বি.এড এর সেই মেয়েটা
সৌগত প্রামাণিক
কখন যে কার কাছে,
মন পড়ে যায় হারিয়ে
প্রেমের ভাষা উথলিত হয়-
হৃদয়স্থলে রাখিলে।।
এমনই একটি আর্দ্রকালে,
দেখা হয়ে, ছিনু সাথে
পলকে একটিবারের মত
পারিনি পলক ফেলিতে।
শ্যামলী পাপিয়া গাহিয়া নাই
ভাষ্যে হেলিয়া ফেলে,
ভালো কি লাগলো মোরে!
আঁখিটি শুধুই বলে।
আসিত সে সখী সহিত-
কলেজ প্রাঙ্গণে,
শিহরিত তাই বুকের মাঝে-
রঙিন মনের সাজে।।
স্থানীয় তরুবর হস্ত কাজে-
প্রজাতি বৃদ্ধি করে
ডরায় কি সে পল্লবমাঝে
অংশ রহিছে ঘরে।।
বি.এড এর সেই মেয়েটা এখন
রুমাল আলতো করে
মুখের ঘামে রক্তিম ঠোঁটের
অর্থ জড়িয়ে ধরে।
অশান্ত এক নাবিক ধায়ে,
সেই নারীর তরে
নোঙর সে তো চুলোয় গেছে…
নৌকাডুবির ভরে।
চাহিয়া থাকিব পাওয়ার আশায়
তুমি কিন্তু জানিবে না
বি.এড এর সেই মেয়ে তুমি
আমার চেহারা চিনিবে না।।
অবুঝ অতিথি
বৃষ্টি ও প্রাঞ্জা
কোনো এক আনকোরা এক স্বপ্ন বুঝি-
সুযোগ খুঁজে এসে-
এক অবুঝ হাওয়া, মিথ্যে চাওয়া-
বসলো মনে ঘেঁষে।
এই শান্ত মনের, স্তব্ধ ঝিলের-
ছোট্ট কুঁড়েঘরে,
এক শব্দ হয়ে দমকা হাওয়া-
আসল মনের দ্বারে।
এই বদ্ধ মনের একলা দুপুর-
ভর্তি জটিলতা,
কোন্ ছিন্ন সুরে পাগল হাওয়া-
ভাঙল নীরবতা।
আমি বুঝতে পেড়ে, চোখ পাকিয়ে
বলি তারে হেঁসে-
ওরে ছন্নছারা-বেপরোয়া,
যারে দূরে ভেসে।
সেই দুষ্টু হাওয়া, খুব বেয়ারা
একগুঁয়েমি চাল-
সে থাকবে আমার মনে কোণে-
লুকিয়ে চিরকাল
অগত্যা তার জেদের কাছে-
মনের পরাজয়
সেই দুষ্টু হাওয়া রয়েই গেল
মনের আঙিনায়।।
অভিযোগ তোমায়
সৌগত
আমাকে তুমি শিখিয়ে গেলে-
প্রেমটা কেবল শব্দ,
অনুভূতি তো বিশ্বাসে নয়-
মিথ্যেতে রয়ে জব্দ।
এ কোন বিষাদ ব্যাধির ক্ষত
ভালোবাসার হৃদপীড়া…
নিত্য দিনের অস্তিত্বে
দেহের ছদ্ম মরা।
তুমি তোমার প্রিয়ের বিলাস-
সঙ্গপানের সাথী,
আমি আমার ভালোবাসার-
দেশলাই এর কাঠি।
তবুও তুমি ভালো থেকো-
দুঃখ যেন না আসে,
দুঃখ এলে পাঠিয়ে দিও
আমার দিকে ঘেঁষে।
বিয়ের পর কেমন আছো?
থেকো ভালো হয়ে-
সবাই তো নয় আমার মতো,
থাকবে কষ্ট নিয়ে।
সময় তবে শেখালো অনেক,
ভোলাতে পারেনি তোমায়-
আমার বর্তমানের সৌধে
তোমার অতীত কাঁদায়।
চোখের জলকে বকে বলি-
বালিশ ভেজাস কেনো!
তুলোর দেনা শোধ কে দেবে
ভেতরে যে যমকালো।।
কিন্তু স্মৃতি তাজা হয়ে রয়
বিরহ প্রেমের হাতে-
তোমার দিনে সুখ বিলাক,
আমার যাতনা রাতে।।
from ছাড়পত্র https://ift.tt/nuKzh43
via IFTTT
0 Comments