ছদ্দবেশি_মন্ত্রীর_ছেলে পর্ব_৬ Hypocritical_Minister_Son Episode_6

 


ছদ্দবেশি_মন্ত্রীর_ছেলে

পর্ব_৬
সিয়াম- কি বললি আবার বলতো??
আমি- কেন কানে শুনিস না নাকি??বললাম যে ডাক দিলেই ত পারতি??
সিয়াম- হ্যা আমরা তোকে ডাক দিতাম আর আমাদের যে কি অবস্থা করতি তা ভাবতেই পারছি না।।আর হ্যা এই নে তোর স্পেশাল গিফট??
আমি- স্পেশাল গিফট,, কেই বা দিলো।।দে ত খুলে দেখি...
সিয়াম- না ভাই এটা তোকে একান্তেই খুলতে বলেছে কারও সামনে না।।
আমি- কিন্তু ভাই এটাতো বল যে কে দিলো এটা??
সিয়াম- খুলেই দেখে নিস,,
আমাদের কথার মাঝেই আপুর আগমন।।আপু এসে সবার সাথে কুশল বিনিময় করে নিলো।।পরে বলল নিচে আসতে,,খাবার নাকি রেডি।।বলে আপু চলে গেলো।।আমিও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।পরে নিচে চলে গেলাম,,নিচে গিয়ে দেখি বাবাও চলে এসেছেন।।সবাই মিলে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।।
খাবার শেষ করে গিয়ে বন্ধুদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে এলাম।।মানে এগিয়ে দিয়ে এলাম।।ভিতরে এসে দেখি ইশিতা সোফায় বসে টিভি দেখছে।।আমিও গিয়ে বসে পড়লাম।।দুজনের মধ্যেই নিরবতা চলছে।। নিরবতা ভেঙে আমিই বললাম,,,,
আমি- I'm sry......!!
ইশিতা- সরি কেন বলছেন??
আমি- আসলে আমি জানি না তখন আপনাকে কি না কি বলে ফেলেছি।।আসলে হঠাৎ করে কেউ আমাকে ঘুম থেকে ডেকে উঠালে আমার সমস্যা হয়।।আপনি হয়তো জানেন না তাই ডাক দিয়েছিলেন আর আমি কি না কি বলে ফেলেছিলাম।।তাই আবারও সরি বলছি।।
ইশিতা- সমস্যা নাই।।আমিও কিছু না জেনেই আপনাকে ডেকে তুললাম,,পরে ভাবির কাছ থেকে জেনেছি।। সেজন্য আমিও সরি।।
আমি- ওকে সমস্যা নাই।।তা আপনার কি পড়ালেখা শেষ নাকি??
ইশিতা- না,, এখনও শেষ হয় নি।।ভাবতাছি এখন থেকে এখানেই পড়ালেখা করব।।
আমি- কেন বিদেশ কি ভালো লাগে না।।
ইশিতা- আর ভালো লাগা।।বিদেশ আর কই গেলাম,,শুধু ত ইন্ডিয়াই ত গেলাম পড়ালেখা করতে।।সেখান থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছি আর এখনে ন্যাশনাল ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি।।
আমি- এখানে বলতে??
ইশিতা- আরে এইখানে বলতে ঢাকাতেই।।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে,,আমার এক মামাতো বোনও ওখানে পড়ে।।
আমি- অহহ,,তা কোন ইয়ারে এইবার আপনি??
ইশিতা- এইবার অনার্স ২য় বর্ষে।।আর আগামী সপ্তাহ থেকে নাকি ২য় সেমিস্টার শুরু হবে।।তাই ত ভাবির সাথে এখানে চলে এলাম।।ভাবি নাকি অনেকদিন থাকবে এখানে।। আমি আবার সেমিস্টার শুরু হলেই মামার ওখানে চলে যাব।।কারণ- ইতির কাছ থেকে আমাকে নোট কালেক্ট করতে হবে।।
আমি- অহহ আচ্ছা।।তাহলে এখন উঠি,, অনেক রাত হয়ে গেছে।।আবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে।।তাই শুভ রাত্রি,,
ইশিতা- তাও ঠিক,,কিন্তু আপনি কিসে পড়েন জানলাম না তো??
