পবিএ__ভালোবাসা পর্ব_ Bangali Lyrics Golpo
পবিএ__ভালোবাসা
পর্ব__০২
পর্ব__০২
(Golpo)
এদিকে দুবাই থেকে একটা কাজে বাংলাদেশে আসছেন ডা: রায়হান মাহবুব তিশান। দুবাইয়ের হসপিটাল থেকে উনাকে কিছু কাজের জন্য এখানে আসতে হচ্ছে। যদি তিনি এতে নারাজ ছিলেন। পাক্কা সাড়ে তিন বছরের মাথায় তিনি বাংলাদেশে আসছেন!
এভাবে প্রায় আরো ১৫ টা দিন কেটে যায়। সময় গুলো ঠিকই চলে যাচ্ছে। আর এদিকে তানহার ভয় বেড়েই চলেছে। দুপুরে তানহা কে খাবার + ঔষধ খাইয়ে দেয় তুষার। তারপর তানহার আম্মু তানহা কে তানহার রুমে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দেয়। তানহার আম্মু চলে যায়। মেয়েটার কোনো অযত্ন করছেন না কেউ ই। এতো কষ্ট পাওয়ার পর ও সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সর্বাবস্থায় তানহা কে খুশি রাখতে। কিন্তুু তানহার মুখে হাসির খুশির ছিটে ফোটা ও নেই। সে তো তার বেবি নিয়েই বিভোয় চিন্তায়। এতো বড় একটা ঝড় তার উপর দিয়ে বয়ে গেছে তারপর ও যে তানহা মেন্টালি ঠিক আছে এতেই অনেক।
বিকেলে তানহা আস্তে আস্তে উঠে বেলকনিতে যায়। কেন জানিনা তার একদম ভালো লাগছে না। কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে। হঠাৎ ই তানহার মাথা টা ঘুরে উঠে। তানহা তাড়াতাড়ি করে বেলকনি থেকে বিছানার দিকে চলে যেতে নেয়। কয়েক পা এগুতেই হঠাৎ ই তানহার মাথা ঘুরে পড়ে যায়। আর "আহ" বলে চিৎকার করে উঠে। ব্যাথায় তানহার দায়ে দাত খিচে বন্ধ করে আছে। আর কোমরে হাত দিয়ে।
তুষার একটা কাজে বাইরে গিয়েছিলো। তাড়াতাড়ি ফিরে এসে তানহার রুমের দিকে গেছেই দেখতে পায় তানহা নিচে পড়ে আছে।
তুষার জোড়ে চিৎকার দেয়।
তুষার জোড়ে চিৎকার দেয়।
-- আপু,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
তুষারের চিৎকার শুনে তানহার আম্মু দৌড়ে আসে। একটু চোখ টা লেগে এসেছিলো তার। তানহার আম্মু এসে দেখে তানহা নিচে পড়ে আছে আর ব্যাথায় কাতরাচ্ছে। আর অনেকটা রক্ত পড়ে ভেসে আছে ফ্লোর।
তখন সন্ধ্যা ৭ টা বাজে। তানহা কে হসপিটালে নিয়ে আসা হয়েছে। রক্ত বন্ধ করা হয়েছে। শুধু এখন অপারেশনের অপেক্ষা।২০ টা হাড় ভাঙ্গার সমান এই লেবার পেইন। তানহা কিছু বলার শক্তি পাচ্ছে না। এদিকে হসপিটালে সব ডাক্তার একটা মিটিংয়ে চলে গিয়েছে। মিটিং টা শেষ করেই ডাঃ রায়হান মাহবুব তিশান দুবাই চলে যাবেন। আজকে রাতেই উনার ফ্লাইট।
তুষার তার বোনের এমন কষ্ট সহ্য করতে পারছে না কিছুতেই। এদিকে মিটিং হওয়ার জন্য কোনো ডাঃ ও আসতে পারছে না। তুষার কে সিকিওরিটি গার্ড রা ভেতরে যেতে দিচ্ছে না। এদিকে তানহার কষ্ট আর ওই দিকে মিটিং তুষার আর থাকতে না পেরে জোড় করে মিটিং রুমে ঢুকে যায়।
