টেনে নিয়ে একটা দামি ঘড়ি পরিয়ে দিল।
-- সব সময় হাতে রাখবি আমার স্মৃতি হিসেবে..
--কেন আপনি কি কোথাও চলে যাচ্ছেন নাকি..?
--আমি আবার কোথায় যাব, তোর তো কোনো কমন সেন্স নেই, যখন তখন নিরুদ্দেশহয়ে যাস তাই বললাম।
এই নে, (আমার হাতে একটা শপিং ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে)
-- কি আছে এটার ভেতর..?
-- খুলেই দেখ না..
--কেন আপনি কি কোথাও চলে যাচ্ছেন নাকি..?
--আমি আবার কোথায় যাব, তোর তো কোনো কমন সেন্স নেই, যখন তখন নিরুদ্দেশহয়ে যাস তাই বললাম।
এই নে, (আমার হাতে একটা শপিং ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে)
-- কি আছে এটার ভেতর..?
-- খুলেই দেখ না..
শপিং ব্যাগ টা খুলে দেখি একটা ব্ল্যাক শার্ট যা আমার খুব পছন্দের..
--আমার যে ব্ল্যাক শার্ট পছন্দ আপনি কি করে জানলেন??
-- এটাও সিক্রেট থাক, পরে এক সময় বলব। এবার এটা খেয়ে নে( আমার হাতে একবাটি পায়েস ধরিয়ে দিয়ে)
-- আবার পায়েস..?
--হুম, তোর তো পায়েস খুব পছন্দের তাই না..
--হ্যাঁ, মায়ের হাতের পায়েস খেতে খুব পছন্দ করতাম কিন্তু আমার জন্য এত কষ্ট করারর কি প্রয়োজন ছিল।
-- তুই না একটু বেশি কথা বলিস, আর প্রশ্নটাও বেশি করিস। সবকিছু কি মুখে বলা যায়।
--মানে. বুঝলাম না কিছু..
-- তোর এত বুঝে কাজ নেই। পায়েস টা খেয়ে নে..
-- এটাও সিক্রেট থাক, পরে এক সময় বলব। এবার এটা খেয়ে নে( আমার হাতে একবাটি পায়েস ধরিয়ে দিয়ে)
-- আবার পায়েস..?
--হুম, তোর তো পায়েস খুব পছন্দের তাই না..
--হ্যাঁ, মায়ের হাতের পায়েস খেতে খুব পছন্দ করতাম কিন্তু আমার জন্য এত কষ্ট করারর কি প্রয়োজন ছিল।
-- তুই না একটু বেশি কথা বলিস, আর প্রশ্নটাও বেশি করিস। সবকিছু কি মুখে বলা যায়।
--মানে. বুঝলাম না কিছু..
-- তোর এত বুঝে কাজ নেই। পায়েস টা খেয়ে নে..
আমি পায়েস খাচ্ছি, তানহা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। হঠাৎ টেবিলের উপর বাটিটা রেখে দিলাম।।
-- কিরে রেখে দিলি কেন..?
-- খাবার সময় কেউ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে আমি খেতে পারি না. আমার খুব অস্বস্তি হয়.
--ওলে বাবালে,, এত লজ্জা..? আচ্ছা ঠিক আছে তুই খা আমি কেবিনে যাচ্ছি.
-- খাবার সময় কেউ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে আমি খেতে পারি না. আমার খুব অস্বস্তি হয়.
--ওলে বাবালে,, এত লজ্জা..? আচ্ছা ঠিক আছে তুই খা আমি কেবিনে যাচ্ছি.
কথাটা বলেই তানহা উঠে চলে গেল আমিও পায়েস টা খেয়ে ওকে বললাম..
--ম্যাম এবার আসি
-- ঠিক আছে, আর শোন লাঞ্চ টাইমে থাকবি কিন্তু।কোথাও যাস না। তোকে নিয়ে একটি জায়গায় যাব
-- কোথায় ম্যাম..?
--আবার প্রশ্ন..?
-- সরি
-- ঠিক আছে, আর শোন লাঞ্চ টাইমে থাকবি কিন্তু।কোথাও যাস না। তোকে নিয়ে একটি জায়গায় যাব
-- কোথায় ম্যাম..?