আমি- আপুর কাছ থেকে জেনে নিয়েন।।আমি গেলাম আপনিও গিয়ে শুয়ে পড়েন।।
বলে নিজের রুমে চলে এলাম।।এইবার নিয়ে ৪ বার আমি ২বর্ষে🙂কারণটা গল্পের মাঝখানে জানতে পারবেন😌
রুমে গিয়ে শুয়ে আছি,,কিন্তু চোখে ঘুম নেই।।কি করে থাকবে দুইঘন্টা আগে মাত্র উঠলাম।। হঠাৎই গিফটের দিকে চোখটা গেলো।।তাই গিফটবক্সটা নিয়ে খুলতে লাগলাম।।খুলে দেখলাম,,একটা হার্টের ডিজাইন করা বালিশ।।তার উপরে বড় করে লেখা "I Love you Fahim"..গিফটটা দেখে খুব অবাক হলাম।।বক্সে দেখি ওইটার সাথে একটা চিঠিও আছে।।
চিঠিটা খুলে পড়তে লাগলাম,,,চিঠিতে লেখা ছিল,,
প্রিয় ,,
ছোটবেলা থেকেই আমার একটা ইচ্ছাই ছিলো যে এমন একটা ছেলেকে ভালবেসে বিয়ে করব যে খুবই সাধারণ।। আনস্মার্ট হলেও সমস্যা নাই।।হতে হবে সৎ,,মেয়েদের সম্মান করতে হবে।।আর সবাইকে সবসময় সম্মান করবে।।আর কারও বিপদে এগিয়ে আসবে।। হোক সে বড়লোক বা হোক সে গরীব আমার কোনো আপত্তি নেই।।এমন একজন হলেই আমার চলবে।।আর এইসব গুণই আছে তোমার মধ্যে।।প্রথমদিন তোমাকে দেখেই আমার খুব ভালো লাগে তোমাকে।।সেদিন কোনো কারণ ছাড়াই তোমাকে চড় মেরেছিলাম।।কারণ আমি দেখতে চেয়েছিলাম যে এই প্রতিউত্তরে তুমি কোনো প্রতিবাদ করো কি না।।আমি জানি সেদিন যদি কোনো ছেলে তোমাকে এই চড়টা দিতো তাহলে হয়তো তুমি প্রতিবাদ করতে।।শুধু তোমার একটা আচরণ আমার খুব খারাপ লেগেছিল আর সেটা হলো সেদিন তুমি প্রতিবাদ করার আপন ভাই তোমাকে মারে আর তুমি তার কোনো প্রতিবাদ করো নি।।সমস্যা নাই আমি সব ঠিক করে নিও।।
সবশেষে একটা কথাই বলব।।
"ভালবাসি ভীষণ ভালবাসি তোমায়
প্রথম দিনের ভালোলাগা কখন,
ভালবাসায় পরিণত হয়েছে সেটা বুঝতেই পারি নি,,
শুধু এতটুকুই জানি আমার শুধু তোমাকেই চাই"
শুধু একটিবার সুযোগ দিয়ে দেখো আমার ভালবাসার রঙে রাঙিয়ে দিব তোমাকে।।
ইতি,,
নুসরাত জাহান ইতি
পরে বুঝলাম যে এটা ইতিরই লেখা।। কিন্তু ও ত আমার বিষয়ে কিছুই জানে না।। আর আমি এটাও জানি না ও কি সত্যিই ভালবাসে নাকি কোনো খেলা খেলছে আমার সাথে।।আর যদি সত্যিই ভালবেসে থাকে তাহলে আমার সত্যিটা জানলে যদি আমাকে ভুল বুঝে তখন কি হবে।।
এগুলো মাথার কাছে রেখেই ঘুমিয়ে গেলাম।।সকালে আপু এসে এসে ডেকে ঘুম থেকে তুলে দিলো।।ঘুম থেকে উঠে দেখে চিঠিটা আপুর হাতে সাথে বালিশটাও।।তখন আপু বলল,,
আপু- ভালই ত চলছে তোর দিনকাল।। তা কবে থেকে এইসব চলছে??
আমি- আপু আমি নিজেই জানি না,,কালকে গিফটবক্সে এটা আর চিঠিটা পাঠিয়েছে।।কিন্তু এটা কতটা সত্যি তা জানি না।।
আপু- এটা মিথ্যা হতেই পারে না।।যেই তোকে এগুলো দিয়েছে।।সে তোকে মন থেকে ভালবাসে বলেই তোকে দিয়েছে।।আর শুন ইশিতা তোর সাথেই যাবে আজকে।।আর আজকে ওর ১ম দিন তাই ও কে সবকিছু ভালো করে চিনিতে দিবি।।
আমি- আপু তুই ত জানিসই,,আমি একা থাকতে বেশি পছন্দ করি আমি সিয়ামকে কল করে বলে দিচ্ছি ও এসে নিয়ে যাবে নি।।
আপু- তা ত জানিই তা আর কতদিন জানি একা থাকতে পারিস।।চিঠি পড়ে মনে হলো তুই যেমন মেয়েটাও তেমনই।।
আমি- বাহ ভালো হয়েছে দেখা যাবে।।আর এমন কোনো মেয়েই জন্মায়নি যে আমার বরাবরি করবে শুধু তুই ছাড়া!!
