-- আচ্ছা।
দেখেছেন ঐ ছেলেটিকে? যে ছেলেটিকে মামা আপনার জন্য বেছে নিয়েছে? পছন্দ হয়েছে সে ছেলেটিকে?
-- ওহ তোকে তো একটা সারপ্রাইজ দিতেই ভুলে গেছি। আই হ্যাভ এ সারপ্রাইজ ফর ইউ। (একটু মুচকি হেসে)
দেখেছেন ঐ ছেলেটিকে? যে ছেলেটিকে মামা আপনার জন্য বেছে নিয়েছে? পছন্দ হয়েছে সে ছেলেটিকে?
-- ওহ তোকে তো একটা সারপ্রাইজ দিতেই ভুলে গেছি। আই হ্যাভ এ সারপ্রাইজ ফর ইউ। (একটু মুচকি হেসে)
তারপর ব্যাগ থেকে একটি বিয়ের কার্ড বের করে আমার হাতে ধরিয়ে দিল।
-- কি এটা?
-- আশ্চর্য. তুই দেখতে পাচ্ছিস নাকি এটা কি?
কানা না কি রে.....
-- এটাতো একটা বিয়ের কার্ড?
-- হ্যাঁ এটা একটা বিয়ের কার্ড.
-- কিন্তু কার বিয়ের কার্ড?
-- আশ্চর্য?
তুই একটু আগে আমার বিয়ের কথা বলছিলি না?
খুব অবাক হলাম ওর কথা শুনে। বুকের ভেতর টা খুব জোরে জোরে কাপছে। কি বলতে চাইছে ও?
-- মানে?
কিছু বুঝলাম না।
-- আরে গাধা।
এটা আমার বিয়ের কার্ড।
-- তার মানে?
-- মানে. ছেলেটিকে আমার পছন্দ হয়ে গেছে. দেখতে শুনতে খারাপ না. ভালোই.
তাই রাজি হয়ে যাই।
কিছু বুঝলাম না।
-- আরে গাধা।
এটা আমার বিয়ের কার্ড।
-- তার মানে?
-- মানে. ছেলেটিকে আমার পছন্দ হয়ে গেছে. দেখতে শুনতে খারাপ না. ভালোই.
তাই রাজি হয়ে যাই।
ওর মুখের কথাটা শুনে আমি কি বলবো?
মানে, মানে আমি আর নিজের মধ্যে ছিলাম না। আমার পায়ের নিচ থেকে যেন মাটি সরে গেছিল। আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল।
মানে, মানে আমি আর নিজের মধ্যে ছিলাম না। আমার পায়ের নিচ থেকে যেন মাটি সরে গেছিল। আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল।
কে যেন আমার হৃদয়ে একটা বিষ মাখানো তীর বসিয়ে দিয়েছে। সে তীরের আঘাতে আমার বুক থেকে যেন রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমি চিৎকার করে কাঁদতে চাইছি।
বলতে চাইছি, এটা কি হচ্ছে আমার সাথে? এ কেমন নিয়তি? কেমন ভাগ্য আমার?
কিন্তু পারছিনা।
কাকে বলবো? কে শুনবে? কে বুঝবে আমার এই কষ্টের কথা গুলো? কে বোঝার চেষ্টা করবে আমার না পাওয়া ভালোবাসা, আমার না পাওয়া প্রেমের বেদনা গুলো? আমার ব্যর্থতার কথাগুলো কাকে শোনাব আমি?
কাকে বলবো? কে শুনবে? কে বুঝবে আমার এই কষ্টের কথা গুলো? কে বোঝার চেষ্টা করবে আমার না পাওয়া ভালোবাসা, আমার না পাওয়া প্রেমের বেদনা গুলো? আমার ব্যর্থতার কথাগুলো কাকে শোনাব আমি?
তানহা?
যাকে কল্পনা করেছিলাম। যাকে ভালবেসেছিলাম। যাকে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছিলাম চিরস্থায়ীভাবে। যাকে নিয়ে প্রতিটা মুহূর্ত স্বপ্ন দেখতাম। ভালবাসতাম ।
যার মুখ দেখে সমস্ত কষ্ট, যন্ত্রণা, দুঃখ গুলো ভুলার চেষ্টা করতাম। ভুলতে পারতাম।
সে আজ আমার হাতে তার বিয়ের কার্ড ধরিয়ে দিয়েছে। আসলে এটা বিয়ের কার্ডে ওর জন্য।
আমার জন্য, জীবিত থেকেও মৃত হয়ে বাঁচার আদেশনামা।
আমার জন্য, জীবিত থেকেও মৃত হয়ে বাঁচার আদেশনামা।
কত সহজেই তানহা আমার মুখের উপর বলে দিলো ওর নাকি ছেলেটিকে পছন্দ হয়েছে। আশ্চর্য।
তার মানে আমি এতদিন যা ভেবেছিলাম সবই আমার ভ্রান্ত ধারণা?
আমার জন্য কোন অনুভূতি ছিল না ওর?
আমার জন্য কোন আবেগ ওর মধ্যে কাজ করেনি?
যা ছিল তা শুধু ছিল দায়িত্ববোধ?
দায়িত্ববোধ থেকেই ও আমার প্রতি এতটা কেয়ার নিতো?
খেয়াল রাখতো?
আমার জন্য কোন অনুভূতি ছিল না ওর?
আমার জন্য কোন আবেগ ওর মধ্যে কাজ করেনি?
যা ছিল তা শুধু ছিল দায়িত্ববোধ?
দায়িত্ববোধ থেকেই ও আমার প্রতি এতটা কেয়ার নিতো?
খেয়াল রাখতো?
আর আমি পাগল, আমি ভেবেছিলাম যে ও আমাকে ভালোবাসে। আমি ভুল ছিলাম।
ওর দিকে শুধু তাকিয়েই আছি। কি উপাধি দেওয়া যায় তানহাকে?
পাষণ্ড? বেইমান? ছলনাময়ী?
না। তানহা মহৎ, উদার, তা বললেও কম হবে। আসলে ওর মত মেয়ে হয় না।
একটি মা মরা ছেলের জন্য ও যা করেছে। কজনই বা তা করে? ও সত্যিই খুব ভালো একটি মেয়ে. খুব ভালো.
তবে আমার এই মানসিক পরিস্থিতির জন্য তানহাকে মোটেই দায়ী করা ঠিক হবে না। ওর কি দোষ? ও তো আমাকে ভালোবাসতো না.
আমার প্রতি ওর কখনো সেরকম আবেগ ও ছিল না। ছিল রেস্পন্সিবিলিটি। কি বলবো আমি?
আজ আমার ভালোবাসা. আমার প্রেম. আমার স্বপ্নগুলো চুরমার হয়ে গেছে. মাটির সাথে ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। আমার ভালবাসাগুলো নদীতে ভেসে গেছে, আমার প্রেম স্রোতের টানে অজানা কোনএক অপরিচিত দেশে গিয়ে ভিরেছে,
হয়ত সে আবেগ গুলো?
