থানার ভেতরে তানহা বসে আছে।এই মেয়ে এখানে কী করছে? কিভাবে জানলো যে আমাকে থানায় নিয়ে আসা হলো? দিনে দিনে মেয়েটা আমার কাছে আরো রহস্যময়ী হয়ে উঠছে...বুঝতেই পারছি না এখানে হচ্ছেটা কী.....
তানহা আমায় দেখেই দাঁড়িয়ে গেল ---
আমি তো পুরাই তাজ্জব ওকে এখানে দেখে.. আমি ওর কাছে গিয়ে খুব কৌতুহল সহকারে প্রশ্ন করলাম---
-- আপনি এখানে কেন?
--আমার কি এখানে আসা মানা নাকি?( মুচকি হেসে)
-- দেখুন সব সময় মজা করবেন না. আর এখন মজা করার সময় ও না.( একটু রেখে)
--ওলে বাবা... স্যারের রাগও আছে দেখছি?( নাক টেনে)
-- কি করছেন কি পাবলিক প্লেসে? আর আপনি থানায় কি করছেন এত রাতে? রাত দুটো বাজে. এই সময় আপনি এখানে? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না. আমাকে প্লিজ একটু খুলে বলবেন কি হচ্ছে এখানে? আপনি কি করছেন এখানে?
--তুই এখানে কি করছিস আগে সেটা বল?( কোমরে হাত দিয়ে)
--আমাকে পুলিশ ধরে এনেছে এখানে( মাথা নিচু করে)
-- কেন? ইভটিজিং করেছিলি কাউকে?
-- কি বলছেন কি আপনি?............
আপনার মাথা ঠিক আছে? ইভটিজিং করবো আমি? কোন মেয়ের সাথে কথা বলতেই কলিজার পানি থাকে না। আর আপনি.......
-- তাহলে এত রাতে পুলিশ স্টেশনে ধরে আনলো কেন তোকে?
--সে এক লম্বা কাহিনী.
-- কি কাহিনী বল.
--আমার কি এখানে আসা মানা নাকি?( মুচকি হেসে)
-- দেখুন সব সময় মজা করবেন না. আর এখন মজা করার সময় ও না.( একটু রেখে)
--ওলে বাবা... স্যারের রাগও আছে দেখছি?( নাক টেনে)
-- কি করছেন কি পাবলিক প্লেসে? আর আপনি থানায় কি করছেন এত রাতে? রাত দুটো বাজে. এই সময় আপনি এখানে? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না. আমাকে প্লিজ একটু খুলে বলবেন কি হচ্ছে এখানে? আপনি কি করছেন এখানে?
--তুই এখানে কি করছিস আগে সেটা বল?( কোমরে হাত দিয়ে)
--আমাকে পুলিশ ধরে এনেছে এখানে( মাথা নিচু করে)
-- কেন? ইভটিজিং করেছিলি কাউকে?
-- কি বলছেন কি আপনি?............
আপনার মাথা ঠিক আছে? ইভটিজিং করবো আমি? কোন মেয়ের সাথে কথা বলতেই কলিজার পানি থাকে না। আর আপনি.......
-- তাহলে এত রাতে পুলিশ স্টেশনে ধরে আনলো কেন তোকে?
--সে এক লম্বা কাহিনী.
-- কি কাহিনী বল.
তারপর তানহাকে আস্তে আস্তে সব ঘটনা খুলে বললাম।
-- হুম বুঝলাম. তার মানে দিল দরদী স্বভাব তোর এখনও যায়নি।
-- মানে?
--মনে আছে. কলেজ লাইফে একবার এরকম করেছিলি. ফুফু কে না জানিয়ে. তোর বন্ধু আর তার প্রেমিকার সম্পর্ক তাদের ফ্যামিলি মেনে নেয়নি বলে তোরা পালিয়ে গিয়ে ওদের বিয়ে দিয়েছিলি।
ঠিক একই রকম ঘটেছিল। তোদেরকে পুলিশ ধরে থানায় নিয়ে গিয়েছিল। কাউকে কিছু বলতে পারিস নি। বাধ্য হয়ে ফোন করে আমাকে থানায় ডেকে আনলি। আমি তোকে অভিভাবক হিসেবে ছাড়িয়ে নিলাম। মনে নেই..?
-- সে অনেক পুরনো কথা. তার একটা আলাদা কারণ ছিল। বন্ধুত্বের খাতিরে করেছিলাম কাজটা। আর এই ঘটনার প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন।
-- হুম. যেই লাউ সেই কদু(মুচকি হেসে)
-- আপনার ফালতু কথা বাদ দিবেন একটু।
আগে এটা বলেনন, এত রাতে আপনি থানায় কি করে এলেন আর কে আপনাকে বলেছে যে আমাকে থানা নিয়ে আসা হলো? আমি তো আপনাকে ফোন করিনি.
-- তুই করিস নি কিন্তু অন্য একজন আমাকে ঠিক ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে. যে তোকে থানা নিয়ে আসা হচ্ছে?
-- কে বলুন তো?
--ইমমমমমমম নাহ, বলা যাবেনা।
--বলুন না প্লিজ?
--বললাম তো বলা যাবেনা.
-- আশ্চর্য বললে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে. প্লিজ বলুন কে বলেছে ফোন করে আপনাকে.?
--বলব?
-- হ্যাঁ বলুন
-- সত্যি বলব তো.. সক্ড হবি নাতো?
--আরে বাবা হ্যাঁ বলুন। আর আশ্চর্য তো সক্ড হওয়ার কি আছে?
--পুলিশ অফিসার আমাকে ফোন করে জানিয়েছে যে তোকে থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে.
-- কে জানিয়েছে?( অবাক হয়ে)
-- পুলিশ অফিসার.
-- পুলিশ অফিসার!!! সে কিভাবে আমাকে চেনে. আপনাকেই বা কিভাবে চেনে?
তাকে তো আমি কোনদিন দেখিইনি। বা ওনিও তো আমাকে কোনদিন দেখিনি। তাহলে সে আমাকে চেনে কিভাবে?
