#পিচ্চি_বউ
(part 9)
.
-- এই পিচ্চি শুনন !
.
-- কি?
-- কলেজ শেষ হওয়ার পর একটু সামনে
এগিয়ে গেলেই আমাকে পাবে,,
তুমি একটু হেটে চলে এস পিল্জ,
আমার কিছু কাজ আছে,,আমি আবার
গুড়ে এদিকে আসতে পারব না,
-- আচ্ছা !
পিচ্চিটা কলেজের গেটের ভিতর ডুকে গেল,,
আমি বাইক স্টার্ট দিয়ে কিছু যায়গা এগিয়ে
দেখি সায়ান মুখটা মলিন করে বসে আছে,,
আর আবির,রিহান,রাকিব, সায়ানকে
সান্তনা দিচ্ছে,,
আমি সায়ানের কাছে যেতে যেতে বললাম,,
-- কিরে মজনু তর লাইলী এখনও আসে
নাই?
আমি কাছে যেতেই সায়ান আমাকে জুড়িয়ে
ধরে কান্না করতে লাগল,,
-- পিল্জ বন্ধু তুই কিছু একটা কর,
আমি জেনিয়াকে ছাড়া বাচব না ৷
জেনিয়া হল সায়ানের গার্লফ্রেন্ড,
তিন বছর ধরে ওদের রিলেশন, দুজন
দুজনকে অনেক ভালবাসে, কিছুদিন পর
জেনিয়ার বিয়ে, কিন্তু জেনিয়া না পাড়ছে
ফেমেলি ছেড়ে সায়ানের কাছে চলে আসতে,
না পাড়ছে সায়ানকে ছাড়া অন্য কাউকে
বিয়ে করতে !
আজ জেনিয়া সায়ানে সাথে লাস্ট দেখা
করতে আসছে ৷
লাস্ট দেখা করবে সেই কথা শুনেই রাতে
সায়ান আমাকে ফোন করে জানিয়ে
দিয়েছিল !
অনেক্ষণ অপেক্ষার পর জেনিয়া আসল,
আমাদের সবাইকে দেখে কিছুটা অবাক
হল,,!
আমি বললাম,,
-- জেনিয়া এদিকে আস !
আমি জেনিয়াকে ওদের থেকে কিছ দূরে
নিয়ে গেলাম,,
আমি বললাম,
-- জেনিয়া সত্যি করে বল তো তুমি কি
সায়ানকে ছাড়া অন্য কারো সাথে থাকতে
পারবে?
-- ওকে ছাড়া থাকতে পারবনা বলেই তো
মরার রাস্তা বেছে নিয়েছি !
-- তুমি কি মনে করেছে, তুমি মরে গেলে
সায়ান বেচে থাকতে পারবে?
এবার মেয়েটা কান্না করতে লাগল,,
-- তো আমি কি করব, বলেন ভাইয়া?
-- পালিয়ে যাও !
-- কিন্তু আমার ফেমেলি?
-- দেখ জেনিয়া তোমরা পালিয়ে গিয়ে
বিয়ে করার পর যখন তোমার কোলে
ছোট্ট আরেকটা জীবন আসবে, তখন
তোমার ফেমেলি অই বাচ্চাটার দিখে
তাকিয়ে সব মান অভিমান ভূলতে বাধ্য
হবে ৷
-- কিন্তু......
জেনিয়াকে পোর কথাটা বলতে না দিয়েই
পিচ্চিটা এসে বলল,,
-- এই যে আমি চলে এসেছি,,! আর অই
মেয়েটা কে?
-- বলছি তুমি ওদের কাছে গিয়ে বস,,
আমি ওর সাথে কিছু ইম্পোর্টেন কথা
বলে আসছি ৷
-- মেয়েটার সাথে তোমার কিশের
ইম্পোর্টেন কথা,,
নির্লজ্জ মেয়েগুলা শুধু সারদিন তোমার
পিছে পিছে লেগে থাকে,,
কথাগুলা বলতে বলতেই আমার হাত ধরে
টেনে নিয়ে যেতে লাগল,,
আমার রাগ উঠে গেল চরমে,,
এক জটকায় পিচ্চিটার হাত থেকে আমার
হাত ছাড়িয়ে গালে ঠাসসস করে একটা চর
বসিয়ে দিলাম,,
পিচ্চিটা গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে,,
-- এই পিচ্চি তুই জানিস এই মেয়েটা কে?