হয়ত সে আবেগ গুলো?
আজ আমি সত্যিই বড্ড একা হয়ে গেলাম। বড্ড একা। আমার চোখ আজ প্রাণপণ কাঁদতে চাইছে।
আমার চোখগুলো ছল ছল করছিল কান্নায়। আমার ভেতরটা কালো মেঘে ছেয়ে গেছে।
এমনই মেঘ, যেই মেঘ শুধুই মেঘ হয়ে থাকবে। শত শত বৃষ্টি হলেও সে মেঘ কখনো যাবে না আমার হৃদয় থেকে। কখনোই মুছে যাবে না এই মন থেকে। রয়ে যাবে আমৃত্যু।
আমি কি কাঁদবো নাকি হাসবো?
আমি কি করব এখন?
আমার সাথে এমন হলো কেন?
কি অপরাধ ছিল আমার?
আমি কি করব এখন?
আমার সাথে এমন হলো কেন?
কি অপরাধ ছিল আমার?
আমার ভালোবাসা শুধু পবিত্র ছিল, নিষ্পাপ ছিল,। তাহলে আমি কি ভুল মানুষকে ভালোবেসেছিলাম? হয়তো?
আজ নিজের কাছে নিজেকে বড্ড ছোট লাগছে। কি করে এত বড় ভুল করলাম আমি?
এতটা বছর যাকে ভালোবাসলাম, হৃদয়ের মধ্যস্থানে যাকে জায়গা দিলাম, সে ভালোবাসা টাই ভুল ছিল?
হায়রে নিয়তি। কতটা নিষ্ঠুর খেলা খেললে আমার সাথে। কতটা নির্মম ভাবে আহত করলে আমায়। আমার হৃদয় কে, আমার চিন্তাশক্তি কে নাড়িয়ে দিলে নিষ্ঠুর ভাবে।
হয়তো এই যে লেখা ছিল আমার ভাগ্যে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
মেয়েটা কত নিষ্পাপ। কতটা ভাল। আমার ভালোবাসাটা বুঝতেই পারেনি।
--কিরে. কি হলো?
কি ভাবছিস? কিছু বল?
-- কি বলবো?( ওর দিকে খুব মায়াবী দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
-- আশ্চর্য তো?
তোকে বলতে বলেছে কে?
কার্ডটা খুলে দেখ।
-দেখার কি আছে?
নিশ্চয়ই ছেলেটা খুব ভালো। যার জন্য আপনি তাকে পছন্দ করেছেন।( একটু হেসসে)
আপনার বিয়ে বলে কথা?
--তাহলে গোমরা মুখ করে আছিস কেন?
-- কই না তো?
বললাম না রাতে ঘুম হয়নি। তাই মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
--হ্যাঁ মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে আছে.
এ জন্যই তো বলি তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নে। তাহলে রাতে ভালো ঘুম হবে (মুচকি হেসে)
কি ভাবছিস? কিছু বল?
-- কি বলবো?( ওর দিকে খুব মায়াবী দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
-- আশ্চর্য তো?
তোকে বলতে বলেছে কে?
কার্ডটা খুলে দেখ।
-দেখার কি আছে?
নিশ্চয়ই ছেলেটা খুব ভালো। যার জন্য আপনি তাকে পছন্দ করেছেন।( একটু হেসসে)
আপনার বিয়ে বলে কথা?
--তাহলে গোমরা মুখ করে আছিস কেন?
-- কই না তো?
বললাম না রাতে ঘুম হয়নি। তাই মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
--হ্যাঁ মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে আছে.
এ জন্যই তো বলি তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নে। তাহলে রাতে ভালো ঘুম হবে (মুচকি হেসে)
ওর হাসিটা এতটাই সুন্দর, প্রেমে পড়ে যাই বারবার। কিন্তু এখন আর প্রেমে পড়ে কোন চান্স নাই। এখন শুধুই নিশ্চুপ ভাবে নীরবতার আড়ালে দাড়িয়ে থাকতে হবে।
এখন ওর প্রেমে পড়া ও পাপ। এখন তো আর আমার নয়। আমার হতে পারবে না ও কখনো।
এখন অন্য একটি ছেলেকে ভালবাসবে। তাকে বিয়ে করবে। আমি এখন তৃতীয় পক্ষ ওদের মাঝে। আমার কোন জায়গায় নেই। হতেই পারে না।
-- কিরে বললি না যে?
--কি বলব.
--তুই বিয়ে করবি কবে?
-- হ্যাঁ করব.
-- করব করব বলে তো বুড়ো হয়ে যাবি.
তখন আর কপালে বউ জুটবে না বুঝলি?
একটু সিরিয়াস হ লাইফটাকে নিয়ে।
-- যতটা সিরিয়াস হয়ে ছিলাম তারচেয়ে বেশী ধাক্কা খেয়েছি জীবনে।
এর চেয়ে বেশি হলে বাঁচাটাই দায় হয়ে যাবে।
-- ওমা, এ আবার কি কথা?
বাঁচা দায় হবে কেন? সব সময় সিরিয়াস হলে ভালো. কিছু কিছু সময় একটু মজাও করতে হয়।
তুইতো একদম বোরিং হয়ে যাচ্ছিস দিন দিন। ঠিকমতো হাসিস না, কারো সাথে মিশিস না,
এরকম হলে চলে বল?
আচ্ছা শোন,
তুই তো বিয়ের কার্ড টা খুলে দেখলি না।
-- দেখে নেব বাড়িতে গিয়ে।
--আশ্চর্য.
আমার সামনে দেখলে কি লজ্জা লাগে নাকি।
--লজ্জা লাগবে কেন?
বলেছি তো বাড়িতে গিয়ে দেখে নেব।
--একটু খুলে দেখ না ছেলেটার নাম কিন্তু খুব সুন্দর.
-- ও তাই বুঝি?
--শুধু নামটাই না.
ছেলেটাও কিন্তু দেখতে খুব সুন্দর।
দাঁড়া তোকে ফটোটা দেখাচ্ছি।
--কি বলব.
--তুই বিয়ে করবি কবে?
-- হ্যাঁ করব.
-- করব করব বলে তো বুড়ো হয়ে যাবি.
তখন আর কপালে বউ জুটবে না বুঝলি?
একটু সিরিয়াস হ লাইফটাকে নিয়ে।
-- যতটা সিরিয়াস হয়ে ছিলাম তারচেয়ে বেশী ধাক্কা খেয়েছি জীবনে।
এর চেয়ে বেশি হলে বাঁচাটাই দায় হয়ে যাবে।
-- ওমা, এ আবার কি কথা?
বাঁচা দায় হবে কেন? সব সময় সিরিয়াস হলে ভালো. কিছু কিছু সময় একটু মজাও করতে হয়।
তুইতো একদম বোরিং হয়ে যাচ্ছিস দিন দিন। ঠিকমতো হাসিস না, কারো সাথে মিশিস না,
এরকম হলে চলে বল?
