হঠাৎ তানহা অফিস রুমে এসে গেল এসে দেখল যে আমি আর মিস শায়লা গল্প গল্পগুজব আর হাসি ঠাট্টা ব্যাস্ত। তানহা বোধহয় খুব ভালোভাবে নেয়নি ব্যাপারটা। আর এসেই লংকা কান্ড বাধিয়ে দিল তানহা--
তানহা এসে মিস শায়লার পেছনে দাঁড়ালো, মিস শায়লা ঠিক দেখতে পাইনি। আমি চোখ দিয়ে ইশারা করিয়ে দেওয়ায় মিস শায়লা পেছনে তাকাতেই তানহা কে দেখি হঠাৎ ভয় পেয়ে গেল---
-- ও ম্যাডাম গুড মর্নিং.
--গুড মর্নিং না ব্যাড মর্নিং সেটা তো আপনি বলবেন মিস শায়লা?
-- জি ম্যাম, কিছু বুঝতে পারলাম না?
--আপনার চেয়ারটা কোথায় শুনি?
-- জি ম্যাম ওইখানে.
-- তো ওইখান থেকে আপনি এখানে কি করছেন?( রাগী কন্ঠে)
--জি জি ম্যাম, মিস্টার মেহমেদের সাথে একটু কথা বলছিলাম।
--মিস শায়লা মাসে শেষে আপনাকে যে সেলারি দেওয়া হবে, মিস্টার মেহমেদের সাথে গল্প গুজব করার জন্য নয়, এটা গল্প গুজব করার জায়গা নয়, এটা কাজ করার জায়গা,
অফিসে ঢুকেই মিস্টার মেহমেদের সাথে কিসের এত কথা শুনি?
-- না আমি আসলে এমনি তেমন কোনো ইম্পরট্যান্ট কথা নয়.
-- সো ইম্পরট্যান্ট কথা ছাড়া অযথা কথা বলা বাচালের স্বভাব. আই হোপ,, আপনি সেই স্বভাবের নন।
--মিস শায়লা চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। --সো নেক্সট টাইম যেন এরকম কিছু না দেখি? নতুন জয়েন করেছেন তাই এর চেয়ে বেশি কিছু বললাম না। যান নিজের চেয়ারে গিয়ে কাজ করুন।
--গুড মর্নিং না ব্যাড মর্নিং সেটা তো আপনি বলবেন মিস শায়লা?
-- জি ম্যাম, কিছু বুঝতে পারলাম না?
--আপনার চেয়ারটা কোথায় শুনি?
-- জি ম্যাম ওইখানে.
-- তো ওইখান থেকে আপনি এখানে কি করছেন?( রাগী কন্ঠে)
--জি জি ম্যাম, মিস্টার মেহমেদের সাথে একটু কথা বলছিলাম।
--মিস শায়লা মাসে শেষে আপনাকে যে সেলারি দেওয়া হবে, মিস্টার মেহমেদের সাথে গল্প গুজব করার জন্য নয়, এটা গল্প গুজব করার জায়গা নয়, এটা কাজ করার জায়গা,
অফিসে ঢুকেই মিস্টার মেহমেদের সাথে কিসের এত কথা শুনি?
-- না আমি আসলে এমনি তেমন কোনো ইম্পরট্যান্ট কথা নয়.
-- সো ইম্পরট্যান্ট কথা ছাড়া অযথা কথা বলা বাচালের স্বভাব. আই হোপ,, আপনি সেই স্বভাবের নন।
--মিস শায়লা চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। --সো নেক্সট টাইম যেন এরকম কিছু না দেখি? নতুন জয়েন করেছেন তাই এর চেয়ে বেশি কিছু বললাম না। যান নিজের চেয়ারে গিয়ে কাজ করুন।
আমি মনে মনে ভাবছি মিস শায়লা কে এর চেয়ে আরো বেশি কিছু বলার ছিল নাকি। বাপরে বস হিসেবে তানহার রাগী লুকটা যে কতটা ভয়ঙ্কর তা আজ না দেখলে বুঝতেই পারতাম না।
মিস শায়লা নিজের চেয়ারে গিয়ে বসলো আর তানহা চোখ দুটো বড় বড় করে একটা রাগী লুক নিয়ে আমার দিকে তাকাতে তাকাতে নিজের রুমে চলে গেল। ও চলে যাওয়ায় আমরা সবাইকে নিজ নিজজ চেয়ারে বসে যার যার কাজ করতে লাগলাম।
আমি একটু দাঁড়িয়ে মিস শায়লার দিকে তাকালাম, মেয়েটার চেহারা একদম মলিন হয়ে গেছে। আরেকটু হলেই কেদে দিত।
কি দরকার ছিল এভাবে বকা দেওয়ার? আজ কার মুখ দেখে উঠেছিলেন কে জানে? মেজাজ দেখি গরম হয়ে আছে।
কি দরকার ছিল এভাবে বকা দেওয়ার? আজ কার মুখ দেখে উঠেছিলেন কে জানে? মেজাজ দেখি গরম হয়ে আছে।
আফসার ভাই এর চেয়ার টা আমার কাছেই. আফসার ভাই আমাকে বললেন--
-- মেহমেদ ভাই কিছু বুঝলেন?
-- মানে?
-- আপনি এরকম ভাব করছেন যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানেন না?
-- সত্যিই আমি কিছু বুঝতে পারছি না, আপনি কি বলছেন?
--আরে ভাই, পরশু মিস শায়লা আমার সাথেও দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ঠিক তখনই ম্যাম চলে এসেছিলেন। কই? সে দিন তো মিস শায়লাকে ম্যাডাম কিছু বলেননি। কিন্তু আজ আপনার সাথে কথা বলতেই ম্যাডাম কি ভাবে রেগে গেলেন দেখলেন তো?
--আপনি আসলে কি বোঝাতে চাইছেন আফসার ভাই?( একটু হেসে)
--আরে ভাই আমার তো মনে হয় ম্যাডাম আপনার প্রেমে পড়ে গেছে?
-- আরে ধুর, কি যে বলেন আপনি? অফিসের বস কখনো কর্মচারীর সাথে প্রেম করে নাকি? (একটু হেসে)
--(সাথে সাথে সাহিত্য শুরু করে দিলেন আফসার ভাই) এ হৃদয় কে ভেবো না তুমি দুর্বল হে প্রিয়তমা. তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তোমার চরণের দাস হয়ে থাকতোও বাধা নেই আমার. ভালোবাসা মানে না ধনী গরিব. ভালোবাসা মানে না বৈষম্য.
