আমার জন্য ওর এতটা কেয়ারিং যেন আমার হৃদয়ে ওর জন্য আরও বেশি করে ভালোবাসার সৃষ্টি করছে। মেয়েটাকে যতই দেখছি ততবারি মনে হচ্ছে ও যেন শুধুই আমার। খাওয়া শেষ করে তানহা নিজ হাতে আমার মুখটা টিস্যু দিয়ে মুছে দিল। হঠাৎ আফসার ভাই রুমে এসে বললো--
-- ম্যাম পুলিশ এসেছে.
মিস্টার মেহমেদের সাথে কি যেন বলতে চায়?
-- ঠিক আছে. উনাদেরকে আসতে বলুন. (তানহা)
মিস্টার মেহমেদের সাথে কি যেন বলতে চায়?
-- ঠিক আছে. উনাদেরকে আসতে বলুন. (তানহা)
পুলিশ রুমে এসে তানহা কে বলল---
--হ্যালো ম্যাম.
আই এম রিয়েলি ভেরি সরি, আপনাকে ডিস্টার্ব করার জন্য।
আসলে মিস্টার মেহমেদ এর কাছ থেকে কিছু তথ্য আমাদের জানা দরকার ছিল।
তাই অসময়ে আপনাদের বিরক্ত করছি।
-- না না অফিসার, কোন সমস্যা নেই -
আপনি আসতে পারেন।
আই এম রিয়েলি ভেরি সরি, আপনাকে ডিস্টার্ব করার জন্য।
আসলে মিস্টার মেহমেদ এর কাছ থেকে কিছু তথ্য আমাদের জানা দরকার ছিল।
তাই অসময়ে আপনাদের বিরক্ত করছি।
-- না না অফিসার, কোন সমস্যা নেই -
আপনি আসতে পারেন।
অফিসার এসে চেয়ারে বসলো। আমাকে প্রশ্ন করল---
--আচ্ছা মিষ্টার মেহমেদ,
আপনাকে কিভাবে অপহরণ করা হয়েছে? কিছু বলতে পারবেন আমাদের.? (অফিসার)
আর কেনই বা আপনাকে অপহরণ করেছিল? কোন মুক্তিপণ দাবি করেছিল আপনার পরিবারের কাছে..?
--ম্যাম. আপনি একটু বাইরে যাবেন? প্লীজ...
( তানহাকে বললাম কথাটা)
আপনাকে কিভাবে অপহরণ করা হয়েছে? কিছু বলতে পারবেন আমাদের.? (অফিসার)
আর কেনই বা আপনাকে অপহরণ করেছিল? কোন মুক্তিপণ দাবি করেছিল আপনার পরিবারের কাছে..?
--ম্যাম. আপনি একটু বাইরে যাবেন? প্লীজ...
( তানহাকে বললাম কথাটা)
তানহা অবাক হয়ে আমাকে প্রশ্ন করল--
-- কেন?
আমি এখানে থাকলে সমস্যা কি?
--প্লীজ ম্যাম,
একটু বাইরে যান। অফিসারের সাথে আমি কিছু ইম্পরট্যান্ট কথা বলব।
--আশ্চর্য তো?
আমি এখানে থাকলে সমস্যাটা কি?
-- ম্যাম প্লিজ.
বোঝার চেষ্টা করুন। অফিসার কে কিছু ইম্পরট্যান্ট কথা বলার আছে আমার। প্লিজ...
-- কেন?
আমি এখানে থাকলে সমস্যা কি?
--প্লীজ ম্যাম,
একটু বাইরে যান। অফিসারের সাথে আমি কিছু ইম্পরট্যান্ট কথা বলব।
--আশ্চর্য তো?
আমি এখানে থাকলে সমস্যাটা কি?
-- ম্যাম প্লিজ.
বোঝার চেষ্টা করুন। অফিসার কে কিছু ইম্পরট্যান্ট কথা বলার আছে আমার। প্লিজ...
( আসলে তানিম আমাকে তানহার ব্যাপারে যে মিথ্যে ভালোবাসার কথাটা বলেছে. সেটা আমি তানহার সামনে অফিসারকে বলতে চাই না। এ কারণেই ওকে বলছি বাইরে গিয়ে দাঁড়াতে। কিন্তু তানহা যা জেদি মেয়ে সহজে বাইরে যাবে বলে মনে হয় না।)
--দেখ মেহমেদ..
যা বলার আমার সামনেই বলবি.
আমার কাছে কোন কিছু লুকানো যাবে না।
-- ঠিক আছে..
যা বলার আমার সামনেই বলবি.
আমার কাছে কোন কিছু লুকানো যাবে না।
-- ঠিক আছে..
কি আর করার। আমি জানি ওকে এর থেকে বেশি কথা বলে লাভ নেই। ও শুনবে না। তাই ওর সামনেই অফিসারকে সবকিছু খুলে বলতে শুরু করলাম।
-- আসলে তানহা আর আমি একটি পাহাড়ের আদিবাসীদের বস্তিতে ছিলাম.
সেখানে একটি ফুলের বাগান ছিল, তানহার রিকুয়েস্ট আমি ওর জন্য ফুল আনতে যাই।
কিন্তু সেই বাগানের ভিতরে ঢুকে দেখি বাগানের পেছনে শাড়ি পরা একটি মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।
ব্যাপারটা কি সেটা বুঝতে আমি ওখানে যাই।
ওখানে গিয়ে মহিলাটাকে তুলতেই আমি অবাক হই।
-- অবাক হন..?
কেন..? (অফিসার)
-- আসলে শাড়ি পরা মহিলাটি কোনো নারী ছিল না,
একটি ছেলে ছিল।
--ও, আই সি..
তারপর..?
--তারপর ওই ছেলেটি তৎক্ষণাৎ চোখ খুলে আমার নাকে কিছু একটা ধরলে, সাথে সাথে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।
আমার আর কিছু মনে থাকে না।
--মাই গড..
কি সাংঘাতিক ব্যাপার??
তারপর কি হয়েছে মিস্টার মেহমেদ..?
--তারপর যখন আমার জ্ঞান ফিরল.
আমি লক্ষ করলাম আমি একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আছি। চেয়ারে বসা অবস্থায়, হাত-পা বাঁধা।
তারপর দেখলাম যে তানিম এই অপহরণের সাথে সম্পৃক্ত,
-- তানিম আপনাকে কেন অপহরণ করেছে, এ বিষয়ে কিছু বলেছে..?
সেখানে একটি ফুলের বাগান ছিল, তানহার রিকুয়েস্ট আমি ওর জন্য ফুল আনতে যাই।
কিন্তু সেই বাগানের ভিতরে ঢুকে দেখি বাগানের পেছনে শাড়ি পরা একটি মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।
ব্যাপারটা কি সেটা বুঝতে আমি ওখানে যাই।
ওখানে গিয়ে মহিলাটাকে তুলতেই আমি অবাক হই।
-- অবাক হন..?
কেন..? (অফিসার)
-- আসলে শাড়ি পরা মহিলাটি কোনো নারী ছিল না,
একটি ছেলে ছিল।
--ও, আই সি..
তারপর..?
--তারপর ওই ছেলেটি তৎক্ষণাৎ চোখ খুলে আমার নাকে কিছু একটা ধরলে, সাথে সাথে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।
আমার আর কিছু মনে থাকে না।
--মাই গড..
কি সাংঘাতিক ব্যাপার??
তারপর কি হয়েছে মিস্টার মেহমেদ..?
--তারপর যখন আমার জ্ঞান ফিরল.
আমি লক্ষ করলাম আমি একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আছি। চেয়ারে বসা অবস্থায়, হাত-পা বাঁধা।
তারপর দেখলাম যে তানিম এই অপহরণের সাথে সম্পৃক্ত,
-- তানিম আপনাকে কেন অপহরণ করেছে, এ বিষয়ে কিছু বলেছে..?
