মামাতো_বোন_যখন_অফিসের_বস..♥ Part...1

---এ্যালার্মের আওয়াজে হঠাৎ করে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। চোখ খুলে দেখি ৭টা বেজে গেছে।
বিছানা থেকে উঠে একটু বসলাম, পাশে থাকা মায়ের ছবিটা হাতে নিয়ে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরতেই চোখ থেকে দু-ফোটা পানি ঝড়ে গেল। মায়ের ছবিতে একটা চুমু খেয়ে টেবিলে রেখে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম ওয়াশরুমে।




আজ একটা এন্টারভিউ আছে। এইনিয়ে ৮টা ইন্টারভিই দেয়েছি প্রায় সবগুলোতেই উত্তীর্ন হয়েছি কিন্তু ঘুষ দিতে পারিনি বলে শেষ পর্যন্ত আর চাকরিটা হয়নি।
দেখা যাক এইটাতে কি হয়,,?
দেরি না করে রেডি হয়ে নিলাম।বের হতে যাবো ঠিক তখনই কলিং বেল বেজে উঠলো।
দরজা খুলতেই দেখি বাড়িওয়ালার মেয়ে ঐশী নাস্তা হাতে দাড়িয়ে আছে।
-ভেতরে আসতে বলবেন না(ঐশী)
-ও সরি, আসুন






-আম্মু আপনার জন্য নাস্তা পাঠিয়েছে(ঐশী)
-কিন্তু আমিতো এখন বেড়োবো, আমার তাড়া আছে।
-কিন্তু নাস্তা করবেন না(ঐশী)
-প্লিজ কিছু মনে করবেন না, অন্য একদিন।
কথাটা বলেই বেড়িয়ে আসলাম।
রাস্তায় আসতেই একটি রিক্সা নিয়ে অফিসের সামনে চলে এলাম,
অফিসে ঢুকেই দেখলাম আমার মতো অনেকে বসে আছে।
ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য।আমিও গিয়ে বসে পড়লাম এক কোণে।
একে একে সবাই ইন্টারভিউ দিলো, অনেকক্ষণ পর আমার ডাক আসলো।
ইন্টারভিউ দিলাম, মোটামুটি ভালো। শেষ করে বাইরে এসে বসলাম। আমার পাশের দুজন লোক বলাবলি করছিলো---
-আরে, ইন্টারভিউ ভালো দিই আর খারাপ, ঘুষ ছাড়া কি আর চাকরি হবে,,,?
-ঠিক বলেছেন ভাই,





বর্তমানে ট্যালেন্টের কোনো দামই নেই, সবাই টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায়।
তাদের কথা শুনে এই অফিসের এক বয়স্ক পিয়ন বললেন-
-শুনো, তোমরা কোথায় কি দেখেছো জানিনা, কিন্তু এই অফিসের যিনি বস, তিনি খুব ভালো মানুষ। প্রতিভা কে গুরুত্ব দেন,,টাকাকে নয়..
ওনার কথা শুনে একটু ভালো লাগল। তারপর ঘন্টাখানেক পর ফলাফল ঘোষনা করা হলো।
আমি সহ আরো অনেকে সিলেক্ট হয়েছি।
কাল থেকে জয়েন করতে হবে।






তার আগে অফিসের যিনি বস তিনি আমাদের কিছু বলবেন. তাই আমাদের সবাইকে ওনার রুমে নিয়ে যাওয়া হলো।
কিন্তু রুমে ডুকতেই আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম।
এ আমি কাকে দেখছি, তানহা..?
ও এখানে কেন,,?
আগে যাকে কখনো দেখবো না বলে প্রতিঙ্গা করেছিলাম, আজ আবার তার সামনে দাড়িয়ে আছি।
কিন্তু ওর তো বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো...? তাহলে ও এখানে কি করছে..?
তানহা আমায় দেখে চমকে গিয়ে বললো------
--চলবে..



Post a Comment

0 Comments