মনের মিল থাকলে ভালোবাসা ধরা দিবে এই হৃদয়ের খাঁচায়। তুমি রাজার মেয়ে হলেও আমি প্রজা হয়ে তোমাকে ভালবাসব। কারন তোমার মনে আমার মন মিশে গেছে তাই করো না কোনো বৈষম্য। ভেদ বিচার ভুলে যাও হে প্রিয়তমা. ভালোবাসা হৃদয় থেকে আসে. তাইতো ভালোবাসি তোমায়. (হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে)
কিছু বুঝলেন..?
-- বুঝলাম যে আপনি খুব ভালো সাহিত্য করতে জানেন.( একটু হেসে)
--আরে ধুর মিয়া, আমি কি বোঝাতে চাইলাম আর আপনি কি বুঝবেন। সত্যিই আপনার দ্বারা কিচ্ছু হবে না।
-- মানে?
-- আপনি এরকম ভাব করছেন যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানেন না?
-- সত্যিই আমি কিছু বুঝতে পারছি না, আপনি কি বলছেন?
--আরে ভাই, পরশু মিস শায়লা আমার সাথেও দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ঠিক তখনই ম্যাম চলে এসেছিলেন। কই? সে দিন তো মিস শায়লাকে ম্যাডাম কিছু বলেননি। কিন্তু আজ আপনার সাথে কথা বলতেই ম্যাডাম কি ভাবে রেগে গেলেন দেখলেন তো?
--আপনি আসলে কি বোঝাতে চাইছেন আফসার ভাই?( একটু হেসে)
--আরে ভাই আমার তো মনে হয় ম্যাডাম আপনার প্রেমে পড়ে গেছে?
-- আরে ধুর, কি যে বলেন আপনি? অফিসের বস কখনো কর্মচারীর সাথে প্রেম করে নাকি? (একটু হেসে)
--(সাথে সাথে সাহিত্য শুরু করে দিলেন আফসার ভাই) এ হৃদয় কে ভেবো না তুমি দুর্বল হে প্রিয়তমা. তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তোমার চরণের দাস হয়ে থাকতোও বাধা নেই আমার. ভালোবাসা মানে না ধনী গরিব. ভালোবাসা মানে না বৈষম্য.
মনের মিল থাকলে ভালোবাসা ধরা দিবে এই হৃদয়ের খাঁচায়। তুমি রাজার মেয়ে হলেও আমি প্রজা হয়ে তোমাকে ভালবাসব। কারন তোমার মনে আমার মন মিশে গেছে তাই করো না কোনো বৈষম্য। ভেদ বিচার ভুলে যাও হে প্রিয়তমা. ভালোবাসা হৃদয় থেকে আসে. তাইতো ভালোবাসি তোমায়. (হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে)
কিছু বুঝলেন..?
-- বুঝলাম যে আপনি খুব ভালো সাহিত্য করতে জানেন.( একটু হেসে)
--আরে ধুর মিয়া, আমি কি বোঝাতে চাইলাম আর আপনি কি বুঝবেন। সত্যিই আপনার দ্বারা কিচ্ছু হবে না।
আফসার ভাই কথাটা বলেই নিজের কাজ করতে লাগলেন। আমিও উনার কথায় হাসতে হাসতে নিজের কাজ করছি।
হঠাৎ পিয়ন এসে বলল ম্যাডাম নাকি আমাকে ডাকছে। চেয়ার থেকে উঠতেই আফসার ভাই বলল--
-- এইযে মেহমেদ ভাই. ম্যাডাম কিন্তু আপনাকে ডাকছে না।
--মানে, পিয়ন তো বলে গেল ম্যাডাম ডাকছে।
--আরে ভাই আপনি কি কেজিতে পড়েন নাকি? ম্যাডাম তো আমাদের জন্য আপনার জন্য এই মুহুর্তে লাল মরিচ, খুব ঝাল, ভিতরে যান গেলেই বুঝতে পারবেন। --কি যে বলেন আপনি আফসার ভাই??
--মানে, পিয়ন তো বলে গেল ম্যাডাম ডাকছে।
--আরে ভাই আপনি কি কেজিতে পড়েন নাকি? ম্যাডাম তো আমাদের জন্য আপনার জন্য এই মুহুর্তে লাল মরিচ, খুব ঝাল, ভিতরে যান গেলেই বুঝতে পারবেন। --কি যে বলেন আপনি আফসার ভাই??
উনার কথা হেসে উড়িয়ে দিই, আমি তানহা রুমে গেলাম --
--ম্যাম আসতে পারি?
-- জ্বি আসুন।
আমি দাঁড়িয়ে আছি ওর সামনে ও নীচে তাকিয়ে প্রশ্ন করল...
--সকালে খেয়েছিস কিছু?
--জি খেয়েছি.
-- হুম তা কি বলছিল মিস শায়লা তোকে?
--তেমন কিছু না. এই হায় হ্যালো কেমন আছেন এই সব.
হঠাৎ তানহা মাথা উঠিয়ে বলল,,,
-- কি হাই হ্যালো তাই না? এত হেসে হেসে কেউ হাই হ্যালো বলে? আমি কিছু বুঝিনা তাই না? আর কেমন আছিস সেটা দেখতে পাচ্ছে না? উনার চোখে কি চশমা পরা নাকি? শোন তোকে একটা কথা সাফ সাফ বলে দিচ্ছি' ওই মেয়েটার থেকে দশ হাত দূরে থাকবি। মেয়েটার হাবভাব আমার বেশি সুবিধার লাগে না।
-- কি বলছেন ম্যামম? মেয়েটা তো ভালোই.
-কিহ, কি বললি তুই? দুদিন হয়নি পরিচয় হয়েছে এর মধ্যেই মেয়েটা তোর কাছে ভালো হয়ে গেল?
এই অফিসে আমি 6 মাস যাবত কাজ করছি। কে কি রকম সব আমার জানা আছে, বুবুঝলি?
--কিন্তু মিস সাহেলা তো মাত্র দু'দিন হলো জয়েন করেছে?
