অতৃপ্ত অশরীরী ছায়া
.
.
পর্বঃ 11
ঠিক তখনি এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে গেলো। এই প্রচুর ঠান্ডায় বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো।
।
।
প্রকৃতির কোন রুপ যে কখন দেখা হয়তো সেটা কেউ বলতে পারবে না
।
।
।
।
তাসফিয়াঃ হুম আচ্ছা আমি একটা কথা চিন্তা করছিলাম যেটা আমার বার বার মনে হচ্ছিলো
।
।
।
সাঈদঃ কী কথা
।
।
তাসফিয়াঃ দিশা সত্যি কী আমাদের মেয়ে নাকি অন্য কারো
।
।
।
সাঈদঃ তুমি কী পাগল হয়ে গেলে নাকি। দিশা আমাদের মেয়ে না তো কার মেয়ে অন্য কারো ।
।
।
।
তাসফিয়াঃ না মানে ইয়ে মানে ও হওয়ার সময় যদি নার্সের আমাদের সন্তানকে বদল অন্য কারো সন্তানকে এনে দেয় আমি সেটাই বলছিলাম আর কী।
।
।
।
।
সাঈদঃ তোমার দিন দিন মাথাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে কী থেকে কী বলছো নিজেও জানো না।
।
।
।
অনেক রাত হয়েছে এবার শুয়ে পড়ো।
।
।
।
তাসফিয়াঃ হুম।
।।
।
।
পরের দিন
।
।
সাঈদঃ সকাল সকাল ফোনটা যা শুরু করছে না। ধুর ভালো লাগছে না একি এটা তো বন্ধ হয়ে গেলো
।
।
তাসফিয়াঃ তুমি যেমন তোমার ফোনটাও তেমন ।
।
।
এই নাও আমার ফোনটা।
।
।
।
অপর দিকে
।
দিশাঃ রিয়াদ আজ রাতে এই শহরের সব থেকে বড় ব্যবসায়ীর স্থীর রক্তে চুষে খেয়ে ফেলবো।
।
।
রিয়াদঃ হুম নীলাসা কিন্তু আমারা কী কোনো শরীর খুঁজে পাবো না নাকি এই বাঁদুরে শরীর এ থাকতে হবে।
।
।।
।
দিশাঃ সময় হলে সেটা নিজে থেকে পাওয়া যাবে।
।
।
রিয়াদঃ নীলাসা কখনো ভেবে দেখেছো কী আমরা কী কখনো এই আত্মা থেকে মুক্তি পাবো বা কেউ আমাদের বিন্যাস করবে।
।
।
।
দিশাঃ হুম অনেক আগে ভেবে রেখেছি। কিন্তু আমাদের মারতে পারে এমন কেউ এখনো জন্ম নেয় নি আর নিবোও না।
।
।
।
রিয়াদঃ তাহলে তো ভালোই হয়ে এই সারা মানব জাতির রক্ত চুষে খেতে পারবো এই দুনিয়াই হবে আমাদের রাজত্ব।
।
।
।
দিশাঃ হ্যা আর সে দিন খুব শ্রীঘ্রই আসতে চলেছে।
।
।
।
সাঈদঃ সারাটা দিন ভালো মতোই গেছে কিন্তু আজ শহরটা এত শান্ত কেনো আজ কী কিছু হতে চলছে কিন্তু সেটা কী না এভাবে বসে থাকলে চলবে না আমাকে জানতেই হবে আজ কী হবে।
।
।
।
সত্যিই কী আজ কিছু হবে নাকি আমি সত্যি সত্যি ভুল ভাবছি।
।
।
তার পর গাড়িতে বসে বেড়িয়ে পড়লাম।
।৷
।
সারা শহরটা ঘুরে দেখলাম না সব তো ঠিকি আছে এটা আমারি মনের ভুল ছিলো। তার পর সেই জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে বাড়ি আসছিলাম তখনি যা দেখলাম তা দেখে আরো অবাক হলাম কেনো না আমার সামনে দিশা আর ওই বাদুর গুলো দাঁড়িয়ে আছে।
।
।