-- মানে?
--মনে আছে. কলেজ লাইফে একবার এরকম করেছিলি. ফুফু কে না জানিয়ে. তোর বন্ধু আর তার প্রেমিকার সম্পর্ক তাদের ফ্যামিলি মেনে নেয়নি বলে তোরা পালিয়ে গিয়ে ওদের বিয়ে দিয়েছিলি।
ঠিক একই রকম ঘটেছিল। তোদেরকে পুলিশ ধরে থানায় নিয়ে গিয়েছিল। কাউকে কিছু বলতে পারিস নি। বাধ্য হয়ে ফোন করে আমাকে থানায় ডেকে আনলি। আমি তোকে অভিভাবক হিসেবে ছাড়িয়ে নিলাম। মনে নেই..?
-- সে অনেক পুরনো কথা. তার একটা আলাদা কারণ ছিল। বন্ধুত্বের খাতিরে করেছিলাম কাজটা। আর এই ঘটনার প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন।
-- হুম. যেই লাউ সেই কদু(মুচকি হেসে)
-- আপনার ফালতু কথা বাদ দিবেন একটু।
আগে এটা বলেনন, এত রাতে আপনি থানায় কি করে এলেন আর কে আপনাকে বলেছে যে আমাকে থানা নিয়ে আসা হলো? আমি তো আপনাকে ফোন করিনি.
-- তুই করিস নি কিন্তু অন্য একজন আমাকে ঠিক ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে. যে তোকে থানা নিয়ে আসা হচ্ছে?
-- কে বলুন তো?
--ইমমমমমমম নাহ, বলা যাবেনা।
--বলুন না প্লিজ?
--বললাম তো বলা যাবেনা.
-- আশ্চর্য বললে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে. প্লিজ বলুন কে বলেছে ফোন করে আপনাকে.?
--বলব?
-- হ্যাঁ বলুন
-- সত্যি বলব তো.. সক্ড হবি নাতো?
--আরে বাবা হ্যাঁ বলুন। আর আশ্চর্য তো সক্ড হওয়ার কি আছে?
--পুলিশ অফিসার আমাকে ফোন করে জানিয়েছে যে তোকে থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে.
-- কে জানিয়েছে?( অবাক হয়ে)
-- পুলিশ অফিসার.
-- পুলিশ অফিসার!!! সে কিভাবে আমাকে চেনে. আপনাকেই বা কিভাবে চেনে?
তাকে তো আমি কোনদিন দেখিইনি। বা ওনিও তো আমাকে কোনদিন দেখিনি। তাহলে সে আমাকে চেনে কিভাবে?
-- সে তোকে চেনে বইকি. তোকে হাড়ে হাড়ে চেননে।তোর সব গোপন কথার খবরও সে জানে।
--আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না।
হঠাৎ আমার কাঁধে কেউ একজন হাত দিয়ে বললো---
--কি ব্যাপার মিস্টার মেহমেদ। কি নিয়ে আলোচনা করছেন?
পেছনে তাকিয়ে দেখি অফিসার। অফিসারের চেহারাটা খুব ভালো করে দেখলাম। একটু চেনা চেনা লাগছে তবে পুরোটা চিনতে পারছিনা।
হঠাৎ তানহা আমার সব বিভ্রান্তি উড়িয়ে দিয়ে বলল----
-- আরে ও কে চিনলি না!! ও সাদেক, তোর কলেজ ফ্রেন্ড. ওই আমাকে ফোন করে বলেছে.
আমি অবাক দৃষ্টীতে সাদেকের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
--কিরে, এখনও চিনতে পাররিস নি?(সাদেক)
ওর বুকে একটা ঘুসি মেরে বললাম--
-- এই হারামি. দেখা হওয়ার পর তুই নিজের পরিচয় তো আমাকে দিলিই না উল্টো আমাকে থানায় ধরে এনেছিস। এই তোর বন্ধুত্ব।
--আরে দোস্ত আমার বন্ধুত্বের পরিমানটা সাগরের চেয়েও বিশাল। এবার বল কেমন আছিস। (আমাকে জড়িয়ে ধরে)
-- ভালো আছি. তুই কেমন আছিস? তোর এত আমূল পরিবর্তন. এত বড় পুলিশ অফিসার হয়ে গেছিস কবে?
-- এই হয়ে গেলাম আর কি. ঘটনাক্রমে তোর সাথে দেখা হয়ে গেল। বাধ্য তোকে থানায় আনতে হলো।কিন্তু আমি তো পুলিশ, আমিতো আর তোকে ছাড়তে পারি না। তাই তানহাকে ফোন দিয়ে এখানে আনালাম।
তোর খবর কী তুই এখন কি করছিস আজকাল.
-- আমার বস কে জিজ্ঞেস কর?
--তোর বস মানে?
--এই যে এই যে.. আমি আমি. আমি ওর বস.(তানহা)
--সাদিক একটা অট্টহাসি হেসে বলল -তানহা তোর বস? হাসালি দোস্ত? কেমনে কিভাবে?
--সে আরেকদিন বলবো সময় করে. আগে বল এখানকার পরিস্থিতি কি?
--সেম. ছেলের বাবা এখনো মেনে নিচ্ছেনা ছেলের বিয়েকে.
--চল তো ব্যাপারটা কি দেখি।
--কিরে, এখনও চিনতে পাররিস নি?(সাদেক)
ওর বুকে একটা ঘুসি মেরে বললাম--
-- এই হারামি. দেখা হওয়ার পর তুই নিজের পরিচয় তো আমাকে দিলিই না উল্টো আমাকে থানায় ধরে এনেছিস। এই তোর বন্ধুত্ব।
--আরে দোস্ত আমার বন্ধুত্বের পরিমানটা সাগরের চেয়েও বিশাল। এবার বল কেমন আছিস। (আমাকে জড়িয়ে ধরে)
-- ভালো আছি. তুই কেমন আছিস? তোর এত আমূল পরিবর্তন. এত বড় পুলিশ অফিসার হয়ে গেছিস কবে?