-- তাতে কি? ওকেও আমার চেনা হয়ে গেছে। তোকে যেটা বলেছি সেটা করবি, ওর কাছ থেকে দূরে থাকবি বোঝা গেছে। (খুব রেগে)
--আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম! জি ম্যাম বুঝতে পেরেছি
--হুম, বুঝতে পারলেই ভালো। এবার বুসতে পারিস।
-- এতক্ষণ ধরে দাড় করিয়ে রেখে এখন বলছে বসতে।( মনে মনে)
-- জ্বি আসুন।
আমি দাঁড়িয়ে আছি ওর সামনে ও নীচে তাকিয়ে প্রশ্ন করল...
--সকালে খেয়েছিস কিছু?
--জি খেয়েছি.
-- হুম তা কি বলছিল মিস শায়লা তোকে?
--তেমন কিছু না. এই হায় হ্যালো কেমন আছেন এই সব.
হঠাৎ তানহা মাথা উঠিয়ে বলল,,,
-- কি হাই হ্যালো তাই না? এত হেসে হেসে কেউ হাই হ্যালো বলে? আমি কিছু বুঝিনা তাই না? আর কেমন আছিস সেটা দেখতে পাচ্ছে না? উনার চোখে কি চশমা পরা নাকি? শোন তোকে একটা কথা সাফ সাফ বলে দিচ্ছি' ওই মেয়েটার থেকে দশ হাত দূরে থাকবি। মেয়েটার হাবভাব আমার বেশি সুবিধার লাগে না।
-- কি বলছেন ম্যামম? মেয়েটা তো ভালোই.
-কিহ, কি বললি তুই? দুদিন হয়নি পরিচয় হয়েছে এর মধ্যেই মেয়েটা তোর কাছে ভালো হয়ে গেল?
এই অফিসে আমি 6 মাস যাবত কাজ করছি। কে কি রকম সব আমার জানা আছে, বুবুঝলি?
--কিন্তু মিস সাহেলা তো মাত্র দু'দিন হলো জয়েন করেছে?
-- তাতে কি? ওকেও আমার চেনা হয়ে গেছে। তোকে যেটা বলেছি সেটা করবি, ওর কাছ থেকে দূরে থাকবি বোঝা গেছে। (খুব রেগে)
--আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম! জি ম্যাম বুঝতে পেরেছি
--হুম, বুঝতে পারলেই ভালো। এবার বুসতে পারিস।
-- এতক্ষণ ধরে দাড় করিয়ে রেখে এখন বলছে বসতে।( মনে মনে)
এখন ভাবতে লাগলাম আফসার ভাইয়ের কথাটা কি ঠিক? তানহা আসলেই আমার প্রেমে পড়েছে? ও কি আমাকে ভালোবাসে? যেমনটা আমি ওকে ভালোবাসি? এসব কথা ভাবতে ভাবতে নিজে নিজে হাসছি..
--কিরে তুই হাসছিস কেন?
-- না এমনি.
-- এমনি কেউ হাসে? নাকি কারো কথা মনে পড়ে এত হাসি আসছে শুনি?
-- না কারো না এমনিতেই.
--বাই দ্যা ওয়ে, শার্টটা তোকে দারুন মানিয়েছে। লুকিং ভেরি নাইস।( মুচকি হেসে)
--থ্যাংকস, মিস শায়লাও এই কথা বলেছিলেন। (কথাটা বলেই জীবে কামড়)
--কি? কি বললি তুই?
-- না আসলে...........( মাথা নিচু করে আছি)
--তোকে না বলেছি শায়লার কথা মাথায় রাখবি না? (খুব রেগে)
-- জি ম্যাম, সরি ভুলে গেছিলাম।
-- মাথায় যেন থাকে. (হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে)
--আচ্ছা শোন, প্রতি বছর অফিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি একটা ট্যুর এর আয়োজন করে। এবছরও করেছে।
--ও ভালো কথা. টুর টা কোথায় হবে?
--খাগড়াছড়ি. একটু পরে অফিসে এনাউন্স করা হবে তাই তোকে আগে বলে দিলাম।
--ম্যাম, আর কোন কথা না থাকলে এবার আমি যেতে চাই। অনেক কাজ আছে।
--আচ্ছা, ঠিক আছে যা, আর শোন -ঐ শায়লার সাথে যেন বেশি মেলামেশা করতে না দেখি?
--জী ম্যাম, (একটু মুচকি হেসে)
-- না এমনি.
-- এমনি কেউ হাসে? নাকি কারো কথা মনে পড়ে এত হাসি আসছে শুনি?
-- না কারো না এমনিতেই.
--বাই দ্যা ওয়ে, শার্টটা তোকে দারুন মানিয়েছে। লুকিং ভেরি নাইস।( মুচকি হেসে)
--থ্যাংকস, মিস শায়লাও এই কথা বলেছিলেন। (কথাটা বলেই জীবে কামড়)
--কি? কি বললি তুই?
-- না আসলে...........( মাথা নিচু করে আছি)
--তোকে না বলেছি শায়লার কথা মাথায় রাখবি না? (খুব রেগে)
-- জি ম্যাম, সরি ভুলে গেছিলাম।
-- মাথায় যেন থাকে. (হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে)
--আচ্ছা শোন, প্রতি বছর অফিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি একটা ট্যুর এর আয়োজন করে। এবছরও করেছে।
--ও ভালো কথা. টুর টা কোথায় হবে?
--খাগড়াছড়ি. একটু পরে অফিসে এনাউন্স করা হবে তাই তোকে আগে বলে দিলাম।
--ম্যাম, আর কোন কথা না থাকলে এবার আমি যেতে চাই। অনেক কাজ আছে।
--আচ্ছা, ঠিক আছে যা, আর শোন -ঐ শায়লার সাথে যেন বেশি মেলামেশা করতে না দেখি?
--জী ম্যাম, (একটু মুচকি হেসে)
তানহার রুম থেকে বেরিয়ে চেয়ারে বসতেই আফসার ভাই আবার শুরু করে দিলেন -
--কি মেহমেদ ভাই, কেমন খেলেন লাল মরিচ?
--মানে?
--বলেছিলাম না, খুব ঝাল। কেমন লাগলো?