-- হুম জানি তো, মেয়েটা তোমার
গার্লফ্রেন্ড ৷
এবার অন্য গালে ঠাসস করে আরেকটা চর
মারলাম,,
পিচ্চিটা দুইগালে দুইহাত দিয়ে জোরে
জোরে কান্না করতে লাগল,,
-- এএএএএ,,,আআআআ,,!
-- কান্না থামা বলছি,, না হলে আরেকটা
দিব,,!
-- এএএ,,তুমি খুব খারাপ,, আমি আব্বুকে
গিয়ে সব বলব,, আর এও বলব যে তোমার
গার্লফ্রেন্ড আছে !
এবার পিচ্চিটার কথা শুনে আমার নিজেরই
কান্না চলে আসছে,
-- বোন রেএএএ,, তুই কিছু না বুঝার আগে
কেন বাচ্চাদের মত পাগলামী করিস,
বাচ্চাদের মত কি তুই তো বাচ্চাই,,!
ও আমার গার্লফ্রেন্ড না সায়ানের
গার্লফ্রেন্ড ৷ আমি এখানে দুইটা জীবন
বাচানোর চেষ্টা করছি আর তুই ডং
করছিস,,!
এবার পিচ্চিটা সব কিছু বুঝতে পেরে কান্না
থামিয়ে চোখের পানি মুছে একটা হাসি
দিয়ে আমাকে বলল,,
-- সরিইইই,,,!
এবার পিচ্চিটার কান্ড দেখে আমারই হাসি
চলে এল,,
একটু আগে কি কান্নাটাই না করল আর
এখন হাসছে !
-- হা হা হা,,পিচ্চি একটা ৷
.
এতক্ষণ জেনিয়া আমাদের দিকেই তাকিয়ে
ছিল,
জেনিয়া আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে,,
আমি বললাম,,
-- তো কি সিদ্ধান্ত নিলে জেনিয়া?
-- আমি পালিয়ে যেতে প্রস্তুত ভাইয়া ৷
পরে অইদিনই সায়ান আর জেনিয়া
চট্রগ্রাম পালিয়ে যায় ৷
.
.
আর মাত্র 7দিন বাকি আমার আর
পিচ্চিটার ডিভোর্স পেপার আসতে ৷
পিচ্চিটা আমার সাথে এমন ব্যবহার করে
বুঝাই যায়না যে আর মাত্র কয়েকদিন পর
ওর সাথেই আমার ডিভোর্স হবে ৷
আজ আমার ফ্রেন্ড রিহানের বার্থডেআজ আমার ফ্রেন্ড রিহানের বার্থডে,,
রাতে পিচ্চিটাকে বললাম,,
-- এই পিচ্চি আমার জন্য অপেক্ষা কর না,
রাতে বাসায় ফিরতে আমার দেরি হবে,,
-- কেন দেরি হবে কেন?
-- আজ আমার ফ্রেন্ড রিহানের -- আজ আমার ফ্রেন্ড রিহানের বার্থডে
৷
-- অহ,, আচ্ছা !
মুখে বলছে আচ্ছা, কিন্তু আমি জানি
পিচ্চিটা ঠিকই আমার জন্য না খেয়ে বসে
থাকবে !
.
রিহান বার্থডে পার্টিটা শুধু আমরা
তিনজকেই নিয়েই দিচ্ছে,,
আমি,রাকিব আর আবির,,!
কেক কাটা শেষে রিহানকে নিয়ে কয়েকটা
সেলফি তুলে ফেইসবুকে আপলোড
দিলাম,
তারপর কিছু খাবার খেয়ে আমি ওদের থেকে
বিদায় নিয়ে চলে আসছিলাম,,
তখনই আমাকে রিহান আটকাল,
-- কিরে কোথায় যাচ্ছিস? আসল
পার্টিটাই তো হল না ৷
বলেই একটা ব্যাগ থেকে তিনটা বোতল
বের করল,,!
-- কিরে এসব কিশের বোতল?
-- এইগুলা ম** বোলত?
-- ছি,, সরা এখান থেকে আমি এইগুলা খাই
নাকি?
তরা জানিস না আমি এইগুলা খাই না !