আপু- আচ্ছা দেখা যাবে,, তাড়াতাড়ি নিচে নাস্তা করতে আয়।। নাহলে পড়ে দেড়ি হলে আবার চিল্লাবি নি।।আর এইগুলা আলমারিতে তুলে রাখ।।আমি তোর রুম পরিষ্কার করব।।
আমি- আচ্ছা,,তা তোর পিচ্চিরা কি উঠেছে নাকি??
আপু- হ্যা,,ভাই তাড়াতাড়ি যা সবাই নাস্তার টেবিলে তোর জন্য অপেহ্মা করতেছে।।
আমি আচ্ছা বলে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে গেলাম।।।যাওয়ার আগে সিয়ামকে কল করে আসতে বললাম।।নাস্তার টেবিলে বসে নাস্তা করে নিলাম।।নাস্তা শেষ করে রেডি হয়ে নিলাম।।রেডি হয়ে বের হয়ে দেখি সবাই চলে এসেছে।।আমি।সিয়ামকে বললাম আপু তোকে দেখা করতে বলেছে তুই দেখা করে আয়।।আচ্ছা বলে সিয়াম দেখা করতে চলে গেলো।। এদিকে আমি দেখি যে আজকে একটা বাইক কম এসেছে।। আরেকটাতে তিনজন আছে।।আর সিয়ামের সাথেও যাওয়া যাবে না।।কারণ- ইশিতা সিয়ামের সাথে যাবে।।তাই গিয়ে আমার বাইক নিয়ে আসলাম।।৩দিন আগে বাবা যেটা গিফট করেছে।।সেটা নিয়ে আসার পর দেখে সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে।।আমি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম,,কি হলো এভাবে তাকিয়ে আসিস কেন??
আবির- দোস্ত ktm 125cc কবে নিলি।।আর আমাদের দেখালিও না।।
আমি- দূর শালা ৩দিন আগে বাবা এটা গিফট করেছে আমাকে।। আর এটা তো বেরই করি নি।।তাহলে দেখবি কি করে??
তখনই সিয়াম চলে এলো সাথে ইশিতাও এলো।।তারপর যে যার মতো বাইকে উঠে পড়লো।।আবিরকে আমার বাইকে নিলাম।।কারণ- শালার বাইক নাকি সার্ভিসিং এ দিছে।।তারপর ভার্সিটি চলে গেলাম।।গেট দিয়ে ডুকার পর থেকে সবাই শুধু বাইকের দিকে তাকিয়ে আছে।।আমি হেলমেট পড়ে থাকায় আমাকে দেখতে পারে নি।।আমরা সবাই বাইক পার্ক করে বাইক থেকে নেমে দাঁড়ালাম।।
হঠাৎই খেয়াল করলাম যে ইতি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে।।এসেই ইশিতাকে জড়িয়ে ধরল।।আর বলতে লাগল,,
ইতি- কিরে ইশু,, কেমন আছিস??আর ফুপা,ফুপি আর বাকীরা কেমন আছে??
ইশিতা- আলহামদুলিল্লাহ্‌,, আমি ভালো আছি আর বাসার সবাইই ভালো আছে।।তা মামা কেমন আছে রে??
ইতি- ভালো।।তা তুই এখানে কি করে??
ইশিতা- আমি আজ থেকে এখানেই পড়ালেখা করব,,আর তোদের ওইখানে থাকব।।
ইতি- এটাতো আরও ভালো হবে।।তা তুই এদের সাথে এলি কোথা থেকে??
ইশিতা- আরে কালকে ভাবির সাথে এসেছি।।আর এরা ভাবির ভাইয়ের বন্ধু।।ভাবির ভাইও ত এখানেই ছিলো।।
ইতি- অহহ,,,তা চল আমি তোকে পুরা ক্যাম্পাস ঘুরে দেখাই।।আর সিয়াম ফাহিমকে কি গিফটটা দিয়েছিলে??
সিয়াম- হ্যা কাল রাতেই ত ও কে দিয়ে আসলাম।।
ইতি- অহহ আচ্ছা,, তা ফাহিম কি আজকে আসি নি।।
সিয়াম- হ্যা এসেছে তো ক্লাসে আছে মনে হয়।।
ইতি- আচ্ছা তাহলে চল ক্লাসে যাই।।
সবাই মিলে ক্লাসে চলে এলো।।আমি আগেই চলে এসেছিলাম।।এসে নিজেদের জায়গায় বসে পড়লাম।।ইতি ক্লাসে এসেই সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,,
ইতি- Attention Guyz,,, আমি জানি তোরা সবাই জানতে আগ্রহী যে আমি কি কাউকে ভালবাসি কি না??