সবাই চমকে উঠে দাঁড়িয়ে যায়। তিশান একটু বেশি চমকে উঠে তুষার কে এ অবস্থায় দেখে। তুষার খেয়াল ই করে নি তিশান কে। তুষার হাটু গেড়ে বসে একটা ডাঃ এর পা জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে।
-- প্লিজ আমার বোন টা কে বাঁচান। প্লিজ ওর অপারেশন করা টা খুব প্রয়োজন। অনেক ব্লাড বেরিয়ে গেছে। প্লিজ চলুন আপনারা প্লিজ।
তিশান এটা শুনেই চমকে উঠে। তুষারের বোন বলাতে তিশান বুঝতে পারে তুষার তানহার কথা বলছে তিশান দৌড়ে মিটিং রুম থেকে বেরিয়ে যায়। সাথে সব ডাক্তার ও। কেউ ই বুঝতে পারলো হঠাৎ তিশানের কি হলো। তিশান তানহা দেখে হিম হয়ে যায়। তানহা কে এ অবস্থায় দেখবে সে কিছুতেই ভাবতে পারে নি।
-- উনাকে জলদি অপারেশন রুমে নিয়ে চলো কুয়িক।
-- ওকে স্যার।
-- ওকে স্যার।
নার্স রা তাড়াতাড়ি তানহা কে অপারেশন রুমে নিয়ে যায়। এদিকে তানহার আব্বু আম্মু কান্না করছে। আর তুষার প্রায় পাগলের মতো আচরণ করছে। তিশান বুঝতে পারে অনেক টা দেরি হয়ে গেছে। তিশান তানহার আব্বু আম্মু আর তুষার কে শান্তনা দিয়ে জলদি অপারেশন রুমে চলে যায়।
তানহা তার চোখের সামনে তিশান কে দেখে চোখের জল ফেলতে থাকে। কিছু যে বলবে সেই শক্তি ও পাচ্ছে না। তুষার বুঝে যায় পজিশন একদম ভালো না। কিছু টেষ্ট করে তিশান তানহার আব্বু আম্মু কে বলে।
-- যে কোনো একজন কে বাঁচানো যাবে। কি করবো এখন আমরা আপনারা বলুন।(নিজেকে সামলিয়ে)
-- আমাদের তানহা কে চাই।
-- আমার আপু তো এই বাবু কে ছাড়া বাঁচবে ও না। তিশান ভাইয়া প্লিজ ওদের দুইজন কেই বাঁচিয়ে দিন প্লিজ।
-- আচ্ছা আমি চেষ্টা করছি।বাকি টা আল্লাহর হাতে। তিশান চোখের পানি মুছে নেয়।
-- আমাদের তানহা কে চাই।
-- আমার আপু তো এই বাবু কে ছাড়া বাঁচবে ও না। তিশান ভাইয়া প্লিজ ওদের দুইজন কেই বাঁচিয়ে দিন প্লিজ।
-- আচ্ছা আমি চেষ্টা করছি।বাকি টা আল্লাহর হাতে। তিশান চোখের পানি মুছে নেয়।
তানহা চোখের ইশারায় তিশান কে ডাকে। কারণ তানহা শুনেছে ওর অবস্থা অনেক খারাপ। যেকোনো একজন কে বাঁচানো যাবে। তাই তানহা তিশান কে খুব কষ্টে বলে।
-- পি...প্লি...প্লিজ তু...তুমি..আ...আম..আমার...বাচ্চা...ট...টাকে...বাঁচিয়ে...দাও। আ...আ..আমার...শেষ...ইচ্ছা...টা...প্লিজ..রে...রেখো।
এটা বলে তানহা চোখ বন্ধ করে ফেলে সেন্সলেস হয়ে যায়। তিশান কি করবে ভেবে পায় না। নিজের প্রিয় মানুষ টা কে মেরে ফেলবে নাকি তার শেষ ইচ্ছে টা রাখবে নাকি তানহার আব্বু আম্মুর কথা রাখবে।নিরুপায় তিশান!!!! অতঃপর তিশান আর বাকি সবাই প্রস্তুত অপারেশনের জন্য। অপারেশন শুরু করে.....!
