হঠাৎ পেছন থেকে কেউ কাশির আওয়াজ দিল। আওয়াজ শুনেই তানহাকে হুট করে ছেড়ে দিলাম। চেয়ে দেখি আফসার ভাই। আফসার ভাই কে দেখে সে কি লজ্জায় যে পড়েছিলাম, তা বলে বুঝাতে পারব না..
-- হঠাৎ আফসার ভাই বলে উঠলো....
--আইম রেলি সরি,
সরি ম্যাম, আসলে বুঝতে পারিনি যে আপনারা এখানে আছেন।
আইম রিয়েলি সরি সরি সরি...
সরি ম্যাম, আসলে বুঝতে পারিনি যে আপনারা এখানে আছেন।
আইম রিয়েলি সরি সরি সরি...
তানহাতো আফসার ভাইয়ের দিকে তাকাচ্ছেই না। শুধু এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।
আফসার ভাইকে আমি বললাম --
--আফসার ভাই. আপনি এখানে হঠাৎ...
-- না আসলে. অফিসের কিছু কাজের জন্য ম্যাডামের রুমে গিয়েছিলাম.
ওখানে গিয়ে দেখি মিস শায়লা ম্যাডামের রুম গোছাচ্ছে। তো উনাকে জিজ্ঞেস করায় উনি বললেন যে ম্যাডাম নাকি বাগানের দিকে এসেছেন।
তো আমিও এখানে এলাম ম্যাডাম কে খুঁজতে খুঁজতে। কিন্তু এখানে যে বৃন্দাবনের কৃষ্ণ লীলা চলছে, সেটা তো জানতাম না।
না হলে একটু পরেই আসতাম। আসলে আমাদের মেহমেদ ভাই তো সাহিত্যিক মানুষ। ফুল খুব ভালোবাসেন।
কিন্তু জলজ্যান্ত ফুলও যে তিনি এত বেশি পছন্দ করেন। সেটা তো আর জানতাম না।
অবশ্য এই মুহূর্তে মৌমাছির দায়িত্বটাই পালন করছেন মেহমেদ ভাই।
(ছোট্ট কন্ঠে ভনিতা করে বলল আফসার ভাই)
-- না আসলে. অফিসের কিছু কাজের জন্য ম্যাডামের রুমে গিয়েছিলাম.
ওখানে গিয়ে দেখি মিস শায়লা ম্যাডামের রুম গোছাচ্ছে। তো উনাকে জিজ্ঞেস করায় উনি বললেন যে ম্যাডাম নাকি বাগানের দিকে এসেছেন।
তো আমিও এখানে এলাম ম্যাডাম কে খুঁজতে খুঁজতে। কিন্তু এখানে যে বৃন্দাবনের কৃষ্ণ লীলা চলছে, সেটা তো জানতাম না।
না হলে একটু পরেই আসতাম। আসলে আমাদের মেহমেদ ভাই তো সাহিত্যিক মানুষ। ফুল খুব ভালোবাসেন।
কিন্তু জলজ্যান্ত ফুলও যে তিনি এত বেশি পছন্দ করেন। সেটা তো আর জানতাম না।
অবশ্য এই মুহূর্তে মৌমাছির দায়িত্বটাই পালন করছেন মেহমেদ ভাই।
(ছোট্ট কন্ঠে ভনিতা করে বলল আফসার ভাই)
তানহা এবার রেগে গিয়ে বলল --
--মিস্টার আফসার.
আজেবাজে কথা না বলে কি জন্য এসেছেন সেটা বলুন।
--না ম্যাম.
তেমন ইম্পরট্যান্ট কাজ নয়। ছোটখাটো কাজই। আপনি চাইলে পরেও করা যায়। কোন সমস্যা নেই।
-- বেশি কথা বলবেন না.
আমার রুমে আসুন, দেখছি।
( খুব রেগে কথাটা বলেই তানহা বাগান থেকে চলে গেল)
আজেবাজে কথা না বলে কি জন্য এসেছেন সেটা বলুন।
--না ম্যাম.
তেমন ইম্পরট্যান্ট কাজ নয়। ছোটখাটো কাজই। আপনি চাইলে পরেও করা যায়। কোন সমস্যা নেই।
-- বেশি কথা বলবেন না.
আমার রুমে আসুন, দেখছি।
( খুব রেগে কথাটা বলেই তানহা বাগান থেকে চলে গেল)
তানহা যেতে না যেতেই আফসার ভাই আমার বুকে দু-তিনটা ঘুসি মেরে বলল ----
--আরে মিস্টার মেহমেদ,
স্যার আপনি যে তলে তলে এত দূর সেটা তো জানতাম না।
-- কি সব বলছেন আফসার ভাই,?
--অবস্থা দেখুন.
কচি খোকা, ফিটার খায়, যেন কিচ্চ্ছু বোঝে না। আমাদের সামনে বলেন কিছু নাই, কিছু নাই। কোন সম্পর্ক নাই।
আর এখানে এসে পুরো লাইলি মজনু।
--আফসার ভাই,
সব সময় এক রকম করবেন না তো। ভালো লাগে না।
(কথাটা বলেই চলে আসব আর আফসার ভাই আমার হাত ধরে বললেন-----
স্যার আপনি যে তলে তলে এত দূর সেটা তো জানতাম না।
-- কি সব বলছেন আফসার ভাই,?
--অবস্থা দেখুন.
কচি খোকা, ফিটার খায়, যেন কিচ্চ্ছু বোঝে না। আমাদের সামনে বলেন কিছু নাই, কিছু নাই। কোন সম্পর্ক নাই।
আর এখানে এসে পুরো লাইলি মজনু।
--আফসার ভাই,
সব সময় এক রকম করবেন না তো। ভালো লাগে না।
(কথাটা বলেই চলে আসব আর আফসার ভাই আমার হাত ধরে বললেন-----
-- আরে মিয়া যাও কই?
এটা তো বলে যান, ম্যাডাম কে প্রপোজ করলেন কিভাবে?
ইংলিশে না বাংলায়..?
আই লাভ ইউ বলছেন নাকি অন্যকিছু..?
হাটুতে বসে পরে ফুল দিয়েছেন নাকি অন্যভাবে??
কেমনে প্রপোজ করলেন একটু বলেন না। আমার তো আর তর সইছে না শুনতে।
--উফ, আফসার ভাই- ওরকম কিছুই হয় নাই।
--মেহমেদ ভাই, আপনি কি আমাকে এই বয়সে বুড়োর কাতারে ফেলতে চান নাকি..?
-- মানে..?
--মানে হলো গিয়ে আমি নিজের চোখে দেখলাম, আপনি ম্যাডামকে জড়িয়ে ধরলেন।
আর আমাকে বলছেন এসব কিছুই হয় নাই। প্রপোজ ছাড়া আবার কেউ জড়িয়ে ধরে নাকি?
