পবিএ__ভালোবাসা💔 Bangali Lyrics Golpo
পবিএ__ভালোবাসা💔 পর্ব__০১
(Golpo)
সেদিন যখন তানহা তার স্বামী আনান কে তানহার বোন তাহার সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখেছিলো তখন তানহার মন মুহুর্তের মধ্যেই কঠিন পাথর হয়ে গিয়েছিল। এমন দৃশ্য দেখবে সে জীবনে ও ভাবতে পারে নি। সেদিন তানহা আনান কে খুব জোড়ে একটা থাপ্পড় মেরে ছিলো।
তানহার চোখের পানি বাদ না মেনে পড়ছিলো তো পড়ছিলো ই। মন টা ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেছে তানহার। তানহার শাশুড়ি ও আনান কে দুটো কষে থাপ্পড় মেরে ছিলো।নিজের ছেলে এমন কুলাঙ্গার হবে এটা তিনি ভাবতে ও পারেন নি। ওই দিনের পর তানহা আর আনানের চেহারা ও দেখে নি।
তানহা তাহা কে খুব ভালোবাসতো। যদি তাহা তানহার রক্তের সম্পর্কের বোন ছিলো না। ছোট বেলায় তানহার আব্বু তাহা কে কুড়িয়ে পেয়েছিলো। তবুও তানহার পরিবারের কেউ ই তাহা কে ছোট করে দেখে নি কখনোই। সবাই ওকে ভালোবাসতো। তানহার আব্বু আম্মু তাহা কে ও তানহার মতোই ভালোবাসতো। এই তো ৩ বছর হলো আনানের সাথে তানহার বিয়ের। তানহা যখন pregnant হয় সবাই খুব খুশিতেই ছিলো।
তানহা মা হতে চলেছে শুনে তানহার আব্বু আম্মু তাহা আর তুষার (তানহার ভাই) সবাই তানহা কে দেখতে যায়। ২ দিন পর তানহার আব্বু আম্মু আর তুষার বাসায় চলে যায়। তাহা তানহা কে ছেড়ে যেতে চায় নি বলে তানহার সাথেই থেকে যায়।
(Amar Golpo)
তানহা ও নিজের বোন কে পেয়ে খুব খুশিতেই ছিলো। আনান কে তানহা খুব ভালোবাসতো সেইম আনান ও তানহা কে। ওদের এই ভালোবাসা টা ছিলো পবিএ_ভালোবাসা। কিন্তুু হঠাৎ করেই সব উলট পালট হয়ে গেল। অপবিএ ভালোবাসায় পরিনত করলো আনান। তানহা আনান কে ডিভোর্স দেয়। সেদিন তানহা তার শাশুড়ি কে তার কসম দিয়েছিলো সে যেনো তাহা কে আনানের বউ করে নেয়। তানহার শাশুড়ি নিরুপায় হয়ে তানহার শেষ অাবদার টা রাখতে বাধ্য হলেন। তানহার শাশুড়ি তানহা কে খুব ভালোবাসতো। তিনি ও ভাবতে পারেন নি তার ছেলে এমন পশুর মতো একটা কাজ করবে।
ওই দিনের পর তানহা,তানহার আব্বু আম্মু আর তুষার নিজেদের বাসা ত্যাগ করে একটা নতুন বাসায় চলে আসেন। সব যোগাযোগ ছিন্ন করে আনানদের সাথে। নিজের মেয়ের সাথে এমন একটা কান্ড ঘটেছে এটা জানার পর তানহার আব্বু আম্মু আর তুষার আনানের বাসায় যায়। সেদিন তানহার আম্মু তাহা কে কষে একটা থাপ্পড় মেরেছিলেন আর বলেছিলেন।
-- দুধ কলা দিয়ে একটা কাল সাপ পুষে ছিলাম আমি। কিন্তুু কখনো বুঝতে পারিনি সেই কাল সাপ টা আমাদের কেই কামড়ে দেবে। সত্যি ই পর কখনোই আপন হয় না। পর তো পর ই। তুই আমার মেয়ে কে সুখে থাকতে দিস নি আল্লাহ তোর বিচার করবে। তুই ও কখনো সুখে থাকতে পারবি না দেখে নিস।