--আবার প্রশ্ন..?
-- সরি
কথাটা বলেই থেকে বেরিয়ে এলাম, বেরিয়ে আসতেই দেখি সবাই আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে হা করে তাকিয়ে আছে। সে কি অস্বস্তিকর পরিবেশ।
অবশ্য অবাক হওয়ারই কথা অফিসের বসের সাথে নিশ্চয়ই এত সময় একসাথে কোন কর্মচারী কাটায়নি।
যাইহোক সবাই কে উপেক্ষা করে আমি আমার চেয়ারে গিয়ে বসলাম।
অবশ্য অবাক হওয়ারই কথা অফিসের বসের সাথে নিশ্চয়ই এত সময় একসাথে কোন কর্মচারী কাটায়নি।
যাইহোক সবাই কে উপেক্ষা করে আমি আমার চেয়ারে গিয়ে বসলাম।
আমার পাশে আফসার ভাই আমাকে হঠাৎ বললেন--
--এই মেহমেদ ভাই শুনছেন
--জি বলুন
-- এখানকার পুরনো ইমপ্লোয়ীরা কি আলোচনা করছে জানেন..?
-- কি..?
-- আমাদের বস মানে ম্যাডাম নাকি প্রেমে পড়েছেন
-- মানে( একটু অবাক হয়ে)
--ম্যাডাম অফিসে জয়েন করেছেন প্রায় ছয় মাস হয়ে গেল কিন্তু এই ছয় মাসে নাকি এই প্রথম ম্যাডাম শাড়ী পরে এসেছে এ নিয়ে সবাই বলাবলি করছে যে ম্যাডাম নাকি প্রেমে পড়েছেন..
--আমি একটু মুচকি হেসে বললাম, আপনার কি মনে হয় আফসার ভাই..? ম্যাডাম প্রেমে পড়েছে..?
--আরে ভাই বসন্ত, বসন্ত, বসন্ত, চারিদিকে বসন্তের হাওয়া বইছে, কোকিল ডাকছে। প্রেমিকরা প্রেম খুঁজায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, এই হৃদয় ভালোবাসার ছোঁয়া চাইছে, এই হৃদয়ে ভালোবাসার পূর্ণতা দিতেই বসন্তের আগমন, কখন যে কার কার মনে প্রেমের ছোঁয়া লেগে যায় কেউ বলতে পারে না,(হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে)
সেই হিসেবে আমাদের মেডামও যে কারো প্রেমে পড়তে পারে..
-- আপনিতো খুব ভালো সাহিত্য বলতে পারেন তো।
-- আমি আর কই পারলাম.. আচ্ছা আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন??
--ম্যাডামের রুমে, কিছু ইম্পরট্যান্ট কাজ ছিল।
--দেইখেন ভাই, কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাইকেন, এর বেশি কিন্তু বাইড়েন না,জানেন তো আমাদের ম্যাডাম কিন্তু এখনো অবিবাহিত,,,( অট্টহাসি হেসে)
--জি বলুন
-- এখানকার পুরনো ইমপ্লোয়ীরা কি আলোচনা করছে জানেন..?
-- কি..?
-- আমাদের বস মানে ম্যাডাম নাকি প্রেমে পড়েছেন
-- মানে( একটু অবাক হয়ে)
--ম্যাডাম অফিসে জয়েন করেছেন প্রায় ছয় মাস হয়ে গেল কিন্তু এই ছয় মাসে নাকি এই প্রথম ম্যাডাম শাড়ী পরে এসেছে এ নিয়ে সবাই বলাবলি করছে যে ম্যাডাম নাকি প্রেমে পড়েছেন..
--আমি একটু মুচকি হেসে বললাম, আপনার কি মনে হয় আফসার ভাই..? ম্যাডাম প্রেমে পড়েছে..?
--আরে ভাই বসন্ত, বসন্ত, বসন্ত, চারিদিকে বসন্তের হাওয়া বইছে, কোকিল ডাকছে। প্রেমিকরা প্রেম খুঁজায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, এই হৃদয় ভালোবাসার ছোঁয়া চাইছে, এই হৃদয়ে ভালোবাসার পূর্ণতা দিতেই বসন্তের আগমন, কখন যে কার কার মনে প্রেমের ছোঁয়া লেগে যায় কেউ বলতে পারে না,(হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে)
সেই হিসেবে আমাদের মেডামও যে কারো প্রেমে পড়তে পারে..