--আফসার ভাই. আপনি সবসময় একটু বেশি বলেন.( একটু হেসে)
--আরে মিয়া সবই বুঝি, বয়সটা তো আর কম হয় নাই? একটি বিষয় তবে পরিস্কার. আমাদের ম্যাডামের গলায় তাহলে আপনার মালাটা ঝুলছে, হুম?
--মানে?
--বলেছিলাম না, খুব ঝাল। কেমন লাগলো?
--আফসার ভাই. আপনি সবসময় একটু বেশি বলেন.( একটু হেসে)
--আরে মিয়া সবই বুঝি, বয়সটা তো আর কম হয় নাই? একটি বিষয় তবে পরিস্কার. আমাদের ম্যাডামের গলায় তাহলে আপনার মালাটা ঝুলছে, হুম?
আমি ওনার কথা হেসে উড়িয়ে দিয়ে নিজের কাজ করতে লাগলাম। হঠাৎ আমাদের অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইয়াকুব সাহেব অফিসের সেই ট্যুর টার কথা সবাইকে এনাউন্সড করে দিলেন।তারপর আমার দিকে এসে আমাকে বললেন--
-- মিস্টার মেহমেদ?
--জি স্যার বলুন?( দাঁড়িয়ে)
--এই অফিসের বস আপনার কোন আত্মীয় হয় নাকি?
-- স্যার বুঝলাম না? (কথাটা শুনে খুব অবাক হয়েছি)
-- নতুন জয়েন করেছেন. একদিন অফিস করে দুদিনের মাথায় অফিস ফাকি? এমন কি অফিসে যে আসবেন না সেটা কাউকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করলেন না? কোথায় ছিলেন কালকে?
-- না মানে স্যার আসলে (আমতা আমতা করছিলাম) --কি না মানে স্যার আসলে? বলুন. আমার কান খোলাই আছে. এখনও বয়রা হয়ে যাইনি।কোথায় ছিলেন কালকে? কেন কালকে অফিসে আসেননি?
--জি স্যার বলুন?( দাঁড়িয়ে)
--এই অফিসের বস আপনার কোন আত্মীয় হয় নাকি?
-- স্যার বুঝলাম না? (কথাটা শুনে খুব অবাক হয়েছি)
-- নতুন জয়েন করেছেন. একদিন অফিস করে দুদিনের মাথায় অফিস ফাকি? এমন কি অফিসে যে আসবেন না সেটা কাউকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করলেন না? কোথায় ছিলেন কালকে?
-- না মানে স্যার আসলে (আমতা আমতা করছিলাম) --কি না মানে স্যার আসলে? বলুন. আমার কান খোলাই আছে. এখনও বয়রা হয়ে যাইনি।কোথায় ছিলেন কালকে? কেন কালকে অফিসে আসেননি?
আমি চুপ করে আছি. কিভাবে যে বলি যে কালকে তানহার সাথেই ছিলাম?
-- কি হলো বলুন. চুপ করে আছেন কেন?
-- কি হলো বলুন. চুপ করে আছেন কেন?
হঠাৎ পেছন থেকে তানহা বলল --
--মিস্টার ইয়াকুব, কি হয়েছে? কেন আপনি মেহমেদকে বকছেন. কেন সমস্যা??
মিস্টার ইয়াকুব খুব নরম সুরে বললেন --
--না আসলে ম্যাম কালকে আপনি ছিলেন না তো অফিসে. সেই ফাঁকে মিস্টার মেহমেদ অফিসে আসেননি. তাকে এটাই জিজ্ঞেস করছিলাম যে কেন তিনি অফিসে আসেনি?
তানহা সবার সামনে মিস্টার ইয়াকুবকে বলল-- --জিজ্ঞেস করার কিছু নেই. কালকে মিস্টার মেহমেদ আমার সাথে ছিল.
-- ও ম্যাম সরি, আসলে আমি জানতাম না।
--ঠিক আছে আপনি এখন যেতে পারেন.
মিস্টার ইয়াকুব খুব নরম সুরে বললেন --
--না আসলে ম্যাম কালকে আপনি ছিলেন না তো অফিসে. সেই ফাঁকে মিস্টার মেহমেদ অফিসে আসেননি. তাকে এটাই জিজ্ঞেস করছিলাম যে কেন তিনি অফিসে আসেনি?
তানহা সবার সামনে মিস্টার ইয়াকুবকে বলল-- --জিজ্ঞেস করার কিছু নেই. কালকে মিস্টার মেহমেদ আমার সাথে ছিল.
-- ও ম্যাম সরি, আসলে আমি জানতাম না।
--ঠিক আছে আপনি এখন যেতে পারেন.
কথাটা সবাই শুনে এমন মিলে আমার দিকে তাকালো যেন অন্য গ্রহের কোন প্রাণী দেখছে। আমিতো লজ্জায় শেষ। ককি দরকার ছিল সবার সামনে কথাটা বলার?
কথাটা বলেই তানহা চলে গেল আর আমি নিজের চেয়ারে বসে পরলাম ওদিকে আফসার ভাই সুযোগ পেয়ে গেল আমাকে আরো কিছু কথা শুনানোর--
-- মেহমেদ ভাই. তাহলে তলে তলে এত দূর চলে গেছেন? আর মুখে বলেন "" কর্মচারীর সাথে প্রেম হয় নাকি..?"
আমি শুধু হাসছি আর নিজের কাজ করছি। কি বলব? বলার তো আর কিছুই রইল না। সবাই তো এখন এটাই ভাববে যে তানহার সসাথে আমার সম্পর্ক আছে।
যাইহোক -অফিস শেষ করে সোজা বাড়ি চলে এলাম. আজ খুব টায়ার্ড লাগছে. প্রথম দিনের মত এত কাজ করেছি।
দরজাটা খুলতেই দেখলাম ফ্লোরে একটা কাগজ পড়ে আছে। কাগজটা উঠিয়ে দেখি একটা চিঠি। চিঠিটা খুলতেই কিছু লেখা দেখতে পেলাম। চিঠিতে লেখা ছিল--
"" জীবন মরণ প্রশ্ন. প্লিজ নিচের দেয়া ঠিকানায় চলে আসুন""..
"" জীবন মরণ প্রশ্ন. প্লিজ নিচের দেয়া ঠিকানায় চলে আসুন""..
আমি এখন বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে কি করবো?