আচ্ছা শোন,
তুই তো বিয়ের কার্ড টা খুলে দেখলি না।
-- দেখে নেব বাড়িতে গিয়ে।
--আশ্চর্য.
আমার সামনে দেখলে কি লজ্জা লাগে নাকি।
--লজ্জা লাগবে কেন?
বলেছি তো বাড়িতে গিয়ে দেখে নেব।
--একটু খুলে দেখ না ছেলেটার নাম কিন্তু খুব সুন্দর.
-- ও তাই বুঝি?
--শুধু নামটাই না.
ছেলেটাও কিন্তু দেখতে খুব সুন্দর।
দাঁড়া তোকে ফটোটা দেখাচ্ছি।
কথাটা বলেই তানহা ব্যাগের থেকে ফটো টা বের করতে লাগলো আর ঠিক তখনই আমি দাঁড়িয়ে বললাম -
--ম্যাম আমার কিছু জরুরী কাজ আছে.
আমি আজ আসছি। আরেকদিন কথা হবে।
আমি আজ আসছি। আরেকদিন কথা হবে।
ওর উত্তরটা শুনার অপেক্ষা না করেই আমি সোজা রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম। যদি আর বেশিক্ষণ, আরেকটু যদি ওর সাথে থাকতাম -আমার কষ্টগুলো অশ্রু হয়ে বেরিয়ে যেত চোখ দিয়ে।
তখন কি উত্তর দিতাম ওকে?
যদি প্রশ্ন করত আমি কেন কাঁদছি, কি বলতাম ওকে?
যদি প্রশ্ন করত আমি কেন কাঁদছি, কি বলতাম ওকে?
যে ওকে পেয়ে আবার হারানোর ব্যর্থতায় আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। না। কখনোই না।
তানহা নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছে, সুখী জীবন শুরু করতে যাচ্ছে। আমার তো কপালটাই খারাপ।
আমি তো একটা দুঃখী। আমার সাথে ওকে একটুও মানাবে না। তানহা ওর যোগ্য সঙ্গী, জীবনসঙ্গী বেছে নিয়েছে।
আমি ওকে আমার এই ব্যর্থ অনুভূতির কথা বলে ওর নতুন জীবনের বাধা হয়ে দাঁড়াতে চাই না।
সুখে থাকুক, ভাল থাকুক এই প্রত্যাশা। আর আমি আমার কষ্ট গুলো নিয়ে বেঁচে থাকব।
আল্লাহর কাছে দোয়া করব। যেন আমার মৃত্যু হয়। খুব জলদি। এই ব্যর্থতা ময় কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুই অনেকটা শ্রেয়।
আমি গিয়ে আমার আর চেয়ারে বসলাম না। সোজা ক্যান্টিনে চলে গেলাম। ওখানে গিয়ে একটি টেবিলের মধ্যে বসলাম।
ক্যান্টিন টা পুরো খালি। সবাই অফিসে কাজ করছে। লাঞ্চের সময় আসবে তাই। কোনো মানুষ নেই এখানে।
আমি আমার দুচোখে হাত দিয়ে অনুভব করলাম- আমার চোখ আমাকে প্রশ্ন করছে,
আমি কি তোমার কষ্ট গুলো কে চোখের অশ্রু হয়ে ঝরাতে পারি?
গড়িয়ে পরল আমার গাল বেয়ে এক ফোটা জল। তারপর আরেক চোখ দিয়ে পড়তে থাকলো।
দুচোখ টা যেন এখন ঝরনা হয়ে গেছে। কষ্টের ঝরনা।
গড়িয়ে পরল আমার গাল বেয়ে এক ফোটা জল। তারপর আরেক চোখ দিয়ে পড়তে থাকলো।
দুচোখ টা যেন এখন ঝরনা হয়ে গেছে। কষ্টের ঝরনা।
শুধুই কান্না, শুধুই কান্না, শুধুই কান্না দিয়ে আমারই কষ্টের সমাপ্তি হবে। চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে, আল্লাহকে বলতে ইচ্ছে করছে--
কি করলে তুমি আমার সাথে?
কেন করলে?
কি অপরাধ ছিল আমার?
কি দোষ করেছিলাম আমি তোমার কাছে?
কেন কেড়ে নিলে তুমি আমার ভালোবাসাকে? আমার তানহাকে.
আমার ভালোবাসার মাঝে তো কোনো খুঁত ছিল না। আমার কাছ থেকে কেন কেড়ে নিয়ে তুমি তানহাকে?
কেন করলে?
কি অপরাধ ছিল আমার?
কি দোষ করেছিলাম আমি তোমার কাছে?
কেন কেড়ে নিলে তুমি আমার ভালোবাসাকে? আমার তানহাকে.
আমার ভালোবাসার মাঝে তো কোনো খুঁত ছিল না। আমার কাছ থেকে কেন কেড়ে নিয়ে তুমি তানহাকে?
আজ নিঃস্ব করে দিলে আমায়,
হে আল্লাহ -তুমি কি শুনতে পারছ এ হৃদয়ের কান্না। বুক ফাটা কান্নার শব্দ কি তোমার দরবার পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে?
হে আল্লাহ -তুমি কি শুনতে পারছ এ হৃদয়ের কান্না। বুক ফাটা কান্নার শব্দ কি তোমার দরবার পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে?
তুমি কি দেখতে পাচ্ছো আমার এই কষ্টের অশ্রুগুলো? আমার ভালোবাসা তো পবিত্র ছিল. তাহলে কেন? কেন আজ আমাকে এতটা কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে?