অফিসারের এই কথাটার উত্তর দিতে আমি কিছুটা সংকোচ বোধ করছিলাম। আমি চাইনা তানিমের কারণে তানহা কোন রকম ভাবে কষ্ট পাক।
কিন্তু কিছুই করার নাই। তানহা যেহেতু এখানে তানহার সামনেই সব সত্য কথাটা বলতে হচ্ছে।
-- আসলে তানিম চার বছর আগে তানহার সাথে ভালোবাসার নাটক করেছিল।
তানহার বাবার মানে আমার বড় মামার সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য।
কিন্তু সেবার ব্যর্থ হওয়ায় এবার চেষ্টা করে।
তানহার কাছাকাছি এসে ওর সাথে আবার সম্পর্কে জড়ানোর এবং অবশেষে বিয়ে করে তানহার বাবার সমস্ত সম্পত্তি নিজের দখলে নিয়ে আসার।
-- তা বুঝলাম.
কিন্তু আপনাকে কেন অপহরণ করলো সেটা তো বলবেন..?
--আসলে তানহা একদিন তানিমকে বলেছিল যে আমার সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে।
আর তানিম মনে করেছে যে ও সাফল্যের পথে আমি সবচেয়ে বড় কাঁটা।
আমাকে সরিয়ে দিতে পারলেই ও ওর কাজে সফল হতে পারবে।
তাই আমাকে অপহরণ করে হত্যা করার চেষ্টা করো ও।
-- মাই গড..
তারমানে হৃদয় ঘটিত ব্যাপার, আবার কিছুটা অর্থের স্বার্থ ও আছে দেখছি।
যাই হোক, আমি এখানে আপনাদের বলতে এসেছি যে তানিমকে আমরা ধরতে পেরেছি।
উই আর সাকসেস টু ক্যাচ তানিম.....
তানহার বাবার মানে আমার বড় মামার সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য।
কিন্তু সেবার ব্যর্থ হওয়ায় এবার চেষ্টা করে।
তানহার কাছাকাছি এসে ওর সাথে আবার সম্পর্কে জড়ানোর এবং অবশেষে বিয়ে করে তানহার বাবার সমস্ত সম্পত্তি নিজের দখলে নিয়ে আসার।
-- তা বুঝলাম.
কিন্তু আপনাকে কেন অপহরণ করলো সেটা তো বলবেন..?
--আসলে তানহা একদিন তানিমকে বলেছিল যে আমার সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে।
আর তানিম মনে করেছে যে ও সাফল্যের পথে আমি সবচেয়ে বড় কাঁটা।
আমাকে সরিয়ে দিতে পারলেই ও ওর কাজে সফল হতে পারবে।
তাই আমাকে অপহরণ করে হত্যা করার চেষ্টা করো ও।
-- মাই গড..
তারমানে হৃদয় ঘটিত ব্যাপার, আবার কিছুটা অর্থের স্বার্থ ও আছে দেখছি।
যাই হোক, আমি এখানে আপনাদের বলতে এসেছি যে তানিমকে আমরা ধরতে পেরেছি।
উই আর সাকসেস টু ক্যাচ তানিম.....
কথাটা শুনেই আমরা দুজনেই খুব বিচলিত হয়ে গেলাম। তানহা খুব আগ্রহের সাথে প্রশ্ন করলো---
-- কিভাবে অফিসার?
কিভাবে ধরতে পেলেন ওই অসভ্যটাকে?
এখন কোথায় ও??
-- কুল ডাউন মিস তানহা. কুল।
ওকে এখন পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা কালি ওকে কোর্টে চালান করব।
তাই ভাবলাম আপনার সাথে এবং মিস্টার মেহমেদ এর সাথে ফাইনালি কথা বলে যাই।
তাহলে আমি এখন আসি মিস তানহা।
কিভাবে ধরতে পেলেন ওই অসভ্যটাকে?
এখন কোথায় ও??
-- কুল ডাউন মিস তানহা. কুল।
ওকে এখন পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা কালি ওকে কোর্টে চালান করব।
তাই ভাবলাম আপনার সাথে এবং মিস্টার মেহমেদ এর সাথে ফাইনালি কথা বলে যাই।
তাহলে আমি এখন আসি মিস তানহা।
অফিসার উঠে গেল। হঠাৎ তানহা বলে উঠলো--
-- অফিসার. এই অসভ্য তানিমের সাথে আমি একটু কথা বলতে চাই.
-- অফকোর্স.. অবশ্যই.
আপনি ওর সাথে কথা বলতে চাইলে আমাদের সাথে আসতে পারেন।
-- জী চলুন.
মেহমেদ তুই এখন একটু রেস্ট নে।
আমি ওই বেয়াদবটার সাথে একটু দেখা করে আসি।
-- দাঁড়ান দাঁড়ান.
আমিও যাব আপনার সাথে।
-- একদম না.
তোর শরীর এখন অসুস্থ।
তুই এখানে শুয়ে রেস্ট নে।
-- কিন্তু.....
-- বলেছি না তুই যাবি না, মানে যাবি না।
তুই এখন রেস্ট নিবি, বুঝেছিস?( চোখ রাঙিয়ে)
-- অফকোর্স.. অবশ্যই.
আপনি ওর সাথে কথা বলতে চাইলে আমাদের সাথে আসতে পারেন।
-- জী চলুন.
মেহমেদ তুই এখন একটু রেস্ট নে।
আমি ওই বেয়াদবটার সাথে একটু দেখা করে আসি।
-- দাঁড়ান দাঁড়ান.
আমিও যাব আপনার সাথে।
-- একদম না.
তোর শরীর এখন অসুস্থ।
তুই এখানে শুয়ে রেস্ট নে।
-- কিন্তু.....
-- বলেছি না তুই যাবি না, মানে যাবি না।
তুই এখন রেস্ট নিবি, বুঝেছিস?( চোখ রাঙিয়ে)
কি আর করব? ম্যাডামের যা স্বভাব, একবার রাগলে সহজে রাগ ভাঙ্গে না।
তাই ওর কথা শুনে এখানেই রইলাম। না জানি কি কেয়ামত বাঁধিয়া দে ওখানে গিয়ে।
তাই ওর কথা শুনে এখানেই রইলাম। না জানি কি কেয়ামত বাঁধিয়া দে ওখানে গিয়ে।
আল্লাহই জানে, তানিম কমপক্ষে একটা থাপ্পর তো খাবেই। আমি শিওর।
তারপর আমাকে রেখে ও আর অফিসার চলে গেল। আমি আর কি করবো। শুয়ে শুয়ে রেস্ট নিচ্ছিলাম।
প্রায় দুই ঘণ্টা পরে হঠাৎ তানহা দরজা খুলে আমার রুমে এলো। ওকে দেখে আমি শোয়া থেকে উঠে বসলাম।
-- কি হলো?
কি বললেন তানিমকে? কিছু বলেছেন ওকে? (খুব আগ্রহের সহিত প্রশ্ন করলাম)
-- তুই এভাবে প্রশ্ন করছিস,
যেন আমি তানিম কি আস্ত গিলে খেতে গিয়েছিলাম?
-- আপনি যেই স্বভাবের মেয়ে.
বলা তো যায় না, খেলেও তো খেতে পারেন মাঝে মাঝে, (কন্ঠটা একটু ছোট করে বললাম)
--কি বললি তুই?
(খুব রেগে)
--না না. কিছু বলিনি.
তা কি করলেন ওখানে গিয়ে।
--আগে বলতো. তুই খেয়েছিস?
-- খাবো?
কটা বাজে এখন?
-- মানে.?
-- ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখ বুদ্ধ, কটা বাজে?
কি বললেন তানিমকে? কিছু বলেছেন ওকে? (খুব আগ্রহের সহিত প্রশ্ন করলাম)
-- তুই এভাবে প্রশ্ন করছিস,
যেন আমি তানিম কি আস্ত গিলে খেতে গিয়েছিলাম?
-- আপনি যেই স্বভাবের মেয়ে.