-- এই হয়ে গেলাম আর কি. ঘটনাক্রমে তোর সাথে দেখা হয়ে গেল। বাধ্য তোকে থানায় আনতে হলো।কিন্তু আমি তো পুলিশ, আমিতো আর তোকে ছাড়তে পারি না। তাই তানহাকে ফোন দিয়ে এখানে আনালাম।
তোর খবর কী তুই এখন কি করছিস আজকাল.
-- আমার বস কে জিজ্ঞেস কর?
--তোর বস মানে?
--এই যে এই যে.. আমি আমি. আমি ওর বস.(তানহা)
--সাদিক একটা অট্টহাসি হেসে বলল -তানহা তোর বস? হাসালি দোস্ত? কেমনে কিভাবে?
--সে আরেকদিন বলবো সময় করে. আগে বল এখানকার পরিস্থিতি কি?
--সেম. ছেলের বাবা এখনো মেনে নিচ্ছেনা ছেলের বিয়েকে.
--চল তো ব্যাপারটা কি দেখি।
গিয়ে দেখলাম বাবা আর ছেলের মধ্যে বাকযুদ্ধ লেগে রয়েছে। রাজীবের বাবা ওর বিয়ে কে মেনে নিচ্ছে না। আর রাজিবও ঐশীকে ছাড়া থাকতেও পারবেনা।
এমন পরিস্থিতিতে তানহা রাজীবের বাবা কে দেখে হঠাৎ বলল---
-- আরে মিস্টার সাইফুল (রাজিব এর বাবার নাম) কেমন আছেন আপনি?
-- আরে মিস তানহা যে, কেমন আর থাকি বলুন। নিজের ছেলে যখন অবাধ্য হয়ে যায়, একজন অসহায় বাবার কি করতে পারে।
--হুম, সব কথাই আমি শুনেছি মিষ্টার সাইফুল। তবে আমি অবাক হচ্ছি আপনার মত একজন বিজ্ঞ লোক কিভাবে এতটা অণবিজ্ঞের মতো এর মত কাজ করছে??
-- মানে. কিছু বুঝলাম না মিস তানহা?
-- আপনার আভিজাত্য. ঐশ্বর্য. এসব কি আপনার সন্তানের সুখের চেয়েও বেশি দামী?
--তাই বলে কি আমার মতামতের কোনো গুরুত্ব নেই ওর কাছে? আমার মান সম্মানের কথা চিন্তা না করে এভাবে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করে ফেলবে?
-- মিস্টার সাইফুল. আপনার ছেলে ভালবেসেছিল কোন অন্যায় করেনি. আর ওর ভালোবাসাকে স্বীকৃতি না দিয়ে অন্যায়টা করেছিলেন আপনি। আর আজকে সবচেয়ে বড় অন্যায় টা করতে যাচ্ছেন ওর ভালবাসার মানুষ কে ওর কাছ থেকে আলাদা করতে গিয়ে। একবারও ভেবে দেখেছেন যদি আপনার ছেলে ঐশীকে না পেয়ে একটা কিছু করে বসে। তখন সারা জীবন নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন তো? নিজের অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন মিষ্টার সাইফুল???
-- আরে মিস তানহা যে, কেমন আর থাকি বলুন। নিজের ছেলে যখন অবাধ্য হয়ে যায়, একজন অসহায় বাবার কি করতে পারে।
--হুম, সব কথাই আমি শুনেছি মিষ্টার সাইফুল। তবে আমি অবাক হচ্ছি আপনার মত একজন বিজ্ঞ লোক কিভাবে এতটা অণবিজ্ঞের মতো এর মত কাজ করছে??
-- মানে. কিছু বুঝলাম না মিস তানহা?
-- আপনার আভিজাত্য. ঐশ্বর্য. এসব কি আপনার সন্তানের সুখের চেয়েও বেশি দামী?
--তাই বলে কি আমার মতামতের কোনো গুরুত্ব নেই ওর কাছে? আমার মান সম্মানের কথা চিন্তা না করে এভাবে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করে ফেলবে?
-- মিস্টার সাইফুল. আপনার ছেলে ভালবেসেছিল কোন অন্যায় করেনি. আর ওর ভালোবাসাকে স্বীকৃতি না দিয়ে অন্যায়টা করেছিলেন আপনি। আর আজকে সবচেয়ে বড় অন্যায় টা করতে যাচ্ছেন ওর ভালবাসার মানুষ কে ওর কাছ থেকে আলাদা করতে গিয়ে। একবারও ভেবে দেখেছেন যদি আপনার ছেলে ঐশীকে না পেয়ে একটা কিছু করে বসে। তখন সারা জীবন নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন তো? নিজের অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন মিষ্টার সাইফুল???
তানহার কথা শুনে রাজীবের বাবা মাথা নিচু করে আছে।
--আর আপনার মতো স্বনামধন্য বিজনেসম্যান এর ছেলে যদি আত্মহত্যা করে তাহলে সোসাইটিতে আপনার সম্মানটা বাড়বে না বরং কমবে। তাই বলছি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। সব রাগ অভিমান ভুলে গিয়ে ছেলে আর ছেলের বউকে ঘরে তুলে নিন। এতেই সবার মঙ্গল।
--আর আপনার মতো স্বনামধন্য বিজনেসম্যান এর ছেলে যদি আত্মহত্যা করে তাহলে সোসাইটিতে আপনার সম্মানটা বাড়বে না বরং কমবে। তাই বলছি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। সব রাগ অভিমান ভুলে গিয়ে ছেলে আর ছেলের বউকে ঘরে তুলে নিন। এতেই সবার মঙ্গল।
সাইফুলের বাবা এবার গভীর চিন্তায় ডুবে গেলেন। কিছুক্ষণ পর মিস্টার সাইফুল রাজীবকে বললেন--
-- রাজিব, বৌমাকে নিয়ে বাইরে আয়। আমি গাড়িতে অপেক্ষা করছি।
মিস্টার সাইফুল এর মুখে এ কথা শুনে সবার মুখে হাসি ফুটে উঠল। সেই মূহুর্তটা যেনন অন্যরকমছিল।
--আর আপনাকে ধন্যবাদ মিস তানহা. আমার ভ্রান্ত ধারণা টা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য
--এটা আমার কর্তব্য মিস্টার সাইফুল.
