অতৃপ্ত অশরীরী ছায়া
পর্ব-- ৭
।
ঠিক তখনি দিশা গাড়ির সামনে এসে দাড়ালো।
।
।
দিশাঃ আমাকে ছেড়ে তোমারা কেনো দুরে চলে যাচ্ছো।
।
আমার অন্যায়টা কী।
।
আমি কী তোমাদের মেয়ে না।।
।
।
সাঈদঃ হুম আমাদেরি মেয়ে কিন্তু।
।
।
দিশাঃ কী কিন্তু আমার মাঝে যে আছে তার কথা বলছো তো।
।
।
সাঈদঃ.....?
।
।
দিশাঃ বাবা আমি ইচ্ছে করেই আমার শরীরের এই অশরীরকে আশ্রয় দিয়েছি।
।
।
কেনো না আমি ওদের সাহায্য করতে চাই।
।
।
তাসফিয়াঃ তুই চলে যা এখান থেকে।
।
তুই একটা রক্ত চুষে খাওয়া ভয়ানক আত্মা।
।
।
দিশাঃ মা তুমি শুধু আমার বাইরের দিকটাই দেখলে ভিতরে যারা রয়েছে তাদের কষ্ট টুকু বুঝলে না।
।
।
তাসফিয়াঃ কীসের কষ্ট হুম আর তুই তো এখন ওদের বশ এ।
।
।
দিশাঃ না মা আমি কারো বশে নই তোমারা আমাকে ভয় পাচ্ছো কেনো।
।
।
ও বুঝতে পারছি তোমারা ভাবছো আমি তোমাদের রক্ত চুষে খেয়ে ফেলবো তাই না।
।
।
।
তাসফিয়াঃ হুম।
।
।
দিশাঃ মা বাবা তোমারা এটা ভাবতে পারলে যে আমি তোমাদের মেয়ে হয়ে তোমাদেরি রক্ত চুষে খেয়ে ফেলবো।
।
।
।
আমি যাদের রক্ত চুষে খেয়েছি তারা সবাই নীলাসা কে খুন করেছিলো।
।
।
।
সাঈদঃ wait wait এর মাঝে নীলাসাটা আবার কে হুম ।
শাঃ নীলাসা হচ্ছে সেই যাকে আমার শরীরের আশ্রয় দিয়েছি।
।
।
আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে
।
।
।
নীলাসাঃ আমি গ্রামের সহজ সরল একটি মেয়ে।
।
।
বাবা মার কাছে রাজকন্যার মতো ছিলাম।
।
আমি তাদের কাছে ওদের পৃথিবী ছিলাম আর আমার কাছে ওরা।
।
।
আমি hsc পরিক্ষা দিয়ে বাসায় মা বাবার সাথে বসে খাবার খাচ্ছিলাম তখন শহর থেকে একটা সুন্দর হ্যান্ডস্যাম ছেলে আমাদের বাসায় আসে বাবার সাথে দেখা করতে।
।
।
।
আমার প্রথম দেখায় ভালো লেগেছিলো।
।
।
কিন্তু জানতাম না যে ছেলেটা আমাকে দেখে cruRs খেয়েছে।
।
।
তার পর থেকে ছেলেটা আমার পিছনে ঘুর ঘুর করতে থাকে একদিন এসে আমাকে তো প্রপোজ ও করে ফেললো।
।
।
I Love You nilAsha..
.
.
বিশ্বাস করো আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
।
।
।
আমার যেহেতু তাকে ভালোই লাগতো তাই আর না করলাম না একসেপ্ট করে ফেললাম।
।
।
এর পর থেকে আমাদের মাঝে কথা হতে থাকে আমি খুব ভালোবেসে ফেলেছিলাম তাকে।
।
।
এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিলাম যে তার জন্য সব কিছু করতে রাজি ছিলাম একদিন সে বললো রুম ডেট করতে আমি না করলাম।
।
।
কিন্তু ভালোবাসার দোহাই বলে সেদিন রুম ডেট করতে বাধ্য ছিলাম।
।
।
।
সে বলে আমাকে বিয়ে করবে তাই তার বাবাকে বলতে বলতে শহরে গেছিলো ওই দিন আমি খুব কেঁদেছিলাম কেনো না তাকে এক সেকেন্ড যদি না দেখি তখন খুব খারাপ লাগতো।
।
।
।
সে দিন বৃষ্টি হচ্ছিলো বলে কেউ আমার কান্না দেখতে পায় নি।
।
।
এভাবে ১৪ দিন পর সে ফিরে আসে।
।
।
তার পর সে আমাকে বললো সুন্দর করে সেজে তার বাসায় যেতে।
।
।
আমিও তাই করলাম।
।
।
তার বাসায় গিয়ে দেখি কেউ না।
।
।
ও বললে ওর বাবা আমাকে দেখবে তাই আসতে বলছে।
।
।
এর পর সে আমাকে কফি খেতে দিলো আমি কফিটা খেয়ে কেমন যানি ফিল করতে লাগলাম পরে জানতে পারি ওই কফিতে ঘুমরে ঔষধ মেশানো ছিলো।
।
।
যখন আমি ওই ঘুমের ওষুধ মেশানো কফিটা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তখন তার বাবা সে তার ৫ জন বন্ধ মিলে আমাকে ধর্ষণ করে।
।
।
।
কিন্তু তাদের ধর্ষণ করার পরেও মনের ইচ্ছে পুরণ হয় নি তারা আমাকে শহরে নিয়ে এসে রোজ রাতে বাবা আর ছেলে মিলে ধর্ষণ করতো।
।
।
সারা দিন কিছুই খেতে দিতো না।
।
।
তারা মানুষের কাছে আমার শরীরকে বিক্রি করতো রোজ নতুন নতুন মানুষের কাছে।
।
।
এসব সহ্য করতে পারি নি আমি একদিন এক লোকের কাছে আমার বিক্রি করলো ৫০০০০ হাজার টাকায় ওই দিন ওই মানুষটি সারাদিন ধর্ষণ করেছিলো
।
।
।
আমার শরীরের অবস্থা এমন হয়েছিলো যে ঠিক মতো চলতেই পারছিলাম না।
।
।
তাদের কথা না শুনলে খুব মারতো একদিন
।
আমাকে ওরা খুব মারে।
।
প্যান্টের বেল দিয়ে আমি মার খেতে অঙ্গান হয়ে গেছিলাম তবুও তারা মারা বন্ধ করে নি।
।
।
মার সহ্য না করতে পেরে সেখানেই মারা যাই।
।
।
পরে জানতে পারি তারা মেয়ে ব্যবসা করে।
।
।
।
।
।
।
এখন আপনারাই বলেন আমি কি নিবো না আমার মৃত্যুর প্রতিশোধ।
।
।
চলবে
0 Comments