বলা তো যায় না, খেলেও তো খেতে পারেন মাঝে মাঝে, (কন্ঠটা একটু ছোট করে বললাম)
--কি বললি তুই?
(খুব রেগে)
--না না. কিছু বলিনি.
তা কি করলেন ওখানে গিয়ে।
--আগে বলতো. তুই খেয়েছিস?
-- খাবো?
কটা বাজে এখন?
-- মানে.?
-- ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখ বুদ্ধ, কটা বাজে?
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত্র ১১:০৫...
অনেকটা রাত হয়েছে। কিন্তু তানহার কথা ভেবে ভেবে ওদিক দিয়ে যে সময় চলে গেছে বুঝতেই পারিনি।
অনেকটা রাত হয়েছে। কিন্তু তানহার কথা ভেবে ভেবে ওদিক দিয়ে যে সময় চলে গেছে বুঝতেই পারিনি।
--তুই এখানে অপেক্ষা কর আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে আসছি.
আমি মাথা নাড়ালাম। ও চলে গেল। কিছুক্ষণ পর তানহা আমার জন্য খাবার নিয়ে এলো। ওর হাতে খাবার দেখে আমি সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলাম ----
--প্লিজ প্লিজ প্লিজ...
আবার সেই তেতো স্যুপ খেতে পারব না। প্লিজ,,
--(তানহা আমার কথা শুনে একটু হাসলো)
ভয় পাস না. তোর জন্য এবার স্যুপ আনিনি.
বাঙালি খাবার এনেছি।
আবার সেই তেতো স্যুপ খেতে পারব না। প্লিজ,,
--(তানহা আমার কথা শুনে একটু হাসলো)
ভয় পাস না. তোর জন্য এবার স্যুপ আনিনি.
বাঙালি খাবার এনেছি।
কথাটা শুনে একটু শান্তি পেলাম। এরপর তানহা বিছানায় আমার পাশে বসে বলল --
--আচ্ছা খাওয়ার আগের ওষুধ গুলো খেয়েছিস?
-- খাওয়ার আগে ওষুধ??
না তো. মনে নেই.
-- মনে নেই মানে? (চোখ রাঙিয়ে)
--আসলে ওষুধ খেতে ভালো লাগে না.
খুব তেতো।
-- তুই কি একটুও সিরিয়াস হবি না তোর জীবনে?
সুস্থ হতে হলে তো ওষুধ খেতেই হবে তাই না?
( খুব অস্থির হয়ে)
দেখ নিজের একটু যত্ন নিতে শেখ। মানুষ কি সবসময় একরকম থাকে বল?
একটু চেঞ্জ হয়। কিন্তু তুই......?
(ওর কথাগুলো শুনে মনে মনে হাসছি।)
--না আমি কখনো চেঞ্জ হব না.
--মানে?
কেন হবি না?
-- আমি চাই আমার জীবনে এমন কেউ আসুক, যে আমার নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর খেয়াল রাখবে। আমার যত্ন নেবে।
-- ইস... বয়েই গেছে তোর যত্ন নিতে.
এরকম কে আসবি তোর জীবনে, যে তোর মত বুদ্ধুর যত্ন নেবে শুনি?
( খাবার গুলো বাড়তে বাড়তে বললো)
--কেন..
আপনি আছেন না. আপনি নিবেন..
-- খাওয়ার আগে ওষুধ??
না তো. মনে নেই.
-- মনে নেই মানে? (চোখ রাঙিয়ে)
--আসলে ওষুধ খেতে ভালো লাগে না.
খুব তেতো।
-- তুই কি একটুও সিরিয়াস হবি না তোর জীবনে?
সুস্থ হতে হলে তো ওষুধ খেতেই হবে তাই না?
( খুব অস্থির হয়ে)
দেখ নিজের একটু যত্ন নিতে শেখ। মানুষ কি সবসময় একরকম থাকে বল?
একটু চেঞ্জ হয়। কিন্তু তুই......?
(ওর কথাগুলো শুনে মনে মনে হাসছি।)
--না আমি কখনো চেঞ্জ হব না.
--মানে?
কেন হবি না?
-- আমি চাই আমার জীবনে এমন কেউ আসুক, যে আমার নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর খেয়াল রাখবে। আমার যত্ন নেবে।
-- ইস... বয়েই গেছে তোর যত্ন নিতে.
এরকম কে আসবি তোর জীবনে, যে তোর মত বুদ্ধুর যত্ন নেবে শুনি?
( খাবার গুলো বাড়তে বাড়তে বললো)
--কেন..
আপনি আছেন না. আপনি নিবেন..
কথাটা শুনে তানহা আমার দিকে অন্য ভাবে তাকালো। ওর সেই তাকানো যেন হৃদয় কে ঘায়েল করার মতো। সেই চাহনি মুগ্ধ করে আমায়। মুখশ্রী টা যেন নিষ্পাপ। চোখ যেন কথা বলে ওর। কি বলবো সৌন্দর্য্যের কথা। আমার জীবনে দেখা এক অনন্য সুন্দরী তানহা...
হঠাৎ ও বলে উঠলো --
--ইস.
আমার বয়েই গেছে তোর সেবা করতে?
-- কেন?
করবেন না?
--একদম না.
তোকে মেরেই আস্ত রাখব না, আবার সেবা..?
--যদি কোনদিন করতে হয়?
বাধ্য হয়ে?
-- যদি করতে হয়, তখন দেখা যাবে।
এখন হা কর। বেশি কথা না বলে খাবার গুলো খেয়ে নে।
আমার বয়েই গেছে তোর সেবা করতে?
-- কেন?
করবেন না?
--একদম না.
তোকে মেরেই আস্ত রাখব না, আবার সেবা..?
--যদি কোনদিন করতে হয়?
বাধ্য হয়ে?
-- যদি করতে হয়, তখন দেখা যাবে।
এখন হা কর। বেশি কথা না বলে খাবার গুলো খেয়ে নে।
বলেই আমার মুখে খাবার গুঁজে দিল তানহা। ও আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে আর আমি শুধু ওর মুখটা দেখছি।
কি ব্যস্ততাময় মুখ। যেন আমার জন্য ওর কত চিন্তা? ওকে শুধু একটু বলতে ইচ্ছে করছে,, ""এভাবেই সারা জীবন আমার পাশে থেকো তানহা। প্লিজ কখনো ছেড়ে যেও না।
তোমায় ছাড়া আমি বাঁচবো না, একটি মুহূর্তও না। বাঁচতে চাইও না। কারণ এই হৃদয়ে শুধু তোমারই স্থান। তোমায় ছাড়া আর কাউকে ভালবাসতে পারব না।
কাউকে জায়গা দিতে পারব না এই হৃদয়ে। তোমায় যে বড্ড ভালোবাসি তানহা।
.তা কি তুমি আজও বোঝনি..?
তোমায় ছাড়া আমি বাঁচবো না, একটি মুহূর্তও না। বাঁচতে চাইও না। কারণ এই হৃদয়ে শুধু তোমারই স্থান। তোমায় ছাড়া আর কাউকে ভালবাসতে পারব না।
কাউকে জায়গা দিতে পারব না এই হৃদয়ে। তোমায় যে বড্ড ভালোবাসি তানহা।
.তা কি তুমি আজও বোঝনি..?
-হঠাৎ খাওয়ার মাঝে ওকে প্রশ্ন করলাম--
-- কি করলেন তানিমের কাছে গিয়ে?
--কেন?
-- না এমনিতেই জিজ্ঞেস করছিলাম.
-- তুই জানিস না,
আমি ওর কাছে গিয়ে কি করতে পারি।
--কমপক্ষে একটা চড় তো মেরেছেন.
এটা জানি.( একটু হেসে)
-- না.
ওকে কোনো চড় মারিনি.
-- কি বলছেন কি?
আপনি তানিমকে চড় মারেন নি?
এটা আমাকে বিশ্বাস করতে হবে?
-- সত্যিই রে.