-- হুম,, জানি তবুও আজ খেতে হবে !
লেই
আমাকে জোরাজোরি করতে আমাকে জোরাজোরি করতে লাগল !
শেষ পর্যন্ত ওদের জোরাজোরিতে
বাধ্য হয়ে নাক টিপে হাপ গ্লাস খেলাম,,
হাপ গ্লাস খাওয়ার পরেই আমার নেশা ধরে
গেল,,
আমার আরো খেতে ইচ্ছা করতেছে ,,
আমার পাশেই এক বোতল রাখা ছিল,
বোতলটার মুখ খুলে টকটক করে
বোতলের অর্ধেক শেষ করতেই আবির
আমার হাত থেকে বোতলাটা কেরে নিল,,
-- এই নিয়ান কি করছিস?
আবিরও আমার মত এইসব খায়না,
রাকিব আর রিহান অনেক জোরাজোরির
পরেও আবির খায় নাই,,
চল বাড়ি যাবি,,
আবির আমাকে বাইকে করে বাড়িতে নিয়ে
আসল,,
আমাকে ঘড়ের সামনে পৌছে দিয়ে আবির
চলে গেল,,
আমার কাছেই ঘড়ের দ্বিথীয় চাবি ছিল
সেটা দিয়েই আমি ডুকলাম,,
মাথা ঘুড়ছে হাটতে পারছি না, কষ্ট করে
রুমে আসলাম,,
দরজা ধাক্কা দিতেই খুলে গেল,,
পিচ্চিটা বিছানাতেই বসা ছিল,,
আমাকে দেখে উঠে এসে বলল,,
-- এতক্ষণে আসলে,,!
আমি কিছু বললাম না,,
পিচ্চিটার দিকে গোর লাগা চোখে তাকিয়ে
রইলাম,,
আজ পিচ্চিটাকে দেখে আমার ভিতরে কি
রকম জানি একটা উত্তেজনা ফিল করছি,,
আমি পিচ্চিটাকে বললাম,,
-- এএইই তুইই আমার বউওও না ৷
আআয় আমার কাছে আআয় ৷
-- একি তোমার মুখ থেকে কিশের গ....
ওকে বলতে না দিয়েই ওর টোঠে আমার
টোঠ লাগিয়ে দিলাম,,
তারপর পিচ্চিটার টোঠ ছেড়ে দিয়ে,,
পিচ্চিটাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানাতে ফেলে
দিলাম,,,
.
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানাতে বসলাম,,
মাথটা জিমজিম করছে,,
হঠাৎ আমার খেয়াল হল আমার শরিরে
কোনো খাপর নাই,,
খাপর নাই বলতে একটা সুতাও নাই,,
শুধু পাতলা একটা চাদর দিয়ে সারাশরির
ডাকা,,
কাল রাতের কথা মনে পড়তেই,,
আমি চমকে উঠলাম,,
শিট এটা আমি কি করলাম,,
বলেই বিছানাতে একটা ঘুসি দিলাম !আমার
প্রায় কান্না চলে আসছে !
পাশে তাকিয়ে দেখলাম পিচ্চিটা আছে
নাকি?
না পিচ্চিটা নাই ৷
পিচ্চিটাকে দেখলাম গোসল করে চুল
মুছতে মুছতে বাথরুম থেকে বেরিয়ে
আসছে,,
লজ্জায় আমার দিকে তাকাতে পারছে না,,
মাথা নিচু করেই আমাকে বলল,,
-- বাথরুমে গড়ম পানি রাখা আছে, গোসল
করে নাও ৷
বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷
আমি রেডি হয়ে ঘড় থেকে বেরিয়ে গেলাম,,
ফিরে এসে পিচ্চিটাকে খুজতে লাগলাম,,
রান্নাঘড়ে গিয়ে দেখলাম আম্মুর সাথে
রান্না করছে ৷
আমি বললাম,,
-- এই দিয়া রুমে আস !(আম্মু আব্বুর
সামনে পিচ্চিটাকে নাম ধরেই ডাকি)
পিচ্চিটা রুমে এসে বলল,,
-- কিছু বলবে?
-- এটা খেয়ে নাও ৷
-- কিশের ঔষধ এটা?
-- এটা পিল,,৷
#চলবে
0 Comments