তানহার বেলকনিতে বসে এসব ভাবছিলো আর চোখ থেকে পানি ঝর্ণার ন্যায় বয়েই চলছে। তানহা তার পেটে হাত বুলায়। তার পেটে যে আরেক টা প্রাণ বেড়ে উঠছে। যদি ও তানহা আনান কে ঘৃণা করে কিন্তুু তার পেটের ভেতরের এই ছোট্ট প্রাণ টা কে সে কখনোই ঘৃণা করতে পারে নি।
তানহার আব্বু আম্মু সবাই বলেছিলো Abortion করে ফেলতে কিন্তুু তানহা কিছুতেই এটা করতে রাজি হয় নি। তানহা বলেছিলো "দোষ টা আনানের আমার বেবি টার না। ওতো নিষ্পাপ। ও কেন আনানের কাজের জন্য শাস্তি পাবে!" তাই সবাই আর তানহা কে জোড় করে নি। ওই দিনের পর তানহা একদমি চুপচাপ হয়ে যায়। জীবনটা মাঝ পথে থমকে গেছে তার।
তুষারের চোখের মনি তানহা। বড্ড ভালোবাসে সে তার বোন টা কে। তানহা কে তুষার সব সময় শান্তনা দেয়। তানহার প্রেগন্যান্সির সাড়ে সাত মাস রানিং। আর কিছু দিন বাদেই ৮ মাসে পড়বে। তানহা কে সব সময় উৎসাহ দেয় তুষার। তানহার ভয় তার বেবির না কিছু হয়ে যায়। তাই সে সব সময় ভিতু হয়ে থাকে। তুষার এ অবস্থায় তানহা কে সব সময় সাহস জুগিয়ে আসছে।
তুষার তানহা কে রুমে না পেয়ে বেলকনিতে যায়। গিয়ে দেখে তানহা বেলকনিতে বসে কাঁদছে। তুষারের বড্ড খারাপ লাগে এটা। সে তার বোন কে কান্না করতে দেখতে পারবে না কখনোই। তুষার জলদি তানহার পাশে গিয়ে বসে।
-- আপু তুই আবার কাঁদছিস!
-- ককই না তো।(তানহা চোখের পানি মুছে ফেলার বৃথা চেষ্টা করছে।)
-- আপু ওই বেঈমানটার কথা ভেবে তুই আবার কাঁদছিস। আমি ঠিক জানি। একদম মিথ্যে বলতে পারবি না। আপু প্লিজ আর কাঁদিস না। কি হবে এভাবে বৃথা কষ্ট পেয়ে? কোনো লাভ তো হবে। ভুলে যা আপু। ভেবে নে ওটা তোর জীবনে একটা দুঃস্বপ্ন মাএ। প্লিজ।
-- কিন্তুু আমি যে ভুলতে পারি না রে। আজকে কেন জানিনা খুব মনে পড়ছে আনানের কথা। ওও হয়তো আমার সাথে এটা না করলে ও পারতো। আমার কথা না ভাবতো অন্তত এই ছোট্ট প্রাণ টার কথা তো ভাবতে পারতো।
-- আপু এই দুনিয়ায় কিছু মানুষ কখনোই আপন হয় না রে। কিছু মানুষ খুব ই স্বার্থপর।
-- ঠিক বলেছিস তুই। ওরা খুব স্বার্থপর।
-- আপু প্লিজ আর কাঁদিস না। চল তোর ঔষধ খাওয়ার টাইম হয়ে এসেছে। কিছু খেয়ে ঔষধ খেতে হবে চল।
-- আমি খাবো না তোরা খেয়ে নে।
-- আপু তুই এটা কিভাবে বলতে পারলি আমরা তোকে ছাড়া খেয়ে নেবো। শোন আপু তুই আমাদের কথা না শুনে ওই বেঈমানটার জন্য কষ্ট পাচ্ছিস পা। সমস্যা নেই কিন্তুু তোর ভিতরে ও যে আরেক টা প্রাণ বেড়ে উঠছে এটা ভুলে যাস না। ওর জন্য অত্যন্ত স্বার্থপর হয়ে যাস না।
-- ককই না তো।(তানহা চোখের পানি মুছে ফেলার বৃথা চেষ্টা করছে।)
-- আপু ওই বেঈমানটার কথা ভেবে তুই আবার কাঁদছিস। আমি ঠিক জানি। একদম মিথ্যে বলতে পারবি না। আপু প্লিজ আর কাঁদিস না। কি হবে এভাবে বৃথা কষ্ট পেয়ে? কোনো লাভ তো হবে। ভুলে যা আপু। ভেবে নে ওটা তোর জীবনে একটা দুঃস্বপ্ন মাএ। প্লিজ।