ওকে কোন চড় মারি নি।
-- তাহলে.
--ওকে এমন কিছু কথা বলেছি.
যা ও সারা জীবন মনে রাখবে আর আফসোস করবে।
-- কি এমন বলেছেন ওকে.?
যে সারা জীবন আফসোস করবে।
--বলেছি অনেক কিছু.
আমার স্বভাব তো জানিস,
কেউ আমাকে কিছু বললে তাকে আমি সহজে ছেড়ে দেই না?
আর সেখানে তানিম তোকে অপহরণ করে তোর এই হাল করেছে।
ওকে আমি এত সহজে ছেড়ে দিব ভেবেছিলি।
--হুম.
বুঝতে পারলাম। নিশ্চয়ই ওর হৃদয়টাকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন।( একটু হেসে)
--একদম বেশি কথা বলবি না।
খেয়ে নে (চোখ রাঙিয়ে)
--কেন?
-- না এমনিতেই জিজ্ঞেস করছিলাম.
-- তুই জানিস না,
আমি ওর কাছে গিয়ে কি করতে পারি।
--কমপক্ষে একটা চড় তো মেরেছেন.
এটা জানি.( একটু হেসে)
-- না.
ওকে কোনো চড় মারিনি.
-- কি বলছেন কি?
আপনি তানিমকে চড় মারেন নি?
এটা আমাকে বিশ্বাস করতে হবে?
-- সত্যিই রে.
ওকে কোন চড় মারি নি।
-- তাহলে.
--ওকে এমন কিছু কথা বলেছি.
যা ও সারা জীবন মনে রাখবে আর আফসোস করবে।
-- কি এমন বলেছেন ওকে.?
যে সারা জীবন আফসোস করবে।
--বলেছি অনেক কিছু.
আমার স্বভাব তো জানিস,
কেউ আমাকে কিছু বললে তাকে আমি সহজে ছেড়ে দেই না?
আর সেখানে তানিম তোকে অপহরণ করে তোর এই হাল করেছে।
ওকে আমি এত সহজে ছেড়ে দিব ভেবেছিলি।
--হুম.
বুঝতে পারলাম। নিশ্চয়ই ওর হৃদয়টাকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন।( একটু হেসে)
--একদম বেশি কথা বলবি না।
খেয়ে নে (চোখ রাঙিয়ে)
আমি খেয়ে নিলাম। সবটা আমার কাছে যেন ঘোলাটে লাগছে।
আশ্চর্য, কলেজ লাইফে একটা ছেলেও ছিল না যে তানহার হাতে থাপ্পড় খায়নি। অবশ্য এমনি এমনি তানহা ওদেরকে মারেনি।
ছেলেরা ওকে খুব ডিস্টার্ব করত। তাই,
যাইহোক। এত গভীরে ঢুকে আমার কোন কাজ নেই। খাওয়া শেষ করে তানহা আমায় ওষুধ গুলো দেখে দেখে খাইয়ে দিল। এরপর আমায় বলল--
-- নে এবার শুয়ে পর.
অনেক রাত হয়েছে..
অনেক রাত হয়েছে..
আমাকে শুইয়ে দিয়ে আমার উপর চাদরটা দিয়ে দিল।
-- আপনিও শুয়ে পড়ুন গিয়ে.
আর হ্যাঁ শোয়ার আগে অবশ্যই খেয়ে নেবেন।
আর হ্যাঁ শোয়ার আগে অবশ্যই খেয়ে নেবেন।
তানহা আমার কথা শুনে একটু মুচকি হেসে বলল--
-- ঠিক আছে.
গুড নাইট।
--হ্যাপি ড্রিম নাইট.....
গুড নাইট।
--হ্যাপি ড্রিম নাইট.....
তারপর আমার রুমের বাতি টা অফ করে দিয়ে তানহা ওর রুমে চলে গেল। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকাল বেলা আমার ঘুম ভাঙলো চোখেরর ওপর মিষ্টি রোদের ছোঁয়ায়। চোখ খুলে দেখি তানহা আমার রুমে জানালার পর্দা গুলো খুলে দিয়েছে।
-- গুড মর্নিং.
ঘুম কেমন হয়েছে?( তানহা)
--ঘুম আর হলো কই?
ঘুমটা তো আপনি ভেঙে দিলেন।
-- বেশি ঘুমালে গায়ে এবার পানি ঢেলে দেবো. (একটু হেসে)
এবার ওঠ, ফ্রেশ হয়ে নে।
আমাদের যেতে হবে।
--কোথায় যাবো?
আমরা অফিসের সবাই কি বাসে উঠে গেছে?
-- অফিসের সবাই না.
শুধু তুই আর আমি।
-- মানে?
অফিসের সবাই যাবে না?
-- যাবে তো.
তবে ওরা অন্য জায়গায় ঘুরতে যাবে।
তুই আর আমি আলাদা একটি জায়গায় যাব।
-- কোথায়.?
কোথায় যাবো আমরা?
--মেহমেদ.
তুই না বড্ড বেশি প্রশ্ন করিস ।(একটু রেগে)
--সরি. (মুখটা মলিন করে)
--এবার ওঠ.
ফ্রেশ হয়ে নে। নাস্তা করতে হবে।
--জ্বী..
ঘুম কেমন হয়েছে?( তানহা)
--ঘুম আর হলো কই?
ঘুমটা তো আপনি ভেঙে দিলেন।
-- বেশি ঘুমালে গায়ে এবার পানি ঢেলে দেবো. (একটু হেসে)
এবার ওঠ, ফ্রেশ হয়ে নে।
আমাদের যেতে হবে।
--কোথায় যাবো?
আমরা অফিসের সবাই কি বাসে উঠে গেছে?
-- অফিসের সবাই না.
শুধু তুই আর আমি।
-- মানে?
অফিসের সবাই যাবে না?
-- যাবে তো.
তবে ওরা অন্য জায়গায় ঘুরতে যাবে।
তুই আর আমি আলাদা একটি জায়গায় যাব।
-- কোথায়.?
কোথায় যাবো আমরা?
--মেহমেদ.
তুই না বড্ড বেশি প্রশ্ন করিস ।(একটু রেগে)
--সরি. (মুখটা মলিন করে)
--এবার ওঠ.
ফ্রেশ হয়ে নে। নাস্তা করতে হবে।
--জ্বী..
আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তা করতে বসলাম। তানহা আমায় নিজের হাতে খাইয়ে দিল। ওষুধ গুলোও ঠিক মত খাইয়ে দিল।
--নে. এবার রেডি হয়ে নে.
তোর জন্য আমি নিচে অপেক্ষা করছি.
-- একটা প্রশ্ন করব.
প্লিজ রাগ করবেন না প্লীজ.
-- কি? বলনা.
-- আপনি আমায় কোথায় নিয়ে যাবেন?
তোর জন্য আমি নিচে অপেক্ষা করছি.
-- একটা প্রশ্ন করব.
প্লিজ রাগ করবেন না প্লীজ.
-- কি? বলনা.
-- আপনি আমায় কোথায় নিয়ে যাবেন?
কথাটা শুনেই তানহা হাসতে লাগলো। হাসতে হাসতে আমায় বলল----
-- মেহমেদ.
তুই পারিসও বটে। তোকে নিয়ে আর পারা যায় না। এত্ত প্রশ্ন করতে পারিস।
আরে বাবা তোকে নিয়ে একটি জায়গায় ঘুরতে যাব।
তোকে গিলে খাব না।
তাড়াতাড়ি আয়।
আমি নিচে অপেক্ষা করছি।
তুই পারিসও বটে। তোকে নিয়ে আর পারা যায় না। এত্ত প্রশ্ন করতে পারিস।
আরে বাবা তোকে নিয়ে একটি জায়গায় ঘুরতে যাব।
তোকে গিলে খাব না।
তাড়াতাড়ি আয়।
আমি নিচে অপেক্ষা করছি।
কথাটা বলেই ও চলে গেল। আমিও দেরী না করে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলাম। রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি হোটেলের সামনে তানহা আমার জন্য গাড়িতে অপেক্ষা করছে।
গাড়িতে উঠতেই গাড়িটা বেরিয়ে গেল হোটেল থেকে।
হঠাৎ তানহা আমায় বলল ---
হঠাৎ তানহা আমায় বলল ---
--আচ্ছা মেহমেদ.