-- আফসার ভাই...... (বিরক্ত হয়ে)
-- শোনেন মিয়া,
আমার বয়স কিন্তু কম হয় নাই আবার এত বেশিও হয় নাই যে রাতে কম দেখব। রাতকানা মনে করছেন নাকি আমারে।
আমি স্পষ্ট দেখলাম আপনি ম্যাডাম কে জড়িয়ে ধরলেন।
বলেন না মেহমেদ ভাই। প্লিজ প্লিজ একটু বলেন- কেমনে প্রোপজ করলেন? ম্যাডাম কেমনে আপনারে একসেপ্ট করল??
--আফসার ভাই. অনেক রাত হয়েছে. ঘুম পাইছে. সরেন তো। ভালো লাগতেছে না।
এটা তো বলে যান, ম্যাডাম কে প্রপোজ করলেন কিভাবে?
ইংলিশে না বাংলায়..?
আই লাভ ইউ বলছেন নাকি অন্যকিছু..?
হাটুতে বসে পরে ফুল দিয়েছেন নাকি অন্যভাবে??
কেমনে প্রপোজ করলেন একটু বলেন না। আমার তো আর তর সইছে না শুনতে।
--উফ, আফসার ভাই- ওরকম কিছুই হয় নাই।
--মেহমেদ ভাই, আপনি কি আমাকে এই বয়সে বুড়োর কাতারে ফেলতে চান নাকি..?
-- মানে..?
--মানে হলো গিয়ে আমি নিজের চোখে দেখলাম, আপনি ম্যাডামকে জড়িয়ে ধরলেন।
আর আমাকে বলছেন এসব কিছুই হয় নাই। প্রপোজ ছাড়া আবার কেউ জড়িয়ে ধরে নাকি?
-- আফসার ভাই...... (বিরক্ত হয়ে)
-- শোনেন মিয়া,
আমার বয়স কিন্তু কম হয় নাই আবার এত বেশিও হয় নাই যে রাতে কম দেখব। রাতকানা মনে করছেন নাকি আমারে।
আমি স্পষ্ট দেখলাম আপনি ম্যাডাম কে জড়িয়ে ধরলেন।
বলেন না মেহমেদ ভাই। প্লিজ প্লিজ একটু বলেন- কেমনে প্রোপজ করলেন? ম্যাডাম কেমনে আপনারে একসেপ্ট করল??
--আফসার ভাই. অনেক রাত হয়েছে. ঘুম পাইছে. সরেন তো। ভালো লাগতেছে না।
কথাটা বলেই আফসার ভাই কে পাশ কাটিয়ে চলে আসতে লাগলাম বাগান থেকে।
কিন্তু আফসার ভাই পিছন থেকে চিৎকার করে বলতে লাগলো --
--মেহমেদ ভাই..
প্রপোজের কথাটা না হয় নাই বললেন কিন্তু বিয়ের দিন দাওয়াত দিন কিন্তু, ঐতিহাসিক সফল প্রেমের সাক্ষী হয়ে থাকতে চাই,
এ মনে থাকে যেন? নইলে মনে কষ্ট থেকে যাবে
শুনছেন তো..?
প্রপোজের কথাটা না হয় নাই বললেন কিন্তু বিয়ের দিন দাওয়াত দিন কিন্তু, ঐতিহাসিক সফল প্রেমের সাক্ষী হয়ে থাকতে চাই,
এ মনে থাকে যেন? নইলে মনে কষ্ট থেকে যাবে
শুনছেন তো..?
আমি উনার কথায় কান না দিয়ে সোজা নিজের রুমে চলে এলাম। এসে একটু ফ্রেশ হয়ে খাওয়া শেষ করলাম। তারপর সোজা বালিশে মাথা দিলাম।
হঠাৎ মনে পড়ল তানহা তো অসুস্থ ছিল। একবার দেখে আসবো??
নাহ, থাক -তানহার রুমে যদি আবার ঢুকি আর সেটা যদি আফসার ভাই দেখে তাহলে আবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়ে দেবে। তাই আর তানহার রুমে গেলাম না।
চোখটা বুঝতেই ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলাম আমি। তবে এই ঘুমের মধ্যে তানহা কে নিয়ে খুব সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখেছি। খুব সুন্দর একটা স্বপ্ন। যেটা আমি সব সময় চেয়েছিলাম. সেরকমই....
হঠাৎ আমার স্বপ্নের ব্যাঘাত ঘটিয়ে কলিং বেল বেজে উঠলো। চোখ খুলেই ঘড়ির দিকে তাকাতে দেখি 9:30 বাজে।
উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই তানহার চন্দ্রমাখা হাসি মুখটা দেখতে পেলাম। আরেব্বাস তানহা তো খুব সুন্দর করে সেজেছে আজ।
নীল শাড়ি, হাতে কাচের চুড়ি গুলো, কানে ছোট্ট দুটি ঝুমকো, মাথার চুল গুলো খোলা, আর চোখের নিচে গাঢ় কাজল।
তানহা দেখতে খুব একটা ফর্সা নয়। একটু শ্যামলা বর্নের। কিন্ত ওর মুখটা যে এতটাই মায়াবী, এতটাই -যে কোন ছেলে প্রথম দেখাতেই ওর প্রেমে পড়তে বাধ্য.....
ওর সব কিছুই আমার কাছে ভালো লাগে। সবকিছু। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ওর মুখের হাসি এবং চোখের নিচের কাজলটা। ঠিক আকাশ থেকে নেমে আসা পরীর মত লাগে তখন।
হঠাৎ আমার মুগ্ধতায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে দিয়ে চুটকি বাজিয়ে বলল ---
--এই যে মিস্টার.
কি দেখছিস এভাবে??
-- কিছু না..( একটু হেসে মাথা নিচু করে)
--কিরে বাইরে দাঁড় করে রাখবি নাকি?
ভেতরে আসতে বলবি না??
--ওহ সরি, প্লিজ আসুন।
কি দেখছিস এভাবে??
-- কিছু না..( একটু হেসে মাথা নিচু করে)
--কিরে বাইরে দাঁড় করে রাখবি নাকি?
ভেতরে আসতে বলবি না??
--ওহ সরি, প্লিজ আসুন।
তানহা ভেতরে ঢুকে চার দিকে তাঁকিয়েই বললো--
-- ইস, কি অবস্থা করে রেখেছিস তোর ঘরটার?
তুই কি একটুও চেঞ্জ হবি না।
না নিজের কোনো যত্ন নিস না ঘরটার।
--এই ঘরে যত্ন নিয়ে কি হবে? এটা তো হোটেল?