তুমি আমার কাছ থেকে আমার আম্মুকে কেড়ে নিয়েছো। ওটাই ছিল আমার জন্য সবচেয়ে বড় আঘাত।
ভেবেছিলাম আমার উপর থেকে তোমার রহম উঠে গেছে। কিন্তু তুমি আবার তানহাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলে। আমি তক্ষণ ভেবেছিলাম কিছুটা সুখী হব।
তুমি আমার প্রতি সদয় হয়েছো আল্লাহ। ভেবেছিলাম।
কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। আজ তানহাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে তুমি আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছো। আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছো।
এই হৃদয় কে ভেঙে দিয়েছো।
ভালো করেছো। কি দরকার আমার এই পৃথিবীতে বেঁচে থেকে।
হে আল্লাহ- তুমি এতটা সদয় যখন আমার প্রতি হয়েছ, আর একটু সদয় হও। আমার এই দেহ থেকে আমার প্রাণটা চিরতরে নিয়ে নাও।
হে আল্লাহ- তুমি এতটা সদয় যখন আমার প্রতি হয়েছ, আর একটু সদয় হও। আমার এই দেহ থেকে আমার প্রাণটা চিরতরে নিয়ে নাও।
এই বেঁচে থাকাটা আমার জন্য এখন শাস্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেঁচে থাকার তো কোনো মানে নেই আল্লাহ।
কোন মানে নেই।
প্লিজ আল্লাহ, আল্লাহ আমার প্রাণটা নিয়ে নাও। (কাঁদতে কাঁদতে)
হৃদয়টাকে যখন ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছো। তখন বেঁচে থেকে কি লাভ। আমায় নিয়ে নাও। আমি বাঁচতে চাই না। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ করে দাও তুমি।
হৃদয়টাকে যখন ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছো। তখন বেঁচে থেকে কি লাভ। আমায় নিয়ে নাও। আমি বাঁচতে চাই না। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ করে দাও তুমি।
বেঁচে থাকার কোন শাস্তি আমায় দিলে? আমি এখন জিন্দা মরা হয়ে বেঁচে আছি।
খুব কাঁদছি, খুব।
শুনেছি কাঁদলে নাকি মনটা হালকা হয়। ভালো লাগে। কষ্ট গুলো ভুলে থাকা যায়।
কিন্তু আমি তো জানি, এ কান্নার কোনো সমাপ্তি নেই। কেদে কেদে সাগর বানিয়ে ফেললেও আমার কষ্টের সমাপ্তি হবে না। কারণ যে কষ্ট পেয়েছি। তা অসমাপ্তই থেকে যাবে। আমার ভালবাসার মত।
আরো কাঁদতে ইচ্ছা করছে। অনেক।
হঠাৎ করে ক্যান্টিন এর মধ্যে আফসার ভাই চলে এলেন। এসে দেখলেন যে আমার চোখের পানি। আমি কাঁদছি। উনি আমার কাছে খুব জলদি হেঁটে এসে আমার দু কাঁধে হাত দিয়ে বললেন--
-- মেহমেদ ভাই..
কি হয়েছে আপনার?
আপনি কাঁদছেন কেন?
আপনি ঠিক আছেন?
--আমি চুপ করে আছি. চোখ দিয়ে পানি পড়ছে. কিন্তু কোন উত্তর দিতে পারছি না.
--মেহমেদ ভাই.
কিছু বলুন। আপনি কাঁদছেন কেন?
--আমি খুব বোকা, তাইনা আফসার ভাই?
--মানে?
--আমি কেন এতটা বোকা আফসার ভাই?
--কি বলছেন কি মেহমেদ ভাই?
কি হয়েছে আপনার?
-- যাকে ভালবেসেছি.যাকে হৃদয় থেকে ভালোবেসেছি, আজ সে আমার থেকে অনেক অনেক দূরে চলে গেছে আফসার ভাই,
--কি বলছেন?
কে চলে গেছে?
--আমি বোকা.
আমি বোকা। আমার মত বোকা হয়তো এই পৃথিবীতে দ্বিতীয় একটা নেই।
আমি নিজের মতো করে কি না কি ভেবেছি, ভেবে ফেলেছি।
নিজের মতো করে আলাদা পৃথিবী সাজিয়েছি। নিজের মতো করেই ভালোবেসেছি।
অথচ বোকার মত একবারও ভাবি নি, যে যাকে ভালোবাসি সে কি আমায় ভালোবাসে?
সেও কি আমার মত পাগলের মতো ভালোবাসে?
একবারও ভাবি নি,
তাই হয়তো আজকে কষ্টটা হাজার হাজার গুণ পেয়েছি।
-- কি বলছেন কি?
কি হয়েছে আপনার? হঠাৎ এসব কথা বলছেন।
--জানেন আফসার ভাই.
আপনি আমাকে অনেকবার প্রশ্ন করেছেন না,
যে আমি আপনাদের ম্যাডামকে ভালোবাসি কিনা?
আসলে আপনাদের ম্যাডামকে আমি আজ নয়, অনেক দিন আগ থেকে, অনেকদিন থেকে ভালোবাসি। এমনকি তাকে ছাড়া আমার জীবনে দ্বিতীয় কোনো মেয়ে নেই।
যাকে হৃদয় সিংহাসনে জায়গা দিয়েছিলাম।
কিন্তু আজ সেই সিংহাসনের পা গুলো ভেঙে গেছে আফসার ভাই।
--মানে?(আফসার ভাই খুব অবাক হয়ে)
-- আপনাদের ম্যাডাম আজ আমাকে ডেকে নিয়ে কি জানিয়েছে জানেন?
-- কি জানিয়েছে?
-- তার বিয়ের খবর জানিয়েছে.
তার বিয়ের কার্ড আমার হাতে তুলে দিয়েছে।
আর বলেছে কি জানেন?
আমাকে একটা বিয়ে করতে।
--এসব আপনি কি বলছেন মেহেমেদ ভাই?
--হ্যাঁ আফসার ভাই. ঠিক বলছি.
--আপনি ম্যাডাম কে বলেননি কেন যে আপনি তাকে ভালবাসেন।
--কি বলতাম?
সেতো আমাকে ভালোবাসবে না।
শুধু আমি ভালবেসেছি।
একতরফা।
আর এটাই আমার সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।
--এখন বলে দিন, যে আপনি তাকে ভালবাসেন।
--আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন আফসার ভাই?( আফসার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে)
--কেন? কি হবে বললে?
আপনি তাকে বলে দিবেন যে আপনি তাকে ভালোবাসেন।
আপনি ওনাকে বিয়ে করতে চান।
--যখন তানহা আমাকে বিয়ের কথাটা বলেছিল , কতটা খুশি ছিল সে,
ওর চোখে মুখে আনন্দের ছাপ ছিল।
তানহা ছেলেটাকে নিজে থেকে পছন্দ করেছে। ওই ছেলেটাকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চায়।
আর আপনি বলছেন আমি গিয়ে ওর আনন্দের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটাবো
কখনো না।
ও খুশি থাক, ওর খুশিতেই আমার খুশি থাকা।
--কিন্তু আপনি তো খুশি নেই মেহমেদ ভাই।
-- থাকতে হবে.
এ ছাড়া কোন উপায় নেই আফসার ভাই।
কোন উপায় নেই।
আমার ভালোবাসা মৃত। আমার ভালোবাসা নিষ্প্রাণ।
আমার ভালবাসার কোন দাম নেই। কোন দাম নেই,
কি হয়েছে আপনার?
আপনি কাঁদছেন কেন?
আপনি ঠিক আছেন?
--আমি চুপ করে আছি. চোখ দিয়ে পানি পড়ছে. কিন্তু কোন উত্তর দিতে পারছি না.
--মেহমেদ ভাই.
কিছু বলুন। আপনি কাঁদছেন কেন?
--আমি খুব বোকা, তাইনা আফসার ভাই?
--মানে?
--আমি কেন এতটা বোকা আফসার ভাই?
--কি বলছেন কি মেহমেদ ভাই?
কি হয়েছে আপনার?
-- যাকে ভালবেসেছি.যাকে হৃদয় থেকে ভালোবেসেছি, আজ সে আমার থেকে অনেক অনেক দূরে চলে গেছে আফসার ভাই,
--কি বলছেন?
কে চলে গেছে?
--আমি বোকা.