তোর মনে পড়ে ছোটবেলায় আমরা যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম.
তুই আর আমি নৌকা করে সারা নদী ভেসে বেড়াতাম।
-- খুব মনে আছে.
অসাধারন ছিল সেই মুহূর্তগুলো।
আপনি তো একবার নৌকা থেকে পড়েই গিয়েছিলেন।
তোর মনে পড়ে ছোটবেলায় আমরা যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম.
তুই আর আমি নৌকা করে সারা নদী ভেসে বেড়াতাম।
-- খুব মনে আছে.
অসাধারন ছিল সেই মুহূর্তগুলো।
আপনি তো একবার নৌকা থেকে পড়েই গিয়েছিলেন।
হঠাৎ আমার সিনায় একটি ঘুসি মেরে বলল--
-- মিথ্যুক আমি পড়ে গিয়েছিলাম?
নাকি তুই আমায় ফেলে দিয়েছিল?
--আপনার এখনও মনে আছে? (হেসে)
--থাকবে না মানে?
খুব মনে আছে।
তোকে শাপলা ফুল দিইনি বলে তুই আমায় ফেলে দিয়েছিলে।
--আপনিও তো খুব কিপটে ছিলেন.
অতোগুলো শাপলা ফুল নদী থেকে তুলেছিলেন, একটা চেয়েছিলাম তাও দিলেন না।
অত শাপলা ফুল দিয়ে করেছেন কি শুনি?
--শাপলা ফুল আমার খুব পছন্দের.
এটা আমি কাউকে দিই না।
--শাপলা ফুল?
আমি তো শুনেছি মেয়েদের পছন্দের ফুল হচ্ছে গোলাপ।
--সে যার যার নিজস্ব ব্যক্তিগত পছন্দ.
আমার পছন্দের ফুল শাপলা।
--তা পছন্দ বলে কি দেওয়া যেত না অন্য কাউকে?
-- যেত.
কিন্তু আমি দিতাম না।
আচ্ছা তোর পছন্দের ফুল কি?
--আমার?
-- হুম.
-- আমার পছন্দের ফুল গোলাপ.
--গোলাপ?
কারণটা কি?
--গোলাপ ভালোবাসার স্মৃতি বহন করে.
গোলাপ ভালবাসতে শিখায়, গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়।
আমার ব্যাক্তিগত অভিমত এটা।
--মানে বুঝলাম না কিছু?
--কেন?
আপনি দেখেন না- একটি ছেলে যখন একটি মেয়েকে প্রপোজ করে. তখন গোলাপ ফুল দিয়ে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করে.
--বুঝলাম.
কিন্তু গোলাপেও কিন্তু কাটা থাকে,( একটু হেসে)
--হ্যাঁ জানি.
ওই যে বললাম, গোলাপ ভালোবাসার স্মৃতি বহন করে।
-- যেমন, বুঝলাম না কিছু??
--ভালোবাসা মানে যে শুধুই অনাবিল সুখ, প্রশান্তি তা নয়।
ভালোবাসার অপর নাম, কষ্টকে আলিঙ্গন করা, দুঃখকে ডেকে আনা।
ভালোবাসার মাঝে শুধুই সুখ পাওয়া যায় না। কষ্টটাকেও সমান ভাবে ভোগ করতে হয়।
--যেমন...?
-- গোলাপ খুব সুন্দর- সুগন্ধিযুক্ত.
কিন্তু এর সৌন্দর্য ভোগ করতে হলে কাটার একটু খোঁচা তো খেতেই হবে।
ঠিক তেমনি ভালবাসার সুখটা পেতে হলে, ভালোবাসার কষ্ট টাও সহ্য করতে হবে।
তবেই প্রকৃত ভালবাসার মানে বোঝা যায়। ভালো বাসা যায়।
বোঝাতে পারলাম কি..?
--এত সুন্দর করে কথা বলা কবে শিখলি..?? (আমার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে)
-- ধুর. কি যে বলেন আপনি?
নাকি তুই আমায় ফেলে দিয়েছিল?
--আপনার এখনও মনে আছে? (হেসে)
--থাকবে না মানে?
খুব মনে আছে।
তোকে শাপলা ফুল দিইনি বলে তুই আমায় ফেলে দিয়েছিলে।
--আপনিও তো খুব কিপটে ছিলেন.
অতোগুলো শাপলা ফুল নদী থেকে তুলেছিলেন, একটা চেয়েছিলাম তাও দিলেন না।
অত শাপলা ফুল দিয়ে করেছেন কি শুনি?
--শাপলা ফুল আমার খুব পছন্দের.
এটা আমি কাউকে দিই না।
--শাপলা ফুল?
আমি তো শুনেছি মেয়েদের পছন্দের ফুল হচ্ছে গোলাপ।
--সে যার যার নিজস্ব ব্যক্তিগত পছন্দ.
আমার পছন্দের ফুল শাপলা।
--তা পছন্দ বলে কি দেওয়া যেত না অন্য কাউকে?
-- যেত.
কিন্তু আমি দিতাম না।
আচ্ছা তোর পছন্দের ফুল কি?
--আমার?
-- হুম.
-- আমার পছন্দের ফুল গোলাপ.
--গোলাপ?
কারণটা কি?
--গোলাপ ভালোবাসার স্মৃতি বহন করে.
গোলাপ ভালবাসতে শিখায়, গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়।
আমার ব্যাক্তিগত অভিমত এটা।
--মানে বুঝলাম না কিছু?
--কেন?
আপনি দেখেন না- একটি ছেলে যখন একটি মেয়েকে প্রপোজ করে. তখন গোলাপ ফুল দিয়ে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করে.
--বুঝলাম.
কিন্তু গোলাপেও কিন্তু কাটা থাকে,( একটু হেসে)
--হ্যাঁ জানি.
ওই যে বললাম, গোলাপ ভালোবাসার স্মৃতি বহন করে।
-- যেমন, বুঝলাম না কিছু??
--ভালোবাসা মানে যে শুধুই অনাবিল সুখ, প্রশান্তি তা নয়।
ভালোবাসার অপর নাম, কষ্টকে আলিঙ্গন করা, দুঃখকে ডেকে আনা।
ভালোবাসার মাঝে শুধুই সুখ পাওয়া যায় না। কষ্টটাকেও সমান ভাবে ভোগ করতে হয়।
--যেমন...?
-- গোলাপ খুব সুন্দর- সুগন্ধিযুক্ত.
কিন্তু এর সৌন্দর্য ভোগ করতে হলে কাটার একটু খোঁচা তো খেতেই হবে।
ঠিক তেমনি ভালবাসার সুখটা পেতে হলে, ভালোবাসার কষ্ট টাও সহ্য করতে হবে।
তবেই প্রকৃত ভালবাসার মানে বোঝা যায়। ভালো বাসা যায়।
বোঝাতে পারলাম কি..?
--এত সুন্দর করে কথা বলা কবে শিখলি..?? (আমার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে)
-- ধুর. কি যে বলেন আপনি?
আমি একটু লজ্জাই পেলাম ওর চাহনিতে। তাই মুখটা ঘুরিয়ে জানলার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলাম।
গাড়িটা অনেকক্ষণ চলার পর একটি জায়গায় এসে থামল। জায়গাটা ছিল নদীর তীর। সেখানে গিয়ে তো আমি পুরাই অবাক। তানহা আমাদের জন্য একটি নৌকা ভাড়া করেছিল, ঘুরবো বলে।
তারপর তানহা আমায় বলল----
-- কিরে.