সবাই- হ্যা,,সেই কবে থেকেই আমরা সেটা জানতে আগ্রহী।।
ইতি- আজকে আমি তোদের সবার সামনে তাকে পরিচর করিয়ে দিব আর তাকে তোদের সবার সামনেই প্রপোজ করব।।
সবাই- এখানে করবি মানে।।ও কি আমাদের সাথেই পড়ে নাকি।।
ইতি- হ্যা সে আমাদের মাঝেই আছে আর আমাদের সাথেই পড়ে।।সে আর কেউ সে হচ্ছে ফাহিম।।নতুন জয়েন করেছে যে।।হঠাৎই ইতি দৌড়ে আমার সামনে এসে হাটু গেড়ে হাতে গোলাপ নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে বসে পড়ল।।আর বলল,,,
ইতি- ভালবাসি তোমায় নিজের থেকেও বেশি ভালবাসবে কি আমায়??
আমি- এই মুহুর্তে কি করব বা কি বলব কিছুই বুঝতে পারছি না।।
সবাই শুধু চিল্লিয়ে বলছে হ্যা বলতে।।কিন্তু আমার কি বলা উচিৎ তা বুঝে উঠতে পারছি না।।হঠাৎ নিরবতা ভেঙে আমি বললাম,,দেখো ইতি তুমি আমার সম্পর্কে কিছুই জানো না।।তাই আমাদের মধ্যে কোনো রিলেশন হতে পারে না।।আমি তোমার লেভেলের না।।তুমি উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান আর আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের।।।
ইতি- ব্যাস আর মিথ্যা বলার প্রয়োজন নেই।। আমি তোমার সম্পর্কে সব জনি।।তুমি কে কোথায় থাকো
তোমার পরিবার সম্পর্কে সবই জানি।।আর এটাও যে তুমি হচ্ছো আমার একমাত্র ফুপাতো ভাইয়ের শালক।।।আর কত দেড়ি করাবা উত্তরটা দাও না।।ভালবাসবে কি আমায়??
আমি- হ্যা।।
সবাই খুশিতে মেতে উঠে।।বলতে লাগল Congress dear new couple.....
তারপর বন্ধুরা সবাই মিলে ধরলো তাদের ট্রিট দিতে।। তাই আর ক্লাস করলাম না এমনিতেই আমাদের ১ ক্লাস হয় নি।।পরে সবাই মিলে রেস্টুরেন্ট এ চলে আসলাম।।ইতির বান্ধবীদের মাথায় এখনও কিছু ডুকছে না।।
তারপর সবাই খাওয়া দাওয়া করে বাসায় চলে এলাম।। সবাই খুবই হাসি খুশি আমাদের রিলেশন এ।।কিন্তু ইশিতার মন খারাপ।।সবার সামনে কিছু বলিও নি।।তারপর বিল পেমেন্ট করে রেস্টুরেন্ট থেকে বাইরে এলাম।।তারপর বাইকে উঠতে নিব এমন সময় ইশিতা আর ইতি একসাথে বলেন উঠল তাদের বাসায় ড্রপ করে দিয়ে আসতে।।এখন কি করব ভাবতেছি।।তখন ইশিতা বল উঠল আচ্ছা আমিই সিয়ামের সাথে চলে যাই আপনি ইতিকে বাসায় দিয়ে আসুন,, আপনাদের ও একসাথে কিছুটা সময় কাটানো দরকার।। আপনারা নতুন রিলেশন এ জড়িয়েছেন এখন একে অপরকে আরও ভালো ভাবে জেনে নিন।।আমি কিছু বলার আগেই ইশিতা সিয়ামের বাইকে উঠে চলে গেলো।।
তারপর আমি ইতিকে নিয়ে ওর বাসায় নামিয়ে বিদায় দিয়ে চলে এলাম।।পথে ইতি এত কথা বলেছে যে কেউ বলবে এই মেয়েটা বাচাল।।বাচাল হোক আর যাই হোক আমারই ত গল্পের নায়িকা😪
তারপর বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।ফ্রেস হয়ে নিচে এসে দেখি বাবাও আজকে চলে এসেছে।।আমাকে দেখতে ডাক দিয়ে ওনার কাছে যেতে বললেন।।আমিও গেলাম,, যাওয়ার পর বাবা বলল,,
বাবা- তা এই ভার্সিটি কেমন লাগতেছে,,আগেরটার থেকে ভালো নাকি ওইটার মতোই।।
তারপর,,,,,




Post a Comment

0 Comments