--আজ তাহলে আসি মিস তানহা।
--জি অবশ্যই. ভালো থাকবেন.
--আপনিও..
--এটা আমার কর্তব্য মিস্টার সাইফুল.
--আজ তাহলে আসি মিস তানহা।
--জি অবশ্যই. ভালো থাকবেন.
--আপনিও..
বলেই রাজীবের বাবা বাইরে চলে গেলেন। রাজিব তানহাকে এসে বলল---
-- আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মিস তানহা। যদি আপনি আমার বাবাকে না বুঝাতেন, তাহলে হয়তো আজীবনের জন্য আমার বাবার সাথে আমার সম্পর্ক টাই খারাপ হয়ে যেত? থ্যাংকস টু ইউ ফর এক্সপ্লেইন মাই ফাদার.
--থ্যাংকস এন্ড কংগ্রাচুলেশনস ফর ইউর নিউ ম্যারেড লাইফ.তোমাদেরবিবাহিতজীবন সুখের হোক।
--জি ধন্যবাদ.
--থ্যাংকস এন্ড কংগ্রাচুলেশনস ফর ইউর নিউ ম্যারেড লাইফ.তোমাদেরবিবাহিতজীবন সুখের হোক।
--জি ধন্যবাদ.
এরপর ঐশী আর রাজিব আমার কাছে এসে বলল-----
-- মেহমেদ ভাই, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, সেই সাথে আমরা খুব লজ্জিত। বাবা আপনাকে অনেক খারাপ খারাপ কথা বলেছেন। আই এম রিয়েলি সরি ফর এভরিথিং..
--না না ওসব আমি মাথায় রাখিনি. তোমরা এখন যাও. তোমাদের বাবা গাড়িতে অপেক্ষা করছেন. আর ঐশী.. তোমার বিবাহিত জীবনের জন্য শুভেচ্ছা রইল. ভালো থেকো.
--আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মিস্টার মেহমেদ. আমাদের জন্য আপনি যা করলেন তা কখনো ভোলার নয়.
-- আচ্ছা ঠিক আছে. এখন যাও. বেস্ট অফ লাক.
--না না ওসব আমি মাথায় রাখিনি. তোমরা এখন যাও. তোমাদের বাবা গাড়িতে অপেক্ষা করছেন. আর ঐশী.. তোমার বিবাহিত জীবনের জন্য শুভেচ্ছা রইল. ভালো থেকো.
--আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মিস্টার মেহমেদ. আমাদের জন্য আপনি যা করলেন তা কখনো ভোলার নয়.
-- আচ্ছা ঠিক আছে. এখন যাও. বেস্ট অফ লাক.
এরপর রাজিব. ঐশী আর ওদের বন্ধুরা চলে গেল। পুলিশ স্টেশন থেকে যে সাদেক এর সাথে যে চুটিয়ে গল্প করবো সেই সময়ও নেই।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত প্রায় আড়াইটা বেজে গেছে। সাদেক বললো ---
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত প্রায় আড়াইটা বেজে গেছে। সাদেক বললো ---
--মেহমেদ তোরা তাহলে এখন চলে যা। অনেকটা রাত হয়েছে
--হ্যাঁরে. আজ তাহলে আসি. আজ তো আর গল্প করতে পারলাম না. এমন একটা প্রতিকূল পরিবেশে তোর সাথে দেখা হল . যা বলার নয়.... আজ তাহলে আসি রে। পরে একদিন চুটিয়ে আড্ডা দেব।
--আজ তাহলে আসি সাদেক. ভালো থেকো? (তানহা)
-- তুমিও ভালো থেকো তানহা।
আর হ্যাঁ, সাহেবের দিকে একটু নজর রেখো? (আমাকে উদ্দেশ্য করে)
-- সে আর বলতে.( তানহা মুচকি হেসে)
--হ্যাঁরে. আজ তাহলে আসি. আজ তো আর গল্প করতে পারলাম না. এমন একটা প্রতিকূল পরিবেশে তোর সাথে দেখা হল . যা বলার নয়.... আজ তাহলে আসি রে। পরে একদিন চুটিয়ে আড্ডা দেব।
--আজ তাহলে আসি সাদেক. ভালো থেকো? (তানহা)
-- তুমিও ভালো থেকো তানহা।
আর হ্যাঁ, সাহেবের দিকে একটু নজর রেখো? (আমাকে উদ্দেশ্য করে)
-- সে আর বলতে.( তানহা মুচকি হেসে)
সাদেকের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তানহার গাড়িতে করে আমরা আসছি। দুজন দু দিকে মুখ করে বসে আছি। কেউ কোন কথা বলছি না।
হঠাৎ নীরবতা ভেঙে আমিই তানহাকে প্রশ্ন করলাম----
-- রাজীবের বাবা কে আপনি কিভাবে চেনেন?
--রাজীবের বাবা আমাদের অফিসের বিজনেস পার্টনার.. সেই সূত্রে ওনার সাথে পরিচয়.
--ও.
--আর আমি আসাতে কত সুবিধে হয়েছে তাইনা? কত সহজে ব্যাপারটা মিটে গেল?
-- হ্যাঁ তা আর বলতে. (মুচকি হেসে)
--এতে হাসার কি আছে??
--না.... লেডী পুলিশের কাজ করেছেন আজ..স্যালুট করতে হয় আপনাকে..
--ডং.......
--রাজীবের বাবা আমাদের অফিসের বিজনেস পার্টনার.. সেই সূত্রে ওনার সাথে পরিচয়.
--ও.
--আর আমি আসাতে কত সুবিধে হয়েছে তাইনা? কত সহজে ব্যাপারটা মিটে গেল?