--একটা থাপ্পর দেব.. (হাত উঠিয়ে)
হোটেল তো কি হয়েছে শুনি..?তুই এ ঘরে থাকিস না এখন, একটু গুছিয়ে রাখবে না।
--আমার ওসব গুছয়ে টুছিয়ে রাখা ভালো লাগে না.
--হুম, তা তো লাগবেই না।।
যা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে। আজকে খুব সুন্দর একটি পাহাড়ে ঘুরতে যাব আমরা সবাই।
তুই কি একটুও চেঞ্জ হবি না।
না নিজের কোনো যত্ন নিস না ঘরটার।
--এই ঘরে যত্ন নিয়ে কি হবে? এটা তো হোটেল?
--একটা থাপ্পর দেব.. (হাত উঠিয়ে)
হোটেল তো কি হয়েছে শুনি..?তুই এ ঘরে থাকিস না এখন, একটু গুছিয়ে রাখবে না।
--আমার ওসব গুছয়ে টুছিয়ে রাখা ভালো লাগে না.
--হুম, তা তো লাগবেই না।।
যা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে। আজকে খুব সুন্দর একটি পাহাড়ে ঘুরতে যাব আমরা সবাই।
আমি মাথা নাড়িয়ে সোজা বাথরুমে চলে গেলাম। ফ্রেস হয়ে বাথরুম থেকে বের হয়েই দেখি- আমার রুমটা খুব সুন্দর ভাবে গোছানো..
অবশ্যই তানহা করেছে। তবে তানহা রুমে নেই। হয়তো চলে গেছে। আমি তোয়ালে দিয়ে চুল গুলো মুছছিলাম। হঠাৎ তানহা ব্রেকফাস্ট নিয়ে রুমে এলো।
--কিরে তোর হয়েছে?
-- জি প্রায় শেষ.
--প্রায় শেষ কি?
এখনো রেডি হোসনি। নাস্তা খাবি না? তাড়াতাড়ি বের হতে হবে তো..
-- জি প্রায় শেষ.
--প্রায় শেষ কি?
এখনো রেডি হোসনি। নাস্তা খাবি না? তাড়াতাড়ি বের হতে হবে তো..
মনের মধ্যে হঠাৎ দুষ্টু বুদ্ধি চলে এল। ভাবলাম তানহার সাথে একটু দুষ্টুমি করি।
-- উফ..... (হাতটা ধরে)
--কিরে কি হয়েছে??
-- মনে হয় হাতটা মোচড় খেয়েছে. খুব ব্যথা করছে. (আসলে কথাটা মিথ্যে. আমার কিছুই হয়নি)
--কই দেখি দেখি. (আমার হাতটা ধরে)
একটু দেখে মাথাটা মুছবি না...?
-- মাথা আবার দেখে মুছে কিভাবে..?( একটু হেসে)
-- হয়েছে হয়েছে.
তোয়ালা টা দে -আমি মাথা মুছে দিচ্ছি।
--কিরে কি হয়েছে??
-- মনে হয় হাতটা মোচড় খেয়েছে. খুব ব্যথা করছে. (আসলে কথাটা মিথ্যে. আমার কিছুই হয়নি)
--কই দেখি দেখি. (আমার হাতটা ধরে)
একটু দেখে মাথাটা মুছবি না...?
-- মাথা আবার দেখে মুছে কিভাবে..?( একটু হেসে)
-- হয়েছে হয়েছে.
তোয়ালা টা দে -আমি মাথা মুছে দিচ্ছি।
তানহা হাতে তোয়ালা টা নিয়ে আমার মাথা মুছতে চাইছে কিন্তু মুছতে পারছে না।
--উফফ,
তুই এত লম্বা না, তোর মাথায় আমার হাতটা যাচ্ছেই না।
(আমি শুধু মুচকি মুচকি হাসছি ওর কথাগুলো শুনে)
-- আমি এতটা লম্বা হলে তাতে আমার কি দোষ, বলুন?
তুই এত লম্বা না, তোর মাথায় আমার হাতটা যাচ্ছেই না।
(আমি শুধু মুচকি মুচকি হাসছি ওর কথাগুলো শুনে)
-- আমি এতটা লম্বা হলে তাতে আমার কি দোষ, বলুন?
তানহা এবার খাটের উপর উঠে আমার মাথাটা মুছতে লাগলো। আমি শুধু চেয়ে আছি।
কত মিষ্টি মেয়েটা। একবার তাকালেই শুধু দেখতেই মন চায়। দুচোখ ভরে শুধু দেখছি ওকে।
-- নে হয়েছে. মাথা মুছা শেষ।
এবার জলদি রেডি হয়ে নে। আর নাস্তাটা তাড়াতাড়ি শেষ কর। আমি আসছি, (বলেই চলতে লাগল...)
-- আরে নাস্তা করব কিভাবে..? আমার হাত তো মোচর খেয়েছে। খুব ব্যথা করছে তো।
--ও আমি সরি রে,
ভুলে গেছিলাম। এইখানে আয় তাড়াতাড়ি বস..
এবার জলদি রেডি হয়ে নে। আর নাস্তাটা তাড়াতাড়ি শেষ কর। আমি আসছি, (বলেই চলতে লাগল...)
-- আরে নাস্তা করব কিভাবে..? আমার হাত তো মোচর খেয়েছে। খুব ব্যথা করছে তো।
--ও আমি সরি রে,
ভুলে গেছিলাম। এইখানে আয় তাড়াতাড়ি বস..
বিছানায় বসে আমাকে ডাকছে. আমি গিয়ে বিছানায় বসলাম। ও চামচ দিয়ে আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে, আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে খেয়ে নিলাম।
-- থু থু,,(মুখ থেকে খাবার গুলো ফেলে দিয়ে)।
--কিরে কি হয়েছে? খাবারগুলো ফেলে দিলি কেন?
-- ছি, এগুলো কি?
--এগুলো কি মানে? এগুলো স্যুপ।
-- এ কাঁচা কাঁচা সবজি, এগুলো সিদ্ধ করে এনেছেন। এগুলো স্যুপ বলছেন।।।
-- একটা দিব ধরে( হাতটা উঠিয়ে)
--এরকমই হয় স্যুপ
-- না. আমি এগুলো খাব না. আমার ঘিন্না লাগছে
-- বেশি কথা না বলে চুপচাপ খেয়ে নে. (চোখ রাঙিয়ে)
-- কিন্তু.......
--কোন কিন্তু না. নে হা কর
--কিরে কি হয়েছে? খাবারগুলো ফেলে দিলি কেন?
-- ছি, এগুলো কি?