চল যাওয়া যাক।। ছোটবেলায়..
--ছোট বেলায়??
কিভাবে যাবেন..?
--যেভাবে আগে যেতাম.
তোকে সাথে নিয়ে। ঠিক সে ভাবে..
চল যাওয়া যাক।। ছোটবেলায়..
--ছোট বেলায়??
কিভাবে যাবেন..?
--যেভাবে আগে যেতাম.
তোকে সাথে নিয়ে। ঠিক সে ভাবে..
কথাটা বলেই তানহা নৌকায় উঠে পড়লো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ওর দিকে।
যেন ছোট্ট একটা বাচ্চা মেয়ে।
যেন ছোট্ট একটা বাচ্চা মেয়ে।
--কিরে..
দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি..?
আয়....(নৌকা থেকে ডাকছে আমায়)
-- আমার না উঠলে হয় না?
দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি..?
আয়....(নৌকা থেকে ডাকছে আমায়)
-- আমার না উঠলে হয় না?
আমার মুখে কথাটা শুনেই তানহা হেসে দিল।
--কি হলো?
হাসছেন কেন? (অবাক হয়ে)
-- তুই কি ভয় পাচ্ছিস নাকি?
--মানে?
ভয় পাবো কেন?
-- গাড়িতে তোকে ছোটবেলার কথা বলেছিলাম, যে তুই আমায় নৌকা থেকে ফেলে দিয়েছিলি এক সময়।
তুই কি মনে করছিস আমি তোকে নৌকা থেকে ফেলে দেবো আজ?
হাসছেন কেন? (অবাক হয়ে)
-- তুই কি ভয় পাচ্ছিস নাকি?
--মানে?
ভয় পাবো কেন?
-- গাড়িতে তোকে ছোটবেলার কথা বলেছিলাম, যে তুই আমায় নৌকা থেকে ফেলে দিয়েছিলি এক সময়।
তুই কি মনে করছিস আমি তোকে নৌকা থেকে ফেলে দেবো আজ?
আমি ওর কথা শুনে হাসতে লাগলাম।
--একদমই না.
আমি তো এমনি উঠতে চাইছিলাম না।
-- বেশি কথা না বলে তাড়াতাড়ি নৌকায় উঠ।
-- নৌকার মাঝি কই?
নৌকা তো দেখছি পুরো খালি।
--নৌকার মাঝি হবি তুই. (বৈঠাটা আমার দিকে ছুড়ে দিয়ে)
--মানে.
আমি নৌকা বাইবো।
আমি কিন্তু নৌকা-টোকা একদম বাইতে পারি না.
-- না জানলেও আজকে তোকে নৌকা বাইতে হবে।
--যদি স্রোতের টানে কোথাও হারিয়ে যাই. তখন? --হারিয়ে যাব.
অজানা কোন জায়গায়।
স্রোত আমাদের যেখানে নিয়ে যাবে। হারিয়ে যাব.
-- ভয় করবে না.
--তুই আছিস না আমার সাথে.
ভয় কিসের?( আমার দিকে অন্যরকম ভাবে তাকিয়ে)
আমি তো এমনি উঠতে চাইছিলাম না।
-- বেশি কথা না বলে তাড়াতাড়ি নৌকায় উঠ।
-- নৌকার মাঝি কই?
নৌকা তো দেখছি পুরো খালি।
--নৌকার মাঝি হবি তুই. (বৈঠাটা আমার দিকে ছুড়ে দিয়ে)
--মানে.
আমি নৌকা বাইবো।
আমি কিন্তু নৌকা-টোকা একদম বাইতে পারি না.
-- না জানলেও আজকে তোকে নৌকা বাইতে হবে।
--যদি স্রোতের টানে কোথাও হারিয়ে যাই. তখন? --হারিয়ে যাব.
অজানা কোন জায়গায়।
স্রোত আমাদের যেখানে নিয়ে যাবে। হারিয়ে যাব.
-- ভয় করবে না.
--তুই আছিস না আমার সাথে.
ভয় কিসের?( আমার দিকে অন্যরকম ভাবে তাকিয়ে)
আমি একটু লজ্জা পেয়ে ওর থেকে চোখটা ফিরে নিলাম।
--আশ্চর্য তো.
তুই উঠবি?
কখন থেকে নৌকায় দাঁড়িয়ে আছি আমি? (কোমরে হাত দিয়ে)
-- আচ্ছা আচ্ছা..
উঠছি।
তুই উঠবি?
কখন থেকে নৌকায় দাঁড়িয়ে আছি আমি? (কোমরে হাত দিয়ে)
-- আচ্ছা আচ্ছা..
উঠছি।
আমি বৈঠা টা নিয়ে নৌকায় উঠে পড়লাম। বৈঠার মাথাটা তীরের বুকে লাগিয়ে একটা টান দিলাম। সোজা তীর থেকে নদীর বুকে ভেসে পড়লাম দুজন।
তানহা নৌকার এক প্রান্তে আমি আরেক প্রান্তে। আমি নৌকা বাইতে না জানলেও চেষ্টা করছি ঠিক মত যাতে বাইতে পারি। নদীটা অনেক বড়।
তানহা ওপ্রান্তে একদম চুপ হয়ে বসে আছে । মেয়েটা কে খুব সুন্দর লাগছে আজকে। শাড়ি পরেছে আজ।
অবশ্য তানহা খুব একটা শাড়ি পড়ে না। তবে শাড়ি পড়লে ওকে যা মানায় না। একদম দেখার মত।
নীরবতার সমাপ্তি টেনে আমিই ওকে প্রশ্ন করলাম--
--কিছু বলবেন না?
-- কি বলবো?
--এই যে হঠাৎ করে আপনার নৌকায় ভেসে বেড়াতে ইচ্ছে হল?
-- এমনি. কোন কারণ নেই.
--এই নদীতে কিন্তু শাপলা নেই.( একটু মুচকি হেসে)
কথাটা শুনে তানহাও একটু হাসলো।
--সমস্যা নেই.
তুই তো আছিস।
--আমি কি আর শাপলা ফুলের অপূর্ণতা পূর্ণ করতে পারব.?
--সে জানিনা.
তবে তুই কাছে থাকলে ভালো লাগে।
--মজা করলেন? (ভ্রু কুঁচকে)
-- মজা করবো কেন?
-- আমার মধ্যে ভালো লাগার মত কি আছে এমন?
-- তা জানি না।
তবে ভালো মন আছে এটা জানি।
--ভালো মন দিয়ে কি সব কিছু পাওয়া যায়?( অন্যদিকে ফিরে কথাটা বললাম)
-- মানে?
--মানে ভাল মনেরই কিন্তু জ্বালা বেশি. জানেন তো?
--তবে কজনরই বা এই গুণটা থাকে বল?
--যাদের থাকে না,
তারা কিন্তু বেশ সুখী থাকে।
--কি ব্যাপারটা কি মেহমেদ?
কে আবার তোর মনে ব্যথা দিলো?
--ব্যথা দিতে যাবে কেন?
--এই দেখ দেখ, ওই যে ওই খানে কি সুন্দর ফুল। ওখানে নৌকাটা ঘুরা না রে।
(দূরে এক ঝাঁক কচুরিপানার মধ্যে কচুরিপানার ফুল ফুটে আছে। সেখানে দেখে বলছে নিয়ে যেতে)
-- ফুল?
কিন্তু ওগুলো তো কচুরিপানার ফুল।
--তাতে কি হয়েছে?
ফুল তো....
-- কচুরিপানার ফুলে কিন্তু কোন গন্ধ নেই?
-- তাতে কি?
ফুল তো, সুন্দর্যতো আছে। ঘ্রাণ না থাকুক।
-- কি বলবো?
--এই যে হঠাৎ করে আপনার নৌকায় ভেসে বেড়াতে ইচ্ছে হল?
-- এমনি. কোন কারণ নেই.
--এই নদীতে কিন্তু শাপলা নেই.( একটু মুচকি হেসে)
কথাটা শুনে তানহাও একটু হাসলো।
--সমস্যা নেই.
