আমি চোখ নিচের দিকে করে বসে আছি।ঠিক এমন সময় কে যেন আমাকে চড় মারলো।
আমি উপরের দিকে তাকিয়ে তো অবাক!যে আমাকে কালকে চড় মারলো সেই মেয়ে এটা।আমি গালে হাত দিয়ে মনে মনে ভাবতেছি,কালকে 1000টাকা বেশি দিয়েছে।ওটা নেওয়ার জন্য আমাকে ফলো করে এখানে আচ্ছে।আমি কি করি এখন ?আমার সাথে তো এত টাকা নাই এখন
.
ঠিক তখনেই আমার ধারনা পাল্টিয়ে মেয়েটা বলল....
,
ঐ ওয়েটার! তুই এখানে কেন?তোর তো থাকার কথা রেস্টুরেন্টে।কলেজে তো কোন ওয়েটার লাগেনা।বের হও তারাতারি ক্লাস থেকে বের হও।
,
মেয়েটা বকতেছে আর আমি তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার কথা এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিতেছি।
,
মেয়েটার ঘুম ঘুম ভাব এখন আছে।কাল রাতে দুটা ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়াইছি।তাহলে কি ভাবে ঘুম যাবে আপনারাই বলেন?
,
মেয়েটা ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেস না হয়ে কলেজে আসছে।আমি কি ভাবে বুঝলাম তাই তো?তাহলে শুনেন...
,
চুলগুলো এলোমেলো ঠিক পাগলীদের মতো।চোখে কালকে কাজল দিছিলো মনে হয় ।তা গাল পর্চন্ত আসছে। ঠোট দুটো লালচে কিন্তু শুকনো। আর পরনে নাইট ড্রেস পরা।দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে কোন মেকাপ করে নি।তারপরও দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগতেছে।
,
এদিকে ক্লাসের সবাই অবাক।আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলতেছে দেখে।সবাই আমাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে।আর ভাবতেছে আমি কিছু করছি না কেন?
,
আমি আস্তে করে উঠে ওর ঠিক সামনা সামনি দাড়ালাম।দাড়িয়ে ওর মুখের সামনে আমার মুখ আনলাম।।।।
,
ধূর স্যার আসার আর সময় পেলো না।
,
কিন্তু যে জন্য দাড়ালাম তা করা আর হলো না।কারন ঐ সময় স্যার রুমে প্রবেশ করে।
স্যারকে সালাম দিলাম।স্যার সালাম নিয়ে অবাক হয়ে বললো...
,
জয় তুমি আচ্ছ?আমি তো মনে করেছিলাম তুমি আর আসবা না।তাছাড়া তোমার কোন খোজ খবরও ছিল না।
,
আমি বললাম জ্বি স্যার।
,
তারপর স্যার মেয়েটার উদেশ্যে বললো...
জয়া এখন তুমি এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো?
(আমি স্যারের কথা শুনে বুঝলাম এই সেই জয়া।যার কথা একটু আগে আমাকে বললো।)
,
জয়া বললো...
স্যার দেখেন না ,এই ছেলেটা আমার জায়গায় বসছে?
স্যার:জয় তুমি একটু ঐ দিকে সরে বসতো।
আমি:আমি সরে বসতেছি আর বলতেছি ,এখানে কি জায়গার নাম লেখা আছে যে এক জনের জায়গায় অন্য জন বসতে পারবে না।
,
জয়া:স্যার ও এখানে বসবে কেন?
স্যার:এতো দিন কেউ তোমাকে ভয় করে এখানে বসেনি।এখন থেকে ও এখানে বসবে।
,
কথা টা শুনে জয়া রেগে লাল হয়েছে।আর মন খারাপ করে আমার পাশে বসলো।ওকে দেখতে আগের থেকে আরো বেশি সুন্দর লাগতেছে রেগে যাওয়ার কারনে।
হঠাৎ কি যেনো হলো।জয়া উঠে ব্যাগ নিয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলো।তারপরে আমরা ক্লাস করলাম।কলেজ ছুটির পরে আমার ফ্রেন্ডের কাছ থেকে জয়ার সম্পর্কে শুনি।
,
যা যা বললো তা হলো...
ও এই কলেজে নতুন।১মাস হচ্ছে ভর্তি হবার।ও হলো এই এলাকার সবচেয়ে বড় লোকের এক মাএ মেয়ে।কারো সাথে মিশে না।অল্পতেই রেগে যায়।আর মাঝে মাঝে ২/৩টা মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখা যায়।তবে লেখা পড়ায় খুব ভালো।
,
তারপর আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে।আজ আসি কালকে কথা হবে।এই বলে আমি বাসা গেলাম।বাসা গিয়ে ফ্রেস হয়ে।একটা ঘুম দিলাম।
এদিকে জয়া মন খারাপ করে বাসা যায়।
,
বাসা গিয়ে নিজের অজান্তে অনেক কান্না করে।কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে যায়।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে, খেয়ে, বই নিয়ে পড়তে বসে।পড়তে বসে ওর আমার কথা মনে হয়।
,
ও ভাবে,,,,আমি কেনো ওই ছেলেটার সাথে খারাপ ব্যবহার করতেছি???তাও আবার দুবার চড় মারলাম কিন্তু ও কিছুই বললো না।অদ্ভুত তো ছেলে টা!!!
,
আচ্ছা এই সেই ছেলেটা নয় তো????আমাদের ক্লাসের যায় রোল ১????
এই ছেলেটাকে তো একদিন ও দেখিনি।আর যাকে চড় মারলাম সেও তো আগে কলেজে আসেনি।আচ্ছা যাক কালকে দেখা যাবে।আর ছেলেটাকে সরি বলবো।
,
তারপরে,,,, পড়ায় মন বসতেছে না তাই জয়া পড়া না পড়ে Fb তে ডুবে।আর ওর প্রিয় fb লেখক টার গল্প পড়ে মন ভালো করে।
,
তারপরে দিন আমি সকালে মিশুকে নিয়ে কলেজে গেলাম।রুমে ডুবার সময় দুহাত দিয়ে ফোন চাপতে ছিলাম।তাই সামনে না দেখেই ক্লাসে ডুবি।আর আমি কার সাথে ধাক্কা খেয়ে আমার হাত থেকে ফোন টা পরে যায়।আর আমি পিছন দিকে পড়ে যাইতেছি তাই আমার হাত দুটা আমার বুকের উপর।আমি মাটিতে পড়ে যাওয়ার সাথেই কে যেনো আমার উপর পড়ে গেলো আর আমার হাতে নরম কিছু অনুভব করলাম।
,
আমি ভালো করে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে মানে জয়া আমার উপরে পড়েছে।
তখন আমি আসতে করে......
চলবে....?
0 Comments