--এগুলো কি মানে? এগুলো স্যুপ।
-- এ কাঁচা কাঁচা সবজি, এগুলো সিদ্ধ করে এনেছেন। এগুলো স্যুপ বলছেন।।।
-- একটা দিব ধরে( হাতটা উঠিয়ে)
--এরকমই হয় স্যুপ
-- না. আমি এগুলো খাব না. আমার ঘিন্না লাগছে
-- বেশি কথা না বলে চুপচাপ খেয়ে নে. (চোখ রাঙিয়ে)
-- কিন্তু.......
--কোন কিন্তু না. নে হা কর
কি আর করার। তানহা রাগারাগিতে পুরো স্যুপ টা গিলতে হলো। যা বিচ্ছিরি খেতে হয়েছে না। কি বলবো। এগুলো নাকি স্যুপ??
আমাকে পুরোটা খাইয়ে দিয়ে ও যেতে যেতে বলল--
-- তাড়াতাড়ি নিচে আয়. আমরা অপেক্ষা করছি. লেট করবি না কিন্তু.
কথাটা বলেই চলে গেল। আমিও আর দেরি না করে রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম। সবাই বাসের মধ্যে বসে আছে। আমি বাসে গিয়ে উঠতেই পিছনে চলে গেলাম।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, একটা সিটও খালি নেই। শুধু তানহার পাশের সিটটা ছাড়া। সচরাচর আমি আফসার ভাইয়ের পাশেই বসি কিন্তু আজকে আফসার ভাইয়ের পাশে অন্য একজন।
আফসার ভাই আমার বিষয়টা লক্ষ্য করে বললেন--
-- মেহমেদ ভাই কি হল. সিট খুঁজে পাচ্ছেন না??
--আমার সিট কই আফসার ভাই..??
-- ন্যাকা, কচি খোকা- ফিটার খান তাই না??
সামনে এত সুন্দর সিট খালি রেখে পিছনে আসলেন কেন??
--কিন্তু ওটা তো অফিসের বসের.
ম্যাডামের একার।
-- ওই একারই এখন দোকলা হয়ে গেছে ভাই।
বেশি ঢং না করে ওখানে গিয়ে বসে পড়ুন।
--আমার সিট কই আফসার ভাই..??
-- ন্যাকা, কচি খোকা- ফিটার খান তাই না??
সামনে এত সুন্দর সিট খালি রেখে পিছনে আসলেন কেন??
--কিন্তু ওটা তো অফিসের বসের.
ম্যাডামের একার।
-- ওই একারই এখন দোকলা হয়ে গেছে ভাই।
বেশি ঢং না করে ওখানে গিয়ে বসে পড়ুন।
আফসার ভাইয়ের কথায় কিছুটা লজ্জা পেলাম। কি আর করার। সিট যখন খালি নেই তানহার পাশে গিয়েই বসতে হলো। ওর পাশে গিয়ে বসতেই খুব জোরে একটা চিমটি কাটল আমায়------
-- উফ. এটা কি করলেন?
--কি করলাম মানে?
দেখলি আমার পাশের সিটটা খালি। তুই আবার পিছনে গেলি কেন?
--আপনার পাশে বসলে অন্যরা কী মনে করবে??
--দেবো একটা চড়. গালটা একদম লাল করে দেব। তোকে অফিসে চাকরি টা দিয়েছে কে শুনি?
অন্যরা নাকি আমি??
--আপনি??
-- তাহলে কার কথা মেনে চলবি?
-- অবশ্যই আপনার..
-- তাহলে... (চোখ রাঙিয়ে)
--কিন্তু......
--চুপ. একদম চুপ. কোন কথা বলবি না. যত্তসব...
--কি করলাম মানে?
দেখলি আমার পাশের সিটটা খালি। তুই আবার পিছনে গেলি কেন?
--আপনার পাশে বসলে অন্যরা কী মনে করবে??
--দেবো একটা চড়. গালটা একদম লাল করে দেব। তোকে অফিসে চাকরি টা দিয়েছে কে শুনি?
অন্যরা নাকি আমি??
--আপনি??
-- তাহলে কার কথা মেনে চলবি?
-- অবশ্যই আপনার..
-- তাহলে... (চোখ রাঙিয়ে)
--কিন্তু......
--চুপ. একদম চুপ. কোন কথা বলবি না. যত্তসব...
গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে। সারা রাস্তায় তানহা একটা কথাও বলল না। নিশ্চুপ ভাবেই চলল গাড়িটা। গিয়ে থামল একটা ইয়া বড় পাহাড়ের কাছে।
সিট থেকে উঠবো তখনই তানহা হাত টেনে আবার সিটে বসিয়ে দিল।
--কি হলো. বসিয়ে দিলেন কেন?
--একদম চুপ. কোন কথা বলবি না. সবাই নামুক তারপর আমরা নামব।
--কিন্তু কেন?
-- তোকে না বলেছি বেশি কথা বলবি না. (আবার চোখ রাঙিয়ে)
-আচ্ছা বলবো না..
--একদম চুপ. কোন কথা বলবি না. সবাই নামুক তারপর আমরা নামব।
--কিন্তু কেন?
-- তোকে না বলেছি বেশি কথা বলবি না. (আবার চোখ রাঙিয়ে)
-আচ্ছা বলবো না..
সবাই নামল তারপর তানহা আর আমি একসাথে নামলাম। তবে লক্ষ্য করলাম সামনে থেকে আফসার ভাই আমাদের দিকে বারবার তাকাচ্ছে। খুব নোটিশ করছে আমাদের।
খুব সুন্দর একটি পাহাড়, সেইসাথে ঘন জঙ্গল। সবাই সামনে হাঁটছে। আমি আর তানহা পেছনে। পাহাড়ের উপরে আদিবাসীদের একটি বস্তি আছে। সেখানে যাচ্ছে সবাই।
সবাই সামনে সামনে হাটছে কিন্তু আমি আর তানহা পেছনে হাঁটছি। এটা আমার কাছে খুব বিরক্তিকর লাগছিল। তবে কি আর করব? মুখ ফুটে কিছু বলতেও পারব না. বললেই বকা শুনতে হবে.
হঠাৎ তানহা চিৎকার করে উঠলো
--উফফ, আরে বাবারে, মরে গেলাম রে(পা ধরে)
-- কি হলো.? আপনি চিৎকার করছেন কেন?
-- পায়ে বোধহয় একটি কাটা ঢুকেছে।
খুব ব্যথা করছে, হাঁটতে পারছি না।
--কই দেখি দেখি.
-- কি হলো.? আপনি চিৎকার করছেন কেন?
-- পায়ে বোধহয় একটি কাটা ঢুকেছে।
খুব ব্যথা করছে, হাঁটতে পারছি না।
--কই দেখি দেখি.