তুই তো আছিস।
--আমি কি আর শাপলা ফুলের অপূর্ণতা পূর্ণ করতে পারব.?
--সে জানিনা.
তবে তুই কাছে থাকলে ভালো লাগে।
--মজা করলেন? (ভ্রু কুঁচকে)
-- মজা করবো কেন?
-- আমার মধ্যে ভালো লাগার মত কি আছে এমন?
-- তা জানি না।
তবে ভালো মন আছে এটা জানি।
--ভালো মন দিয়ে কি সব কিছু পাওয়া যায়?( অন্যদিকে ফিরে কথাটা বললাম)
-- মানে?
--মানে ভাল মনেরই কিন্তু জ্বালা বেশি. জানেন তো?
--তবে কজনরই বা এই গুণটা থাকে বল?
--যাদের থাকে না,
তারা কিন্তু বেশ সুখী থাকে।
--কি ব্যাপারটা কি মেহমেদ?
কে আবার তোর মনে ব্যথা দিলো?
--ব্যথা দিতে যাবে কেন?
--এই দেখ দেখ, ওই যে ওই খানে কি সুন্দর ফুল। ওখানে নৌকাটা ঘুরা না রে।
(দূরে এক ঝাঁক কচুরিপানার মধ্যে কচুরিপানার ফুল ফুটে আছে। সেখানে দেখে বলছে নিয়ে যেতে)
-- ফুল?
কিন্তু ওগুলো তো কচুরিপানার ফুল।
--তাতে কি হয়েছে?
ফুল তো....
-- কচুরিপানার ফুলে কিন্তু কোন গন্ধ নেই?
-- তাতে কি?
ফুল তো, সুন্দর্যতো আছে। ঘ্রাণ না থাকুক।
নৌকাটা আস্তে ঘুরাতে ঘুরাতে নিয়ে গেলাম ওখানে। দেখলাম অবাক করা দৃশ্য। কি সুন্দরভাবে ফুলগুলো তুলছে তানহা। অনেকগুলো ফুল তুলেছে।
এতটাই সুন্দর লাগছে ফুলগুলোর সাথে ওকে, মন চাইছিল একটা ছবি তুলে নেই। তাই সাথে সাথে ফোনটা বের করে ওর কয়েকটা ছবি তুললাম।
এমন ভাবেই তুললাম যাতে ও বুঝতে না পায়। কিন্তু ফুল তুলার ফাঁকে কিভাবে যেন টের পেয়ে গেল।
-- এই..
ছবি তুলছিস কেন আমাকে না জানিয়ে?( চোখ রাঙিয়ে)
--দেখে ফেলেছেন?
-- দেখি ছবিগুলো?? (হাত বাড়িয়ে)
ছবি তুলছিস কেন আমাকে না জানিয়ে?( চোখ রাঙিয়ে)
--দেখে ফেলেছেন?
-- দেখি ছবিগুলো?? (হাত বাড়িয়ে)
ওর হাতে মোবাইলটা দিলাম।
-- হুম.
খারাপ না।( আবার আমাকে মোবাইলটা দিয়ে দিল)
খারাপ না।( আবার আমাকে মোবাইলটা দিয়ে দিল)
নদীতে অনেক বড়। নৌকা বাইতে বাইতে অনেক দূরে চলে এসেছি।
হঠাৎ তানহা দূরে একটি মেলা দেখতে পেল। গ্রাম্য মেলা।
--এই মেহমেদ..
সুন্দর একটি গ্রাম্য মেলা বসেছে ওখানে।
নিয়ে চল না রে?
--আপনি মেলায় যাবেন?
--হুম..যাবো।
তাড়াতাড়ি নিয়ে চল।
সুন্দর একটি গ্রাম্য মেলা বসেছে ওখানে।
নিয়ে চল না রে?
--আপনি মেলায় যাবেন?
--হুম..যাবো।
তাড়াতাড়ি নিয়ে চল।
নৌকা টা নিয়ে গেলাম ওই মেলার তীরে। মেলা বসেছে নদীর তীরে, একদম নদীর গা ঘেঁষে। নৌকা ভিড়াতে দেরি। তানহার নামতে দেরি হলো না।
--আরে কি করছেন কি ......
পড়ে যাবেন তো।
-- পড়বো না. (নেমে একমুখ হাসি নিয়ে কথাটা বলল)
-- এবার নেমে আয় জলদি... মেলায় যাব। তাড়াতাড়ি কর,,(খুব তাড়া দিচ্ছে)
--আচ্ছা ঠিক আছে. নৌকাটা ভিড়িয়ে নেই।
না হলে তো চলে যাবে।
পড়ে যাবেন তো।
-- পড়বো না. (নেমে একমুখ হাসি নিয়ে কথাটা বলল)
-- এবার নেমে আয় জলদি... মেলায় যাব। তাড়াতাড়ি কর,,(খুব তাড়া দিচ্ছে)
--আচ্ছা ঠিক আছে. নৌকাটা ভিড়িয়ে নেই।
না হলে তো চলে যাবে।
তারপর একটি গাছের সাথে নৌকাটা বেঁধে দুজনে মেলায় ঢুকলাম। সে এক অনন্য অনুভূতি। গ্রাম্য মেলা যে কত সুন্দর তা আগে জানতাম না।
এখানকার মানুষ গুলো খুব সহজ সরল। কি নেই এই মেলায়, নাগরদোলা, চরকা, পুতুল নাচ,।
গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কিছু পিঠাও এখানে বিক্রি হচ্ছে।
-- পিঠা খাবেন?
-- হুম. তুই খাওয়ালেই খাবো.
-- হুম. তুই খাওয়ালেই খাবো.
তারপর দুটো পিঠে কিনলাম। অবশ্য পিঠার নামটা কি যেন বললো সেটা ভুলে গেছি।
সে এক বিরল নাম, যা বাপের জন্মেও শুনিনি।
সে এক বিরল নাম, যা বাপের জন্মেও শুনিনি।
--হুম.. পিঠে খেতে তো দারুণ. (তানহা)
-- আসলে গ্রাম গঞ্জের পিঠা সত্যিই খুব টেস্ট.
--আচ্ছা ওদিকে চল.
-- আসলে গ্রাম গঞ্জের পিঠা সত্যিই খুব টেস্ট.
--আচ্ছা ওদিকে চল.
এরপর মেলার অন্য কোণে ঘুরলাম। একটা খুব সুন্দর চুরির দোকান আছে। কাচের চুড়ি। যা গ্রামের মেয়েরা সাধারণত পড়ে থাকে।
শুনেছি মেয়েরা নাকি কাঁচের চুড়ি পড়তে ভালবাসে। কিন্তু এদিকে দেখছি তার কোন ইন্টারেস্টই নেই। ও খুব সহজেই দোকানটা এড়িয়ে গেল। তাকালই না।
সঙ্গে সঙ্গে ওর হাতটা ধরে বললাম--
-- আরে যাচ্ছেন কই?
দাড়ান একটু.....
-- কি হলো?
থামলি কেন?
-- দোকানটা দেখেছেন?
(চুরির দোকান টা দেখিয়ে)
--হুম দেখেছি.
কেন?
--আপনি চুরি পড়তে ভালোবাসেন না?
-- একদম না.
আমার জানি কেমন লাগে।
--তারপরও.
আজকে পরেই দেখুন না।
কাচের চুড়ি ভালো লাগবে আপনাকে।
খুব মানাবে...
--তাই..( আমার দিকে মুচকি হেসে)
--হুম...
--ঠিক আছে.
তোর পছন্দ মতো কিনে দে।
দেখি কেমন লাগে আমায়?
দাড়ান একটু.....
-- কি হলো?
থামলি কেন?
-- দোকানটা দেখেছেন?
(চুরির দোকান টা দেখিয়ে)
--হুম দেখেছি.
কেন?