কে লিখল চিঠিটা? আমি পরে ভাবলাম যে এত কিছু বুঝে কাজ নেই. যেহেতু জীবন মরণ প্রশ্ন লিখেছে তাহলে নিশ্চয়ই মারাত্মক কিছু. তাই বেশি দেরি না করে সোজা নিচে দেওয়া ঠিকানায় চলে গেলাম।
কে লিখল চিঠিটা? আমি পরে ভাবলাম যে এত কিছু বুঝে কাজ নেই. যেহেতু জীবন মরণ প্রশ্ন লিখেছে তাহলে নিশ্চয়ই মারাত্মক কিছু. তাই বেশি দেরি না করে সোজা নিচে দেওয়া ঠিকানায় চলে গেলাম।
কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি একটি কাজী অফিস। যাই হোক বেশি কিছু না ভেবে সোজা কাজী অফিসের ভিতরে ঢুকলাম।
কিন্তু ভিতরে গিয়ে যা দেখলাম তা একদমই অপ্রত্যাশিত ছিল।কাজী অফিসের ভিতরে ঐশী বসে আছে। কিন্তু ও এখানে কি করছে....?
কিন্তু ভিতরে গিয়ে যা দেখলাম তা একদমই অপ্রত্যাশিত ছিল।কাজী অফিসের ভিতরে ঐশী বসে আছে। কিন্তু ও এখানে কি করছে....?
আর কাজী অফিসেই বা ওর কাজ কি? তাহলে কি ঐশি আমাকে চিঠিটা লিখেছিল? আর যদি লিখেই থাকে তাহলে জীবন মরণ প্রশ্ন কথাটা কেন লিখেছে?
উফফফ,, আমি আর ভাবতে পারছি না। একটু এগোতেই ঐশী আমাকে দেখে দাড়িয়ে গেল। আমি ঐশীরর কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলাম --
--ঐশী তুমি এখানে কি করছো? কাজী অফিসে? এরকম একটি জায়গায় কেন? আর এই চিঠিটা -এটা কি তুমি আমাকে লিখেছিলে?(চিঠিটা দেখিয়ে)
--জি. আমি আপনাকে লিখেছিলাম (মাথা নিচু করে)
-- ঐশী প্লিজ বলো আমাকে. আসলে এখানে হচ্ছে টা কি? তুমি কাজী অফিসে? কি ঘটছে কি এখানে? আর আমাকে চিঠি লেখার মানে কি? কেন লিখেছো চিঠি আমাকে?
-- আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার ছিল. তাই চিঠির মাধ্যমে আপনাকে জানিয়েছি এখানে আসতে.
-- গুরুত্বপূর্ণ কথা?
-- জি. খুব ইম্পরট্যান্ট
--জি. আমি আপনাকে লিখেছিলাম (মাথা নিচু করে)
-- ঐশী প্লিজ বলো আমাকে. আসলে এখানে হচ্ছে টা কি? তুমি কাজী অফিসে? কি ঘটছে কি এখানে? আর আমাকে চিঠি লেখার মানে কি? কেন লিখেছো চিঠি আমাকে?
-- আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার ছিল. তাই চিঠির মাধ্যমে আপনাকে জানিয়েছি এখানে আসতে.
-- গুরুত্বপূর্ণ কথা?
-- জি. খুব ইম্পরট্যান্ট
ওর মুখে এই কথাটা শুনে বুকের ভেতরটা কেমন যেন ধুক করে উঠলো. এই মেয়েটার মতি গতি একদম ভালো লাগছে না আমার.
গুরুত্বপূর্ণ কথা তো বাড়িতেও বলতে পারতো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য এখানে ডেকে এনেছে করন?কাজী অফিসে?
আমার তো এক মুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছে এই মেয়ে না আমাকে বিয়ের প্রস্তাব করে বসে?
তাহলে তো আমি শেষ। অসম্ভব।
তানহাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।ঐশী ঠিক কি করতে চাইছে এখনও তা আমার কাছে অষ্পৃষ্ট। যাই হোক সব কু চিন্তা-ভাবনা কে এক সাইডে রেখে সাহস করে ওকে প্রশ্ন করলাম--
গুরুত্বপূর্ণ কথা তো বাড়িতেও বলতে পারতো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য এখানে ডেকে এনেছে করন?কাজী অফিসে?
আমার তো এক মুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছে এই মেয়ে না আমাকে বিয়ের প্রস্তাব করে বসে?
তাহলে তো আমি শেষ। অসম্ভব।
তানহাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।ঐশী ঠিক কি করতে চাইছে এখনও তা আমার কাছে অষ্পৃষ্ট। যাই হোক সব কু চিন্তা-ভাবনা কে এক সাইডে রেখে সাহস করে ওকে প্রশ্ন করলাম--
--কি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলো আর গুরুত্বপূর্ণ কথা তো বাড়িতেও বলতে পারতে কাজী অফিসে ডেকে আনার মানে কি?
-- সব বলব. আমার সাথে একটু আসবেন প্লিজ?
-- কোথায়?
--এখানেই। প্লিজ আসুন
-- সব বলব. আমার সাথে একটু আসবেন প্লিজ?
-- কোথায়?
--এখানেই। প্লিজ আসুন
আমি ওর সাথে যেতে লাগলাম. আমার হার্টবিট যেন 100 গুণ বেড়ে গেছে; মেয়েটা যে কী করতে চাইছে কিছুই বুঝতে পারছি না।
আমারতো রীতিমত ভয় হচ্ছে এখন। ঐশী আমাকে কাজী অফিসের পাশের রুমে নিয়ে গেল। ওখানে যেতে একটি ছেলে আমাকে সালাম দিল। আমার থেকে বয়স পাচ-এক কম হবে। আমি সালামের জবাব দিয়ে ঐশীর দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালাম। তারপর ঐশী আমার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিয়ে বলল---
আমারতো রীতিমত ভয় হচ্ছে এখন। ঐশী আমাকে কাজী অফিসের পাশের রুমে নিয়ে গেল। ওখানে যেতে একটি ছেলে আমাকে সালাম দিল। আমার থেকে বয়স পাচ-এক কম হবে। আমি সালামের জবাব দিয়ে ঐশীর দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালাম। তারপর ঐশী আমার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিয়ে বলল---
-- ওর নাম রাজীব. আমার বয়-ফ্রেন্ড.