আমি হাটু গেড়ে বসে হাঁটুর ওপর ওর পা টা নিয়ে দেখলাম একটি ছোট কাটা ঢুকেছে। ওর পায়ে রক্ত বের হয়েছে সামান্য। আমি কাটা টা হালকা করে টান দিতেই তানহা একটু চিৎকার করে উঠলো।
কাঁটা বের করে ফেলে দিলাম।
কাঁটা বের করে ফেলে দিলাম।
-- নিন এবার আসুন.
কাঁটা ফেলে দিয়েছি।
কাঁটা ফেলে দিয়েছি।
কথাটা বলেই হাটতে লাগলাম হঠাৎ পেছন থেকে আমার কলার টেনে ধরে বললো---
-- কিরে তুই কোথায় যাচ্ছিস আমাকে ফেলে?
--কোথায় যাচ্ছি মানে? আসুন. সামনে আসুন। সবাই তো ওখানেই যাচ্ছে।
-- তুই দেখছিস না. আমার পায়ে কাটা ঢুকেছে
আমি হাটতে পারছি না।
-- তো আমি কি করবো?
--আমি জানি কি তুই কি করবি.?
আমি তো হাঁটতে পারছি না। দেখতেই পাচ্ছিস?
--কোথায় যাচ্ছি মানে? আসুন. সামনে আসুন। সবাই তো ওখানেই যাচ্ছে।
-- তুই দেখছিস না. আমার পায়ে কাটা ঢুকেছে
আমি হাটতে পারছি না।
-- তো আমি কি করবো?
--আমি জানি কি তুই কি করবি.?
আমি তো হাঁটতে পারছি না। দেখতেই পাচ্ছিস?
বুঝতেই পারছি, কোলে ওঠার বাহানা। ছোট্ট একটি কাটা ঢুকেছে তাতে নাকি সে হাঁটতে পারছে না।
--কোলে নেবো......( তানহার দিকে অন্যভাবে তাকিয়ে)
-- নিলে তো ভালই হয়..( ছোট্ট মেয়ের মত করে)
-- নিলে তো ভালই হয়..( ছোট্ট মেয়ের মত করে)
কি আর করার। ওকে কোলে তুলে হাঁটতে লাগলাম।
আমি সামনের দিকে তাকিয়ে হাঁটছি আর ও আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এভাবে ওকে কোলে নিয়ে হাঁটতে হাটঁতে বলতে লাগলাম---
--জানেন, আজ না একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখেছি।
--কি স্বপ্ন রে??
--দেখলাম, আপনি নীল একটা বেনারসি শাড়ি পড়ে আছেন।
--নীল বেনারসি..?
--হুম, বিয়ের সাজে সেজেছিলেন।
--ওই, বিয়েতে ততো লাল শাড়ি পড়ে।
--কিন্তু আমারতো পছন্দের নীল শাড়ি।
--হুম, তা আমার বরকে দেখিস নি??
--হুম দেখেছি।
--কে রে??
--নাহ, সেটাতো বলা যাবে না।
--কেন??
--বিয়ের দিন তো দেখবেনই, তা এখন জেনে লাভ কি।
--আচ্ছা,তারপর
--তারপর আর কি..আমার স্বপ্নের দি এন্ড আপনার কলিং বেলের আওয়াজে।
--কি স্বপ্ন রে??
--দেখলাম, আপনি নীল একটা বেনারসি শাড়ি পড়ে আছেন।
--নীল বেনারসি..?
--হুম, বিয়ের সাজে সেজেছিলেন।
--ওই, বিয়েতে ততো লাল শাড়ি পড়ে।
--কিন্তু আমারতো পছন্দের নীল শাড়ি।
--হুম, তা আমার বরকে দেখিস নি??
--হুম দেখেছি।
--কে রে??
--নাহ, সেটাতো বলা যাবে না।
--কেন??
--বিয়ের দিন তো দেখবেনই, তা এখন জেনে লাভ কি।
--আচ্ছা,তারপর
--তারপর আর কি..আমার স্বপ্নের দি এন্ড আপনার কলিং বেলের আওয়াজে।
কথাটা শুনেই ততানহা হাসতে লাগল।
হাঁটতে হাঁটতে আদিবাসীদের বস্তির কাছাকাছি চলে এলাম। এনে ওকে নামিয়ে দিলাম।
-- কিরে নামিয়ে দিলে যে?
এখনো তো বস্তিতে আসলাম না আমরা?
-- তা আপনি কি ভেবেছেন?
আপনাকে বস্তির মধ্যে নিয়ে যাব? এভাবে কোলে করে?? অসম্ভব।
--তুই নিবি না,,,,,(বাচ্চা মেয়ের মতত)
আমি তো হাঁটতে পারছি না দেখছিস তো।
--দেখুন বস্তি খুব কাছাকাছি.
একটু হেঁটে যান প্লিজ..
আপনাকে এভাবে সবার সামনে নিয়ে গেলে ওরা আবার কি না কি মনে করবে।
না না বাবা। আমি আর আপনাকে এভাবে নিতে পারবো না।
প্লিজ একটু হেঁটে আসুন।
এখনো তো বস্তিতে আসলাম না আমরা?
-- তা আপনি কি ভেবেছেন?
আপনাকে বস্তির মধ্যে নিয়ে যাব? এভাবে কোলে করে?? অসম্ভব।
--তুই নিবি না,,,,,(বাচ্চা মেয়ের মতত)
আমি তো হাঁটতে পারছি না দেখছিস তো।
--দেখুন বস্তি খুব কাছাকাছি.
একটু হেঁটে যান প্লিজ..
আপনাকে এভাবে সবার সামনে নিয়ে গেলে ওরা আবার কি না কি মনে করবে।
না না বাবা। আমি আর আপনাকে এভাবে নিতে পারবো না।
প্লিজ একটু হেঁটে আসুন।
তানহা আমার কথা শুনে মুচকি মুচকি হাসছে
--আচ্ছা. ঠিক আছে চল.
তুই আমাকে নিবি নাই যখন কি আর করার
তুই আমাকে নিবি নাই যখন কি আর করার
কথাটা বলে আমরা হাঁটতে শুরু করলাম।
এবার তো ম্যাডাম খুব সুন্দর ভাবেই হাঁটছে দেখছি। পা তো একটুও ব্যাকা হচ্ছে না। আর এতক্ষণ আমার কোলে বসে বসে মজা নিয়েছে। অবস্থা তো আমার খারাপ হয়েছে।
যাই হোক আমরা আদিবাসীদের বস্তিতে বসে গেলাম। ওখানে গিয়ে ওদের জীবনযাপনের ধরন, ওদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ সব লক্ষ করলাম। ভালই লাগলো। এমনকি আদিবাসী মেয়েরা আমাদেরকে নৃত্য পরিবেশন করে দেখালো
নৃত্য শেষে আমরা সবাই বস্তির কোনা কানি ঘুরে দেখছি। হঠাৎ তানহা ওই বস্তির একটি গোলাপের বাগানের দিকে তাকিয়ে বলল ---
--দেখ দেখ. কি সুন্দর না বাগানটা?