-- হ্যাঁ তা আর বলতে. (মুচকি হেসে)
--এতে হাসার কি আছে??
--না.... লেডী পুলিশের কাজ করেছেন আজ..স্যালুট করতে হয় আপনাকে..
--ডং.......
--আচ্ছা এই যে এত রাত করে আপনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। আপনার ভয় করেনি?
যদি আপনার কিছু হয়ে যেত?
--হলে হত.
-- হলে হত মানে? এতটা রিস্ক নেওয়ার কোন মানে হয়...রাতের রাস্তাঘাট কত বিপজ্জনক হয় জানেন না..? আর একটা মেয়ের জন্য তো বটেই..
-- রিস্ক তো তাদের জন্যই নেয়, যাদেরকে কাছের ভাবা যায়,,, আপন ভাবা যায় কিংবা ভালোবাসার অধিকার যাদের উপর..( আমার চোখে চোখ রেখে কথাগুলোবলল)
--আমি ওর চোখ থেকে চোখ সরিয়ে বললাম -
অনেক সময় কাছের মানুষ কিংবা এই ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে অনেক অবহেলা সহ্য ককরতে হয়। আর এই অবহেলার কারনে যেখানে ভালোবাসা থাকার কথা, সেখানে আঘাতে জর্জরিত হয়ে যযায় হৃদয়টা।।
-- ভালোবাসার পথটা এতটা সহজ নয়. অবহেলা- অভিমান এসব থেকেই তো ভালোবাসার সূচনা হয়। তাই না??
--হয়তো? কিন্তু এই "ভালোবাসা" নামক একটা শব্দই অনেক সময় মানুষের জীবনের কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
-- যারা সত্যিকারের ভালবাসে, ভালবাসতে জানে, তাদের চোখের কান্না মুছে দেওয়ার জন্য বিধাতা কাউকে না কাউকে ঠিক পাঠায়।
--কি ব্যাপার আজ খুব আবেগী কথাবার্তা বলছেন.?
বাইরের দিকে তাকিয়ে চুপ করে আছে তানহা।
আমি যেন বারবার তানহার মায়ায় জড়িয়ে পড়ছি।ওর প্রেমে পড়েছি শতবার। কিন্তু মনের এই গভীর অনুভুতি টা প্রকাশ করার সাহস হয়নি আজও।বলতে পারিনি ওকে। জানিনা কোনোদিন পারব কিনা?
তবে আমার জন্য ওর এতটা কেয়ারিং, এতটা রিসপ্সেবেলেটি কিসের দিকে ইঙ্গিত করে?
ভালোবাসা..?
হয়তো। আবার নাও হতে। আমি এই দ্ধিধাধন্ধে কতদিন ভুগবো জানিনা।
ভালোবাসা..?
হয়তো। আবার নাও হতে। আমি এই দ্ধিধাধন্ধে কতদিন ভুগবো জানিনা।
হঠাৎ আমি লক্ষ্য করলাম গাড়িটা বাড়ির দিকে না গিয়ে U টার্ন মারলো। বাড়ির পথে না গিয়ে গাড়িটা সরু কোন রাস্তা দিয়ে যেতে লাগলো। আমি অবাক হয়ে তানহাকে বললাম -----
--আরে আরে গাড়ি কোথায় যাচ্ছে? এটা তো বাড়ির পথ না?
-- হ্যাঁ আমি জানি এটা বাড়ির পথ না.
তোকে একটা জায়গা নিয়ে যাব আজ।
-- মানে? এত রাতে কোথায় যাবেন আবার?
--একটা প্রশান্তি পাওয়ার মত জায়গায়।
--মানে বুঝলাম না।
--খুব পবিত্র একটি জায়গায়. আর কিছু??(বিরক্ত হয়ে)
--কিন্তু এত রাতে কেন??
--তোর কোন সমস্যা?( চোখ রাঙিয়ে)
-- না আসলে.........
-- তাহলে চুপ করে থাক. আর একটাও প্রশ্নও করবিনা।( একটু রেগে)
-- হ্যাঁ আমি জানি এটা বাড়ির পথ না.
তোকে একটা জায়গা নিয়ে যাব আজ।
-- মানে? এত রাতে কোথায় যাবেন আবার?
--একটা প্রশান্তি পাওয়ার মত জায়গায়।
--মানে বুঝলাম না।
--খুব পবিত্র একটি জায়গায়. আর কিছু??(বিরক্ত হয়ে)
--কিন্তু এত রাতে কেন??
--তোর কোন সমস্যা?( চোখ রাঙিয়ে)
-- না আসলে.........
-- তাহলে চুপ করে থাক. আর একটাও প্রশ্নও করবিনা।( একটু রেগে)
আমি ওর রাগ দেখে চুপ হয়ে গেলাম।
ওর চুলগুলো হাওয়ায় উড়ছে, টানাটানা চোখগুলো যেন কথা বলে,ওর দিকে তাকাতেই যেন হারিয়ে যাই ওর সৌন্দর্যময় রূপের মাঝে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ওর দিকে। এই মায়াময় চেহারায় আমি যেন দিনে দিনে আসক্ত হয়ে যাচ্ছি।
গাড়িটা নির্জন কোন পথে চলতে থাকলো।আবার ওকে প্রশ্ন করলাম--
--আমরা কোথায় যাচ্ছি ?
কোনো উত্তর পেলাম না।
10 মিনিট চলার পর কোথাও এসে গাড়ীটা থামলো।
--আমরা কোথায় যাচ্ছি ?
কোনো উত্তর পেলাম না।
10 মিনিট চলার পর কোথাও এসে গাড়ীটা থামলো।
আমি তানহা কে প্রশ্ন করলাম --
--আমরা কোথায় এসেছি?
--গাড়ি থেকে নেমেই দেখ.
--গাড়ি থেকে নেমেই দেখ.
তানহা গাড়ি থেকে নামল। আমিও নামলাম. নেমে দেখলাম আমরা একটি দরগার(মাজার) সামনে।
--এই তাহলে আপনার সেই পবিত্র জায়গা?