আমি বোকা। আমার মত বোকা হয়তো এই পৃথিবীতে দ্বিতীয় একটা নেই।
আমি নিজের মতো করে কি না কি ভেবেছি, ভেবে ফেলেছি।
নিজের মতো করে আলাদা পৃথিবী সাজিয়েছি। নিজের মতো করেই ভালোবেসেছি।
অথচ বোকার মত একবারও ভাবি নি, যে যাকে ভালোবাসি সে কি আমায় ভালোবাসে?
সেও কি আমার মত পাগলের মতো ভালোবাসে?
একবারও ভাবি নি,
তাই হয়তো আজকে কষ্টটা হাজার হাজার গুণ পেয়েছি।
-- কি বলছেন কি?
কি হয়েছে আপনার? হঠাৎ এসব কথা বলছেন।
--জানেন আফসার ভাই.
আপনি আমাকে অনেকবার প্রশ্ন করেছেন না,
যে আমি আপনাদের ম্যাডামকে ভালোবাসি কিনা?
আসলে আপনাদের ম্যাডামকে আমি আজ নয়, অনেক দিন আগ থেকে, অনেকদিন থেকে ভালোবাসি। এমনকি তাকে ছাড়া আমার জীবনে দ্বিতীয় কোনো মেয়ে নেই।
যাকে হৃদয় সিংহাসনে জায়গা দিয়েছিলাম।
কিন্তু আজ সেই সিংহাসনের পা গুলো ভেঙে গেছে আফসার ভাই।
--মানে?(আফসার ভাই খুব অবাক হয়ে)
-- আপনাদের ম্যাডাম আজ আমাকে ডেকে নিয়ে কি জানিয়েছে জানেন?
-- কি জানিয়েছে?
-- তার বিয়ের খবর জানিয়েছে.
তার বিয়ের কার্ড আমার হাতে তুলে দিয়েছে।
আর বলেছে কি জানেন?
আমাকে একটা বিয়ে করতে।
--এসব আপনি কি বলছেন মেহেমেদ ভাই?
--হ্যাঁ আফসার ভাই. ঠিক বলছি.
--আপনি ম্যাডাম কে বলেননি কেন যে আপনি তাকে ভালবাসেন।
--কি বলতাম?
সেতো আমাকে ভালোবাসবে না।
শুধু আমি ভালবেসেছি।
একতরফা।
আর এটাই আমার সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।
--এখন বলে দিন, যে আপনি তাকে ভালবাসেন।
--আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন আফসার ভাই?( আফসার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে)
--কেন? কি হবে বললে?
আপনি তাকে বলে দিবেন যে আপনি তাকে ভালোবাসেন।
আপনি ওনাকে বিয়ে করতে চান।
--যখন তানহা আমাকে বিয়ের কথাটা বলেছিল , কতটা খুশি ছিল সে,
ওর চোখে মুখে আনন্দের ছাপ ছিল।
তানহা ছেলেটাকে নিজে থেকে পছন্দ করেছে। ওই ছেলেটাকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চায়।
আর আপনি বলছেন আমি গিয়ে ওর আনন্দের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটাবো
কখনো না।
ও খুশি থাক, ওর খুশিতেই আমার খুশি থাকা।
--কিন্তু আপনি তো খুশি নেই মেহমেদ ভাই।
-- থাকতে হবে.
এ ছাড়া কোন উপায় নেই আফসার ভাই।
কোন উপায় নেই।
আমার ভালোবাসা মৃত। আমার ভালোবাসা নিষ্প্রাণ।
আমার ভালবাসার কোন দাম নেই। কোন দাম নেই,
কথাটা বলেই আমি আফসার ভাইয়ের সামনে থেকে দিয়ে সোজা ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে এলাম। চোখটা মুছে নিলাম। যাতে কেউ বুঝতে না পারে আমি কেঁদেছি।
নিজের চেয়ারে গিয়ে ফাইলগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে লাগলাম। কাজ করতে একদম ইচ্ছে করছিল না।
তারপরও কষ্ট গুলো ভুলে থাকার জন্য যথাসম্ভব কাজে মন দিতে চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না।
ফাইলগুলো খুলছি আর ফাইল এর কাগজ গুলোর উপর আমার চোখের পানি পড়ছে।
ফোঁটা ফোঁটা পানিতে কাগজগুলো একদম ভিজে গেছে। চোখ দিয়ে অন্ধকার দেখছিলাম একদম। কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না।
দু চোখে শুধুই অশ্রু দিয়ে ভরা ছিল। কেউ আমায় দেখছে না। আমি কি করছো বসে বসে। কেউ না।
শুধু আফসার ভাই আমার দিকে তখন থেকে তাকিয়ে আছেন। উনি আমায় লক্ষ্য করছেন যে আমি কাঁদছি।
হঠাৎ পিয়ন এসে বলল তানহা নাকি আমায় ডাকছে। চোখের পানি গুলো মুছে একটু নরমাল হওয়ার চেষ্টা করলাম।
তারপর ওর রুমে গেলাম।
-- ম্যাম আসবো?
-- হ্যাঁ আয়.
--আমায় ডেকেছিলেন?
-- বিয়ের কার্ড টা দেখেছিস?
--না এখনো দেখিনি. দেখে নেব বাড়িতে গিয়ে.
-- হ্যাঁ আয়.
--আমায় ডেকেছিলেন?
-- বিয়ের কার্ড টা দেখেছিস?
--না এখনো দেখিনি. দেখে নেব বাড়িতে গিয়ে.
কথাটা শুনেই তানহার মুখটা মলিন হয়ে গেল।
--আচ্ছা শোন.
বিয়ের কিন্তু আর 6 দিন বাকি।
বিয়ের সব কেনাকাটায় কিন্তু তোকে আমার সাথে থাকতে হবে। বুঝেছিস?
-- হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি.
--আমার সব জুয়েলারি, গয়না, শাড়ি সব কিন্তু তুই চয়েজ করে দিবি। ঠিক আছে?
--হ্যাঁ অবশ্যই.
আপনার বিয়ে বলে কথা। তা তো দিতেই হবে।
--আচ্ছা ঠিক আছে. এখন যা.
তবে অফিস থেকে যাওয়ার সময় দেখা করে যাস কিন্তু।
তোর সাথে কথা আছে।
-- আচ্ছা.
বিয়ের কিন্তু আর 6 দিন বাকি।
বিয়ের সব কেনাকাটায় কিন্তু তোকে আমার সাথে থাকতে হবে। বুঝেছিস?
-- হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি.
--আমার সব জুয়েলারি, গয়না, শাড়ি সব কিন্তু তুই চয়েজ করে দিবি। ঠিক আছে?
--হ্যাঁ অবশ্যই.
আপনার বিয়ে বলে কথা। তা তো দিতেই হবে।
--আচ্ছা ঠিক আছে. এখন যা.
তবে অফিস থেকে যাওয়ার সময় দেখা করে যাস কিন্তু।
তোর সাথে কথা আছে।
-- আচ্ছা.