কতগুলো ফুল ফুটেছে। প্লিজ আমাকে একটি ফুল এনে দে না।
কতগুলো ফুল ফুটেছে। প্লিজ আমাকে একটি ফুল এনে দে না।
বাগানটা একটু দূরেই ছিল। আমি হেঁটে গিয়ে বাগানের ভিতরে ঢুকলাম। একটি গোলাপ ফুল ছিরলাম।
কিন্তু লক্ষ্য করলাম বাগানের পেছনের দিকে শাড়ি পরা এক ভদ্রমহিলা মাটিতে পড়ে আছে। আমার মনে হয় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। আমি ফুল টা রেখে বাগান থেকে বের হয়ে সোজা বাগানের পেছনে চলে গেলাম। ওই মহিলার কাছে
মহিলার মুখটি মাটিতে থুবরে পড়ে আছে। আমি হাত দিয়ে ওই মহিলাকে তুলতেই যেন আকাশ থেকে পড়লাম। যাকে আমি মহিলা মনে করে ছিলাম, আসলে সে একটি শাড়ি পড়া ছেলে। আমার মতই বয়স।আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছেলেটি চোখ খুলে আমার নাকের মধ্যে কি যেন একটা ধরল। আর সাথে সাথেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই......
তারপর আর কিছুই মনে নেই। যখন চোখ খুললাম আমার চারিদিকে ঘোর অন্ধকার। চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না।
হঠাৎ করে লাইট জ্বলে উঠল। আমি লক্ষ করলাম আমি একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আছি। চেয়ারে বসা অবস্থায়। আমার হাত পা চেয়ারের সাথে বাধা। এ অবস্থায় ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক কিন্তু আমি চারদিক খুব ভালো করে লক্ষ্য করলাম।
দরজার ওপাশ থেকে কারো হেঁটে আসার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই দরজাটা খুলল।
তবে দরজা খুলে আমি যাকে দেখলাম তাকে নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
মিস্টার তানিম দরজাটা খুললেন. আমিতো ওকে দেখে হতবাক। যাকে আমি নিজে বলে চাকরি দিয়েছিলাম, সে আমাকে কিডন্যাপ করলো। সত্যি আমার কাছে অবিশ্বাস্য।
আমি খুব কৌতুহল এর সাথে ওকে প্রশ্ন করলাম---
-- মিস্টার তানিম... আপনি?
আপনি আমাকে অপহরণ করেছেন??
-- কংগ্রাচুলেশন্স, মিস্টার মেহমেদ।
ইয়েস আমি। আমি আপনাকে অপহরণ করিয়েছি।
-- কিন্তু কেন?
কেন আপনি এ কাজটা করলেন?
আপনি ভুলে গেলেন আমার জন্য আপনার চাকরি হয়েছে? আমি যদি তানহাকে না বলতাম. আপনি কখনোই চাকরিটা পেতেন না...
আপনার মা, আপনার ছোট বোনের কথা চিন্তা করে আমি আপনাকে চাকরিটা দিইয়েছিলাম।
আপনি আমাকে অপহরণ করেছেন??
-- কংগ্রাচুলেশন্স, মিস্টার মেহমেদ।
ইয়েস আমি। আমি আপনাকে অপহরণ করিয়েছি।
-- কিন্তু কেন?
কেন আপনি এ কাজটা করলেন?
আপনি ভুলে গেলেন আমার জন্য আপনার চাকরি হয়েছে? আমি যদি তানহাকে না বলতাম. আপনি কখনোই চাকরিটা পেতেন না...
আপনার মা, আপনার ছোট বোনের কথা চিন্তা করে আমি আপনাকে চাকরিটা দিইয়েছিলাম।
কথাটা শুনে তানিম অট্টহাসি হাসতে লাগল।।
--আপনি হাসছেন?? (অবাক হয়ে)
-- হাসবো না তো কি করবো মিস্টার মেহমেদ।
আপনার বোকা বোকা কথা শুনে হাসছি?
--মানে?
-- কিসের মা? কিসের বোন? কিসের দুরবস্থা? আর কারই বাবা মারা গেছে?
আই হ্যাভ এভরিথিং, আমার বাবা-মা সবাই আছে।
-- তাহলে?
-- সব নাটক. সাজানো নাটক..
বিশ্বাস করুন মিস্টার মেহমেদ, আপনাকে কিডন্যাপ করার কিংবা অপহরণ করার কোন ইচ্ছেই আমার ছিল না। আপনি আমার প্লেনের মধ্যেই ছিলেন না।
খামোখা তানহার সাথে মিশে আপনাকে আমার ক্রোধের শিকার হতে হল।
-- মিস্টার তানিম.
-- হাসবো না তো কি করবো মিস্টার মেহমেদ।
আপনার বোকা বোকা কথা শুনে হাসছি?
--মানে?
-- কিসের মা? কিসের বোন? কিসের দুরবস্থা? আর কারই বাবা মারা গেছে?
আই হ্যাভ এভরিথিং, আমার বাবা-মা সবাই আছে।
-- তাহলে?
-- সব নাটক. সাজানো নাটক..
বিশ্বাস করুন মিস্টার মেহমেদ, আপনাকে কিডন্যাপ করার কিংবা অপহরণ করার কোন ইচ্ছেই আমার ছিল না। আপনি আমার প্লেনের মধ্যেই ছিলেন না।
খামোখা তানহার সাথে মিশে আপনাকে আমার ক্রোধের শিকার হতে হল।
-- মিস্টার তানিম.
আমি কি জানতে পারি আপনি এসব কেন করছেন?
-- সিম্পল একদম সিম্পল.
শুধু তানহাকে পাওয়ার জন্য.
--তানহাকে পাওয়ার জন্য?( কিছুটা অবাক হয়ে)
--ইয়েস
-- কিন্তু আপনি তো তানহা কে ভালোবাসেন না?
তাহলে?
-- মিস্টার মেহমেদ.
তানহাকে আমি আগেও ভালোবাসতাম না এখনও বাসি না..
আমি শুধু আমার বাবার কথার কারনে তানহার সাথে একটু ভালোবাসার অভিনয় করেছি।
--অভিনয়?
-- ইয়েস মিস্টার মেহমেদ.
অভিনয়..
-- নিশ্চয়ই এর মধ্যে আপনার কোন স্বার্থ লুকিয়ে আছে??
-- আছে.