-- হুম
-- কেন এসেছেন এখানে?
-- হুম
-- কেন এসেছেন এখানে?
-- শুনেছি এখানে এসে পবিত্র মনে আল্লাহর দরবারে কিছু চাইলে. আল্লাহ তাকে ফিরিয়ে দেন না. সব চাওয়া পূরণ করেন। জায়গাটা খুব পবিত্র।
--হুম. বুঝলাম., কিন্তু আমাকে কেন নিয়ে এসেছেন এখানে?
--কেন?
--না আসলে. আপনি তো এখানে একাই আসতে পারতেন কিন্তু আমাকে সাথে নিয়ে এলেন। ঠিক বুঝলাম না?
--তোর এ প্রশ্নের উত্তরটা না হয় পরে দেবো.
--পরে কেন?
-- কিছু প্রশ্নের উত্তর সময় দিয়ে দেয়. মুখে বলতে হয় না.
কথাটা বলেই তানহা মাজারের ভেতরে চলে গেল। আমিও ওর চলে যাওয়াটা দেখছি। মেয়েটাকে যত দেখছি ততবারি প্রেমে পড়ছি। আবার বুঝতেও পারছি না,ওর মাঝে যেন রহস্যে ভরা?
কোন কিছু আন্দাজ করতে দেয় না সহজে কাউকে। কি ভাবছে, কি বলছে কিংবা কি করতে যাবে কোন কিছুই বোঝা দায়। আমি বুঝতে পারি না চার বছর আগের সদা চঞ্চল মেয়েটা হঠাৎ করে এতটা গম্ভীর কিভাবে হয়ে গেল? এতটা নীরবতা কিভাবে এল ওর মাঝে?
যাই হোক আমিও মাজারের ভিতরে ঢুকলাম? তানহা গিয়ে মেয়েদের ওযু করার স্থানে অজু করছে. আমিও গিয়ে ছেলেদের ওযু করার স্থানে অজু করে আসলাম. এত রাতেও এই জায়গাটা লোকে লোকারণ্য.
অনেক মানুষ এখানে। কেউ নামাজ পরছে, কেউ মাজার জিয়ারত করছে, কেউ বা দুই হাত তুলে কাঁদছে। আসলে জায়গাটা খুব শান্তিময়। মনে একটা আলাদা প্রশান্তি চলে এসেছে।
তানহা মেয়েদের বসার স্থানে গিয়ে নামাজ পড়ছে। আমিও ছেলেদের জায়গায় গিয়ে দু'রাকাত নফল নামাজ আদায় করে নিলাম। তারপর দুহাত বাড়িয়ে দিলাম আল্লাহর দরবারে।
শুধু একটি জিনিস চাইলাম, শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত যেন তানহা আমার পাশে থাকে। তাহলে আমার আর কিছু চাইনা। ও যেন আমাকে ততটাই ভালবাসে, যতটা আমি ওকে ভালবাসি। এ জীবনে জীবনসঙ্গী হিসেবে যেন তানহাকে পাই এর পর মোনাজাত শেষ করে মাজার টা জিয়ারত করলাম।
তানহাও তার নামাজ শেষ করে মাজার জিয়ারত করল। আমরা দুজনে একসাথে রওজা শরীফের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এক আলাদা নিস্তব্ধতা মনের মাঝে।
হঠাৎ খাদেম সাহেব এসে আমাদের হাতে তবারুক হিসেবে কিছু দিয়ে বললেন--
-- আল্লাহর দরবারে সাফ নিয়তে প্রাণ খুলে চাও বাবা। তার দরবারে কখনো খালি হাতে ফিরে যাবে না।
তারপর খাদেম সাহেব চলে গেলেন। আমি ও তানহা একসাথে দাঁড়িয়ে আছি। রওজা শরীফের দিকে শুধু চেয়ে আছি। দুজনের মুখে কোনো কথা নেই। দুজনের মুখে নীরবতা, শুধুই নীরবতা। নিরবতার বাঁধ ভেঙে দিয়ে আমি হঠাৎ তানহাকে প্রশ্ন করলাম -----
--আচ্ছা তানিম যদি কোন দিন আপনার জীবনে ফিরে আসতে চায়। আপনাকে আবার ভালোবাসতে চায়। কি করবেন আপনি?
-- তানহা চুপ করে আছে.
-- বললেন না যে.
--জানিনা. সেই পরিস্থিতিতে আমার সিদ্ধান্ত কি হবে, জানিনা।
--তার মানে তানিমের জন্য আপনার হৃদয়ে এখনো ভালোবাসা অবশিষ্ট আছে?
--সেটা বলতে পারবো না. তবে হৃদয় একবার যখন ভেঙে যায়, সেটা জোড়া লাগানো যায় না।
--কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে তো ভুলা যায় না. তাই না??
-- কষ্ট হয়, খুব কষ্ট হয়, কিন্তু ভুলতে তো হবেই।
-- সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষটা যদি ফিরে আসে জীবনে. গ্রহণ করে নিবেন তাকে??
--জীবনে কখনো কখনো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়. যা আমরা কল্পনাও করি না. কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে, সেই সময়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটা মানুষের বিবেক থেকে আসে। আশা করি আমার জীবনে যদি কখনো সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিব।
-- আপনি কিন্তু বললেন না.
-- কি?
-- তানহা চুপ করে আছে.
-- বললেন না যে.
--জানিনা. সেই পরিস্থিতিতে আমার সিদ্ধান্ত কি হবে, জানিনা।
--তার মানে তানিমের জন্য আপনার হৃদয়ে এখনো ভালোবাসা অবশিষ্ট আছে?
--সেটা বলতে পারবো না. তবে হৃদয় একবার যখন ভেঙে যায়, সেটা জোড়া লাগানো যায় না।
--কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে তো ভুলা যায় না. তাই না??
-- কষ্ট হয়, খুব কষ্ট হয়, কিন্তু ভুলতে তো হবেই।
-- সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষটা যদি ফিরে আসে জীবনে. গ্রহণ করে নিবেন তাকে??