কথাটা বলেই আমি বাইরে চলে এলাম। বুকের মধ্যে এতগুলো কষ্ট নিয়ে কিভাবে যে ওর সাথে হেসে কথা বললাম, আমি নিজেই বুঝতে পারছিলাম না।
অফিস শেষ হয়ে গেল। তানহা বলেছিল ওর সাথে দেখা করে যেতে। কিন্তু আমি যাইনি।
সোজা বাড়িতে চলে এসেছি। এসেই বিছানায় শুয়ে পরলাম। ঘুমোতে চেষ্টা করছি। দুইদিন ঘুমোতে পারিনি।
তানহাকে হারানোর ভয়ে।
কিন্তু আজ আর কিসের ভয়?
আজ তো তানহা চিরতরে আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। আজ একটু শান্তির ঘুম দিতে চাই। আজ ঘুমিয়েছি। খুব ভালোভাবে।
আজ তো তানহা চিরতরে আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। আজ একটু শান্তির ঘুম দিতে চাই। আজ ঘুমিয়েছি। খুব ভালোভাবে।
নিঃসঙ্গ রাতের সঙ্গী ছিল আমার চোখের পানি গুলো। চোখের পানি গাল বেয়ে বালিশের উপর পড়েছিল। বালিশটা ভিজে গেছে আমার অশ্রুর পানিতে।
তানহার বিয়ের খবর টা যেন আমার পৃথিবীটাকে উলটপালট করে দিয়েছে। ভাবতেই পারছিনা তানহাকে আমি চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি।
হঠাৎ কলিংবেলের শব্দে আমার ঘুমটা ভেঙে গেল। উঠে গিয়ে দরজাটা খুলি।
খুলতেই দেখি তানহা দাঁড়িয়ে আছে.....
হঠাৎ কলিংবেলের শব্দে আমার ঘুমটা ভেঙে গেল। উঠে গিয়ে দরজাটা খুলি।
খুলতেই দেখি তানহা দাঁড়িয়ে আছে.....
--গুড মর্নিং..
কিরে তোর নাকি ঘুম হয় না?
আর বেলা দশটা পর্যন্ত এখনো ঘুমোচ্ছিস?? আজব তো.
কিরে তোর নাকি ঘুম হয় না?
আর বেলা দশটা পর্যন্ত এখনো ঘুমোচ্ছিস?? আজব তো.
ওর কথা শুনে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সত্যি সত্যি দশটা বাজে।
--ওহ, সরি।
আসলে ভোররাতে চোখটা লেগে এসেছিল।
--ভোর রাতে চোখটা লেগে এসেছিল মানে?
তুই সারারাত ঘুমাসনি..?
--আসলে ঘুম আসছিল না.
--ঘুম আসে না কেন?
তোর কি হয়েছে রে?
আসলে ভোররাতে চোখটা লেগে এসেছিল।
--ভোর রাতে চোখটা লেগে এসেছিল মানে?
তুই সারারাত ঘুমাসনি..?
--আসলে ঘুম আসছিল না.
--ঘুম আসে না কেন?
তোর কি হয়েছে রে?
কিভাবে তোমায় বলব তানহা, তুমিই আমার এই নিদ্রাহীনতার কারণ। একমাত্র তুমি।
--কিরে কথা বল.
তুই ঘুমাস না কেন?
-- বলতে পারবো না.
আচ্ছা.
আমি অফিসের জন্য জলদি রেডী হয়ে নিচ্ছি।
--হ্যাঁ. রেডি হয়ে নে.
তবে অফিসের জন্য নয়।
-- মানে.?
-- আজকে অফিস যাব না.
--তাহলে কোথায় যাবো আজকে?
--- আজকে কোথায় যাব মানে?
তোকে কালকে বলেছিলাম না, অফিস থেকে বের হওয়ার সময় আমার সাথে দেখা করে যাবি।
তুই গেলিনা কেন?
-- আসলে মনে ছিল না.
-- মনে ছিল না.
বুদ্ধ যেন কোথাকার।
তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
--কিন্তু যাবো কোথায়?
--উফফ,,,,
তুই না বেশি প্রশ্ন করিস?
কালকে তোকে বলেছিলাম না বিয়ের আর 6 দিন বাকি।
বিয়ের শপিং করতে হবে না?
-- মানে?
--তোকে বলেছিলাম না আমার শপিং তুই করে দিবি. আমার সবকিছু তুই চয়েজ করে দিবি.
--আসলে ম্যাম.
আমার ভাল লাগছে না আজকে।
প্লিজ অন্য দিন।
--একদম না.
আজকেই তুই আমার সাথে যাবি।
--কিন্তু.....
--কোন কিন্তু না...
আচ্ছা বিয়ের কার্ড টা দেখেছিস?
--জি দেখেছি.
নামটা সুন্দর না?
--হ্যা,,
খুব সুন্দর।
( মিথ্যে কথা। আসলে আমি বিয়ের কার্ডটা ছুয়েও দেখিনি.)
--আর তুই তো ছেলেটাকে দেখিস নি এখনও.
সেদিন তোকে ফটোটা দেখাতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুই চলে এলি।
দাঁড়া তোকে ছেলের ছবিটা দেখাচ্ছি।
তুই ঘুমাস না কেন?
-- বলতে পারবো না.
আচ্ছা.
আমি অফিসের জন্য জলদি রেডী হয়ে নিচ্ছি।
--হ্যাঁ. রেডি হয়ে নে.
তবে অফিসের জন্য নয়।
-- মানে.?
-- আজকে অফিস যাব না.
--তাহলে কোথায় যাবো আজকে?
--- আজকে কোথায় যাব মানে?
তোকে কালকে বলেছিলাম না, অফিস থেকে বের হওয়ার সময় আমার সাথে দেখা করে যাবি।
তুই গেলিনা কেন?
-- আসলে মনে ছিল না.
-- মনে ছিল না.
বুদ্ধ যেন কোথাকার।
তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
--কিন্তু যাবো কোথায়?
--উফফ,,,,
তুই না বেশি প্রশ্ন করিস?
কালকে তোকে বলেছিলাম না বিয়ের আর 6 দিন বাকি।
বিয়ের শপিং করতে হবে না?
-- মানে?
--তোকে বলেছিলাম না আমার শপিং তুই করে দিবি. আমার সবকিছু তুই চয়েজ করে দিবি.
--আসলে ম্যাম.
আমার ভাল লাগছে না আজকে।
প্লিজ অন্য দিন।
--একদম না.
আজকেই তুই আমার সাথে যাবি।
--কিন্তু.....
--কোন কিন্তু না...
আচ্ছা বিয়ের কার্ড টা দেখেছিস?
--জি দেখেছি.
নামটা সুন্দর না?
--হ্যা,,
খুব সুন্দর।
( মিথ্যে কথা। আসলে আমি বিয়ের কার্ডটা ছুয়েও দেখিনি.)
--আর তুই তো ছেলেটাকে দেখিস নি এখনও.