-- আপনিতো খুব ভালো সাহিত্য বলতে পারেন তো।
-- আমি আর কই পারলাম.. আচ্ছা আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন??
--ম্যাডামের রুমে, কিছু ইম্পরট্যান্ট কাজ ছিল।
--দেইখেন ভাই, কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাইকেন, এর বেশি কিন্তু বাইড়েন না,জানেন তো আমাদের ম্যাডাম কিন্তু এখনো অবিবাহিত,,,( অট্টহাসি হেসে)
আমি মুচকি হেসে নিজের কাজ করতে লাগলাম। দেখতে দেখতে লাঞ্চ টাইম হয়ে গেল, সবাই ক্যান্টিনে খাবার খেতে গেছে। আমার একটু বেশি কাজ ছিল কাজটা শেষ করে উঠবো হঠাৎ ফোন বেজে উঠল, আননোন নাম্বার, রিসিভ করলাম --
--হ্যালো
-- এই তুই কোথায়..?
--কে বলছেন..?
-- তোমার অফিসের বস সোনা..?
-- ও সরি ম্যাম চিনতে পারিনি..?
--জলদি অফিসের নিচে যেই বড় রেস্টুরেন্ট আছে ওখানে চলে আয়, তোর জন্য আমি অপেক্ষা করছি।
--জ্বি আমি এখনই আসছি.
-- এই তুই কোথায়..?
--কে বলছেন..?
-- তোমার অফিসের বস সোনা..?
-- ও সরি ম্যাম চিনতে পারিনি..?
--জলদি অফিসের নিচে যেই বড় রেস্টুরেন্ট আছে ওখানে চলে আয়, তোর জন্য আমি অপেক্ষা করছি।
--জ্বি আমি এখনই আসছি.
রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখলাম তানহা আমার জন্য দাড়িয়ে আছে,,
-- এই তুই কোথায় ছিলি এতক্ষণ..?
--একটু কাজ ছিল..?
--ওরে বাবারে একদিনেই কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে গেছেন..?
-- না আসলে
--থাক থাক এবার আয়.
--একটু কাজ ছিল..?
--ওরে বাবারে একদিনেই কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে গেছেন..?
-- না আসলে
--থাক থাক এবার আয়.
আমি ও তানহা আলাদা একটা কেবিনে ঢুকলাম। দুজন সামনাসামনি বসলাম।
-- ম্যাম আমাকে কেন ডেকেছেন এখানে..?
-- আসলে আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করাতে তোকে এখানে নিয়ে এসেছি..
-- আসলে আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করাতে তোকে এখানে নিয়ে এসেছি..
ওর মুখে কথাটা শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পরলাম। তানহার বয় ফ্রেন্ড ও আছে। নিমিষেই মনের ভেতরটা কালো মেঘে ছেয়ে গেল। বুকের বাম পাশটায় যেন ব্যাথা অনুভব হচ্ছে।
হঠাৎ তানহা বলে উঠল--
হঠাৎ তানহা বলে উঠল--
-- ন্যাকা বাবু তুমি, কিছু বোঝো না তাই না, রেস্টুরেন্টে মানুষ আসে কেন, খাওয়ার জন্য। আজ তোর জন্মদিন না, তাই আমার তরফ থেকে একটা ছোট্ট ট্রিপ তোর জন্য.
আমার মন থেকে যেন মেঘ গুলো কেটে গেল ওর মুখে কথা শুনে। বাপরে, কী সাংঘাতিক মেয়ে একটা। প্রানটাই বের করে দিয়েছিল একেবারে..?
ইতিমধ্যেই ওয়েটার খাবারগুলো নিয়ে এসেছে। আমি যেন একের পর এক সারপ্রাইজড হচ্ছি। এখানে সব আমার ফেভারিট ডিশ, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, রূপচাঁদা, মিষ্টি মানে আমার ফেভারিট সব খাবারগুলি খান উপস্থিত।
ওর দিকে তাকিয়ে বললাম --
ওর দিকে তাকিয়ে বললাম --
--আমার সব পছন্দের খাবারগুলোর নাম আপনি কি করে জানলেন..?