--আপনি চুরি পড়তে ভালোবাসেন না?
-- একদম না.
আমার জানি কেমন লাগে।
--তারপরও.
আজকে পরেই দেখুন না।
কাচের চুড়ি ভালো লাগবে আপনাকে।
খুব মানাবে...
--তাই..( আমার দিকে মুচকি হেসে)
--হুম...
--ঠিক আছে.
তোর পছন্দ মতো কিনে দে।
দেখি কেমন লাগে আমায়?
আমি দেখে দেখে ওকে লাল চুড়ি কিনে দিলাম।
--কাচের চুড়ি পছন্দ হয়েছে?( চুড়িগুলো চুড়ি গুলো দেখিয়ে)
-- তোর না নীল রং পছন্দ?
তুই যে লাল চুড়ি নিলি?
-- এটা আবার কেমন কথা?
--এটা আবার কেমন কথা মানে??
তুই তো বললি, তোর নীল রং পছন্দ।
--আমি কবে বললাম আমার নীল রং পছন্দ?
-- সেদিন না বললি -তোর নীল শাড়ি পছন্দ?
-- তোর না নীল রং পছন্দ?
তুই যে লাল চুড়ি নিলি?
-- এটা আবার কেমন কথা?
--এটা আবার কেমন কথা মানে??
তুই তো বললি, তোর নীল রং পছন্দ।
--আমি কবে বললাম আমার নীল রং পছন্দ?
-- সেদিন না বললি -তোর নীল শাড়ি পছন্দ?
ওর কথা শুনে আমি খুব জোরে হেসে দিলাম।
--আশ্চর্য.
আমি বলেছি আমার নীল শাড়ি পছন্দ। মানে একটি মেয়েকে নীল শাড়িতে আমার খুব ভালো লাগে।
তবে আমি এটা কবে বললাম যে আমার লাল চুড়ি পছন্দ না,???
--ওরে বাবা...
তোর এত রহস্য বাজি আমি বুঝিনা।
-- যাইহোক.
আপনার চুরি গুলো পছন্দ হয়েছে কিনা বলুন?
--হুম.
খুব পছন্দ হয়েছে।
-- আসলেই....?
--তুই কিনে দিবি পছন্দ করে একটা জিনিস.
আর আমার পছন্দ হবে না সেটা এটা কি কখনো হয়?( আমার দিকে একটু অন্যভাবে তাকিয়ে)
-- ভাই এটার দাম কত? (চুড়িওয়ালা কে)
--40 টাকা...
আমি বলেছি আমার নীল শাড়ি পছন্দ। মানে একটি মেয়েকে নীল শাড়িতে আমার খুব ভালো লাগে।
তবে আমি এটা কবে বললাম যে আমার লাল চুড়ি পছন্দ না,???
--ওরে বাবা...
তোর এত রহস্য বাজি আমি বুঝিনা।
-- যাইহোক.
আপনার চুরি গুলো পছন্দ হয়েছে কিনা বলুন?
--হুম.
খুব পছন্দ হয়েছে।
-- আসলেই....?
--তুই কিনে দিবি পছন্দ করে একটা জিনিস.
আর আমার পছন্দ হবে না সেটা এটা কি কখনো হয়?( আমার দিকে একটু অন্যভাবে তাকিয়ে)
-- ভাই এটার দাম কত? (চুড়িওয়ালা কে)
--40 টাকা...
40 টাকা দিয়ে চারিদিকটা আর একটু ঘুরে দেখলাম। তানহা এবার বায়না ধরল নাগরদোলা উঠবে।
--আমাকে নাগরদোলায় উঠাবি প্লিজ..?
-- আপনার ভয় করবে না?
-- তুই উঠবি আমার সাথে.
ভয় করবে কেন? (একদম বাচ্চা মেয়ের মত)
--আচ্ছা ঠিক আছে.
-- আপনার ভয় করবে না?
-- তুই উঠবি আমার সাথে.
ভয় করবে কেন? (একদম বাচ্চা মেয়ের মত)
--আচ্ছা ঠিক আছে.
উঠলাম। একি সাথে বসলাম। যখনই নাগরদোলা উপরে উঠছে একটু ভালই লাগছে ওর কাছে। কিন্তু নিচে নামতেই আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরছিল।
অবশ্য আমার কাছে একটু লজ্জা লাগলেও ব্যাপারটা আমি এনজয় করছিলাম। সেকি চিৎকার নাগরদোলায় তানহার। তা বলা যায় না।
অবশ্য চিৎকার সাথে হাসছেও। বোঝাই যাচ্ছে খুব মজা লাগছে ওর কাছে। আবার ভয়ও পাচ্ছে।
এবার নাগরদোলা থেকে নেমে ফুচকার দোকানে গেল। এবার ফুচকা খাওয়ার বায়না।
--মেহমেদ...
আমার না অনেক দিন যাবত ফুচকা খেতে খুব ইচ্ছে করছিলো রে..
প্লিজ প্লিজ কিনে দে না।
-- একদম না ম্যাম.
ফুচকা খেলে পেট খারাপ হবে।
-- আরে একদিন খেলে কিচ্ছু হবে না তো।
প্লিজ দেনা রে।
--এখানকার ফুচকা ভালো হবে কিনা জানি না?
দেখছেন তো খোলামেলা।
আপনাকে ভালো রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়াই আরেকদিন??
--রেস্টুরেন্টে ফুচকা খেতে যে মজা নেই,
এখানে খেতে ওই মজাটাই পাওয়া যায়।
প্লিজ দেনা রে...
আমার না অনেক দিন যাবত ফুচকা খেতে খুব ইচ্ছে করছিলো রে..
প্লিজ প্লিজ কিনে দে না।
-- একদম না ম্যাম.
ফুচকা খেলে পেট খারাপ হবে।
-- আরে একদিন খেলে কিচ্ছু হবে না তো।
প্লিজ দেনা রে।
--এখানকার ফুচকা ভালো হবে কিনা জানি না?
দেখছেন তো খোলামেলা।
আপনাকে ভালো রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়াই আরেকদিন??
--রেস্টুরেন্টে ফুচকা খেতে যে মজা নেই,
এখানে খেতে ওই মজাটাই পাওয়া যায়।
প্লিজ দেনা রে...
কি আর করার। এক প্লেট ফুচকা নিলাম ওকে দেওয়ার জন্য।
-- কিরে তুই খাবি না.
--না.
আমি এসব খাই না।
--আরে একটা খেয়ে দেখ খুব মজা (আমার মুখের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে)
--না.
আমি এসব খাই না।
--আরে একটা খেয়ে দেখ খুব মজা (আমার মুখের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে)
যদিও আমি ফুচকা খাই না। কিন্তু তানহার হাতে খাওয়ার চান্স টা মিস করলাম না। খেয়ে নিলাম।
---কেমন রে?
--খারাপ না.
ভালো।।।
--খারাপ না.
ভালো।।।
ফুচকা খাওয়া শেষে এবার পুতুল নাচ দেখবে। সেটাও দেখালাম। বাচ্চা মেয়ের মতো পুতুল নাচ দেখছিল আর হাসছিল। আর হাততালির কথা তো বাদই দিলাম। যেন ছোট্ট মেয়ের মত।
অবশ্য অনেকদিন পরে এরকম একটি জায়গায় এসে তানহা খুব খুশি হয়েছে। বুঝতেই পারছি। আস্তে আস্তে পুরো মেলাটা ঘুরে দেখলাম।
খুব আনন্দময় মুহূর্ত কাটালাম তানহার সাথে। অবশ্য ওর সাথে এরকম পরিস্থিতিতে অসাধারণ এই সময় কাটানো গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগছিল।
পুরো মেলাটা ঘোড়া শেষে ওকে আবার সেই নৌকায় করে নিয়ে গেলাম তীরে গিয়ে পৌঁছালাম । যেখানে আমরা গাড়ি রেখে এসেছিলাম।
সারাদিন ঘুরতে ঘুরতে
0 Comments