ওর কথা শুনে আমার মাথা থেকে যেন সব টেনশন শূন্যে উড়ে গেল। অবশ্য কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত ঐশি যা আচরণ করছিল আমার সাথে, আমি তো ভেবেছিলাম ও আমাকে বিয়ে করে বসবে। অবশ্য পরিস্থিতি যা দেখছি একজন সুস্থ মানুষ এর থেকে বেশী আর কি ভাবতে পারে।
--বুঝলাম ও তোমার বয়ফ্রেন্ড কিন্তু এসব আমাকে বলছো কেন? আর কাজী অফিসেই বা আমাকে ডেকে এনোছো কেন? ঐশী প্লিজ আমাকে কিছু বলবে এখানে হচ্ছে টা কি?
--আপনাকে শুরু থেকে বলি, ও রাজিব. কলেজ লাইফ থেকে আমাদের রিলেশন. তা প্রায় ছয় বছরের মত. হঠাৎ একদিন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা বিয়ে করবো। রাজীবের বাবা এখানকার প্রভাবশালী একজন বিজনেসম্যান। রাজিব আমাদের বিয়ের কথা ওর বাবাকে বলতেই ওর বাবা আমাদের সম্পর্ক অস্বীকার করেন। এমনকি রাজীবকে একমাস যাবত ঘরে আটকে রাখে।অনেক কষ্টে রাজিব আজ ঘর থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে। এবং আমাকে ফোন করে কাজী অফিসে আসতে বলেছে। আজ নাকি আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি ওকে ভালোবাসি বিধায় ওর কথা ফেলতে পারি নি। কিন্তু আমাদের বিয়ের জন্য যে সাক্ষীর প্রয়োজন তা পর্যাপ্ত নয়।আমাদের কয়েকজন বন্ধু বান্ধব কে বলেছিলাম কিন্তু ওরা এসব ঝামেলায় জড়াতে চায় না বলে আসলো না। তাই বাধ্য হয়ে আপনাকে এই চিঠি লিখেছি। প্লিজ কিছু মনে করবেন না। প্লিজ আমাদের একটু হেল্প করুন। আমাদের ভালোবাসার খাতিরে।
--সবই বুঝলাম কিন্তু আঙ্কেল আন্টির কথা একবার ভেবে দেখেছো?
-- আমার কাছে অন্য কোনো রাস্তা খোলা ছিল না. আর আমার বিশ্বাস আমার বাবা আমার সুখের জন্য আমাদের সম্পর্কটা মেনে নেবেন.
-- কিন্তু এই বিয়ের পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে ভেবে দেখেছ একবার?
--আমি সব প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত. আমি রাজীবকে ছাড়া বাঁচবো না. রাজিব ও আমাকে ছাড়া বাঁচবে না. বাধ্য হয়ে আমাদের এই রাস্তা বেছে নিতে হয়েছে। প্লিজ আমাদেরকে একটু হেল্প করুন।
--আপনাকে শুরু থেকে বলি, ও রাজিব. কলেজ লাইফ থেকে আমাদের রিলেশন. তা প্রায় ছয় বছরের মত. হঠাৎ একদিন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা বিয়ে করবো। রাজীবের বাবা এখানকার প্রভাবশালী একজন বিজনেসম্যান। রাজিব আমাদের বিয়ের কথা ওর বাবাকে বলতেই ওর বাবা আমাদের সম্পর্ক অস্বীকার করেন। এমনকি রাজীবকে একমাস যাবত ঘরে আটকে রাখে।অনেক কষ্টে রাজিব আজ ঘর থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে। এবং আমাকে ফোন করে কাজী অফিসে আসতে বলেছে। আজ নাকি আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি ওকে ভালোবাসি বিধায় ওর কথা ফেলতে পারি নি। কিন্তু আমাদের বিয়ের জন্য যে সাক্ষীর প্রয়োজন তা পর্যাপ্ত নয়।আমাদের কয়েকজন বন্ধু বান্ধব কে বলেছিলাম কিন্তু ওরা এসব ঝামেলায় জড়াতে চায় না বলে আসলো না। তাই বাধ্য হয়ে আপনাকে এই চিঠি লিখেছি। প্লিজ কিছু মনে করবেন না। প্লিজ আমাদের একটু হেল্প করুন। আমাদের ভালোবাসার খাতিরে।
--সবই বুঝলাম কিন্তু আঙ্কেল আন্টির কথা একবার ভেবে দেখেছো?
-- আমার কাছে অন্য কোনো রাস্তা খোলা ছিল না. আর আমার বিশ্বাস আমার বাবা আমার সুখের জন্য আমাদের সম্পর্কটা মেনে নেবেন.
-- কিন্তু এই বিয়ের পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে ভেবে দেখেছ একবার?
--আমি সব প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত. আমি রাজীবকে ছাড়া বাঁচবো না. রাজিব ও আমাকে ছাড়া বাঁচবে না. বাধ্য হয়ে আমাদের এই রাস্তা বেছে নিতে হয়েছে। প্লিজ আমাদেরকে একটু হেল্প করুন।
রাজিবও আমার হাত ধরে বলল --
--প্লীজ ভাই আমাদের ফিরিয়ে দিবেন না. আমি ঐশীকে ছাড়া বাঁচবো না. আমি প্রচন্ড ভালোবাসি ঐশীকে.
--কিন্তু আমার তো মনে হয় না তোমার বাবা এই বিয়ে মেনে নেবে.
-- সে আমি দেখে নেব. আমি যে ভাবে পারি বাবাকে বোঝাবো. প্রয়োজন হলে ঐশীকে নিয়ে আমি বাড়ি ছাড়বো. তারপরও আমিও ঐশীকে ছাড়তে পারবো না। আপনি প্লিজ আমাদের একটু সাহায্য করুন।(রাজিব)
--সাহায্য তো করব ঠিক আছে কিন্তু শেষে না জেলের ভাত খেতে হয় (মনে মনে)
--কিন্তু আমার তো মনে হয় না তোমার বাবা এই বিয়ে মেনে নেবে.