।
।
।
তিশানের আর তানহা একে অপরকে খুব ভালোবাসতো। কিন্তুু হঠাৎ করেই ওদের সব কিছু শেষ হয়ে যায়। তানহা ওর বাবা মার কথা রাখতে আনান কে বিয়ে করে নেয়। আর তিশান ও এ ব্যাপার টা জানতে পেরে খুব কষ্ট পায়। নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলো তিশান কিন্তুু সে পারে নি সেটা করতে। বাবা মার সাথে ওও দুবাই চলে যায়। কারণ এখানে থাকলে তানহার স্মতি ওকে ওকে তিলে তিলে শেষ করে দিতো।
।
।
।
তিশানের আর তানহা একে অপরকে খুব ভালোবাসতো। কিন্তুু হঠাৎ করেই ওদের সব কিছু শেষ হয়ে যায়। তানহা ওর বাবা মার কথা রাখতে আনান কে বিয়ে করে নেয়। আর তিশান ও এ ব্যাপার টা জানতে পেরে খুব কষ্ট পায়। নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলো তিশান কিন্তুু সে পারে নি সেটা করতে। বাবা মার সাথে ওও দুবাই চলে যায়। কারণ এখানে থাকলে তানহার স্মতি ওকে ওকে তিলে তিলে শেষ করে দিতো।
অপারেশন শেষে_________________
নার্স ফুটফুটে একটা শিশু কে কোলে করে এনে তানহার আম্মুর কোলে দেয়। হঠাৎ তানহার আম্মু বলে উঠে!
-- আমার মেয়ে কেমন আছে।
-- ও আর বেঁচে নেই।(পেছন থেকে তিশান চোখের পানি মুছে এ কথাটি বলে উঠে।)
-- তোমাকে তো বলেছিলাম আমার মেয়ে টা কে বাঁচিয়ে দিতে।
-- তানহা আমার কাছে আবদার করেছে আমি যেনো ওকে বা ওর বাচ্চা তা কে বাঁচিয়ে দেই তাই আমি নিরুপায় হয়ে এটা করেছি। এ ছাড়া আমার কাছে আর কোনো পথ খোলা ছিলো না।
-- ও আর বেঁচে নেই।(পেছন থেকে তিশান চোখের পানি মুছে এ কথাটি বলে উঠে।)
-- তোমাকে তো বলেছিলাম আমার মেয়ে টা কে বাঁচিয়ে দিতে।
-- তানহা আমার কাছে আবদার করেছে আমি যেনো ওকে বা ওর বাচ্চা তা কে বাঁচিয়ে দেই তাই আমি নিরুপায় হয়ে এটা করেছি। এ ছাড়া আমার কাছে আর কোনো পথ খোলা ছিলো না।
তানহার আম্মু যেনো বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।
তানহার আব্বু আর তুষার পাগলের মতো হয়ে যায়। তুষার নিজেকে কিছুতেই সামলাতে পারছে না। ওর বোন আর এই পৃথিবীতে নেই এটা মেনে নিতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে তার।
তানহার আব্বু আর তুষার পাগলের মতো হয়ে যায়। তুষার নিজেকে কিছুতেই সামলাতে পারছে না। ওর বোন আর এই পৃথিবীতে নেই এটা মেনে নিতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে তার।
চলবে________________
0 Comments