-- কিন্তুু আমি যে ভুলতে পারি না রে। আজকে কেন জানিনা খুব মনে পড়ছে আনানের কথা। ওও হয়তো আমার সাথে এটা না করলে ও পারতো। আমার কথা না ভাবতো অন্তত এই ছোট্ট প্রাণ টার কথা তো ভাবতে পারতো।
-- আপু এই দুনিয়ায় কিছু মানুষ কখনোই আপন হয় না রে। কিছু মানুষ খুব ই স্বার্থপর।
-- ঠিক বলেছিস তুই। ওরা খুব স্বার্থপর।
-- আপু প্লিজ আর কাঁদিস না। চল তোর ঔষধ খাওয়ার টাইম হয়ে এসেছে। কিছু খেয়ে ঔষধ খেতে হবে চল।
-- আমি খাবো না তোরা খেয়ে নে।
-- আপু তুই এটা কিভাবে বলতে পারলি আমরা তোকে ছাড়া খেয়ে নেবো। শোন আপু তুই আমাদের কথা না শুনে ওই বেঈমানটার জন্য কষ্ট পাচ্ছিস পা। সমস্যা নেই কিন্তুু তোর ভিতরে ও যে আরেক টা প্রাণ বেড়ে উঠছে এটা ভুলে যাস না। ওর জন্য অত্যন্ত স্বার্থপর হয়ে যাস না।
তানহা আর না করতে পারে নি। ঠিকি তো বলেছে তুষার। বেঈমানটার জন্য ওর ভেতরে ছোট্ট প্রাণ টা কেন কষ্ট পাবে। ওতো নিষ্পাপ। ওর তো কোনো দোষ নেই।
-- চল।
তুষার তানহা কে উঠতে সাহায্য করে আর তানহা কে নিয়ে খাবার টেবিলে যায়। তুষার নিজে তানহা কে খাইয়ে দেয়। তানহা কে যেনো কোনো কষ্ট করতে না হয় এর জন্য সব সময় সতর্ক থাকে তুষার। তানহার আব্বু অফিসে। তানহার আম্মু দুই ভাই বোনের ভালোবাসা দেখে সুকনো এটা হাসি দেয়। সাথে চোখে জল ও। এটা উনার প্রতিদিন প্রতিদিন কার নিয়ম। তুষার আর তানহা এটা লক্ষ্য করে। তানহা ও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে দেয়। তুষার মন খারাপ করে ফেলে।
-- আম্মু তুমি ও শুরু করেছো? তোমরা পেয়েছো টা কি হ্যাঁ? দুইজন এইভাবেই কাঁদতে থাকো। আমি চলেই যাবো এখান থেকে। তোমরা থাকো। আর ভালো লাগে না তোমাদের এসব। (অভিমানী সুরে)
-- আচ্ছা দেখ চোখের পানি মুছে নিয়েছি আমরা আর কাঁদবো না।
-- হুম দেখেছো। আর কাঁদবে তো দেখে নিও আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।
-- (.....)
-- আচ্ছা দেখ চোখের পানি মুছে নিয়েছি আমরা আর কাঁদবো না।
-- হুম দেখেছো। আর কাঁদবে তো দেখে নিও আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।
-- (.....)
তারপর তুষার তানহা কে খাইয়ে দিয়ে ঔষধ খাওয়ায়। তারপর নিজে ও খেয়ে নেয়। খাওয়া শেষ হলে তুষার তানহা কে সাবধানে শুইয়ে দিয়ে আসে। আর তুষার তার রুমে গিয়ে একটু বিশ্রাম নেয়।
এদিকে দুবাই থেকে একটা কাজে বাংলাদেশে আসছেন ডা: রায়হান মাহবুব তিশান। দুবাইয়ের হসপিটাল থেকে উনাকে কিছু কাজের জন্য এখানে আসতে হচ্ছে। যদি তিনি এতে নারাজ ছিলেন। পাক্কা সাড়ে তিন বছরের মাথায় তিনি বাংলাদেশে আসছেন!
চলবে_______________❤
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আশা করছি সবাই আবার আগের মতো আমার পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ😍)
0 Comments