--এটাও সিক্রেট থাক, পরে একদিন বলব। এবার বেশি কথা না বলে ঝটপট খেয়ে নে।
--হুম সিক্রেট সিক্রেট বলতে বলতেদিন কাবার করে দিলো, (মনে মনে)
--এটাও সিক্রেট থাক, পরে একদিন বলব। এবার বেশি কথা না বলে ঝটপট খেয়ে নে।
--হুম সিক্রেট সিক্রেট বলতে বলতেদিন কাবার করে দিলো, (মনে মনে)
আজকের দিনটা যেন আমার কাছে খুব স্পেশাল মনে হচ্ছে, তানহার সঙ্গ আমার মনে যেন একটা আলাদা প্রশান্তি এনে দিয়েছে।
তবে বুঝতে পারছি না আমার প্রতি ওর একই কেয়ারিং একটি দুঃখী ছেলের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে নাকি অন্য কোন অনুভূতি..?
তবে বুঝতে পারছি না আমার প্রতি ওর একই কেয়ারিং একটি দুঃখী ছেলের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে নাকি অন্য কোন অনুভূতি..?
খাওয়া শেষে তানহা হুট করে বলল--
-- শোন আজকে আর অফিস করবো না, তোকে নিয়ে একটি জায়গায়ঘুরতে যাব..
--কিন্তু এভাবে অফিস কামাই করলে তো চাকরি থাকবে না
-- তানহা চোখ রাঙিয়ে বলল,, তোর চাকরিটা নিবে কে শুনি, তোর অফিসের বসটা কে..?
-- আমি নিচে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসলাম..
--কিন্তু এভাবে অফিস কামাই করলে তো চাকরি থাকবে না
-- তানহা চোখ রাঙিয়ে বলল,, তোর চাকরিটা নিবে কে শুনি, তোর অফিসের বসটা কে..?
-- আমি নিচে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসলাম..
তানহার হাসি, ওর চোখ গুলো যেন আমায় কিছু বলছে। যা আমি বুঝতে পারছি না। মেয়েটা একদিনেই এই হৃদয়ে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে, অবশ্য ওর জায়গায় এই হৃদয়ে আগেও ছিল।
কিন্তু অভাব ছিল শুধু তানহার সম্মতির যা আমাকে ওর থেকে দূরে যেতে বাধ্য করেছিল।
কিন্তু অভাব ছিল শুধু তানহার সম্মতির যা আমাকে ওর থেকে দূরে যেতে বাধ্য করেছিল।
হঠাৎ করে ওর ফোনে কল এল, ও রিসিভ করে কথা বলারর পর মাথায় হাত দিয়ে বলল --
--আজকে আর কোথাও ঘুরতে যাওয়া হবে না রে..
-- কিছু হয়েছে.?
-- অফিস কর্তৃপক্ষ ইমার্জেন্সি মিটিং ডেকেছে খুব ইম্পরট্যান্ট।
--নো প্রবলেম আপনি যান।
--কিছু মনে করিস নারে, তবে প্রমিস কালকে তোকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে যাব, প্লিজ কিছু মনে করিস না।
--কোন সমস্যা নেই আপনি যান.
-- কিছু হয়েছে.?
-- অফিস কর্তৃপক্ষ ইমার্জেন্সি মিটিং ডেকেছে খুব ইম্পরট্যান্ট।
--নো প্রবলেম আপনি যান।
--কিছু মনে করিস নারে, তবে প্রমিস কালকে তোকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে যাব, প্লিজ কিছু মনে করিস না।
--কোন সমস্যা নেই আপনি যান.
তানহা মিটিং এর জন্য তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেল। আমি অফিসে গিয়ে বাকি কাজটুকু শেষ করে বাসায় চলে এলাম। এসে বসতে না বসতেই কলিং বেল বেজে উঠল। দরজা খুলে দেখি ঐশী,,,
--কিছু বলবেন আমায়
-- আপনি কিছু ভুলে যাচ্ছেন নাতো..?