তবে আমার নয়। আমার বাবার।
আমার বাবা আর তানহার বাবা চার বছর আগে বিজনেস পার্টনার ছিলেন। আমার বাবার কিছু ভুলের কারণে তানহার বাবা আমার বাবার সাথে পার্টনারশিপ ক্যনসেল করল।
যার ফলে আমার বাবার ব্যবসায় ধস নামে। অনেক টাকার লস হয়ে হয়ে যায়। অন্যদিকে তানহার বাবার ব্যবসায় ভালোই উন্নতি হচ্ছিল।
এরপর আমার বাবা আমাদের ব্যবসার ক্ষতি পূরণ পুষিয়ে নেওয়ার জন্য একটা উপায় বের করল। তানহাকে বিয়ে করে তানহার বাবার সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে করে নেওয়ার প্ল্যান।
এজন্য আমার বাবা আমাকে বলে আমি যেন তানহার সাথে প্রেমের নাটক করি। আমি আমার বাবার কথাটা রেখেছিলাম।
তানহা আমার পাতা ফাঁদে অনেকটাই ডুবে গিয়েছিল। আমার ভালোবাসায় হাবুডুবু খাচ্ছিল। তারপর আমার বাবা তানহার বাবাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে আমাদের বিয়ের ডেট ফিক্সড করে ফেলেছিল।
কিন্তু আমি অন্য একটি মেয়েকে ভালোবাসতাম যেটা তানহা জানতো না। হঠাৎ করে একদিন সেই মেয়েটির সাথে ডেটিং করতে দেখে ফেলে তানহা।
ব্যাস আমার এবং আমার বাবার সমস্ত প্ল্যান ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। এর কারণে আমাকে আমার বাবার কাছ থেকে অনেক অপমান সহ্য করতে হয়। সে শুধুমাত্র তানহার কারণে। আপনি ভাবতে পারবেন না আমি কতটা অপমানিত হয়েছিলাম।
সেদিন আমি ঠিক করে নিই তানহকে আমি একদিন না একদিন নিজের করে পাব। পেতে আমাকে হবেই।
চার বছরে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু পারেনি। অবশেষে তানহার খাগড়াছড়িতে আসার খবর শুনে আমি এখানে চলে আসি।
এরপর চাকরির জন্য আবেদন করি। আমি জানতাম তানহা আমাকে ফিরিয়ে দেবে। এই কারণে বাবা মরার ভান করেছিলাম ভেবেছিলাম আমার দুরাবস্থার কথা শুনে তানহার মন গলে যাবে।
কিন্তু আমার জন্য যে তানহার মনে এত ঘৃণা সেটা আমি জানতাম না।
তবে আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি যদি তানহাকে বলে-কয়ে আমাকে চাকরিটা না দিয়ে দিতেন তাহলে আমার চাকরিটা হতো না।
তবে আপনি আমার জন্য অনেক বড় প্রবলেম ক্রিয়েট করেছেন তানহার সাথে নিজের বিয়ে ঠিক করে।
কিন্তু আমি তো সেটা হতে দেবো না মিস্টার মেহমেদ। তানহাকিে আমি নিজের করে পাবই।
-- আপনার এই মাস্টারপ্ল্যানের প্রশংসা করতে হয় মিস্টার তানিম...
এরপর। এরপর কি করবেন।
মেরে ফেলবেন আমায়? আপনি কি মনে করেন আমায় মেরে ফেললে আপনি তানহাকে পেয়ে যাবেন??
-- কখনোই তানহাকে পাবেন না.
আপনার মত একটা খারাপ মানুষ কখনোই তানহাকে পেতে পারে না।
-- মিস্টার মেহমেদ.
নিজের সীমায় থেকে কথা বলুন। নইলে.... (তানিম খুব রেগে আমার চেহারার সামনে এসে বলল কথা গুলো)
-- নইলে কী করবেন আপনি?
কি করতে পারেন আপনি? কি মনে করেছেন -আমি আপনাকে ভয় পাই? কক্ষনো না...
-- আপনি দেখতে চান আমি আপনাকে কি করতে পারি?
-- আমি খুব রেগে ওর দিকে তাকিয়ে চুপ করে আছি.
-- রাসেল.. (রাসেল নামে একটি ছেলে কে ডাকলো)
দরজা খুলে একটি ছেলে এলো। তবে ছেলেটিকে দেখে আমি খুব একটা অবাক হইনি। এটা সেই ছেলে যে ছেলেটি শাড়ি পড়ে অজ্ঞান হওয়ার ভান করে বাগানের পেছনে পড়ে ছিল।
তানিম ছেলেটিকে বলল --
--ওর এমন অবস্থা কর. যাতে ও আমার ক্ষমতা সম্পর্কে ভালোভাবে টের পেয়ে যায়.
কথাটা বলেই তানিম রুম থেকে চলে গেল। আর রাসেল নামের ওই ছেলেটি ঘর থেকে একটি বড় লাঠি হাতে নিল।
তারপর আমাকে যেভাবে টর্চার করলো তার বর্ণনা না হয় নাই দিলাম। আমাকে মারতে মারতে প্রায় আধমরা করে ফেলে।
এরপর একটি ইনজেকশন দেয় আমাকে। ওই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর সাথে সাথে আমার দুই চোখে ঘুম নেমে আসে। আমি ঘুমিয়ে পড়ি। ঠিক কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম বলতে পারব না।
হঠাৎ আমার ঘুম ভাঙ্গে একটি সাইরেনের আওয়াজে। সম্ভবত এম্বুলেন্স কিংবা পুলিশের গাড়িতে যে সাইরেন বাজে সেটার।
সাইরেন এর শব্দ শুনে তানিম এবং রাসেল দুজনই আমার রুমে চলে আসে। এসে নিজেদের মধ্যে বলতে থাকে...
-- পুলিশ এখানে কি করে এলো? (তানিম)
--বলতে পারবো না ভাই. আমি তো খুব দেখেশুনে বাড়িটা নিয়ে ছিলাম.
এখানে তো কারো আসার কথা না (রাসেল)
--তাহলে পুলিশ এখানের ঠিকানা কিভাবে জানল??( চিৎকার করে)
-- এখন কি করবো ভাই.?
-- পুলিশ তো সামনের দরজা দিয়ে আসছে আর পেছনে তো জঙ্গল.
আমরা পালাবো কিভাবে??
-- কিছু একটা করতে হবে.
কিছু একটা করতেই হবে. তানিম এদিক ওদিক হাঁটছে আর ভাবছে)
--বলতে পারবো না ভাই. আমি তো খুব দেখেশুনে বাড়িটা নিয়ে ছিলাম.
এখানে তো কারো আসার কথা না (রাসেল)
--তাহলে পুলিশ এখানের ঠিকানা কিভাবে জানল??( চিৎকার করে)
-- এখন কি করবো ভাই.?