কিন্তু ওর সাথে বাদুড় গুলো কী করছে। তাহলে আমার সন্দেহ কী ঠিক ওই বাদুর গুলোর সঙ্গে দিশার কোনো সম্পর্ক রয়েছে।
।
।
।
কিন্তু ওরা তো কোথাও যাচ্ছে।
।
যাই ওদের পিছু কোথায় যাচ্ছে ওরা।
।
।
কিছু দুর যেতে না যেতেই দেখলাম দিশা থমকে দাঁড়ালো কিন্তু কেনো।
।
।
।
রিয়াদঃ দিশা দেখো পিছনে কেউ গাড়ি নিয়ে আমাদের পিছনে আসতেছে।
।
।
দিশাঃ এ কী এটা তো বাবার গাড়ি তাহলে কী বাবা কিছু জানতে পরেছে না এটা হতে পারে না ।
।
।
তোরা এখান থেকে যা না হলে বাবা সন্দেহ করবে তোমারা বাবাকে চিনো না একবার সন্দেহ করলে সেটার রহস্য বের করেই ফেলবে।
।
।
।
সাঈদঃ এটা কী হলো দিশা অন্য দিকে চলে গেলো আর ওই বাদুর গুলো অন্য দিক।
।
।
।
আমি আজ এই রহস্য বেড় করেই ছাড়বো।
।
।
এখন কার পিছনে যাবো বাদুর গুলোর নাকি দিশার।
।
।
দিশার পিছনে গিয়ে লাভ নেই তার চেয়ে ভালো বাদুর গুলোর পিছনে যাই।
।
।
তার পর বাদুড় গুলোর পিছন নিলাম।
।
।
অবশেষে তারা একটা ভাঙ্গা বাড়ির সামনে এসে দাড়ালো।
।
।
আমি গাড়িটা আড়ালে রেখে তাদের উপর নজর রাখলাম।
।
।।
।
কিছু খন পর সেখানে দিশাও চলে আসলো।
।
।
দিশাঃ যাক বাবা আমাদের দেখতে পায় নি তাই ভয় পেয়ে লাভ নেই।
রিয়াদঃ হুম কিন্তু দিশা তোর বাবা কিছু সন্দেহ করছে নাকি।
।
।
সাঈদঃ আমি তো আরো একবার অবাক হলাম বাদুর কথা বলছে মানুষের গলায় এটা কী করে সম্ভব।
।
।
দিশাঃ না সন্দেহ করলে আমার পিছনে আসতে কিন্তু তা তো কিছুই হয় নি।
।
।
রিয়াদঃ তাহলে আর দেরি করে লাভ কী শিকার এ বেড়িয়ে পড়ি।
।
।
দিশাঃ রিয়াদ তুই এতো তারাতাড়ি কেনো করতে চাস কোনো কাজ অপেক্ষা করো রাত গভীর হওয়ার।
।
।
সাঈদঃ ও তাহলে এই বড় বাদুরটার নাম রিয়াদ আজ তোমাদের এমন অবস্থা করবো যা কল্পনাও করতে পারবি না।
।
।
।
যত সময় যাচ্ছে রাত ততই গভীর হচ্ছে সাথে সাথে রহস্যের কিছু টা সমাধান ও বেড়িয়ে আসছে।
।
।
।
দিশাঃ এখন গভীর রাত কেউ জেগে নেই এটাই সুযোগ আমি প্রথমে যাই তার পর তোরা একে একে আসবি তাহলে কেউ দেখলে সন্দেহ করবে না।
।
।
আর দল বেধে গেলে সবাই সন্দেহ করবে।
।
।
আর সব শেষে রিয়াদ।
।
।
সাঈদঃ হ্যা আজ এই রিয়াদের এমন অবস্থা করবো যা কল্পনাও করতে পারবে না।
।
।
সবাই চলে গেছে প্রায় আমি গাড়ি থেকে কাচের বাক্সটা এনে
।
।
।
পায়ের জুতো খুলে আস্তে করে বাদুড়টার পিছনে চলে গেলাম যেমনি বাদুরটা উড়তে যাচ্ছিলো তখনি খপ করে ধরে কাচের বাক্সটাতে ডুকিয়ে দিলাম।
।
।
বাদুড়টাঃছাড় বলছি না হলে তোমাকে প্রানেই মেরে ফেলবো।
।
।
সাঈদঃ কে কাকে মারবে সেটা সময়ই বলে দিবে তখনি।
।
।
।
।
চলবে।
0 Comments