সেদিন তোকে ফটোটা দেখাতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুই চলে এলি।
দাঁড়া তোকে ছেলের ছবিটা দেখাচ্ছি।
কথাটা বলেই তানহা ওর ব্যাগ থেকে একটা ছবি বের করল। তারপর আমার সামনে ধরল।
দেখলাম প্যান্ট শার্ট পড়া একটি লম্বা ছেলের ছবি। দেখতে খারাপ নয়। ভালোই।
--হ্যান্ডসাম না ছেলেটা?
তাই দেখেই আমার পছন্দ হয়ে গেছে।
-- হ্যাঁ..
আপনার সাথে খুব মানাবে ওকে।
তাই দেখেই আমার পছন্দ হয়ে গেছে।
-- হ্যাঁ..
আপনার সাথে খুব মানাবে ওকে।
তারপর ছবিটা ওর ব্যাগে রেখে আমায় বলল--
-- এবার যা.
তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে।
আমি এখানে অপেক্ষা করছি।
তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে।
আমি এখানে অপেক্ষা করছি।
কথাটা বলেই ও বিছানার উপর ঝাপটি মেরে বসে রইল। কি আর করার। ও যা জেদি মেয়ে, আমার কোন কথা শুনবে না।
যদিও ওর সাথে যেতে ইচ্ছে করছিল না কিন্তু যেতে হবে। ওর সুখের জন্য, ওর আনন্দের জন্য।
কি ভাগ্য আমার?
যাকে ভালোবাসে বিয়ে করবো ভেবেছিলাম, আজ তার বিয়ের শপিং-এ যেতে হচ্ছে আমাকে। বাধ্য হয়ে।
কিন্তু তাঁর বিয়েটা আমার সাথে হচ্ছে না।
কিন্তু তাঁর বিয়েটা আমার সাথে হচ্ছে না।
হঠাৎ আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে বলল--
-- তুই এখনো দাঁড়িয়ে আছিস?
তোকে যেতে বলেছি না??
তাড়াতাড়ি যা শপিং করব।
আমার কিন্তু দেরি হয়ে যাচ্ছে এবার।
--আচ্ছা.
যাচ্ছি।
তোকে যেতে বলেছি না??
তাড়াতাড়ি যা শপিং করব।
আমার কিন্তু দেরি হয়ে যাচ্ছে এবার।
--আচ্ছা.
যাচ্ছি।
তারপর কথাটা বলে ফ্রেশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে দেখি তানহা আমার জন্য ব্রেকফাস্ট তৈরী করেছে।
-- এসব কি.?( অবাক হয়ে)
--এসব আমার মাথা আর কলিজা.
দেখতে পাচ্ছিস না এটা ব্রেকফাস্ট।
--কিন্তু.....
-- কিন্তু কি হা কিন্তু কি???
আমি বানিয়েছি।
কেন? আমার হাতে ব্রেকফাস্ট পছন্দ না?
আমি জানি তো সকাল বেলা না খেয়েই তুই বেরিয়ে পড়িস।
তাই তোর জন্য ব্রেকফাস্টটা বানিয়ে নিলাম।
এবার খেয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
--এসব আমার মাথা আর কলিজা.
দেখতে পাচ্ছিস না এটা ব্রেকফাস্ট।
--কিন্তু.....
-- কিন্তু কি হা কিন্তু কি???
আমি বানিয়েছি।
কেন? আমার হাতে ব্রেকফাস্ট পছন্দ না?
আমি জানি তো সকাল বেলা না খেয়েই তুই বেরিয়ে পড়িস।
তাই তোর জন্য ব্রেকফাস্টটা বানিয়ে নিলাম।
এবার খেয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
আমি ওর কথা শুনে ওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছি।
কেন এমন করলে তানহা?
কেন আমায় ছেড়ে চলে গেলে? তোমার মত কে আমাকে এতটা যত্ন করে খাওয়াবে?
কে আমার এত এতটা কেয়ার রাখবে?
কে আমাকে ভালোবাসে খাইয়ে দেবে? কি আমার প্রত্যেকটা পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখবে?
কেন আমায় ছেড়ে চলে গেলে? তোমার মত কে আমাকে এতটা যত্ন করে খাওয়াবে?
কে আমার এত এতটা কেয়ার রাখবে?
কে আমাকে ভালোবাসে খাইয়ে দেবে? কি আমার প্রত্যেকটা পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখবে?
কে রাখবে না তানহা? কেউ না?
তুমি কেন বুঝতে পারোনি আমার মনের কথাটা?
তুমি কেন বুঝতে পারোনি আমার মনের কথাটা?
তুমি কেন আমার ভালোবাসাকে অনুভব করতে পারোনি? আমার কষ্ট গুলো কেন তুমি বুঝতে পারলে না তানহা?
ওর সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে অনেকটা অসহায় লাগছে আজকে। আগে ওর বকাবকি আমার কাছে অনেক ভাল লাগত। ওর শাসন আমার হৃদয়ে আনন্দ দিত।
মনে হতো ওর চেয়ে কাছের বোধহয় আমার জীবনে আর কেউ নেই।
কিন্তু এখন ওই বকাবকি আমার হৃদয়ে হতাশার সৃষ্টি করে। কালো মেঘ জমিয়ে দেয়। মনে হয় দুদিনের জন্য মরীচিকা হয়ে এসেছে তানহা আমার জন্য।
আবার শূন্যে মিশে যাবে।
আবার শূন্যে মিশে যাবে।
অনেকক্ষণ আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তানহা বলল----
-- বুঝেছি.
আমার ব্রেকফাস্ট তোর পছন্দ হয়নি।
ঠিক আছে, ফেলে দিচ্ছি।
আমার ব্রেকফাস্ট তোর পছন্দ হয়নি।
ঠিক আছে, ফেলে দিচ্ছি।
কথাটা বলেই ব্রেকফাস্ট গুলো হাতে নিল।
-- আরে,
কি করছেন। রাখুন।
কখন বলেছি আপনার বেকফাস্ট আমার পছন্দ নয়?
-- তাহলে মূর্তির মত এতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি সব ভাবছিলি?
-- কিছু না.
দাঁড়ান মাথাটা একটু মুছে নেই।
কি করছেন। রাখুন।
কখন বলেছি আপনার বেকফাস্ট আমার পছন্দ নয়?
-- তাহলে মূর্তির মত এতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি সব ভাবছিলি?
-- কিছু না.
দাঁড়ান মাথাটা একটু মুছে নেই।
কথাটা বলেই আলনা থেকে তোয়ালে নিতে গেলাম। ঠিক তখনই কিছু একটার সাথে হাতটা লেগে একটু কেটে গেল। আর একটু আওয়াজ দিয়ে উঠলাম।
-- কিরে.
কি হল তোর?
-- হাতটা একটু কেটে গেছে....(আঙুল ধরে)
-- মেহমেদ..
তুই এতটা বেখেয়ালি না।
একটু দেখে কাজ করবি না।
কি হল তোর?
-- হাতটা একটু কেটে গেছে....(আঙুল ধরে)
-- মেহমেদ..