-- কই না তো
-- ঘড়িতে কয়টা বাজে?
তাকিয়ে দেখি সাড়ে সাতটা.
--সাড়ে সাতটা বাজে..
-- আপনাকে কি বলেছিলাম?
--কি বলেছিলেন..?
--আশ্চর্য সকালে বলেছি আর এখনই ভুলে গেছেন। আজ আমার জন্মদিন আপনাকে সাতটা বাজে চলে আসতে বলেছিলাম।
--ও সরি ভুলে গিয়েছিলাম, আসলে অফিসের এত কাজ..
--থাক থাক আর কাজের বাহানা দিতে হবে না জলদি আসুন,
--জ্বি এখনই আসছি..
-- আপনি কিছু ভুলে যাচ্ছেন নাতো..?
-- কই না তো
-- ঘড়িতে কয়টা বাজে?
তাকিয়ে দেখি সাড়ে সাতটা.
--সাড়ে সাতটা বাজে..
-- আপনাকে কি বলেছিলাম?
--কি বলেছিলেন..?
--আশ্চর্য সকালে বলেছি আর এখনই ভুলে গেছেন। আজ আমার জন্মদিন আপনাকে সাতটা বাজে চলে আসতে বলেছিলাম।
--ও সরি ভুলে গিয়েছিলাম, আসলে অফিসের এত কাজ..
--থাক থাক আর কাজের বাহানা দিতে হবে না জলদি আসুন,
--জ্বি এখনই আসছি..
জলদি ফ্রেশ হয়ে ঐশীর বার্থডে পার্টিতে গিয়ে দেখলাম গোটাকয়েক আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব ছাড়া বেশি মানুষদের কে ইনভাইট করে। নি এরপর ঐশী কেক কাটলো, সবাই ওকে উইশ করলো, গিফট দিলো।
আমি চেয়ারে বসে আছি ঐশী নিজ হাতে আমার জন্য কেক নিয়ে এসে আমার পাশে বসলো। কেক দিয়ে হঠাৎ আমাকে প্রশ্ন করল..
-- আচ্ছা আপনি কখনো প্রেম করেন নি..
--নাহ
--ও, কাউকে পছন্দ হয়নি কখনো.?
--মাথা নাড়িয়ে না বললাম। অবশ্যই কথাটা মিথ্যে। আমার প্রথম পছন্দ এবং প্রথম ভালোবাসা তানহা।
আমি খুব দুঃখিত আসলে আপনার জন্য কোন গিফট আনতে পারলাম না আসলে মনে ছিল না তো তাই..
--না না কোন সমস্যা নেই
আচ্ছা আপনার কাউকে কখনো ভালো লাগেনি..?
--নাহ
--ও, কাউকে পছন্দ হয়নি কখনো.?
--মাথা নাড়িয়ে না বললাম। অবশ্যই কথাটা মিথ্যে। আমার প্রথম পছন্দ এবং প্রথম ভালোবাসা তানহা।
আমি খুব দুঃখিত আসলে আপনার জন্য কোন গিফট আনতে পারলাম না আসলে মনে ছিল না তো তাই..
--না না কোন সমস্যা নেই
আচ্ছা আপনার কাউকে কখনো ভালো লাগেনি..?
আবার সেই অস্বস্তিকর প্রশ্ন.. মাথা নেড়ে না বললাম। ওর অস্বস্তিকর প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যেতে বললাম--
-- আসলে আজকে অফিসে না খুব ধকল গেছে আমি খুব টায়ার্ড কিছু যদি মনে না করেন এখন উঠতে চাই..
--না না ঠিক আছে, বুঝতে পারছি আপনি খুব টায়ার্ড সমস্যা নেই,,
-- ওকে তাহলে এখন আসি, বাই
-- বাই
--না না ঠিক আছে, বুঝতে পারছি আপনি খুব টায়ার্ড সমস্যা নেই,,
-- ওকে তাহলে এখন আসি, বাই
-- বাই
চলে আসলাম আমার ঘরে। হঠাৎ আমার রুমে ঢুকে আমি যা দেখলাম তা দেখার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না......
চলবে...
0 Comments