-- সে আমি দেখে নেব. আমি যে ভাবে পারি বাবাকে বোঝাবো. প্রয়োজন হলে ঐশীকে নিয়ে আমি বাড়ি ছাড়বো. তারপরও আমিও ঐশীকে ছাড়তে পারবো না। আপনি প্লিজ আমাদের একটু সাহায্য করুন।(রাজিব)
--সাহায্য তো করব ঠিক আছে কিন্তু শেষে না জেলের ভাত খেতে হয় (মনে মনে)
তারপর আমি ছয়-পাচ না ভেবে রাজীব আর ঐশী কে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিলাম।
--আচ্ছা ঠিক আছে. তোমাদের ভালবাসার প্রতি সম্মান আছে বিধায় তোমাদের বিয়েতে আমি সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকবো..
আমার কথায় রাজিব এবং ঐশীর মুখে হাসি ফুটলো। কিছুক্ষণ পর রাজিবের কিছু বন্ধুবান্ধব এল। কাজী সাহেবকেও বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসলো। কাজী সাহেব আসতে চাইনি, কারণ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত প্রায় একটা। এত রাতে কেই বা আসতে চাইবে।
যাইহোক সবাই উপস্থিত- বর কনে. সাক্ষী. কাজী সাহেব সবাই এসে গেছে। ঐশী আর রাজিবের স্বাক্ষর নেওয়া হলো। সাক্ষী হিসেবে রাজিবের কিছু বন্ধু স্বাক্ষর দিল। মেয়ের পক্ষে আমি আর রাজিবের এক বন্ধু স্বাক্ষর দিলাম।
এরপর মালাবদল হলো। দুজন দুজনকে মালা পরিয়ে দিল। পরিশেষে নবদম্পতির দাম্পত্য সুখী জীবনের জন্য দোয়া হলো।
খুব আনন্দময় পরিবেশে বিয়েটা সম্পন্ন হলো। ঐশী আমার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল --
খুব আনন্দময় পরিবেশে বিয়েটা সম্পন্ন হলো। ঐশী আমার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল --
--আপনাকে আমার জন্যে অনেক কষ্ট পোহাতে হল. এর জন্য এম রিয়েলি সরি.
--আরে না না কী বলছো তুমি. তোমার বাকি জীবনটা যেন সুখে কাটে. তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষের সাথে থাকতে পারো সারাটা জীবন। তার জন্য এটুকু কষ্ট তো করতেই পারি। এটলিস্ট মেটার ইজ লাভ বলে কথা।
-- আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মেহমেদ ভাই. আপনি যদি আজকে স্বাক্ষরটা না দিতেন তাহলে অনেক বড় প্রবলেম হয়ে যেতো, থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।(রাজিব)
-- আরে বাদ দাও তো এসব কথা. বাই দ্যা ওয়ে কংগ্রাচুলেশনস ফর ইউর নিউ ম্যারেড লাইফ।
--থ্যাংক ইউ মেহমেদ ভাই.
-- মোস্ট ওয়েলকাম. আচ্ছা এবার বল তোমাদের নেক্সট প্ল্যান কি.?
--আরে না না কী বলছো তুমি. তোমার বাকি জীবনটা যেন সুখে কাটে. তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষের সাথে থাকতে পারো সারাটা জীবন। তার জন্য এটুকু কষ্ট তো করতেই পারি। এটলিস্ট মেটার ইজ লাভ বলে কথা।
-- আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মেহমেদ ভাই. আপনি যদি আজকে স্বাক্ষরটা না দিতেন তাহলে অনেক বড় প্রবলেম হয়ে যেতো, থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।(রাজিব)
-- আরে বাদ দাও তো এসব কথা. বাই দ্যা ওয়ে কংগ্রাচুলেশনস ফর ইউর নিউ ম্যারেড লাইফ।
--থ্যাংক ইউ মেহমেদ ভাই.
-- মোস্ট ওয়েলকাম. আচ্ছা এবার বল তোমাদের নেক্সট প্ল্যান কি.?
হঠাৎ রাজিবের এক বন্ধু দুটো টিকেট নিয়ে আসলো। রাজিব আমার হাতে সেই টিকিট গুলো দিয়ে বলল--
--এই হচ্ছে আমাদের নেক্সট প্ল্যান।
টিকিট গুলো আমি হাতে নিয়ে দেখি কলকাতা যাওয়ার দুটো টিকেট।
--তারমানে তোমরা এখান থেকে কলকাতা যাচ্ছো?
--জ্বী, কলকাতা থেকে সোজা জলপাইগুড়ি। ওখানেই আমাদের দু তিন মাস থেকে যেতে হবে। তারপরে এখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে না হয় আসা যাবে।
-- তার মানে মাস্টার প্ল্যান টা আগে থেকেই করে রেখেছো (হেসে)
--ভালোবেসে আরো কত কিছু করতে হবে মেহমেদ ভাই. আপনি যদি কাউকে ভালবেসে থাকেন সেদিন বুঝতে পারবেন যে ভালোবাসার মানুষের জন্য সারা পৃথিবীর সঙ্গে ও যুদ্ধ করা যায়, (রাজিব)
--ঠিকই বলেছো. ভালোবাসা মানুষকে বদলে দেয় কঠোরভাবে। প্রেম অনেক প্রশান্তির হয় আবার অনেক যন্ত্রনারও।
টিকিট গুলো আমি হাতে নিয়ে দেখি কলকাতা যাওয়ার দুটো টিকেট।
--তারমানে তোমরা এখান থেকে কলকাতা যাচ্ছো?
--জ্বী, কলকাতা থেকে সোজা জলপাইগুড়ি। ওখানেই আমাদের দু তিন মাস থেকে যেতে হবে। তারপরে এখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে না হয় আসা যাবে।
-- তার মানে মাস্টার প্ল্যান টা আগে থেকেই করে রেখেছো (হেসে)
--ভালোবেসে আরো কত কিছু করতে হবে মেহমেদ ভাই. আপনি যদি কাউকে ভালবেসে থাকেন সেদিন বুঝতে পারবেন যে ভালোবাসার মানুষের জন্য সারা পৃথিবীর সঙ্গে ও যুদ্ধ করা যায়, (রাজিব)
--ঠিকই বলেছো. ভালোবাসা মানুষকে বদলে দেয় কঠোরভাবে। প্রেম অনেক প্রশান্তির হয় আবার অনেক যন্ত্রনারও।
--তার মানে আপনি কাউকে ভালোবাসেন (ঐশী)
--হুম,,বাসি. তবে আমার ভালোবাসাটা একতরফা.