-- পুলিশ তো সামনের দরজা দিয়ে আসছে আর পেছনে তো জঙ্গল.
আমরা পালাবো কিভাবে??
-- কিছু একটা করতে হবে.
কিছু একটা করতেই হবে. তানিম এদিক ওদিক হাঁটছে আর ভাবছে)
আমি এখনো অনেকটা দুর্বল অবস্থায় আছি। ইনজেকশনের প্রভাবটা আমার শরীর থেকে এখনো যায়নি। তাই চোখ গুলো ভালো করে মেলতে পারছি না।
হঠাৎ দরজায় পুলিশের কড়া নাড়লো। আর ঠিক তখনই তানিম বলে উঠল --
--এখানে থাকা যাবে না রাসেল.
চল পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাই।
-- কিন্তু এই লোকটাকে কি করব ভাই।
--এখন চল
চল পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাই।
-- কিন্তু এই লোকটাকে কি করব ভাই।
--এখন চল
বেঁচে থাকলে এই মেহমেদকে আবার দেখে নেব।
কথাটা বলেি তানিমনিম আর রাসেল পেছনের দরজা দিয়ে জঙ্গলের রাস্তায় বেরিয়ে পরলো।
ওদিকে পুলিশ দরজা খুলতে না পেরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেছে। ঢুকেই আমি যে রুমে সে রুমে চলে এলো। তবে দেখতে পেলাম পুলিশের সাথে তানহা এবং আফসার ভাই ও ছিল।
ব্যাস ওই ঘরের কাহিনী এতোটুকুই পর্যন্ত। তারপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি ওই ইনজেকশনের প্রভাবে। আমার আর কিছু মনে নেই।
যখন আবার চোখ খুললাম, আমি হোটেলে নিজের বিছানায় শুয়ে ছিলাম।
আমার পাশে তানহা বসে আছে। খুব অস্থির ভাবে আমার দিকে চেয়ে আছে। আফসার ভাই, মিস শায়লা এবং ইয়াকুব স্যারও ছিলেন সেখানে।
আমার আরেক পাশে দেখছি ডাক্তার বসে আছে। আমাকে চেকআপ করছেন। সব কিছু দেখার পর ডাক্তার তানহা কে বলল---
-- ভয়ের কোন কারণ নেই ম্যাডাম.
মিস্টার মেহমেদ কে অতিরিক্ত মারার কারনে এবং উনার শরীরে একটি মারাত্মক ইনজেকশন পুশ করার কারণে ওনার শরীর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে কোনো সমস্যা নেই। আমি কিছু মেডিসিন লিখে দিচ্ছি। এগুলো নিয়মিত খেলেই উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
মিস্টার মেহমেদ কে অতিরিক্ত মারার কারনে এবং উনার শরীরে একটি মারাত্মক ইনজেকশন পুশ করার কারণে ওনার শরীর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে কোনো সমস্যা নেই। আমি কিছু মেডিসিন লিখে দিচ্ছি। এগুলো নিয়মিত খেলেই উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
এরপর ডাক্তার মেডিসিন লিখে দিয়ে চলে যান। এরপর আফসার ভাই আমার পাশে বসে বললেন--
-- কেমন আছেন মেহমেদ ভাই?
ভালো আছেন তো?
-- জি আফসার ভাই।
এখন একটু ভালো লাগছে।
--কি থেকে কি যে হয়ে গেল।
কিছুই বুঝতে পারলাম না। ওই ছেলেগুলো কারা মিস্টার মেহমেদ, যারা আপনাকে কিডন্যাপ করেছিল?( মিস শায়লা)
-- বলতে পারবোনা.
আমি কিছুই দেখিনি।( যদিও কথাটা মিথ্যে সবার সামনে খোলাসা করে কথাটা বলতে চাইনি আমি)
ভালো আছেন তো?
-- জি আফসার ভাই।
এখন একটু ভালো লাগছে।
--কি থেকে কি যে হয়ে গেল।
কিছুই বুঝতে পারলাম না। ওই ছেলেগুলো কারা মিস্টার মেহমেদ, যারা আপনাকে কিডন্যাপ করেছিল?( মিস শায়লা)
-- বলতে পারবোনা.
আমি কিছুই দেখিনি।( যদিও কথাটা মিথ্যে সবার সামনে খোলাসা করে কথাটা বলতে চাইনি আমি)
তানহা শুধু চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। একটু রাগও আছে সম্ভবত. কিন্তু কিসের রাগ সেটা বুঝতে পারছি না।
-- তা মিস্টার মেহমেদ.
ওই ছেলেগুলো কারা। তাদেরকে চিনতে পেরেছেন?( ইয়াকুব স্যার)
-- না স্যার আমার চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিল তাই কাউকে দেখতে পারিনি.( এটাও মিথ্যে)
--মিস্টার ইয়াকুব.
আপনারা এখন একটু আসুন। মিস্টার মেহমেদের সাথে আমার কিছু জরুরী কথা আছে।
ওই ছেলেগুলো কারা। তাদেরকে চিনতে পেরেছেন?( ইয়াকুব স্যার)
-- না স্যার আমার চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিল তাই কাউকে দেখতে পারিনি.( এটাও মিথ্যে)
--মিস্টার ইয়াকুব.
আপনারা এখন একটু আসুন। মিস্টার মেহমেদের সাথে আমার কিছু জরুরী কথা আছে।
মিস্টার ইয়াকুব,মিস শায়লা এবং আফসার ভাই কে নিয়ে রুম থেকে চলে গেলেন।
ওরা যেতে না যেতেই তানহা আমার বুকে অনেকগুলো ঘুসি মারলো....
--আরে আরে কি করছেন কি?
মাথা ঠিক আছে আপনার? আমি অসুস্থ দেখতে পাচ্ছেন না?
-- ভালো হয়েছে তুই অসুস্থ. আরও অসুস্থ হয়.( আরো কয়েকটা ঘুষি বসিয়ে দিয়ে)
-- কি করছেন কি ম্যাম. লাগছে তো?
--লাগুক.
তোর এরকমই হওয়ার দরকার।
--কি? নিষ্ঠুর মানুষ তো আপনি?
দেখছেন আমি অসুস
.
চলবে...............
মাথা ঠিক আছে আপনার? আমি অসুস্থ দেখতে পাচ্ছেন না?
-- ভালো হয়েছে তুই অসুস্থ. আরও অসুস্থ হয়.( আরো কয়েকটা ঘুষি বসিয়ে দিয়ে)
-- কি করছেন কি ম্যাম. লাগছে তো?
--লাগুক.
তোর এরকমই হওয়ার দরকার।
--কি? নিষ্ঠুর মানুষ তো আপনি?
দেখছেন আমি অসুস
.
চলবে...............
0 Comments