--জীবনে কখনো কখনো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়. যা আমরা কল্পনাও করি না. কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে, সেই সময়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটা মানুষের বিবেক থেকে আসে। আশা করি আমার জীবনে যদি কখনো সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিব।
-- আপনি কিন্তু বললেন না.
-- কি?
-- তানিম কে আপনি ভালোবাসেন এখনো?
--ওর জন্য আমার ভালোবাসা অনেক আগেই মরে গেছে. হৃদয়ে যা আছে তা শুধু ঘৃণা।
--আপনি একেক সময় একেক রকম কথা বলেন। খুব রহস্য করেন আজকাল। বুঝতে পারি না আপনার চিন্তাভাবনা কোথায় যাচ্ছে?
--মানুষের চিন্তাশীলতা তার নিজস্ব. তবে ভালোবাসা টা বুঝার জন্য সেই চিন্তাশীলতা টাও প্রয়োজন যা ভালবাসা দিয়ে গড়া.
-- আপনি এমন একজন মানুষ, যে চাইলেই সুখ আর ভালবাসা নিজেই এসে আপনার কাছে ধরা দেবে।
--কেন এ কথা বললি (একটু হেসে)
--আপনি খুব ভালো. আপনার মনটা খুব ভালো.
-- তাই নাকি(মুচকি হেসে)
-- হুম,,, তবে একটি ব্যাপার আমাকে খুব অবাক করেছে।
--কি ব্যাপার?
--চার বছর আগের তানহা আর চার বছর পর এই তানহার মাঝে অনেকটা পরিবর্তন চলে এসেছে।
--সময় বদলায় মেহমেদ, সময়ের সাথে মানুষও বদলায়। স্বভাবও বদলায়,
এই দেখ না চার বছর আগে তুই যে কতটা চঞ্চল স্বভাবের ছেলে ছিলি। ফুফু সারা দিন তোকে নিয়ে ব্যস্ত থাকত. সারাদিনে এ পাড়া ও পাড়া ঘুরে বেড়াতি আর বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা দিতি। আর চার বছর পর এসে তোর মাঝে কতটা চেঞ্জ চলে এসেছে।
--আমার এই পরিবর্তন আম্মুর অকালে চলে যাওয়ার কারণে. আম্মুকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারতাম না. কিভাবে চলব? কিভাবে থাকব? কিচ্ছু না।।
কিন্তু বাধ্য হয়েছি একা থাকতে। পরিস্থিতি বাধ্য করেছে আমাকে আমার মধ্যে এই পরিবর্তন আনতে।
-- মেহমেদ..
-- বলুন..
-- সত্যি করে একটি কথা বলবি আমাকে?
-- কি সত্যি কথা?
-- তুই জীবনে সত্যি কাউকে ভালবেসেছিস? সত্যিকারের ভালোবাসা??
--দেখুন......
-- তুই কিন্তু একটি পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে আছিস। মিথ্যে বলবি না হলে পাপ হবে। (একটু সিরিয়াস হয়ে)
--আমাকে কি এই কথাগুলো জিজ্ঞেস করার জন্য এখানে নিয়ে এসেছেন?
--মনে কর তাই..
--হুম, আমি বেসেছিলাম একজনকে। খুব ভালোবেসেছিলাম তাকে। হৃদয়ের প্রতিটা জায়গা জুড়ে সে ছিল। নিজের অজান্তেই হৃদয়ের মধ্যে এক দামী সিংহাসন তৈরি করেছিলাম তার জন্য। তার জন্য ভালোবাসা ছিল এক বিশাল সাগরের মত। তাকে দিব বলে।
-- তারপর??
-- হঠাৎ একদিন জানতে পারলাম সেই মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে অন্য একটি ছেলের সাথে। মেয়েটি ছেলেটিকে ভালোবাসতো। মেয়েটি খুব খুশি ছিল ছেলেটিকে পাওয়ার আনন্দে।
-- তারপর?
--তারপর আর কি? আমার এই একতরফা ভালোবাসাকে আমি বিসর্জন দিলাম তার সুখের জন্য।
-- এখনো তোর হৃদয়ে ওই মেয়েটির জন্য ভালোবাসা আছে তাইনা??
-- প্রথম ভালোবাসা তো. সহজে ঠিক ভোলা যায় না. মুছে ফেলা যায় না হৃদয় থেকে। রয়ে যায় অনেক গভীরে।
--সেই মেয়েটি এখন কেমন আছে? কোথায় আছে? কোন খোঁজ রাখিস?
--সেই মেয়েটি আমার নিঃশ্বাসে আছে. আমার ভালোবাসার বিশ্বাসে আছে। আমার হৃদয়ে আছে। শুধু এটুকুই জানি।
-- হুম, তার মানে তোর জীবনে ভালোবাসা ছিল। তাহলে তো তুই জানিস, তুই বুঝতে পারিস ভালোবাসায় ব্যর্থ হওয়া কতটা কষ্টদায়ক। কতটা যন্ত্রনা দেয় হৃদয়কে।
--জানি, তবে মনটাও খুব বেহায়া, নির্লজ্জ। যে কষ্ট দেয় তাকেই বার বার মনে করে এই হৃদয়।
এতক্ষণ দুজন মাজারের দিকে তাকিয়েই কথা বলছিলাম।
তানহা এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল --
--তা কি চাইলি আল্লাহর দরবারে? কি তোর মনের বাসনা?
-- কেন?( একটু হেসে)
--এমনিতেই, কি চাইলি?
-- আগে আপনি বলুন আপনি কি চাইলেন আল্লার কাছে?
-- আল্লাহ যেন খুব জলদি একটা দুষ্টু মিষ্টি বউ তোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়.( আমার নাক টেনে)
--কি করছেন কি? ছাড়ুন সবাই দেখছে তো.
--দেখুক।
--এই অদ্ভুত চাওয়া কেন?
--ওমা, অদ্ভুত চাওয়া কই আবার? তোকে একদিন তো বিয়ে করতেই হবে। তাই একটু জলদি হলেই বা সমস্যা কি?