তুই এতটা বেখেয়ালি না।
একটু দেখে কাজ করবি না।
তারপর একটা কাপড় ছিড়ে আমার হাতটা বেঁধে দিল।
-- তোয়ালাটা আমার কাছে দে।
আমি তোর মাথা না মুছে দিচ্ছি।
আমি তোর মাথা না মুছে দিচ্ছি।
কথাটা বলেই আমার হাত থেকে তোয়ালেটা নিয়ে নিল। তারপর খাটের উপর উঠে আমার মাথাটা মুছে দিচ্ছে।
আমি একটু লম্বা বলে ওর হাত নাকি আমার মাথায় যায় না।
আগে যখন আমার মাথা মুছে দিয়েছিল তখন ওর দিকে শুধু তাকিয়ে ছিলাম। খুব আপন মনে হয়েছিল তখন।
কিন্তু এখন ওর মাঝে আর আমার মাঝে যেন কত দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গেছে। কতটা পরপর লাগছে ওকে আজ।
মনে হচ্ছে, ওতো আজি আছে কালি আবার অন্য কারো হাত ধরে চলে যাবে। অজানা কোন পথে, নতুন কোন জীবনে প্রবেশ করবে তানহা।
আমি মাথা নিচু করে আছি। ওর দিকে তাকাতে সংকোচ লাগছে আমার।
এরপর আমার মাথাটা মুছে দিয়ে ও বলল---
-- নে মাথা মুছে দিয়েছি.
এবার ব্রেকফাস্ট করে নে।
-- আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম.
-- মাথা নাড়াচ্ছিস কেন শুনি?( চোখ রাঙিয়ে)
এবার ব্রেকফাস্ট করে নে।
-- আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম.
-- মাথা নাড়াচ্ছিস কেন শুনি?( চোখ রাঙিয়ে)
কথাটা শুনেই আমি ওর দিকে তাকালাম।
--মানে...?
--মানে তোর যে হাত কেটে গেছে সে খেয়াল আছে.
সে হাত দিয়ে খাবি কিভাবে শুনি?
--ওহ,,
আমার তো খেয়ালই ছিল না?
--থাকবে কিভাবে।।
নিশ্চয়ই কোন মেয়েকে পছন্দ হয়েছে?
সারাদিন সারাক্ষণ শুধু সেই মেয়ের কথা ভাবছিস।( একটু মুচকি হেসে)
--মানে তোর যে হাত কেটে গেছে সে খেয়াল আছে.
সে হাত দিয়ে খাবি কিভাবে শুনি?
--ওহ,,
আমার তো খেয়ালই ছিল না?
--থাকবে কিভাবে।।
নিশ্চয়ই কোন মেয়েকে পছন্দ হয়েছে?
সারাদিন সারাক্ষণ শুধু সেই মেয়ের কথা ভাবছিস।( একটু মুচকি হেসে)
ওর কথা শুনে মনটা আরও খারাপ হয়ে গেলো। কে আছে আমার জীবনে তানহা তুমি ছাড়া?
তোমায় ছাড়া আমি আর কাকে ভালোবেসেছি? কাউকে না?
--এখানে আয়.
বস।
বস।
তারপর আমাকে জোর করে বসিয়ে নিজ হাতে খাইয়ে দিল তানহা। ও আমায় খাইয়ে দিচ্ছি আর আমি শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি.
কেন আমায় এতটা মায়ায় জড়াচ্ছো তানহা। যে মায়া আমি কোনদিন কাটিয়ে উঠতে পারবো না, সে মায়ায় আমাকে কেন জড়াচ্ছো?
কষ্ট হবে তানহা। তোমাকে হারিয়ে অনেক কষ্ট হবে আমার।
এরপর আমাকে খাইয়ে দিয়ে বলল---
-- নে এবার রেডি হয়ে নে.
তাড়াতাড়ি।।।
তাড়াতাড়ি।।।
তারপর আমি দেরি না করে রেডি হয়ে নিলাম। তারপর তানহা আর আমি গাড়িতে করে একটা বড় শপিং মলে গেলাম।
শপিং মলে ঢুকেই একটা বড় ক্লথ স্টোরে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে তো আমি পুরাই অবাক। সেখানে মামা, মামি, ছোট মামা, ছোট মামি, নানু, ছোট ভাই বোনেরা সবাই আছে।
হয়তো তানহার বিয়ের শপিং করতে এসছে সবাই। আমাকে দেখেই বড় মামি বলল----
-- এসেছিস বাবা.
সে কখন তানহাকে পাঠিয়েছি তোকে আনার জন্য।
আর মেয়েটা তোকে নিয়ে এখন এলো।
-- না মামী.
আসলে আমার দেরি হয়ে গেছিল।
-- আচ্ছা.
এখানে বস।
আচ্ছা ওই শেরওয়ানি টা দেখান তো (দোকানদারকে বলল মামি)
সে কখন তানহাকে পাঠিয়েছি তোকে আনার জন্য।
আর মেয়েটা তোকে নিয়ে এখন এলো।
-- না মামী.
আসলে আমার দেরি হয়ে গেছিল।
-- আচ্ছা.
এখানে বস।
আচ্ছা ওই শেরওয়ানি টা দেখান তো (দোকানদারকে বলল মামি)
তারপর দোকানদার একটা শেরওয়ানি মামীর হাতে দিলো। মামি ওই শেরওয়ানি টা আমার গায়ের সাথে মিলিয়ে দেখছে ঠিক আছে কিনা।
-- কি করছো মামি.
শেরওয়ানি আমার গায়ের সাথে মিলাচ্ছো কেনো?
-- ছেলেটার ছবি দেখিস নি?
--হুম,
--তোর মতই লম্বা-চুরা.
তোর মতই রোগাসোগা।
ছেলে তো এখন আমেরিকায়।
কিন্তু ছেলেকে একটা শেরওয়ানি দিতে হবে না। তাই তোর মাপেই কিনছি.
দেখি দেখি, একটু ঘোরতো।
শেরওয়ানি আমার গায়ের সাথে মিলাচ্ছো কেনো?
-- ছেলেটার ছবি দেখিস নি?
--হুম,
--তোর মতই লম্বা-চুরা.
তোর মতই রোগাসোগা।
ছেলে তো এখন আমেরিকায়।
কিন্তু ছেলেকে একটা শেরওয়ানি দিতে হবে না। তাই তোর মাপেই কিনছি.
দেখি দেখি, একটু ঘোরতো।
মামী আমার মাপেই সোরোয়ানিটা কিনল।
কি ভাগ্য আমার। যাকে ভালোবাসি, যাকে ভালোবাসলাম।
তার হবু বরের শেরওয়ানি টা আমার মাপেই কিনতে হল। অথচ আমার এই শেরওয়ানি টা পড়ার কত ইচ্ছে ছিল।
তানহাকে ব
তার হবু বরের শেরওয়ানি টা আমার মাপেই কিনতে হল। অথচ আমার এই শেরওয়ানি টা পড়ার কত ইচ্ছে ছিল।
তানহাকে ব
0 Comments