--চিন্তা করবেন না আপনার মত একজন মানুষকে কেউই হারাতে চাইবে না বরং আপন করে নিতে চাইবে...
-- তোমার হঠাৎ এই কথা মনে হল কেন? আমার মধ্যে এমন কি আছে যে কেউ আমাকে আপন করে নিতে চাইবে?
-- একটা ভালো মন আছে মেহমেদ ভাই.. যে মন ভালোবাসার আসল অর্থটা জানে.. (রাজিব)
এভাবে কিছুক্ষণ কাজী অফিসের ভেতর ঐশী এবং রাজিবের সাথে গল্প করলাম। অবশেষে ম্যারেজ সার্টিফিকেট নিয়ে কাজী অফিস থেকে আমরা সবাই একসাথে বেরিয়ে এলাম।
কিন্তু রাস্তায় বেরুতে না বেরুতে আমাদের সামনে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি এসে দাঁড়ালো। সেই গাড়ি থেকে কোট টাই পরা এক ভদ্রলোক নেমেই রাগী কন্ঠে বলতে লাগলো ---
--এই যে অফিসার. এই সেই মেয়ে এবং তার সাঙ্গপাঙ্গ যারা আমার ছেলেকে জোর করে বাধ্য করেছে বিয়ে করতে।
আমার আর বুঝতে বাকি রইল না যে এই ভদ্রলোকই রাজীবের বাবা।
--কি সব বলছেন আপনি? আপনার ছেলে কি ছোট বাবু নাকি? ফিটার খায়. কিছু বোঝেনা? যে আপনার ছেলেকে জোর করে বাধ্য করা হবে বিয়ে করতে. এই বিয়ে রাজিবের সম্মতিতেই হয়েছে. ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে বিধায় এই বিয়ে করেছে.
--তুমি চুপ করো. তোমার কত বড় সাহস তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছো. তুমি জানো আমি কে?( রাগী কন্ঠে)
--দেখুন আমার এত কিছু জেনে কোন লাভ নেই. আমি শুধু এটুকু জানি যে ওরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে এবং আপনি অন্যায় করছেন ওদের আলাদা ককরার চেষ্টা করে।
--অফিসার আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছেন নাকি.. ওদেরকে এরেষ্ট করুন.
-- জি স্যার এখনই করছি. এই সবাই গাড়িতে ওঠো।(অফিসার)
-- গাড়িতে উঠবো মানে? কোথায় যাবো আমরা?
--সেটা যেখানে যাওয়ার সেখানে গেলেই বুঝতে পারবে?
--দেখুন আপনি আইনের লোক হয়ে বেআইনি কাজ করছেন।
--মানে??(অফিসার)
--আপনি আমাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছেন কোন অপরাধে?
--দেখ, আমি কোনো বেআইনি কাজ করছি না। তোমাদের নামে মামলা হয়েছে,,সুতরাং যতখন পর্যন্ত তোমরা নির্দোষ প্রমানিত না হচ্ছ, ততখন পর্যন্ত তোমরা থানায় থাকবে।
--কিন্তু.......
--কোনো কিন্তু নয়,,সবাই গাড়িতে উঠ।
--তুমি চুপ করো. তোমার কত বড় সাহস তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছো. তুমি জানো আমি কে?( রাগী কন্ঠে)
--দেখুন আমার এত কিছু জেনে কোন লাভ নেই. আমি শুধু এটুকু জানি যে ওরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে এবং আপনি অন্যায় করছেন ওদের আলাদা ককরার চেষ্টা করে।
--অফিসার আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছেন নাকি.. ওদেরকে এরেষ্ট করুন.
-- জি স্যার এখনই করছি. এই সবাই গাড়িতে ওঠো।(অফিসার)
-- গাড়িতে উঠবো মানে? কোথায় যাবো আমরা?
--সেটা যেখানে যাওয়ার সেখানে গেলেই বুঝতে পারবে?
--দেখুন আপনি আইনের লোক হয়ে বেআইনি কাজ করছেন।
--মানে??(অফিসার)
--আপনি আমাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছেন কোন অপরাধে?
--দেখ, আমি কোনো বেআইনি কাজ করছি না। তোমাদের নামে মামলা হয়েছে,,সুতরাং যতখন পর্যন্ত তোমরা নির্দোষ প্রমানিত না হচ্ছ, ততখন পর্যন্ত তোমরা থানায় থাকবে।
--কিন্তু.......
--কোনো কিন্তু নয়,,সবাই গাড়িতে উঠ।
তারপর একপ্রকার জোর করেই আমাদেরকে গাড়িতে উঠানো হল. ঐশী তো প্রায় কেদেই দিয়েছিল কিন্তু রাজিব ঐশীর হাতটা এত শক্ত করে ধরেছিল যে ঐশী সেই সময় নিজেকে সামলে নিয়েছিল। তারপর আমাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হল।
রাস্তায় যেতে যেতে ভাবছিলাম, তানহা যদি জানতে পারে আমি জেলে, তখন ওর রিয়েকশন টা কী হবে..?ও কী আসবে আমাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে নিতে...?
যাইহোক, রাজিব ঐশী, রাজিবের বন্ধুরা এবং আমি সহ সবাই থানার ভেতরে ঢুকলাম।
যাইহোক, রাজিব ঐশী, রাজিবের বন্ধুরা এবং আমি সহ সবাই থানার ভেতরে ঢুকলাম।
তবে থানায় ঢুকে আমি যে চমক পেলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না..
থানার ভেতরে তানহা বসে আছে।এই মেয়ে এখানে কী করছে? কিভাবে জানলো যে আমাকে থানায় নিয়ে আসা হলো? দিনে দিনে মেয়েটা আমার কাছে আরো রহস্যময়ী হয়ে উঠছে...বুঝতেই পারছি না এখানে হচ্ছেটা কী.....
থানার ভেতরে তানহা বসে আছে।এই মেয়ে এখানে কী করছে? কিভাবে জানলো যে আমাকে থানায় নিয়ে আসা হলো? দিনে দিনে মেয়েটা আমার কাছে আরো রহস্যময়ী হয়ে উঠছে...বুঝতেই পারছি না এখানে হচ্ছেটা কী.....
তানহা আমায় দেখেই দাঁড়িয়ে গেল ---
চলবে...
0 Comments