--তাই??
-- হুম।
-- এত কেয়ারিং আমার জন্য? (একটু হেসে)
--হুম।
-- কেন?
--ওমা, ফুফুর অবর্তমানে আমার কিছু দায়িত্ব আছেনা তোর প্রতি?
-- যেমন?
--কিছু হৃদয়ের কথা বলা যায়না. বুঝে নিতে হয়. ঠিক তেমনি কিছু প্রশ্নের উত্তর হয় না. প্রশ্নটা প্রশ্ন হয়ে থাকলেই বেশি শোভা পায়.......
-- কেন?( একটু হেসে)
--এমনিতেই, কি চাইলি?
-- আগে আপনি বলুন আপনি কি চাইলেন আল্লার কাছে?
-- আল্লাহ যেন খুব জলদি একটা দুষ্টু মিষ্টি বউ তোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়.( আমার নাক টেনে)
--কি করছেন কি? ছাড়ুন সবাই দেখছে তো.
--দেখুক।
--এই অদ্ভুত চাওয়া কেন?
--ওমা, অদ্ভুত চাওয়া কই আবার? তোকে একদিন তো বিয়ে করতেই হবে। তাই একটু জলদি হলেই বা সমস্যা কি?
--তাই??
-- হুম।
-- এত কেয়ারিং আমার জন্য? (একটু হেসে)
--হুম।
-- কেন?
--ওমা, ফুফুর অবর্তমানে আমার কিছু দায়িত্ব আছেনা তোর প্রতি?
-- যেমন?
--কিছু হৃদয়ের কথা বলা যায়না. বুঝে নিতে হয়. ঠিক তেমনি কিছু প্রশ্নের উত্তর হয় না. প্রশ্নটা প্রশ্ন হয়ে থাকলেই বেশি শোভা পায়.......
কথাটা বলেই তানহা মাজার থেকে বেরিয়ে গেল. ওর কথাগুলো আমার হৃদয়ে কেমন যেন নাড়া দিল।
ও কি আমায় ভালোবাসে? ওর এই অদ্ভুত কথাবার্তা গুলো কিসের প্রতি ইঙ্গিত করে বারবার? আমি আজও বুঝিনি. তবে ওরে আচরণগুলো ভালো লাগে। হৃদয় ছুয়ে যায়।
আমিও মাজার থেকে বেরিয়ে এলাম। এসে দেখি ও গাড়িতে উঠে বসে আছে। আমিও গাড়িতে উঠলাম। তারপর গাড়ি বাড়ির দিকে চলতে লাগল।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে তিনটা বাজে।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে তিনটা বাজে।
--অনেক রাত হয়ে গেল তাই না..?(আমি)
--হ্যাঁ অনেকটা রাত হয়ে গেছে.
--আচ্ছা, আপনি যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন এত রাতে। মামা কে বলেছেন..?
--কেউ জানে না আমি যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি.
-- মানেহ,,( খুব অবাক হলাম কথাটা শুনে)
--আমার বোনকে পাহারায় বসিয়ে এসেছি। যাতে কেউ জানতে না পারে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়েছি।
--আর যদি কেউ জেনে ফেলে.
--সমস্যা নেই আমি সামলে নেব.
-- কি বলবেন তখন?
--বলবো, তোর সাথে ছিলাম।
-- মানে? বাড়ির সবাই আমার ব্যাপারে কী ভাববে? একবার ভেবে দেখেছেন?
-- কি ভাববে মানে.? তোর এত বড় উপকার করলাম আর তুই আমার জন্য এটুকু অপবাদ নিতে পারবি না?
-- আপনি খুব মতলবি হয়ে গেছেন আজ কাল.
--আমি এরকমই (একটু হেসে)
--হ্যাঁ অনেকটা রাত হয়ে গেছে.
--আচ্ছা, আপনি যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন এত রাতে। মামা কে বলেছেন..?
--কেউ জানে না আমি যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি.
-- মানেহ,,( খুব অবাক হলাম কথাটা শুনে)
--আমার বোনকে পাহারায় বসিয়ে এসেছি। যাতে কেউ জানতে না পারে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়েছি।
--আর যদি কেউ জেনে ফেলে.
--সমস্যা নেই আমি সামলে নেব.
-- কি বলবেন তখন?
--বলবো, তোর সাথে ছিলাম।
-- মানে? বাড়ির সবাই আমার ব্যাপারে কী ভাববে? একবার ভেবে দেখেছেন?
-- কি ভাববে মানে.? তোর এত বড় উপকার করলাম আর তুই আমার জন্য এটুকু অপবাদ নিতে পারবি না?
-- আপনি খুব মতলবি হয়ে গেছেন আজ কাল.
--আমি এরকমই (একটু হেসে)
গাড়ি চলতে চলতে আমার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াল। আমি গাড়ি থেকে নামলাম। তানহা গাড়ির জানালা দিয়ে বলল--
-- কাল কিন্তু বারোটার মধ্যে পৌঁছে যাস. অফিস থেকে খাগড়াছড়ি যেতে হবে মনে আছে তো??
-- জি মনে আছে. পৌঁছে যাব সময় মত. আর আপনি সাবধানে যাবেন কিন্তু.
-- হুম,
-- জি মনে আছে. পৌঁছে যাব সময় মত. আর আপনি সাবধানে যাবেন কিন্তু.
-- হুম,
কথাটা বলেই তানহা চলে গেল। আমিও ঘরে এসে দেখি চারটা বেজে গেছে। বারোটায় অফিস যেতে হবে তাই এখনই ঘুমিয়ে নিতে হবে।
বালিশে মাথা দিতেই হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে। হঠাৎ একটা মেসেজের আওয়াজে ঘুমটা ভাঙলো। চোখ খুলে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি 11:20 বাজে। মোবাইল হাতে নিয়ে মেসেজ টা পড়তেই মুখের কোনে অজান্তেই হাসি চলে এলো......
চলবে.....
0 Comments